নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিন যেখানে যায় হারিয়ে ( ঈদ স্পেশাল)

০৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬




গতকাল সন্ধ্যাবেলা দোকান থেকে শেষ মুহূর্তে কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে শ্রীমানের উদ্দেশ্যে আমার ছোট্ট প্রশ্ন ছিল,
-বাবা এবার ঈদে তোমার তাহলে কতগুলি শার্ট-প্যান্ট হয়েছে?
- আহা! পাপাটা না! আমার ওসব জামা-কাপড়ের কথা শুনতে ভালো লাগছে না।
-হ্যাঁ ঠিকই তো! তোমার ওসব জামাকাপড়ের কথা শুনতে ভালো না লাগারই কথা। আমার যতদূর মনে পড়ছে তোমার তিনটি প্যান্ট,দুটি-শার্ট, দুটি টি-শার্ট ও একটি পাজামা-পাঞ্জাবি হয়েছে।
-পাপাটা না! সব জেনে আবার প্রশ্ন করে।
- আজ তুমি বিরক্ত হচ্ছো? অথচ তুমি জানলে অবাক হবে যে তোমার মত বয়সে আমরা জামাকাপড় পেতাম না। কিন্তু পেতাম অনেক কিছু।
-কি পেতে তোমরা?
-শুনবে তুমি সে কথা? বেশ! তুমি তো জানো পরিবারের সদস্য পিছু একটি করে ফিতরা দিতে হয়। সেটা দেড় কেজি গমের মূল্য মানের সমান। এবছর যার মান দাঁড়িয়েছে 50 টাকা। আমরা ভাই-বোন মিলে সাতজন ছিলাম। প্রত্যেক বছর ঈদুল ফিতরের সকালে তোমার দাদুভাই আমাদের সব ভাইবোনদের একত্রে ডাকতেন। বড় ভাইবোনদের অনুসরণে আমরা গোল করে বসতাম। তোমার দাদুভাই পকেট থেকে একটা দশ টাকার নোট বার করে আমাদের কোন একজনের হাতে ধরিয়ে দিতেন। সে পাশের জনকে দিত। পাশের জন্য আবার তার পাশের জনকে দিত। এইভাবে হাত ঘুরে টাকাটা আবার দাদুভায়ের হাতে চলে যেত। দাদুভাই এর পরে টাকাটা দাদীমার হাতে দিতেন। দাদীমা টাকাটা হাতে নিয়ে আবার দাদুভায়ের হাতে ফেরত দিতেন। আর তখনই টাকাটা ফেতরার উপযোগী হয়ে উঠত বলে জানতাম। ক্রমশ বড় হয়ে দাদুভাইয়ের এই হাতবদল ফিতরার পদ্ধতিটি কতটা শরীয়ত সম্মত সে প্রশ্ন মনে জাগলেও মুখ ফুটে বলার সাহস পেতাম না- নিজেদের আর্থিক দৈন্যদশার উপলব্ধির করে। আজ আমি অবশ্য তোমার দাদুভাইয়ের পদ্ধতিতে ফিতরা দেই না। তুমি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবে আমার, তোমার ও তোমার মায়ের তিনটি ফেতরা আমি ইতিমধ্যে তিনজন গরিব মানুষকে দান করেছি।

ঈদের সকালটা অন্য এক দিক দিয়েও কাছে খুব উপভোগ্য ছিল। সেদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা পার্শ্ববর্তী পুকুরে জমা হতাম। আশপাশের বাড়িগুলি থেকে সবাই চলে আসতো পুকুরে গোসল করতে। যারা পেশাগত কারণে দূর-দূরান্তে থাকে তারাও ইতিমধ্যে বাড়ি এসে পুকুর পাড়ে চলে আসতো। চারদিকে ছোট-বড় মিলিয়ে হই হট্টগোল বা কোলাহলের মধ্য দিয়ে গোসল করাকালীন আমাদের নতুন জামা-কাপড় না পাওয়ার ব্যথা ভুলে যেতাম। বিভিন্ন রকম সেন্টেড সাবানের গন্ধে বাতাস ভরে যেত।
গোসল করে বাড়ি এসে তোমার দাদুভাই ও দাদীমার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতাম। আমাদের ছোট ভাই-বোনদের দাদীমা এক টাকা করে ঈদের হাত খরচ দিতেন।ময়দান থেকে ফেরার পথে পাপড় ও পিয়াজি কিনে খেতাম। টাকাটা ছিল তোমার দাদীমায়ের হাস-মুরগির ডিম বিক্রি করা টাকা। অনেক পরে টাকাটা বৃদ্ধি পেয়ে দুই টাকা হয়েছিল। ঈদের দিনে দুই টাকা পেলে তার মধ্যে একটি আইসক্রীম খাওয়ার নিশ্চিত সুযোগের অপেক্ষায় আমি আগে থেকে পুলকিত হতাম। সাদা চিড়ে ও রঙিন কাঠি আইসক্রিম তখন ফেরিওয়ালারা হেকে হেকে বিক্রি করতো।
-পাপা তুমিও আমার মত আইসক্রিম খেতে পছন্দ করতে?
-হ্যাঁ বাবা আমি তো তোমার মত ছোট ছিলাম। কাজেই আইসক্রিমের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিলো।
এখনকার মত এমন কাপ আইসক্রিমের প্রচলন তখন গ্রামে হয়নি। রঙিন কাঠি আইসক্রিম খাওয়ার প্রতি আমার অবশ্য অন্য একটি উদ্দেশ্য ছিল।
-কি উদ্দেশ্য ছিল?
- আইসক্রিম খেতে গিয়ে দুই ঠোঁট লাল করার তীব্র বাসনা।
-হ্যাঁ! তুমি রঙিন আইসক্রিম খেতে? ওটা তো কেমিক্যাল!
-হ্যাঁ ঠিকই বলেছ।ওটা কেমিক্যাল শুধু নয় যে বরফটা দিয়ে তৈরি হয় সেটা ডেড বডি সংরক্ষণ করার বরফ।
-আমি কখনোই এমন আইসক্রিম খাবো না।
- হ্যাঁ কথাটা সবসময় মনে রাখবে।
যাই হোক প্রতিবারই এমন রঙিন কেমিক্যাল আইসক্রিম খেয়ে বাড়ি এসে বড়দের প্রচন্ড বকা খেতাম।
-পাপা! আইসক্রিমের কথা শুনলাম কিন্তু একটা কথা শুনে মনে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।
-কি কথা বাবা?
- তোমাদের ছোটবেলায় ঈদে একটাও জামা-কাপড় হতো না?
-না বাবা!আমাদের ছোটবেলায় ঈদে কোন জামা-কাপড় হত না। সব ভাই-বোনকে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় তোমায় দাদুভাই আমাদের কাউকে কোন কোন জামা কাপড় দিতেন না। তবে ঈদে আমরা নতুন একটা জিনিস পেতাম।
-কি জিনিস পেতে?
-আমাদের ছোট চার ভাই-বোনের জন্য দাদুভাই চারটি ফাউন্টেন পেন নিয়ে আসতেন।
- ফাউন্টেন পেন! সেটা আবার কি?
-তুমি যে পেন দিয়ে লেখ এটাকে বলপেন বলা হয়। লক্ষ্য করবে যে লেখার জায়গাটাতে একটা ছোট্টো বল আছে যা থেকেই এর এরকম নামকরণ। এই পেনের রিফিল শেষ হলে আবার রিফিল ভরা যায়।কিন্তু আমাদের শৈশবে ব্যবহৃত ফাউন্টেন পেনে কালি শেষ হয়ে গেলে আবার নতুন করে কালি ভরার সুযোগ ছিল। বাড়িতে নীল ও কালো রংয়ের বড় বড় দুটি কালির দোয়াত ছিল। আমরা ড্রপারে করে কালি ভরে ইচ্ছামত পেনে ভরতাম। এখন অবশ্য এই ফাউন্টেন পেন একেবারেই লুপ্ত হয়ে গেছে। তবে অনেক বেশি দামের পার্কার কোম্পানির ফাউন্টেন পেন এখনো বাজারে আছে। যারা অত্যন্ত সৌখিন লোক তারা এখনো পার্কার পেন ব্যবহার করেন। দেখতে ভারী চমৎকার পেন গুলো।
-পাপা আমাকে একটা পার্কার পেন কিনে দেবে?
-নিশ্চয়ই! আমিও তোমাকে দিতে চাই। তবে সেটা পেতে গেলে যে তোমাকে একটা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হবে। তোমার যে বয়স সেই বয়সে তুমি ওই পেনের মূল্য বুঝবে না। অন্তত মাধ্যমিকে আশানুরূপ নম্বর পেলে আমি তোমাকে নিশ্চিত একটি পার্কার পেন উপহার দিব। হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম,ঈদের কয়েকদিন আগে দাদুভাই চারটি ভিন্ন রংয়ের পেন নিয়ে আসতেন। তোমার বড় ফুম্মার কাজ ছিল চারটি প্লেট দিয়ে চারটি পেনকে ঢেকে দেওয়া। সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে এবার আমাদের চার ভাই-বোনের ডাক পড়তো। আমরা ছুটে গিয়ে একেকজন এক একটি প্লেটে হাত দিতাম।সকলের সামনে প্লেট তুলে পেতাম আমাদের জন্য রাখা বিভিন্ন রঙের পেনগুলি। রং পছন্দ না হলেও ঝগড়া-ঝাঁটি করার আর সুযোগ ছিল না।সুতরাং আমার শৈশবের একটি ছোট্ট পেন পাওয়ার আনন্দ তোমার পাঁচটা/ছটা জামা কাপড় পাওয়ার চেয়েও ঢের বেশি ছিল।
যাই হোক গোসল সেরে গায়ে আতর লাগিয়ে দুই কানের লতিতে তুলো গুঁজে তোমার দাদু ভাইয়ের সঙ্গে আমরা ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। দাদুভাই ও বড়চাচ্চু ময়দানে ঢুকে যেতেন। আমরা ছোটরা বাইরে নামাজ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতাম। নামাজ শেষ হলে আবার তোমার দাদুভাইয়ের হাত ধরে বাড়ি ফিরতাম। পাজামা পাঞ্জাবি না থাকার জন্য তোমার দাদুভাই আমাদের ময়দানের ভিতরে নিয়ে যেতেন না। আগে থেকে কেচে রাখা পুরানো হাফপ্যান্ট-শার্ট পরে আমরা ময়দানে যেতাম।অনেক পরে তোমার দাদুভাই যখন আমাদের ছোট দুই ভাইয়ের জন্য প্রথম পাজামা-পাঞ্জাবি কিনেছিলেন সেবার ছিল আমাদের শৈশবের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ। আমি প্রথম ঈদের নামাজ পড়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলাম সে আনন্দ আমার স্মৃতিতে আজও ভাস্বর হয়ে আছে।
-এই সামান্য ছোট্ট ছোট্ট প্রাপ্তিতে তোমাদের এত আনন্দ হতো?
-ঠিক তাই! আমরা বাস্তবে এটুকুতেই ভীষণ খুশি হতাম।

তুমি শুনলে অবাক হবে যে ঈদের দিন খাওয়া-দাওয়াতেও আজকের সঙ্গে সেদিনের শৈশব ও কৈশোরের অনেক পার্থক্য ছিল। দাদীমা সুজির হালুয়া ও দুধ সেমাই তৈরি করতেন। তোমার দাদুভাই কিছুতেই অন্যান্য বাড়ি গুলির মত আগেভাগে ওসব নিয়ে আসতেন না। বড়জোর আগের দিন বা ঈদের দিন সকালে ঈদের সামগ্রী বাড়িতে আসত। তখন আমাদের বোঝার ক্ষমতা তৈরি হয়নি কেন দাদুভাই শেষ মুহূর্তে ওসব জিনিস বাড়িতে আনতেন।ফলে পাড়াতে অন্য কাউকে নিজের বাড়ির কথা শেয়ার করতে না পেরে দাদুভাইয়ের উপর প্রচন্ড অভিমান হতো। ছোট থেকে শুনে আসছি লাচ্ছার দামটা অনেকটাই বেশি। কাজেই আমাদের বাড়িতে লাচ্ছার প্রবেশাধিকার ছিল না। আগে থেকে বন্ধুদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিতাম পাড়ার কাদের বাড়িতে লাচ্ছা হচ্ছে সে সম্পর্কে।এমনও হয়েছে খোঁজখবর নিয়ে ঈদের দিন ঘুরতে গেছি বন্ধুদের বাড়িতে। কিন্তু গিয়ে পেয়েছি সুজির হালুয়া। চার পাঁচটি বাড়ি ঘুরে ফিরে মিষ্টি খেয়ে কোথাও একটু লাচ্ছা খাওয়ার সুযোগ পেলে তাহলে প্রচন্ড আমোদিত হতাম এবং সেই বাড়ির প্রতিটি সদস্যের প্রতি বহুদিন পর্যন্ত অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিতাম।
-তাহলে পাপা আমার লাচ্ছা খেতে ভালো লাগে না কেন?
-ওই যে প্রথমেই বললাম তুমি না চাইতেই সব পেয়ে গেছো। যে জন্য আজকে তোমার মায়ের হাতে সেমাই,জর্দা সেমাই, লাচ্ছা সবকিছুই তোমার কাছে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে।
-না পাপা না! আমি আর বলবো না। আমি এখনই গিয়ে মাকে বলে ঈদের মিষ্টি খাব। ‌
-এইতো আমার আদরের ছোট্ট সোনা।


মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

আরোগ্য বলেছেন: ১ম

০৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কংগ্রাচুলেশন ফর ইউর সাকসেস।
বহুদিন পর তোমাকে প্রথমে পেয়ে আমি আনন্দিত অভিভূত। অভিনন্দন তোমাকে।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

আরোগ্য বলেছেন: অনেক দিন পর প্রথম মন্তব্য ও প্রথম লাইক। ইয়েপ্পি!!!

দিনে একটু ব্যস্ত তাই পরে পড়ে আবারও মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ।

০৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

পরপর দুটি মন্ত্যবে একেবারে প্রথম। এজন্য বহুদিনের অপ্রাপ্তির সাফল্য। হাহাহাহাহা.....
প্রথম কমেন্ট প্রথম লাইক। আমি নিজেকে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। ধন্যবাদ তোমাকে।
তোমার ব্যস্ততার অবসান ঘটুক। পরে সময় নিয়ে মন্তব্য করবে সেই অপেক্ষায় রইলাম।

শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানবে।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনুভবের গহন বাস্তবতার শিক্ষা!
যে শিক্ষা আমরা এখন দিতে চাইনা সো কলড আধুনিকতার নামে। শেকড়ের গল্প অনুজদের জানা উচিত। নিজের প্রতি সম্মান বাড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে। অহম কমে। প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করে।

গ্রামের শেকড় হীন নগর সভ্যতায় এসবের অবাবেই দেখতে হয় চলমান কথিত সভ্যতার সবচে বড় বেদনা- ওল্ড হোম!!

আপনার শেকড় মূখী কাহিনীতে ভাললাগা প্রিয় দাদা

+++

০৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

আপনার চমৎকার মন্তব্যে প্রীত হলাম। আপনি পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য অত্যন্ত সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন।
" আপনি কেমন করে কাব্য লেখেন, হে গুণী। আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি, হে গুণী।" ধন্যবাদ আপনাকে হা হা হা হা হা.....। একটা কথা মনে প্রানে ধারণ করি," উত্তরসূরী শেখায় নিতে অঙ্গীকার এক নতুন ভোরের।" আমি কি ছিলাম? কিভাবে এলাম? এবং কি আছি? আর তার মধ্য দিয়ে যেটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি, তার সামান্যতম যদি ভাবি প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হয় তাহলে সেটাই আমার পরম কাম্য। আকাঙ্ক্ষার সন্তোষ প্রাপ্তি। আর এখানেই আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত রেখে বলি, এর ফলে যদি তার অহম কমে, আত্মবিশ্বাস বাড়ে তাহলে সুকুমার বৃত্তির বিকশিত হতে সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস।
শিকড় কাহিনীতে আপনার ভালো লাগা, পোস্টে লাইক ও ট্রিপল প্লাসে দারুন অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
আমাদের ঈদটা মাটি করে দিলো বৃষ্টি। ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি। রাস্তায় হাটু পর্যন্ত পানি জমে গেছে। এরপর আবার ঈদের দিন খেলায় হেরে গেলাম। সব মিলিয়ে ভালো হয়নি।

০৬ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ছোট ভাই,

গতকাল থেকে আমাদের এখানেও বেশ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আমার বেশ কয়েকজন সহকর্মী ঈদের দিন বাড়িতে আসেন। কিন্তু বিকাল থেকে ভারী বর্ষণের জন্য তারা কেউ আসতে পারেনি।আমি অবশ্য সন্ধ্যার পরে সপরিবারে ছাতা নিয়ে দু কিমি দুরে আত্মীয়ের বাড়িতে গেছিলাম । যদিও তখন আর বৃষ্টি হয়নি। তবে হাঁটু সমান বৃষ্টি নিঃসন্দেহে যন্ত্রণাদায়ক। পাশাপাশি একটা বিষয় লক্ষণীয় ঈদের আগ পর্যন্ত গরমের যে দাবদাহ ছিল সেটি কিন্তু একেবারেই বিলীন হয়ে গেছে।
একইসঙ্গে দেশের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যাওয়াটাও বেদনাদায়ক। সাকিবের খেলাটা খুবই ভালো লেগেছিল। কিন্তু দিনটি নিউজিল্যান্ডের ছিল। যাইহোক খেলায় হার-জিত থাকবেই। পরের ম্যাচে পজিটিভ কিছু হবে এই প্রত্যাশাই রইলাম।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ।
++

ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকে

০৬ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় পরি আপু,

গল্পটি আপনার ভালো লাগাতে ও ডাবল প্লাসে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। আপনার জন্যও রইল অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গল্পটার গূঢ়ার্থ ব্যাপক।

দুটো সময়কে এক সাথে তুলে ধরেছেন এই গল্পে। আজকালকার ছেলেমেয়েরা একটু চাইলেই কত কিছু পায় ! অন্যদিকে আগেকার দিনে অল্পতেই সন্তুষ্ট হতো সন্তানরা। তারাই আজ পিতা কিংবা মাতা। নিজের বাল্যকালের কথা ছেলেমেয়েদের বলা উচিত। তাদেরও জানা উচিত দুনিয়াটা সহজ নয়। জীবনের গল্প একেক সময় একেক রকম !

তাই বলতে চাই, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম......


গল্পে পাখির গানের ন্যায় ভাললাগা......

০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আর্কিওপটেরিক্স ভাই। আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্য প্রীত হলাম। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন যে দুটো প্রজন্মকে একটু ধরার চেষ্টা করেছি। না পাওয়ার প্রাপ্তিতে আমরা তখন অল্পতেই খুশি থাকতাম। কিন্তু এখনকার জেনারেশনের কিছুতেই যেন মন উঠতে চায় না। আর এই কারনেই কিছুটা অনুভবশীল গড়ে তুলতে আমাদের পূর্ব জীবন সন্তানকে জানানোর চেষ্টা। জীবনের গল্প তো সত্যি সহজ নয়। এক একসময় তার রূপ রস সংজ্ঞা বদলে যায়।
একইসঙ্গে আপনার সঙ্গে সঙ্গত কারণেই গলা মিলিয়ে গাইতে চাই," আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম......

গল্পে পাখির গানের ন্যায় ভালো লাগাতে ও পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

ঈদের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

বলেছেন: আহা জীবন!!
কত রূপ!!
কত রিরূপ
কত রুপকথা!!
কতই না শোকগাঁথা!!

অসাধারণ বাস্তবমুখী লেখা।।।

০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফ ভাই।আহা! এই না হলে কবি!
" কত রূপ!!
কত বিরূপ!!
কত রূপকথা!!
কতই না শোকগাঁথা।"
কমেন্টে শুধু মুগ্ধতা মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় কবি ভাইকে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন পদাতিক দা।

০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লিটন ভাই। আপনার প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।
আপনার উদ্দেশ্যও রইল আমার পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৪

মা.হাসান বলেছেন: আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ উপলক্ষে কয় সেট জামা হলো এটা ছেলের কাছে জানতে চেয়েছেন ভালো কথা। এখানে থেমে যাওয়াই ভালো হবে। ছেলের মায়ের কাছে একই প্রশ্ন করলে সংসারে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আপনার দাদুর ফিতরা আদায়ের পদ্ধতি শুনে চোখ ভিজে আসলো। নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। প্রাচুর্য ছিল না, কিন্তু চাহিদা কম থাকার কারণে অভাবও সে রকম ছিল না। নতুন জামার সঙ্গে ঈদের কি সম্পর্ক তা তখনো বুঝে উঠতে পারিনি এখনো বুঝি না। সেই বয়সে প্রয়োজন যখন হত তখন পোশাক পেতাম এখনো নিজের প্রয়োজন অনুসারে কিনি । তবে আমি শান্তিকামী মানুষ, ঈদের আগে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের হাতে টাকা পয়সার খাম ধরিয়ে দেই, কে কিভাবে খরচ করল সেটা তাদের ব্যাপার।
ঈদের আনন্দ ও ছুটি দীর্ঘস্থায়ী হোক।

০৭ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় মা.হাসান ভাই। আপনার প্রেরিত পারিবারিক শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। একই ভাবে আপনি ও আপনার পরিবারের জন্যে রইল পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। পুত্রের উপর যা প্রয়োগ করা যায় তা কি আর অন্য কারো উপরে চালানো যায়? সাক্ষাৎ গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন কেইবা হতে চায়? আমি আপনি শান্তিকামী মানুষ। কাজেই আর এক ইঞ্চিও না এগোনোই শ্রেয়। হা হা হা হা.....

আমার দাদু নয়, আমার পুত্রের দাদু বা আমার বাবার ফেতরার পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। আপনার অনুভূতির কথা শুনে আমারো ভেতরটা আদ্র হয়ে গেল। আপনার ছোটবেলাকার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি আপনার সুন্দর অনুভুতিকে তারিফ করতেই হবে। নতুন জামা-কাপড়ের প্রতি ছোটবেলাকার আকর্ষণ ছিল দুর্নিবার। পরবর্তীকালে পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে চললেও এখনো সেই আকর্ষণটি রয়ে গেছে। এদিক দিয়ে আপনি আমি অবশ্য সম্পূর্ণ দুই মেরুর বাসিন্দা।
পাশাপাশি ঈদ বা অন্য কোন উপলক্ষে আত্মীয় স্বজনকে খাম ধরিয়ে ধরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আমিও অনেকাংশে সহমত। পোশাক পরিচ্ছদের সাইজের ভিন্নতা ও পছন্দ-অপছন্দ অ্যাভয়েড করতে আমিও আপনার মত এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করি। তবে নিজের পরিবারের ক্ষেত্রে অবশ্য নয়।

এই মুহূর্তে ছুটি কাটাতে একটু বকখালিতে আছি। অন্তর্জালের পরিষেবা যে কারণে বিঘ্নিত হতে পারে। আপনারও ঈদের ছুটি উপভোগ্য হোক।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাবেন।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:১২

করুণাধারা বলেছেন: কথোপকথনের মাধ্যমে দুই প্রজন্মের অবস্থার অমিল যেভাবে তুলে ধরেছেন, তাকে বলে মুনশিয়ানা!!

খুব ভালো লাগলো। লিখতে থাকুন এভাবে।

দেরি করে ফেললাম, তবু ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

০৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,

দুদিনের জন্য একটু বাইরে থাকাতে ভালো নেট পরিষেবা না পাওয়ায় বিলম্বিত উত্তর দেওয়াই দুঃখিত। দুই প্রজন্মের বৈসাদৃশ্য ও তার মেলবন্ধনের ছোট্ট প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি আপনার মন্তব্যে ধরা পড়াতে মুগ্ধ হলাম। মুগ্ধ হলাম আপনার ছোট্ট বিশেষণে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পাশাপাশি লেখার বিষয় আপনার এমন আন্তরিক সাপোর্টিং এ আনন্দ পেলাম। আগামীতেও যেন আপনাকে এভাবে পাই সেই কামনাই করি।
দেরিতে মন্তব্য করা কোন ব্যাপারই নয়। আপনারা দেবী দশভূজা! চাকরি-বাকরি গেরস্থালি সামলিয়ে তারপরে ব্লগিং। সুতরাং ব্যস্ততা সামলিয়ে তার মধ্যে যে সময় করে এসেছেন এটাই আমাদের পরম প্রাপ্তি।
আপনার ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। আপনার জন্যও রইল ঈদের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।


১১| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সময় সবকিছু বদলিয়ে দেবে, সবকিছু হয়ে যাবে সামাণ্য ইতিহাসে।

০৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধা মান্যবরেষু,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। হ্যাঁ! একেবারে যথার্থই বলেছেন যে সময় সবকিছু বদলে দেবে। আমরা মানুষ তার নিমিত্ত মাত্র।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবকিছু হয়ে যাবে সামান্য ইতিহাস

০৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনারও বোধহয় নেটের সমস্যা হচ্ছিল। মন্তব্য প্রায় একই প্রকাশ হয়েছে। যাইহোক দ্বিতীয় মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: পিতা-দাদু বিভ্রাটের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। লিখতে গিয়েছিলাম আপনার ছেলের দাদু, অসতর্কতা বশত ' ছেলের' শব্দটা বাদ পড়ে গেছে। পোস্ট করার পরপরই নজরে আসলে ও কমেন্ট মডারেশন এর সুযোগ না থাকায় কিছু করার ছিল না। বকখালি ভ্রমণ আনন্দময় হোক । ব্লগের অনেকেই শুটকি মাছের ভক্ত, তাদের নজর না লাগলেই হল।

০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসান ভাই,

আপনার দ্বিতীয় বার আবার মন্তব্যে আসাতে আনন্দ পেলাম। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।কমেন্ট মডারেশন এর সুযোগ না থাকাতে দাদু- নাতি বিভ্রাট থাকাতে বেশ ভালোই হলো। বরং মডারেশনের সুযোগ থাকলে আপনাকে যে দ্বিতীয়বার আর পেতাম না সেকথা হলফ করে বলা যায়। হাহাহাহাহা....বকখালি ভ্রমণ আনন্দময় হলেও দু-দিন নেট না থাকায় খুব বিরক্তের মধ্যে কেটেছে। আজ ফিরে এলাম বাড়িতে কিন্তু সামুতে ঢোকা ইজি হচ্ছে না। কাজেই মন্তব্য করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। প্রত্যেক পোষ্টে পৃথক ভাবে লগ আউট হয়ে যাচ্ছি। আবার নতুন করে লগইন করতে হচ্ছে। বকখালিতে অবশ্য শুটকি মাছ তেমন চোখে পড়েনি। তবে এখানে অনেকটা দূরে ডায়মন্ডহারবার আছে যেখানে শুটকির জন্য বিখ্যাত। কাজেই অনেকের নজরে না পড়লেও এমন অসুবিধের কারণ নেই হাহাহাহাহা...


শুভকামনা জানবেন।

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগা পোস্টে। আসলেই আমাদের ছেলেবেলায় আমরা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতাম এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনার মাঝে যে কত আনন্দ জড়িয়ে থাকতো সেটা এইকালের ডিভাইসভক্ত বাচ্চারা বুঝতে সক্ষম হবে না।

০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই,

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। পোষ্টের একটি বিশেষ দিক আপনি উল্লেখ করেছেন," আমাদের ছোটবেলায় আমরা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতাম এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনার মাঝে যে কত আনন্দ জড়িয়ে থাকতো সেটা এই কালের ডিভাইসভক্ত বাচ্চারা বুঝতে সক্ষম হবে না।" একেবারে সহমত আপনার সঙ্গে। ধন্যবাদ আপনাকে।

বিলম্বিত হলেও পবিত্র ঈদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন।

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আরোগ্য বলেছেন: ছোটবেলায় ঈদ বলতে চানরাতে বেশী রাত জেগে খেলাধুলা আর সকাল সকাল ঘরে কোন বিদেশি সাবান থাকলে তা দিয়ে গোসল করে নতুন জামা পড়ে সবার ঘরে যেয়ে সালামী সংগ্রহ করা। কিন্তু সেই টাকা একা খরচ করার সাহস পেতাম না তাই ঘরে জমা দিয়ে দিতাম। আর এখনকার ছেলেমেয়েরা টাকা খুব ভালো চিনে। সালামী হাতে পেলেই কেনাকাটার লিস্ট করে ফেলে।

ধনী গরীব যাই হোক ঈদের আনন্দ যেন ছোটদের জন্যই। বড় হলে সারারাত জেগে কাজ কর আর সারাদিন মেহমান আপ্যায়ন।

গল্প প্রাণবন্ত হয়েছে সেই সাথে স্মৃতিচারণমূলক ।

ঈদের ছুটিতে কি করলে?

০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

দুদিন বাইরে থাকাতে এক হিসেবে নেট দুনিয়া থেকে বাইরে ছিলাম। বাড়ি এলাম তো আবার সামুতে ঢোকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় প্রত্যেক পোষ্টে সেপারেট লগইন করতে হচ্ছে। পোস্ট চেঞ্জ করলে আবার লগ আউট। কাজেই বুঝতেই পারছো এই মুহূর্তে ব্লগিং করাটা আমার কাছে কতটা সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তোমার চাঁদ রাতের ব্যাপারটা জেনে খুশি হলাম। বুঝতেই পারছি তাহলে সে সময়ে দারুণ এনজয় করেছো। তবে একটু খানি অখুশি হলাম যে সালামের টাকাটা নিজের পছন্দ মত ব্যবহার করার অধিকার না পাওয়াতে। অবশ্য অত ছোট বয়সে কোন বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে ইচ্ছেমতো টাকা খরচ করার স্বাধীনতা দেয় না। সে দিক দিয়ে সিদ্ধান্তকে সঠিক বলতেই হবে। তবে এখনকার ছেলে মেয়েরা টাকাটা সত্যিই একটু ভালো চেনে। আর আমরাও যেন অনেকটা তাদের দাবির কাছে হার মানতে বাধ্য।

সবশেষে আবারো সহমত তোমার সঙ্গে যে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ যেন ছোটদেরই। আর বড়রা সারাদিন মেহমান আপ্যায়নে ব্যস্ত। তা যা বলেছো হা হা হা হা...

স্মৃতিচারণ মূলক গল্প প্রাণবন্ত মনে হওয়াতে ও পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই তোমাকে।

ঈদের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো বাড়ির সকলকে।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা
কেমন আছেন ? অনেক দেরিতে হাসলাম আপনার স্মৃতিচারণএ।
এমনিতেই কষ্টে আছি তার মধ্যে আবার এই দুঃখের কাহিনী।
মরীচিকা দেন না কেন ? নেক্সটে মরীচিকা না দিলে আপনার পোষ্টে আমি আসবো না। একটু অভিমান করে বললাম এই আর কি। আসবো দাদা আসবো , এইসব কাহিনী আর লিখবেন না।
বোনের আবদার এবার মরীচিকা মনে থাকে যেন? ভালো থাকবেন
আমি কি একটু বেশি বলে ফেললাম ? কিছু ভুল বললে
আমাকে সবিনয়ে ক্ষমা করে দিয়েন ।

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি। আশা করি আপনি ও বাড়ির সকলে ভালো আছেন। হ্যাঁ আপনার আগমনের একটু অপেক্ষা করি ঠিকই কিন্তু ব্যস্ততা থাকলে তো দেরি হতেই পারে। কাজেই সময় করে এসেছেন এটাই বড় আনন্দের। সাংসারিক জীবনের দুঃখ কষ্ট মাঝে মাঝে আসতেই পারে। কিন্তু সেটাকে কোন অবস্থাতেই প্রাধান্য দেওয়া সমীচীন নয়।
মরীচিকা প্রসঙ্গে- আপনাকে কথা দিলাম পরবর্তী পোস্ট মরীচিকাই পাবেন। 'জীবন যেখানে যায় হারিয়ে' আবার কিছুদিনের জন্য তুলে নেব। পরপর কয়েকটি মরীচিকার পোস্ট দিয়ে তখন না হয় ফিরিয়ে আনার কথা ভাববো। কাজেই মরীচিকা সম্পর্কে আপনাদের অভিমান আমার গ্রেট পাওনা। আগামীতেও এমন অভিব্যাক্তি পেলে নিজেকে ধন্য মনে করব। আর পোস্টে না আসা সম্পর্কে বলি যখন দেখবো আপনারা আমার ব্লগে আসছেন না তখন থেকে ব্লগে লেখা বন্ধ করে দেবো । হাহাহাহাহা.....


মন্তব্যে এতটুকুও বেশি করে বলেননি। বরং এমন আন্তরিক মন্তব্য যেকোন পোস্টেই কমনীয়। কাজেই নো ভুল। ক্ষমার কোন প্রশ্নই আসে না। আবারও ধন্যবাদ জানাই প্রিয় ছোট বোনকে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।



১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার গল্প। আহ...পুরনো সেই সব স্মৃতিগুলো............এখনকার ছেলেমেয়ে'রা তো ডিজিটাল, তারা এসব বুঝবে না।
+।

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দাদা,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। গত তিনদিনে এমন একটা জায়গায় ছিলাম যেখানে নেট পরিষেবা একেবারে ছিল না বললেই চলে। বাড়ি ফিরে নেট সংযোগ পেলেও আবার সামুতে ঢোকা ভয়ানক সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকটি পোস্টে পৃথকভাবে লগ ইন করতে হচ্ছে।
গল্পটি আপনার চমৎকৃত মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। সহমত আপনার সঙ্গে যে বর্তমান জেনারেশন ডিজিটাল, তারা বুঝবে না এসব স্মৃতিচারণ।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

নজসু বলেছেন:



উপস্থিত। :-B

১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা আপনার উপস্থিতিতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ জানবেন।
শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

নজসু বলেছেন:




আপনার লেখনির জাদুতে মোহবিষ্ট হয়ে লেখাটা পাঠ করলাম।
কি মন্তব্য করি ভেবে পাচ্ছিনা। আপনার লেখায় না আমার শৈশবটাও দেখতে পাই যেন।
একজন লেখকের সার্থকতা মনে হয় এখানেই।
ভাই, সত্যি আপনাকে একবার দেখতে ইচ্ছে করে। আপনার হাসিমাখা মুখের ছবি দেখেই অনুমান করেছি এক নিরীহ মাটির মানুষ আপনি।
আপনার লেখা পাঠ করে সেই সত্যতা যেন আরও বেশি করে অনুভব করি।

লেখাটা এতো মমতা দিয়ে লিখেছেন যে, লেখা সাথে মিশে গিয়েছিলাম যেন।
তাই বিষয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নাই।

আমি একটা বিষয়ে খুব নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আপনার মেঘ বড় হয়ে খুব উঁচু মনের একজন মানুষ হবে।
আপনি তাকে এমনভাবে জীবনের অর্থ শেখাচ্ছেন তা অভূতপূর্ব।
আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই।

( শুধু আগে নয়; পত্রিকায় দেখলাম এখনও ডেড বডি ও মাছ সংরক্ষণের বরফ দিয়ে ঢাকার রাস্তায় শরবত বিক্রি হয়।)


১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,

আপনি একজন বিচক্ষণ পাঠক। আমি ইতিপূর্বে কোন একটি পোস্টে আপনার এরকম মন্তব্য পেয়েছি। আজ আবার এমন একটা মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথম কমেন্টটি করার সময় আপনি পোস্টটিকে লাইক করেন নি। কাজেই প্রতিমন্তব্যে আমি বিষয়টি উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু পরে দেখলাম একাদশতম লাইকে আপনার নামটি জ্বলজ্বল করছে। অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
এবার আসি আপনার প্রতিমন্তব্য সম্পর্কে,
লেখনীর জাদুতে মোহাবিষ্ট হলেন!!!! কি যে বলেন লজ্জা পেয়ে গেলাম এমন কমপ্লিমেন্টে। তবে আপনার শৈশবের যে কিছুটা ছবি আপনি মিলাতে পেরেছেন এটাই আমার একটা বিরাট প্রাপ্তি। আমাদের মত অনেকেই শৈশবে না পাওয়াদের জগতে এই মিলটা যে বিরাট।
আর আমাকে দেখার কথা বললেন। বেশতো আপনি যদি ঢাকাতে থাকেন তাহলে নিশ্চয় একবার কোন এক বার দেখা হবে। আমার তো ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছে আছে আগামী 2/1 বছরের মধ্যে। আর যদি এর মধ্যে আপনি কলকাতাতে আসেন তাহতো শিওর দেখা হচ্ছে। আমি কলকাতা থেকে সামান্য একটু দূরে থাকি।

মন্তব্যের একেবারে শেষ পর্বে লেখাটির মধ্যে আপনি মমত্বের পরিচয় পাওয়াতে আবার আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। পড়তে পড়তে লেখাতে মিশে গেছেন- এমন অনুভূতির পরিচয় পেয়ে আমরাও যে আগামীতে পোস্ট দেওয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে যাবো। হা হা হা হা হা....

সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের একটা দুর্বলতা থাকে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। মেঘের ব্যাপারে আপনার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন। কতটা নিতে পারবে জানিনা। তবে আমার উদ্দেশ্যে ও যেন সত্যিকারে একজন মানুষ হয়।

আপনার শ্রদ্ধা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল আমার শুভকামনা ও ভালোবাসা।



২০| ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

নজসু বলেছেন: আপনার লেখনির জাদুতে মোহবিষ্ট হয়ে লেখাটা পাঠ করলাম।
কি মন্তব্য করি ভেবে পাচ্ছিনা। আপনার লেখায় না আমার শৈশবটাও দেখতে পাই যেন।
একজন লেখকের সার্থকতা মনে হয় এখানেই।
ভাই, সত্যি আপনাকে একবার দেখতে ইচ্ছে করে। আপনার হাসিমাখা মুখের ছবি দেখেই অনুমান করেছি এক নিরীহ মাটির মানুষ আপনি।
আপনার লেখা পাঠ করে সেই সত্যতা যেন আরও বেশি করে অনুভব করি।

লেখাটা এতো মমতা দিয়ে লিখেছেন যে, লেখার সাথে মিশে গিয়েছিলাম যেন।
তাই এই বিষয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নাই।

তবে, আমি একটা বিষয়ে খুব নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আপনার মেঘ বড় হয়ে খুব উঁচু মনের একজন মানুষ হবে।
আপনি তাকে এমনভাবে জীবনের অর্থ শেখাচ্ছেন তা অভূতপূর্ব।
আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই।

( শুধু আগে নয়; পত্রিকায় দেখলাম এখনও ডেড বডি ও মাছ সংরক্ষণের বরফ দিয়ে ঢাকার রাস্তায় শরবত বিক্রি হয়।)

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মন্তব্যটি ডাবল হয়ে গেছে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা সতত।

২১| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:১৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: খুব দেরী করে পড়তে এলাম ঈদের এই কড়চা। ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন দাদা। তবে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল সেই সব দিনের স্মৃতীচারণ পাঠে। আমরা হয়তো তেমন দেখিনি তবে কিছুটা ছাপ পড়েনিযে জীবনে তা বলবনা। অনেক ছোট্টবয়সে বাবা হারিয়েছিলাম তাই মনে করতাম এমনটা শুধু আমার বেলায় হয়। তেমনি দেখেছি নতুন জামা কাপড় শুধু তাদেরকে পড়তে দেখেছি যাদের বাবা ছিল। চাচারাও আামাকে কিনে দিয়েছেন তবে মনে থাকার বয়স থেকে তেমন দিয়েছেন মনে করতে কষ্ট হলেও চারদিক দেখে মনে হতো বেশতো আছি, কি পেলাম না পেলাম তা হিসেব করে যে লাভ হবেনা তা অইটুকুন বয়সে বুঝে গিয়েছিলাম।

১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজনভাই,

দেরি হলেও আপনি যে এসেছেন এতেই আনন্দ পেলাম। কারন আমি মন থেকে আপনাকে খুঁজছিলাম। স্মৃতিচারণ পড়ে কিছুটা বিষন্ন হলেও, আপনি নিজের শৈশবের কিছুটা খুঁজে পেয়েছেন দেখে একটু স্বস্তি পেলাম। আপনি অনেক ছোটবেলায় বাবা হারিয়েছেন; পিতৃত্বের স্বাদ না পাওয়ার জন্য আপনার প্রতি আমার সমবেদনা রইল। মন্তব্যে উঠে এসেছে চাচাদের প্রসঙ্গ। ওনারা হয়তো কিছুটা পিতৃত্বের অভাব ঢাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই যে পিতৃত্বের বা মাতৃত্বের কোন বিকল্প হতে পারে না। তবে ক্রমশ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মনের যে ভাবান্তর , চারিপাশে নেই নেই দের মাঝে নিজেকে এভাবে খাপ খাওয়ানোটা জীবনের যথেষ্ট ইতিবাচক দিক। আপনার পরবর্তী জীবনও পারিবারিক সদস্যদের সঙ্গে আনন্দময় হয়ে উঠুক কামনা করি।


ভালোবাসা সতত।

২২| ১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

জুন বলেছেন: পদাতিক আপনার লেখাটি পড়ে মনটা ভীষণ আদ্র হয়ে উঠলো। আমারো জীবনে অনেক ঈদ কেটেছে নতুন কাপড় পাইনি কারন মায়ের ক্যান্সারের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সৎ পুলিশ অফিসার আমার বাবার কপর্দকশুন্য হয়ে পরায়। তবে কখনো আজকালের বাচ্চাদের মত পাখি ড্রেস না পেয়ে আত্নহত্যার চিন্তা মাথায় আসে নি। বড় স্বাভাবিক নিয়মেই মেনে নিয়েছিলাম সেদিনের নিদারুণ কষ্টের কথা।
+

১৬ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,

আশা করি খুব ভাল আছেন। অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দ পেলাম। আপনার মায়ের দুরারোগ্য ব্যাধি ও তার চিকিৎসার জন্য বাবার কপর্দকশূন্য হওয়া জেনে আমারও মনটি আর্দ্র হয়ে গেল। এজন্যই বোধহয় বলে ব্যাথা-যন্ত্রণাটা একেকজনের একেক দিক থেকে আসে। যা মানুষকে কৈশোরে ও যথেষ্ট পরিণত বোধ এনে দেয়। আর এই জন্যই বোধহয় আপনার শৈশবে ঈদে নতুন জামা কাপড় না পাওয়ার যন্ত্রনা তেমন বড় হয়ে দেখা দেয় নি।
কমেন্টে + দেওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

২৩| ২১ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন:

অনেক দিন পর দেখতে পারলাম ,পড়তে পারলাম ।তোমার ব্লগে আগেই এসেছি কিন্তু আমি ঈদ স্পেশাল ও রমযান স্পেশাল গুলিয়ে ফেলছিলাম । ভাবছি এটা তো পড়েছি । এ রকম একটি খেলা মিস করতে যাচ্ছি । সত্যি লেখাটি পড়ে খারাপ লাগছে । কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছ। ফিতরা দেওয়ার অভিনব পদ্ধতি আমাকে খুব বিস্মিত করলো । আমরা ইসলাম কে কতভাবেই না ঠকায় । এরকম হাজারো গল্প লুকিয়ে যাবে বাঙালির মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মাঝে । এখন দিন অনেকটাই বদলেছে । , এই লেখায় অনেক পাঠক নিজেদের খোঁজে পাবেই । ্দেরিতে আসায় দুঃখ প্রকাশ করছি । শুভকামনা সব সময় তোমাকে । ভালোে থেকো । নজসু খুব সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন

২২ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,

ভেবেছিলাম তোমার সুন্দর কমেন্টের একটা যথাযথ প্রতিমন্তব্য দেব। সেজন্যেই একটু সময় নেওয়া। কিন্তু বাড়িতে যেটুকু সময় থাকি নানান কাজে ব্লগে ঢোকা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের বেলা কর্মস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস কবলিত হওয়ায় নেট পরিষেবা বন্ধ আছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানিনা। সেজন্যেই ব্লগে ঢোকাও গত কয়েক দিন একেবারেই কমে গেছে।
পোস্ট প্রসঙ্গে, বাস্তবতা হয়তো হয়েছে তবে ছোটবেলাকার স্মৃতিকথা বলে কথা,একটু তো আবেগ থাকবেই।'ইসলামকে ঠকায়' বিষয়টাতে তুমি কতটা সহমত পোষণ করবে জানি না। তবে মানুষ এক প্রকার বাধ্য হয়েই এরকম পন্থা অবলম্বন করে থাকে। অন্তত নিজের দিক থেকে তো সেটা বলেই মনে করি।
দেরিতে আসার জন্য দুঃখিত হওয়ার কোন কারণ নেই। তোমার সমস্যাটা আমি জানি, বুঝি। তবে অস্বীকার করবো না যে তোমার আগমনের জন্য আমি পথ পানে চেয়ে থাকি।
হ্যাঁ! সহমত তোমার সঙ্গে যে নজসুভাইয়ের মন্তব্যটি ভীষণ ভীষণ ভালো হয়েছে।
পোস্টটি লাইক করার জন্য প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবে।

তোমার শুভকামনা গ্রহণ করলেন। তুমি ও তোমার পরিবারের জন্যও রইল আমার অন্তরের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।


২৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: লেখাটা আমার হৃদয়ে দাগ রেখে গেল। লেখাটা পড়ে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার ছোটবেলায় এত অল্প।পেলেও আমরা কিন্তু খুব খুশি থাকতাম।এখনকার বাচ্চার এত পেয়েও সেই খুশি কোন্দিন পাবে না।
চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। লেখাটা আপনার মনে দাগ কেটেছে বা ছেলেবেলাকার ঘটনা মনে পড়াতে চমৎকৃত হলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আমাদের ছেলেবেলাটাই বোধহয় একটু অন্যরকম ছিল। চাহিদা কম ছিল, পেতাম আর কম। আর এই অল্প প্রাপ্তির মধ্যেই ছিল আমাদের নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা। যে কারণে না পাওয়ার বাসনা আমাদের কখনোই হতাশাগ্রস্থ করে নি। তারই মধ্য দিয়ে আমরা নিজস্ব ছন্দে বড় হয়েছি।
কমেন্টের একেবারে শেষে আপনার বিশেষ চমৎকার শব্দের ব্যবহারে আমি সত্যিই চমৎকৃত হলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার লেখায় জাদু আছে পদাতিক দা.......কী অবলীলায় চমৎকার কথপোকথন! এক ধাক্কায় নিজের নিজের ছোটবেলাকে ঘাড় ধরে সামনে হাজির করালেন নিউরণে অনুরণনের মাধ্যমে।

চমৎকার লেখাটির জন্য এক গামলা শুভেচ্ছা নিন। তবে ঢপের চপের পাওনাটা কিন্তু রইল বাকী....... ;)

১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কত্তদিন পরে এলেন জাহাঁপনা!!!!
মনে হল মাঝে যেন এক যুগ দেখা নাই।

কি আর করার! এখন তো আর ঝরকা দর্শনের সুযোগ নেই যে প্রাত্যাহিক প্রভাতে একবার রাজদর্শন করতে পারব। অগত্যা তীর্থের কাকের মত রাজাবাবুর পদচারনার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। হা হা হা হা হা.....

ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের মাঝে মাঝে ডুব দিতে হয় বাস্তব জগতে। নিজেদের ছোট ছোট চাওয়া পাওয়া গুলোকে সময়ে সময়ে পকেট বন্দি করে আমরা চলে যাই পরিবার সমাজ তথা কর্মের জগতে। সম্ভবত সে কারণেই আমরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত হয়েছি আপনার পদচারণা থেকে। আজ আমাদের সেই বিশেষ আনন্দের দিন। আমরা আগের মতো আবার মিশরের ফারাও ভাইকে পেয়ে গেছি আমাদের মধ্যে। সামান্য একটু ঢপের চপ নিয়ে আমি মহারাজার আগমনের তথা রাজ আজ্ঞা পালনের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

পোস্টটি ভাল লাগাতে ও আপনার শৈশবকে মনে করাতে চমৎকৃত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার গামলা ভর্তি শুভেচ্ছা আমার হৃদয় তলকে স্নিগ্ধতা এনে দিল।
পোষ্টে পঞ্চদশ লাইক প্রদানে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

অর্ক বলেছেন: অপূর্ব! পুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়লাম, খুব ভালো লাগলো। অনেকটাই কাছাকাছি আমার শৈশবের ঈদের অভিজ্ঞতার সাথে। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে সমানভাবে ছড়িয়ে যাক- এই শুভ প্রার্থনা করি। ভালো খাবার, নতুন জামা জুতো- এই তো। উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সারা পৃথিবীর সকল শিশুর জন্য নিশ্চিত হোক ঈদের খুশি।

অনপক শুভেচ্ছা দাদা। ভালবাসা সবসময়।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অর্ক দা,

দীর্ঘ বিরতির পর আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম।মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে পোস্টটি মন দিয়ে পড়েছেন, এটা আমার বাড়তি পাওনা। আপনার শৈশবে অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল পাওয়াতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার শুভ প্রার্থনা সঙ্গে শতভাগ সহমত রেখেই বলি উৎসবমুখর পরিবেশের আনন্দ সবার মধ্যে সমানভাবে সঞ্চালিত হোক। নিপীড়িত, আত্ম জনগণও মেতে উঠুক উৎসবের কলরবে।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।
আপনার জন্যও রইলো প্রাণভরা ভালোবাসা ও শুভকামনা।


২৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলাপচ্ছলে উৎসব পার্বণে দুই প্রজন্মের দুই ধরণের চাহিদা ও প্রাপ্তি নিয়ে পিতা পুত্রের আলোচনাটি খুব সুখপাঠ্য হয়েছে। আপনার ছেলেকেও আপনার মত (কল্পনা করি মাত্র) একজন ভাল শ্রোতা বলে মনে হলো। সে আপনার বলা গল্প শুনে গেছে আগ্রহ নিয়ে।
ছোটকাল হোক, বড়কাল হোক, কোনকালেই কোন উৎসবে পার্বণে আমার কোন নতুন জামা কাপড়ের চাহিদা কখনো ছিল না। এ বুঝটা নিশ্চয়ই আল্লাহতা'লাই আমাকে ছোটবেলাতে দিয়ে দিয়েছিলেন যে, যিনি যেটা দিতে অপারগ, তার কাছে সেটা চাইতে নেই! আর এখন তো নতুন জামাকাপড় পড়ার সময় নেই, জায়গা নেই, উপলক্ষ নেই, তাই অনেক নতুন কাপড় প্যাকেটবন্দী হয়ে আছে, পরার অভাবে। তবু এটা ওটা উপলক্ষ করে ছেলে-বৌমাদের কাছ থেকে উপহার পেতেই থাকি।
জীবন চক্রের এ পরিক্রমায় স্রষ্টা শিক্ষণীয় অনেক কিছুই রেখে যান। আমাদেরকে খেয়াল করে তা অনুধাবন করতে হবে।
পোস্টে প্লাস + +

০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।সদ্য ভাড়া বাড়ি থেকে নিজ গৃহ প্রবেশের কারণে বেশ কিছুদিন ব্লগিং থেকে দূরে ছিলাম। এখন থেকে আবার নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করব।দেরিতে প্রতিমন্তব্য দেওয়াতে ক্ষমাপ্রার্থী।

দুই প্রজন্মের দুই ধরনের চাহিদা ও তার অনুভূতি সম্পর্কে উল্লিখিত গল্পটি আপনার কাছে সুখপাঠ‍্য মনে হওয়াতে খুশি হয়েছি।ধন্যবাদ স‍্যার আপনাকে।
মন্তব্যে আপনার সুন্দর অনুভূতি ও শৈশবের সেই দিনগুলোর পরিচয় পেয়ে পুলকিত বোধ করছি। আবারো ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
নতুন জামা-কাপড় নাইবা পড়লেন কিন্তু এই সম্মান এই প্রাপ্তি যোগটা খুবই কাঙ্খিত।থাক না সেসব আলমারিতে বন্দি।পরিবার পরিজন নিয়ে আপনার এই সুখানুভূতি আজীবন যেন বহমান থাকে।
মন্তব্যের একেবারে শেষ অংশে অত্যন্ত দামী কথা বলেছেন।সহমত আপনার সঙ্গে।
পোস্টটিকে​ লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

২৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাড়া বাড়ি থেকে নিজ গৃহ প্রবেশ উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাচ্ছি। সুখ স্বাচ্ছন্দ্য এবং শান্তি চিরবিরাজমান থাক আপনার এই নতুন বাড়ীতে!

০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার এই নির্মল শুভেচ্ছাবার্তায় প্রীত হলাম।আপনার দোয়া যেনো কবুল হয়।ধন‍্যবাদ স‍্যার আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.