নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
(আজ আমি তোমাদের একটা গল্প শোনাবো। লোটাস ইটার্স বা পদ্মভূকদের কথা জানোতো? গ্রিক কবি হোমারের ওডিসিতে এদের উল্লেখ আছে। প্রাচীন গ্রিসে একটা ছোট্ট দ্বীপ ছিল, সেখানকার মানুষের খাদ্য ছিল এক রকমের লোটাস। এতে এমন কিছু উপকরণ ছিল যা খেলে তারা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়তো আর সঙ্গে খুব ঘুম পেয়ে যেত। ওদের চলনবলন বা জীবনযাত্রা ছিল অত্যন্ত ধীর গতির। এই গল্পের প্রধান চরিত্রের মানুষটি এমনই পদ্মভূকদের কথা মনে করিয়ে দেয়। ভদ্রলোকের নাম অভিলাষ দাস। তোমরা বলতেই পারো কি এমন সুপারহিরো যে অভিলাষ বাবুকে নিয়ে গল্প শোনাতে হচ্ছে। হ্যাঁ সে কথা বলতেই গল্পের অবতারণা।
আসলে আমাদের বেশির ভাগ মানুষের জীবনের চলন একই গতে বাঁধা। সেই রুটিন মেনে পড়াশোনা, কাজের জগত, সংসার ঘুরে বেড়ানো পার্টি, আত্মীয়তা, ডাক্তারবদ্যি, পিএনপিসি, লোক দেখানো সমাজসেবা ইত্যাদি করতে করতে কখনো আমরা জীবন সায়াহ্নে চলে যাই এবং একদিন হঠাৎ করে চিরঘুমের দেশে গমন করি। জীবনের অন্তিম মুহূর্তে পাওয়া বলতে শুধু আফসোসকে সঙ্গী করি।ইস! যদি ওমুকের মতো হতে পারতাম, কিংবা যদি ওমুখ কাজটা করতে পারতাম বা এসবের মধ্যে যদি এমন একজনের দেখা পেতাম অথবা এটাকে নিয়ে জীবনটা যেন নিজের মত প্রচলিত ধারাকে তুড়ি মেরে জীবনকে আপন খেয়ালে চালিত করতাম - আর এমন হলেই জীবনটা যেন ষোলকলা পূর্ণ হতো আর কি।
আর এই জন্যই অভিলাষ বাবুর প্রতি আমার এত কৌতুহল। ভদ্রলোক একটু ব্যতিক্রমী চিন্তার অধিকারী। উনি একটা সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন।যদিও তার সাফল্য সম্পর্কে আগেভাগে কিছুই বলা যাবেনা।তার দীর্ঘ জীবন ইতিহাস আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে। লোকমুখে শুনেছি উনি একজন অদ্ভুত স্বভাবের মানুষ। আমি চাইছিলাম ওনার সঙ্গে পরিচয় স্থাপন করে সরাসরি ওনার মুখ থেকেই ঘটনাটা শুনতে।লোকের মুখ থেকে শুনলে কিছুতো রংচঙে থাকবেই। কাজেই মনে মনে একটু প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ভদ্রলোকের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে। আর একান্তই যদি তো সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে লোকমুখে যা রটেছে তা থেকে যতটা সম্ভব সত্যতা নিশ্চিত করে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে।)-অংশটি ভূমিকা স্বরূপ বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে গল্পচ্ছলে বলা।
মনের দিক থেকে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পাড়ি দিলাম গোয়ার উদ্দেশ্যে। আগে থেকে খোঁজ খবর নিয়ে নির্দিষ্ট সী বিচের লক্ষ্যে পৌঁছে গেলাম। প্রত্যাশামতোই তার সাথে আমার দেখা হয়ে গেল গোয়ার উদ্দিষ্ট সী বিচে। তবে ওনাকে খুঁজে পাওয়াটা স্মৃতিতে আজো উজ্জ্বল হয়ে আছে। উল্লেখ্য গিয়েছিলাম কোন এক গ্রীস্মের ছুটিতে। সী বিচের নিকটে বন্ধুর বাড়িতেই উঠেছিলাম। গোয়াতে পৌঁছেই সেদিন পড়ন্ত বেলায় সময় নষ্ট না করে বন্ধুকে নিয়ে বিচ ধরে গল্প করতে করতে হাঁটতে শুরু করলাম। সময়টা ছিল সূর্যাস্তের কিছু আগে যখন সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ ও বিদেশী পর্যটকরা মিলেমিশে বিচের পরিবেশটাকে উৎসবমুখরীত করে তুলেছিল। উল্লেখ্য এসময়টাতে সকলে নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করেন আর আকণ্ঠ হৃদয়ে প্রকৃতির শোভা পান করে চোখ আর প্রাণ জুড়ান। দক্ষিণ গোয়ার পালোলেম বিচে তখন অদৃশ্য প্রকৃতির রানী শিল্পীর নিপুণ হাতে রং এর কোলাজ আঁকছেন। নীল সমুদ্রের সোনালী বালুকাবেলায় কমলা সূর্যালোক তখন ধীরে ধীরে লালিমা ছড়াচ্ছিল। দূরে দিগন্তে রেখার নিচে সূর্য ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছিলো সমুদ্রের ভেতরে। এমনসময় বন্ধু,
- দেখ দেখ ঐ যে অভিলাষ বাবু!
এতক্ষণে আমার ইপ্সিত লক্ষ্য পূরণ হলো। আমি অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম মানুষটার দিকে। ভদ্রলোক আমাদের দিকে পিছন ফিরে নিসর্গ প্রকৃতির শোভাপানে ব্যস্ত। উচ্চতা গড়পড়তা বাঙালির মতো। বামদিকে শীতে কাটা আচড়ানো কালো চুল ও নীল শার্ট। আলাদা করে তেমন কিছু মনে হলো না।
হঠাৎ করে কমলা সূর্য গাঢ় লাল জলে ডুবে গেল। অদূরে চার্চের বেল বাজলো। ঘন্টার শব্দ প্রতিধ্বনিত হতে লাগল আকাশে বাতাসে।তার সাথে ক্লক টাওয়ার এর সিঁড়ি ব্যালকনি যে সাগরের উপর ঝুলছে তার চারিদিকে মুগ্ধ চোখে ভিড় সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে যেন সঞ্জয় লীলা বনসালির কোন ঐতিহাসিক সিনেমা সেট।
আমি এত মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিলাম যে ভদ্রলোক কখন আমাদের কাছে এসে দাঁড়িয়েছেন খেয়ালই করেনি। বন্ধু তার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিল। তাকে একটু কফি খেতে আমন্ত্রণ করলাম, তিনি রাজি হলেন। তার সাথে হেঁটে হেঁটে এটা সেটা বলতে বলতে হাজির হলাম মর্গ্যানোয়। সেখানকার পরিবেশটা অতি মনোরম। আমাদের অর্ডার নিতে হাজির হলেন স্বয়ং হোস্ট; তিনি এতটাই আকর্ষনীয়া যে মকবুল ফিদা হুসেন যদি ওনাকে মডেল করতে পারতেন তাহলে খুবই আনন্দিত হতেন। যাক গে সে কথা।ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলে তার চেহারা পরিচ্ছদ থেকে এটা বুঝলাম যে রিটারমেন্টের পর অবসর-জীবন কাটানো যেকোনো মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী ভদ্রলোকের মতো উনিও একজন। শুধু জীবন কাটাচ্ছেন নিজের মতো করে। লোকজনের কথা অতিরঞ্জিত মনে হল। বন্ধুকে সেটা জানাতে ও বলল,
-তুই ব্যাপারটা যেভাবে ভাবার ভাবতে পারিস।
একদিন আমরা বেলাভূমিতে হাঁটছিলাম। দেখলাম অভিলাষ বাবুর ঠোঁটের সিগারেট নিয়ে বারমুডা পরে দাঁড়িয়ে আছেন। খুব গরম লাগছিল তাই ওনার সঙ্গে কথা বলার তাগিদ থাকলেও জলে নেমে পড়লাম। কিছুক্ষণ সমুদ্রে স্নান করে উঠে দেখলাম উনি বালিতে তোয়ালে বিছিয়ে উপুড় হয়ে বই পড়ছেন। আমাকে দেখতে পেয়ে বললেন,
-এইযে আগন্তুক কেমন লাগছে জায়গাটা?
আমি স্মিত হেসে মাথা নেড়ে জানালাম,
-খুব ভালো। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্নানতট কিনা...
উনিও আমার হাসির প্রতিউত্তরে মৃদু হাসি দিয়ে আবার পাঠের মধ্যে ডুবে গেলেন।
শুরুতে সৌজন্যে সূচক সামান্য কথোপকথন থেকে বুঝলাম উনি বেশ কথা বলার মেজাজে রয়েছেন। এক পা দু পা করে এগিয়ে গেলাম উনার পাশেই। কথায় কথায় জানলাম ইতিহাসের প্রতি ওনার বিশেষ আগ্রহের কথা।
-আমরা সবাই ঐতিহাসিক সময়ে বাস করছি। বিশেষ করে এমন একটা জায়গায় যেখানে ইতিহাস জীবন্ত বলে মনে হয়। সময়টাও ১৯৮৪ সালে। তখনো পৃথিবীটা এতটা অশান্ত হয়নি। সন্ত্রাসবাদ আজকের মত এতটা কদর্য রূপ নেয়নি।
এবার আমি জিজ্ঞাসা করি,
-আপনি এখানে কতদিন আছেন?
-তা বছর পনেরো তো হবেই, দূরে শান্ত নীল জলরাশির দিকে চোখ রেখে উদাসভাবে বললেন। উনি আরো বললেন, আমি প্রথমবার এই জায়গায় এসে স্থানটির প্রেমে পড়ে গেছি। অদ্ভুত একটা হাসি ঠোঁটের একটা দিকে ঝুলিয়ে আবারো বললেন,
-পঁচিশ বছর হয়ে গেল যেবার জীবনের প্রথমবার এখানে এসেছিলাম। তারপরে যেন চোখের পলকে সবকিছু ঘটে গেল।
আমি ওনার জীবনের আরও কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যে অদ্বিতীয় গল্প তার সম্বন্ধে শুনেছি মনে হচ্ছে তার কাছাকাছি চলে এসেছি।এমন সময় আমার বন্ধুটি সমুদ্র স্নান শেষ করে হাত দিয়ে ভেজা চুল ও গা থেকে জল চিপতে চিপতে কাছে চলে এলো। ফলে আমাদের কথাও ঘুরে গেল অন্যদিকে।
এরপর বেশ কয়েকবার আমাদের দেখা হয়েছে গোয়ার বিভিন্ন সী বিচে।যথেষ্ট ভদ্র বিনয়ী মিষ্টভাষী এবং সীমিত কল্পনাশক্তির একজন হিসেবে তিনি প্রতিভাত হয়েছেন আমার কাছে। একদিন আমরা এক সৈকতে নৈশভোজে মশগুল ছিলাম।মাতাল চাঁদের আলোতে সুস্বাদু আহার ও পানীয়ের সহাবস্থানে আমাদের মনের লাগাম কিঞ্চিৎ আলগা হয়েছিল। চাঁদ থাকুক বা না থাকুক এখানে আমরা দেদার অবসর উপভোগ করি। গোয়ার বাতাসে কোন তাড়া নেই। অবসর! ইস মানুষ যদি উপলব্ধি করতো কি অমূল্য এই অবকাশ। সব কাজের লক্ষই হলো অবসর অর্জন করা। পেটে পানিয়ের প্রভাবে তারা এক একটা দার্শনিক সূত্রের অবতারণা করে যার কোনোটিই স্বসৃষ্ট নয়। আমি অবশ্য নিরব থেকে শুধু একটা সিগারেট ধরালাম।
সেদিন ছিল আর এক পূর্ণিমা রাত। মাথার উপরে আলোকবর্তিকা থেকে যে স্বল্প আলো এসে পড়েছিল তার আলো-আঁধারিতে এক অনন্য মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা যেন স্মৃতির তরণী বেয়ে চলেছি অতীত পানে। মনে হচ্ছে যেন এই একমাস আগের কথা। আসলে 15 বছর অতিক্রান্ত। আমি এসেছিলাম একটু অবকাশ যাপন করতে। এখানে পাওয়া মাত্র এক আবেশ মাখা হওয়া আমার জড়িয়ে ধরল। ঢেউয়ের হাতছানি।তটরেখার নিকটবর্তী সাগর জলের ফুলে ওঠা, উঁচু উঁচু শিলা, সুনীল আকাশ, জানা-অজানা গাছ লতা ফুল সকলে হেসে এমন আপ্যায়ন করল যে এদের সঙ্গী হতে মন চাইলো প্রবল ভাবে। আর ফিরে যেতে মন চাইল না।আমার বিধাতা যদি আমাকে ব্যাংকের ম্যানেজার বানিয়ে থাকেন তবে সেই বিধাতা পুরুষের ইচ্ছে ছিল আমি যেন ভূতপূর্ব পর্তুগিজ উপনিবেশে থেকে যাই। তাহলে আমি ভুল কিছু ভাবি নি।
জিজ্ঞেস করলাম কোন ব্যাংকের,
-ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল কো-অপারেটিভ সোসাইটি। আমি বেশ স্বচ্ছন্দ ছিলাম ওখানে। সেই রাতেই ছিল সেই ছুটির শেষ রাত। পরদিন আমাকে কাজে যোগ দিতেই হত। আমি যখন জোড়া শিলাখণ্ডের দিকে তাকালাম দেখলাম জল স্নান করে তাদের মাঝে উদিত চন্দ্র ধরার দুধ স্নান করছে।দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জেলে নৌকার তিরতিরে আলো- সব মিলিয়ে এক অলৌকিক পরিবেশ। আমি নিজে নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম-কেন ফিরে যাব? কে আছে আমার? কিসের আকর্ষনে যাব? চার বছর আগে স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে ব্রংকিয়াল নিউমোনিয়ায়। ছোট্ট একমাত্র মেয়েটি তারপর তার দিদার সঙ্গে থাকতো। বুড়ি তার নাতনিকে ঠিকমতো যত্ন নেয় নি। আমার বেচারী মেয়েটির রক্তে কিছু দোষ ঘটেছিল। সঙ্গে তার বাঁ পাটা বাদ দিতে হয়েছিল। এত করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
-কি মর্মান্তিক! আমি বললাম।
-সে সময় আমি সংসারে থেকেও নির্লিপ্তি ছিলাম। আমার মেয়ে মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিল। এক পা নিয়ে বেঁচে থাকার কোন মানে হয়না। আমার স্ত্রীর জন্য খুব কষ্ট হতো।ও এমন একজন মহিলা ছিল যে সবসময় কে কী ভাববে এই ব্যাপারটাকে খুব গুরুত্ব দিত। ঘোরাঘুরি করতে একদম ভালোবাসো না। দীঘা বা পুরীর বাইরে যাওয়ার কথা সে ভাবতেই পারত না। মানসিকতার পার্থক্য সত্ত্বেও আমাদের দাম্পত্য জীবন খারাপ ছিল না।
-আপনার অন্য কোন আত্মীয় ছিল না?
-আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। আমার এক কাকা ছিল যে আমার জন্মের আগেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল বলে শুনেছি। আমার চেয়ে একা বোধহয় তখন কেউ ছিলনা। তাই আমার আপন খেয়ালে না চলার কোনো কারণ ছিল না। সে সময় আমি চৌত্রিশ। হিসাব করে দেখলাম পনেরো বছর ধরেই এই সমুদ্র শহরে আছেন তাহলে উনপঞ্চাশ।
-সেই বাইশ বছর বয়স থেকে কাজ করে চলেছি আর রিটারমেন্ট না করা পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে। কাজটা কি খুব মূল্যবান আমার কাছে?কি হবে যদি সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে বাকি জীবনটা এখানে কাটিয়ে দেই? কিন্তু না আমার তো কাজকর্ম অসম্পূর্ণ রয়েছে। ফিরে যেতেই হবে। এসমস্ত ভাবনা নিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে গেলাম। কিন্তু মন পড়ে রয়েছে এই বেলাভূমি পাহাড় নারকেল বিথীর পথে।মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, আর সবার মতো আমারও কি কাজ করতেই হবে?ঠিক এই সময়ে আমি একটা বই হাতে পেলাম যাতে ছিল সাইবেরিস আর ক্রোটোনা নামে দুই রাজ্যের কথা।সাইবেরিসের লোকেরা ছিল খুব আরাম প্রিয় আর ক্রোটোনার লোকেরা ছিল ঠিক উল্টোটা প্রচন্ড কর্মঠ। ক্রোটোনাবাসীরা সাইবেরিসদেরনির্মূল করেছিল আর তার কিছু বছর বাদে ওরা অন্য এক জাতির কাছে ধ্বংস হয়েছিল। কাজেই কাজ করা বা না করার ফল হয়েছিল একই। এটা জেনেই আমি মনস্থির করলাম,টাকা-পয়সার বন্দোবস্ত করতেই হচ্ছিল কারণ বেঁচে থাকতে হলে একে গুরুত্ব না দিলে চলবে না। কুড়ি বছর চাকরি না হলে ব্যাংকে পেনশন দিত না। কিন্তু স্বেচ্ছা অবসর নিলে গ্রাচুয়িটি পাওয়া যেত।বাড়ি বিক্রির টাকা, আমার জমানো অর্থ আর গ্রাচুয়িটি মিলিয়ে যেটা পেতাম তাতে আমার বাকি জীবনটা চলতো না।ভদ্রস্থ একটা থাকবার জায়গা, খাবার, আমার সব কাজকর্ম করে দেওয়ার মাইনে করা, সাহায্য করা বইপত্র কেনা আর জরুরি অবস্থার জন্য কিছু নগদ টাকার আমার প্রয়োজন ছিল। আমি জানতাম আমার কতটা দরকার। দেখলাম আগামী পঁচিশ বছরের মতো রসদ আছে।
-সেই সময় আপনি পঁয়ত্রিশ?
হ্যাঁ। ষাট বছর পর্যন্ত টানতে পারবো।
-এটা তো নিশ্চিত নয় যে আপনি ষাট বছরের মধ্যেই মারা যাবেন।আপনার জায়গায় আমি থাকলে পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত চাকরি ছাড়তাম না।
-সে পর্যন্ত অপেক্ষা করলে উপভোগের মেয়াদ কমে যেত। আমার মনে হয় ষাট বছর বয়স পর্যন্ত নির্ভেজাল আনন্দে কাটিয়ে পৃথিবীর মায়া কাটানোই যায়।
চারিদিকে চকিতে একবার চাইলাম।এমন সাধারণ চেহারার আড়ালে অসাধারণ ব্যতিক্রমী ভাবনার মস্তিষ্কের লুকিয়ে আছে ভাবা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা জীবনটা তার। নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী জীবনটা কাটানোর অধিকার আছে। তবে বন্ধুর মুখ থেকে শোনা কাহিনী নিজের কানে শুনে অন্য রকম লাগলো।যদিও মূল বক্তব্য এক তবে তার প্রয়োজনের কথা কল্পনা করে মেরুদন্ড বেয়ে শীতল স্রোত প্রবাহিত হতে লাগল।
অভিলাষ বাবু তার কুটিরে আমন্ত্রণ জানালে গেলাম তার বাড়ি।সামান্য পাহাড়ি পথে নারকেল আর পাম গাছের ছায়া ছড়ানো পথ পেরিয়ে হরেক রঙের ফুলের ঝোপকে সামনে রেখে তার দু কামরার ছোট্ট কুটির। সাধারণ কিন্তু পরিচ্ছন্ন এবং সর্বত্র নান্দনিকতার উপস্থিতি।ঘরে দেখলাম একটা টেপরেকর্ডার, হাওয়াইয়ান গিটার, বইয়ে ভর্তি আলমারি, আর একগোছা তাস। গিটার দেখে প্রশ্ন করে জানলাম দক্ষতা নেই তবুও সুর তুলতে ভালোবাসেন। গান শোনেন। বইয়ের প্রতি টান তো আগেই জানতাম আর সময় পেলেই তাস খেলেন।এসব দেখে বেশ আন্দাজ করতে পারছিলাম তার পনেরো বছরের ফেলে আসা জীবনটা কেমন ছিল। এক্কেবারে নিরীহ বা হার্মলেস লাইফস্টাইল বলা যায়।সমুদ্রস্নান, প্রচুর হাঁটা, গিটার বাজানো এবং তাস খেলা এসবের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লোকদের সঙ্গে মিশলেও একটা দূরত্ব রেখে চলছেন।মিতব্যায়িতার সত্বেও স্বাচ্ছন্দ্য ছিল এবং সর্বোপরি ছিল সৌন্দর্যপ্রিয়তা যা তার একমাত্র কামনার বস্তু এবং তিনি খুব সাধারণ উপাদান থেকে থেকে খুঁজে নিতেন।
অনেকেই বলবেন এটা কি রকম জীবন? এত আত্মকেন্দ্রিক! তাতে তো কারো ক্ষতি নেই। শুধু নিজের মনের মত করে তিনি জীবনকে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন। খুব কম লোকই জানে শান্তির ঠিকানা। আর কমজনই তা খুঁজে পান। আমি জানিনা সে বোকা না জ্ঞানী। শুধু বুঝেছিলাম সে নিজের চাওয়াটা খুব ভালভাবেই বুঝে ছিল। একটা ব্যাপার আমাকে খোঁচা দিত-তা তো সাধাসিধে যে মানুষ সে কি করে দশ বছর পর স্বেচ্ছায় পৃথিবীকে, যাকে সে ভালোবাসে তার কাছ থেকে বিদায় নিতে পারবে? যদি না কোনো অসুস্থতা তার জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে দেয়। সেই ভবিষ্যতের আশঙ্কা নিশ্চয়ই তার মনে উঁকি দিত আর তাই সে জীবনের প্রতি মুহূর্তের আনন্দ নিংড়ে নিত।
আমার ছুটি শেষ হয়ে এসেছিল তাই চলে আসি। কিন্তু মনে ছিল চিত্রনাট্যের পরবর্তী ঘটনাটি দেখার। তেরো বছর বাদে গেলাম আবার সেই বন্ধুর কাছে। হোটেলে উঠেছিলাম। আগাম অনুমান করেছিলাম যে এখন যেখানে সে থাকে সেখানে আর একটা লোকের থাকার মত জায়গা হবে না।বন্ধু দেখা করতে এলে জানতে পারলাম যে এখন সে যে বাড়িতে থাকে সেই বাড়িতে আগে অভিলাষ বাবু থাকতেন।মনে পড়ল শেষবার দেখা হওয়ার সময় তার হাতে দশ বছর ছিল, তাহলে উনি হয়তো আর নেই। প্রশ্ন করলাম,উনি কি আত্মহত্যা করেছিলেন?
-নারে সে খুব বেদনাদায়ক ঘটনা।
অভিলাষ বাবুর পরিকল্পনার ঠিকঠাক ছিল। শুধুমাত্র একটাই ত্রুটি ছিল যা তিনি আঁচ করতে পারেননি। বাধাবিঘ্ন নয় মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে ক্ষুরধার করে। পঁচিশ বছর নির্বিঘ্ন ভাবে বিশুদ্ধ আনন্দময় জীবন অতিবাহিত করতে করতে তার ইচ্ছে শক্তির ধার নষ্ট হয়েছিল। একটানা পঁচিশ বছর যা চেয়েছিলাম তাই পেয়েছিলেন।তাই যখন তার বেঁচে থাকার রসদ শেষ তখনও তিনি পরিকল্পনামতো জীবনকে শেষ করে দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি। ব্যাপারটা দিনের পরদিন ফেলে রেখেছিলেন।
তিনি এই স্থানে আসার পর একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি করতে পেরেছিলেন যে ধার দেনা করে আরো এক বছর তিনি চালাতে পেরেছিলেন। লোকে তার গল্প বিশ্বাস করেছিল। গল্পটি এরকম-তার এক আত্মীয় মারা গেছেন এবং তিনি কিছু সম্পত্তি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। কিন্তু আইনগত কোনো কারণে এখনই নগদ টাকা হাতে পাচ্ছেন না। কিন্তু এক বছর পর লোকে ধার দেওয়া বন্ধ করলো। বাড়ির মালিক বাড়িছাড়ার দিন নির্ধারণ করে দিলেন।সেই নির্ধারিত দিনে আগের দিন সে তার ছোট্ট বেডরুমের দরজা জানালা বন্ধ করে চার্কোল জ্বালিয়ে দিয়েছিল।পরদিন সকালে অ্যাসাল্টা তার মালকিন তথা আয়া দরজা ভেঙে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। সারাঘর ধোঁয়ায় ভর্তি।এবার হয়তো তিনি মনস্থির করতে পারেননি। তাই মৃত্যু নিশ্চিত করতে সেরকম ব্যবস্থা নিতে পারেননি, হালকা চেষ্টা করেছিলেন মাত্র।
হসপিটালের থেকে কয়েক দিনের মধ্যে তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠলেন।কিন্তু চার্কোল বিষে হোক বা মানসিক আঘাতেই হোক তিনি পূর্ণ সুস্থতা ফিরে পেলেন না। পাগলা গারদে দেওয়ার মতো পাগল নন আবার স্বাভাবিক সুস্থ মানুষও নন। আমি ওকে দেখতে গিয়েছিলাম, বন্ধু বললো। তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে দেখলাম কোনো কথা বলছেন না। এবং অদ্ভুত একটা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন আমায় দিকে।
হসপিটাল থেকে ছাড়া পেলে কে তার দায়িত্ব নেবে যখন ঠিক করা যাচ্ছিল না তখন তার বাড়ির মালিক মালকিন তার দায়িত্ব নিল। যতদিন ভদ্রলোকের কাছে টাকা ছিলো ততদিন তিনি তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেছিলেন। তাই তার পঁচিশ বছরের আচরণের ফল স্বরূপ তিনি একটা আশ্রয় পেলেন অ্যাসাল্টার কুটিরে। এই দু বছর তাদের আশ্রয়েই সে আছে। অনেক ইচ্ছে অনিচ্ছে তার আর নেই।নড়বড়ে একটা সহজ জায়গা যার কোনো জানালা নেই, গরমে অগ্নিকুণ্ড ও শীতে ঠান্ডা বরফ জমে সেই জায়গায় খাবারের মান তথৈবচ। আমাকে দেখে অ্যাসাল্টা একটু কথাবার্তা বলে। ওর হাতে কিছু পয়সার দেই যাতে ওনাকে একটু ভালোভাবে দেখেন। আমার মনে হয় অ্যাসাল্টা ওকে বাচ্চাদের মত করে যত্ন নেয় যদিও ওর স্বামী অতটা দয়ালু নয়। শুধু শুধু ওকে বসিয়ে খাওয়াতে চায় না, রাগে গজগজ করে। ওকে দিয়ে জল তোলানো বাড়ির এটা সেটা পরিষ্কার করার মতো কাজও করিয়ে নেয়।বাকি সময় গুলোতে উনি পাহাড়-সমুদ্রের ধারে নির্জন জায়গা গুলোতে ঘুরে বেড়ান। কাউকে দেখতে পেলে এই খরগোশের মত ছুটে পালায়। আমার খুব খারাপ লাগছিল কিন্তু এটা ওর প্রাপ্য ছিল।
দুই তিন দিন বাদে আমি আর বন্ধু পাম নারিকেলের ছায়া ঘেরা পথ ধরে হাঁট ছিলাম। হঠাৎ তাকে দেখলাম একটা গাছের আড়াল থেকে আমাদের দেখছে। বন্ধু বলল,
- তাকাস না। ভয় পাবে।
আমরা চলতে থাকলাম কিন্তু চোখের কোন দিয়ে লক্ষ্য করছিলাম। হঠাৎ খসখস শব্দ। যেন কোনো তাড়া খাওয়া জন্তু ছুটে পালাচ্ছে। সেই ওর সাথে আমার শেষ দেখা। গতবছর অভিলাষ বাবু পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছে। শেষ ছয় বছর এই রকম ভাবে বেঁচে থাকার পর। ওকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল পাহাড়ের কোলে। শান্তিতে শুয়ে আছে এমন অবস্থায়। যেখান থেকে তিনি দেখতে পেতেন সাগরের জল ফুলে ওঠা এক জোড়া বড় শিলাখণ্ড। ফ্যারাগলিওনি যার নাম। সেটা ছিল পূর্ণিমা রাত। তিনি নিশ্চয় চন্দ্রধারায় সিক্ত শিলাখণ্ডের শোভা দর্শনে গিয়েছিলেন। সৌন্দর্যের অভিঘাতে হয়তো নশ্বর দেহ তিনি ত্যাগ করে চিরতরে অমৃতলোকে চলে গেছেন।
গল্পটি উইলিয়াম সমারসেট মমের 'লোটাস ইটার্স' অবলম্বনে আমার মিসেসের ভাবানুবাদ কৃত।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি ধন্যবাদ আপু আপনাকে। অনুবাদ বা ভাবানুবাদ যাই বলি যাবতীয় কৃতিত্বও শ্রীমতি প্রাপ্ত। তবে প্রতিমন্তব্যটি যে আমাকে দিতে হবে এই যা ....
পোস্টটি দিতে অনেক রাত হওয়াতে আর প্রতিমন্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। কিন্তু সকাল থেকে কিছুতেই প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সবুজ বাটনটি না আসাতেই উত্তর দিতে দেরি হওয়া। অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য শুরুতেই ক্ষমা প্রার্থী। শুরুতেই ইচ্ছে ছিল মিসেসের কাজে সামান্যতম পরিবর্তন করবো না। কিন্তু পোস্ট দেওয়ার পর আমি নিজেই দেখেছি বেশ কিছু জায়গায় সাবলীলতা রক্ষা হয় নি। যে কারণে বিকালে এডিট করে বেশ কিছু জায়গা আমি ঠিক করেছি। সম্ভব হলে আর একবার দেখে নিতে পারেন।
পোস্টের সুন্দর সারাংশ আপনার মন্তব্যে ধরা পড়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
ঠিকই তো! কেনো যে উনি এমন কষ্টের জীবন বেছে নিলেন? তবে বিচিত্র মানুষ সভ্যতার এমনও কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ তো থাকবেই।
পোস্টটি প্রথম লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কষ্টদায়ক তবে উৎকৃষ্ট অনুবাদ । শ্রদ্ধা এবং শুভেচ্ছা সামনে হতে উনার আইডি হতে এমন অনুবাদ পোষ্ট চাই
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নেওয়াজ ভাই,
আপনার আন্তরিক প্রেরণাদায়ক মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। অনুবাদ কারীর হয়ে আপনাকে জানাই অজস্র ধন্যবাদ।
শুভকামনা জানবেন।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়েছি, আমি এই ধরণের প্লট (দু:খময় ) মন দিয়ে পড়তে পারি না; আপনার লেখায় অনেক অপ্রয়োজনীয় মেদ থাকে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই লেখাটি আমার নয়, মিসেসের। কিছু স্থানে খটোমটো লাগাতে আজ বিকেলে সামান্য একটু এডিট করেছি। আমি নিজে পড়তে গিয়ে দেখলাম বেশকিছু স্থানে সাবলীলতা মেইনটেন হয়নি। লেখিকার অনুমতি নিয়ে কিছু স্থানে ঠিক করেছি।
আর আমার লেখা আপনার কাছে মেদযুক্ত মনে হওয়াতে নিজেকে আবারো ঘষামাজার চেষ্টা করবো।এমন দিকনির্দেশনা স্বরূপ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: রুটিন মতো চলতে হয়। তা না হলে জীবন তছনছ হয়ে যায়।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট্ট অথচ অর্থবহ মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
সহমত ভাইয়ের সঙ্গে যে জীবনটা রুটির মতো চলতে হয় তা না হলে তছনছ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মিসেসের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। আমার কাছে ভাবানুবাদ মনে হয়নি, অনুবাদের মতোই লাগলো। যেমন, ভাবানুবাদে পিএনপিসি, বারমুডা পরা ইত্যাদি বিষয়গুলো আমাদের প্রচলিত কায়দায়ই লেখা হত। এই বিষয়গুলি ততোটা পরিস্কার মনে হয়নি।
তাছাড়া অংশটি ভূমিকা স্বরূপ বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে গল্পচ্ছলে বলা। কথাটিও খাপছাড়া মনে হয়েছে।
লেখকের নিজের কথার মধ্যে হঠাৎ করেই অভিলাষ বাবুর গল্পটা শুরু হয়ে শেষ হলো। প্রথমে তো বুঝিই নাই, যে উনার গল্প শুরু হচ্ছে। তাই অভিলাষ বাবুর অংশটুকু বুঝতে কষ্ট হয়েছে। যেমন,
এরপর বেশ কয়েকবার আমাদের দেখা হয়েছে গোয়ার বিভিন্ন সী বিচে।যথেষ্ট ভদ্র বিনয়ী মিষ্টভাষী এবং সীমিত কল্পনাশক্তির একজন হিসেবে তিনি প্রতিভাত হয়েছেন আমার কাছে। (আমার মনে হয় এখান থেকে অভিলাষ বাবুর গল্প শুরু, যেটা আলাদা প্যারায় হওয়া উচিত ছিল)একদিন আমরা এক সৈকতে নৈশভোজে মশগুল ছিলাম।মাতাল চাঁদের আলোতে সুস্বাদু আহার ও পানীয়ের সহাবস্থানে আমাদের মনের লাগাম কিঞ্চিৎ আলগা হয়েছিল। চাঁদ থাকুক বা না থাকুক এখানে আমরা দেদার অবসর উপভোগ করি। গোয়ার বাতাসে কোন তাড়া নেই। অবসর! ইস মানুষ যদি উপলব্ধি করতো কি অমূল্য এই অবকাশ। সব কাজের লক্ষই হলো অবসর অর্জন করা। পেটে পানিয়ের প্রভাবে তারা এক একটা দার্শনিক সূত্রের অবতারণা করে যার কোনোটিই স্বসৃষ্ট নয়। আমি অবশ্য নিরব থেকে শুধু একটা সিগারেট ধরালাম।
আমি যখন জোড়া শিলাখণ্ডের দিকে তাকালাম দেখলাম জল স্নান করে তাদের মাঝে উদিত চন্দ্র ধরার দুধ স্নান করছে। এই লাইনটাও দুর্বোধ্য।
বিদেশী গল্পের অনুবাদ বা ভাবানুবাদ যাই বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে ভালো উপায় মনে হয়, পুরো গল্পটা পড়ে নিজস্ব আঙ্গিকে পুনর্লিখন। তাহলে পাঠক সেই ঘটনার সাথে নিজেকে একাত্ম করতে পারে। কারন, বিদেশী অনেক টার্ম, প্রকাশ ভঙ্গি কিংবা উচ্ছাসের অনুভূতি ভিন্নতর হয়; যেগুলোকে আমাদের সাথে মেলানো কঠিন।
জানিনা, এতো কথা বলা ঠিক হলো কিনা। আপনার মিসেস চেইতা গিয়া বলতেই পারেন, এ্যহ্........আইছে......কোনখানকার পন্ডিত!
অভিলাষ বাবু
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুরুতেই লেখিকার হয়ে আমার পক্ষ থেকে অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন ভাবানুবাদ না বলে অনুবাদ বলাই শ্রেয় যদিও সর্বক্ষেত্রে আবার অনুবাদ হয়নি। সে ক্ষেত্রে দুটোর মিশেল বা ব্লেন্ড বলা যেতে পারে। আসলে গল্পটা ও ওর ছাত্রদের প্রজেক্ট ওয়ার্ক দিয়েছিল। যেকারণে এমন একটি ব্লেন্ডকে বিদ্যালয়ের মুখপাত্রে লিপিকা'তে ছাপানোর জন্য লিখেছিল। আমি এতটুকু পরিবর্তন না করে ব্লগে তুলে ধরার চেষ্টা করায় শুরুতে একটু ভজকট হয়েগেছে। মূলত আপনি ও জুনাপু এবং করুনাধারা আপু বলার পরে লেখিকার অনুমতি নিয়ে বিকালে কিছু জায়গায় এডিট করেছি। সম্ভব হলে একবার চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন।
আপনার কমেন্ট পড়ে শ্রীমতি আপনার বৌদ্ধিক লেভেল নিয়ে উচ্ছ্বসিত। কাজেই আপনাকে আমার লন্ডন প্রবাসী পন্ডিত বলতে কোন সমস্যা নাই। বরং বলি, সালাম পন্ডিতমশাই সালাম।
পোস্টটিতে like' কারাতে লেখিকার হয়ে ব্লগ লেখক হিসেবে আমি অনুপ্রাণিত কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
পরিশেষে বলি, না না আপনি অভিলাষ বাবুর নহেন। আপনি এশিয়া বিখ্যাত ভূয়া ভাই.... হেহেহে
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫০
জাফরুল মবীন বলেছেন: আবার আসছি ফিরে,এই পোস্টের তীরে,ব্যস্ত শশক হয়ে নয়,কোয়ালার ধীর স্থিরতায়।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মবীন ভাই,
বুঝতে পারছি আপনি প্রচন্ড ব্যস্ত মানুষ। ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে এসেছেন দেখে আনন্দ পেয়েছি। এরপরেও যদি সম্ভব হয় তাহলে পোস্টটি পড়ে আপনার পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য করবেন, অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৮
জুন বলেছেন: আমি জাফরুল মবীনের মত কোয়ালা হয়ে নয়, আসলাম স্লথের মত ধীইইরেরে পদাতিক
ভাবীকে শুভেচ্ছা জানাবেন। আর লিখতে বলবেন। ভুয়ার কথা ধরবেন না একটু খটমট লাগলেওব দুবার পড়ার পর বুঝতে অসুবিধা হয়নি তেমন। নিজের শর্তে বাচতে গিয়ে হিসেবে গন্ডগোল।
সমারসেট মমের গল্প অনুবাদ অত সোজা নয়। তার গল্পে না বলার কথার মাঝেও অনেক কথা থাকে। অনেক আগে পড়া গল্পটি সেদিন আবার পড়লাম নাম "দ্যা প্রিন্টেড ভেইল"। স্বামী স্ত্রীর মাঝে টানাপোড়েনর গল্প যার শেষ হলো স্বামীর অকাল মৃত্যুর মাঝে।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
এমন গল্পই চাই ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়া ঐসব ধারাবাহিক না লিখে
+
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার মন্তব্যের একেবারে প্রথম লাইনটি পড়ে প্রচুর হাসি পেয়েছে। আপনি মবীন ভাইয়ের মত কোয়ালা হয়ে নন এসেছেন স্লথের মতো ধিইরা ধিইরা। হেহেহে... আমিও প্রতিমন্তব্য দিতে ঠিক তেমনই গতি শ্লথ করে ফেলেছি। হেহেহে...
আপনার শুভেচ্ছা যথাস্থানে পৌঁছে দিয়েছি। তবে সংসারের তিন জনই যদি লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকি তাহলে অন্যান্য কাজ যে পন্ড হয়ে যাবে আপু। ওর এই লেখাটি প্রসঙ্গ বলি ও এই লেখাটি ওর স্কুলের ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছিল। উদ্দেশ্যে ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রদের প্রজেক্ট ওয়ার্কে সহযোগিতা করা।প্রত্যেকবছর ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রজেক্টে দেয়।ফলে একটা লেখা পরেরবার তেমন কাজে আসে না। দ্য প্রিন্টেড ভেইল' ও অনার্সে পড়েছে। যদিও আমার কাছে অপঠিত। ধন্যবাদ আপু বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
আর আমার চলমান ধারাবাহিক নিয়ে আপনার অনুভূতি ভালো নয় জেনেও আপু অনুরোধ করছি একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।একটা জায়গায় দেখবেন ঠিক ভালো লাগবে। তবে সে পর্যন্ত যেতে এখনও অনেকগুলো পর্ব অপেক্ষা করতেই হবে। আপনি অধৈর্য হলে যে আমরা লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবো আপু।
তবে আজকের পোস্টটি ভালো লাগলো জেনে আনন্দ পেলাম। লেখিকার হয়ে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন লেখক পরিবারকে
প্রিয় দাদাতো লিখছেনই, ক দিন আগে পেলাম আমাদের জুনিয়র কবিকে
আজ পেলাম বৌ দিদিকে
দারুন!
তিনজনেরই দারুন সাফল্য কামনা করছি।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লেখিকার হয়ে অভিনন্দন সাদরে গ্রহণ করলাম। এমন আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপনে ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি ভাই আপনাকে।
হেহেহে... তা যা বলেছেন তিনজনেই লেখক পরিবার। তবে লেখিকা স্কুলের ছাত্রদের দরকারে লেখালেখি করেন। উপরের জুনাপুর কমেন্টের উত্তরে এখনি সেকথা বলেছি। কাজেই আপনার লেখালেখির শুভেচ্ছাবার্তা আপাতত লেখিকার জন্য তোলা রইলো। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। ।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: এটা কি যৌথ নিক? পরিবারের সবার জন্য আলাদা আলাদা নিক চাই। জোর দাবি জানাচ্ছি।
আসতেছি.....দৌড়ের উপরে আছি।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে ঠিকই বলেছেন।এটা পারিবারিক নিক। যেই লিখুক আপাতত এই নিকেই পোস্ট হবে। পরিবারকে ভাঙতে রাজি নই যে প্রত্যেকের নামে আলাদা আলাদা নিক হবে। কাজেই পারিবারিক সংহতি বজায় রাখতে দিতে হবে দিতে হবে। হেহেহে....
তাড়াতাড়ি চলে আসেন। আমি অপেক্ষায় রইলাম.....
১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ছেলের অনেক দিন কোনো কবিতা পাই না।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছেলে এখন আমাদের ছেড়ে অনেকটা দূরে আছে। গোটা মাসে কোন পড়াশোনা হয়নি। বাসায় ফিরলে প্রচুর জমা কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তারপরে সম্ভব হলে আঙ্কেল এর উদ্দেশ্যে ভাতিজার পোস্ট থাকবে।
আবার মন্তব্যে আসাতে ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
শুভকামনা রইল।
১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার পোস্টে মাঝে মাঝে প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সবুজ বাটন আসেনা।সকালেও একবার ব্যর্থ চেষ্টা করেছি। এখনোও বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও বাটনটি না আসার জন্য কারো কমেন্টের উত্তর দিতে পারলাম না। সবুজ বাটনটি এলে যথারীতি প্রতিমন্তব্য দেবো। ততক্ষণে সকলের কাছে সময় প্রার্থী।
১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১১
করুণাধারা বলেছেন: গল্প পড়তে ভালো লেগেছে, সুতরাং মিসেস চৌধুরীকে সাধুবাদ।
ভাবানুবাদ করা বেশ কঠিন কাজ, সেদিক থেকে দেখলে এটা ভালো হয়েছে। তবে একটু খটকা আছে-
১) এই গল্পের মর্মার্থ ঠিক ছোটদের বোঝার মত লাগে নি। এটা জীবনবোধের গল্প, একজন মধ্যবয়স্ক মানুষের মানস বোঝা সহজ নয়। তাছাড়া ছোটদের গল্প আনন্দময় হলে ভালো লাগে, এটার সমাপ্তি বিষন্ন।
২) গল্পটি পড়া শুরু করেছিলাম, একসময় দেখলাম লেখা ...।)- অংশটি ভূমিকা স্বরূপ বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে গল্পচ্ছলে বলা। তখন এই অংশের শুরু কোথায় দেখতে আবার ( খুঁজতে পেছনে গেলাম। ফলে গল্পের খেই হারিয়ে ফেললাম। আমার মনে হয় ব্রাকেট না দিয়ে একটা প্যারা লিখে তার নীচে আলাদা লাইনে
উপরের অংশটি ভূমিকা স্বরূপ বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে গল্পচ্ছলে বলা, লিখলে বুঝতে সুবিধা হতো।
৩) ইংরেজি সংখ্যা বদলে বাংলা দিলে ভালো হতো।
এটা আমার মনে হয়েছে তাই বললাম, আশাকরি রাগ করবেন না। মিসেস চৌধুরীর লেখা নিয়মিত দেখার ইচ্ছা রাখি।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার ধন্যবাদ যথাস্থানে পৌঁছে দিয়েছি। সহমত আপনার সঙ্গে যে আমারও বেশ কিছু স্থানে ভাষার সাবলীলতার অভাব মনে হয়েছে। তবে ওর লেখা হওয়াতে শুরুতে আমি একেবারে হাত দিইনি।বিকেলের দিকে আপনি মফিজ ভাই ও জুনাপু বলার পর কিছুটা এডিট করার চেষ্টা করেছি।ও মূলত উচ্চমাধ্যমিকের ছেলেদের প্রজেক্ট ওয়ার্ক হিসেবে গল্পটি নির্বাচন করেছিল। বাচ্চা বলতে 11/12 ক্লাসের ছেলেদেরকে বলা হয়েছে। কাজেই গল্পটি একেবারে ছোট বাচ্চাদের নয়, বড় বাচ্চাদের আরকি।
আমি বিকালে গল্পের বেশ কয়েকটি জায়গায় একটু ঠিকঠাক করেছি। সম্ভব হলে আপু একবার চোখ বুলিয়ে জায়েন।
গল্পটি পড়াকালীন আপনি খেই হারিয়ে ফেলেছেন জেনে আমি আমি লজ্জিত। তবে এখন একবার দেখে নিতে পারেন। ইংরেজি অংক সংখ্যাগুলো সব বলে দিয়েছি। আসলে ওর কোন কিছুতেই আমি পরিবর্তন করতে চাইছিলাম না।
সবচেয়ে চমৎকার মন্তব্যের জন্য প্রীত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
যদিও মিসেসের পোস্ট তবুও পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।
১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিদেশী টার্মের গল্পগুলো বাংলায় সহজবোধ্য নয়।++++
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় মাইদুল ভাই আপনাকে। সহমত আপনার সঙ্গে যে ভাবানুবাদ বা অনুবাদে অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন টার্মের যথাযথ প্রতিশব্দ দেওয়া যায় না।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা সত্যি ই জানি না আমাদের গন্তব্য ! কি মর্মান্তিক।
ভালোলাগা রাখলাম বৌদি
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। হ্যাঁ সত্যিই মর্মান্তিক। যথাস্থানে আপনার ভাললাগা পৌঁছে দিলাম আপু।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৩
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা। খুব কঠিন কাজের একটি হলো অনুবাদ সাহিত্য। গল্পের ভাব ঠিক রেখে আসলটুকু পাঠকের কাছে পৈাছানো অনেক জটিল কাজ। এমন জটিল কাজের কর্মী ও সাহায্যকারীকে ধন্যবাদ।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপুর কমেন্ট পেয়ে খুশি হলাম। আমি তো ভাবছিলাম কিজানি আপু বোধহয় এপারের ভাইটিকে ভুলে গেছেন। হেহেহে....
সহমত আপনার সঙ্গে যে অনুবাদ কাজ খুব কঠিন কাজ। অনুবাদ যদিবা হয় কিন্তু ভাষার সাবলীলতা ধরে রাখা বেশ টাফকাজ। টুকটাক লেখালেখি যা করেছি তাতে এইটুকু বুঝেছি দুই একটি লেখা লিখলে কখনোই সাবলীলতা আনা সম্ভব নয়। নিরন্তর লেখালেখির মধ্য দিয়েই ভাষার সাবলীলতা আনা সম্ভব।এই পোস্টে আমার কাছে যে কারণে স্থানে স্থানে সাবলীল কম লেগেছে।
তবুও পোস্টটিতে লাইক করাতে পোস্টদাতা উচ্ছ্বসিত। ওনার হয়ে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।
১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২৬
মা.হাসান বলেছেন: মনিরা আপা এক সময় সাবলীলতার সমস্যার ভুগছিলেন। জ্ঞানবান লোকদের পরামর্শ অনুসরন করে রক্ষা। ওনার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।
আলাদা নিকের বিষয়ে- ভুয়া ভাইদের পরিবারের তিন ভাই বোন ব্লগিং করেন তিনটি আলাদা নিকে। কাজেই আপনাদেরও আলাদা নিক হলে ভালো হয়। তবে স্বামী-স্ত্রী একই ব্লগে লেখালিখি করলে কিছু বিপদ আছে। আপনি জ্ঞানী লোক, বিপদ সামলে চলতে পারবেন আশা রাখি
লেখা প্রসঙ্গে- মূল লেখার ৬০% বা বেশি (সম্ভবত ৭৫%) ছেটে ফেলেছেন। আমার কাছে এটা ভালো লাগে নি। অভিলাশ বাবু কখন মুখ খুললেন, কখন খুললেন না, কতটা মিশুক, কুটির মালিকের স্ত্রীর স্নেহের কারণ, পাহাড়ি পথে হেটে চলা- সংক্ষেপ করতে যেয়ে অনেক কিছু বাদ গেছে।
প্লেস হিসেবে ক্যাপরির বিকল্প ভারতে পাওয়া মুশকিল। ওয়েস্টার্ন ঘাটে গোয়া বা ইস্টার্ন ঘাটে বিশাখাপত্তম সব চেয়ে কাছাকাছি- বিচের পাশেই পাহাড়ি এলাকা। কিন্তু শীতে জমে যাবে এমন শীত দু জায়গার কোথাও নেই। বিশাখাপত্তমে মনে হয় গরমটা গোয়ার চেয়ে বেশি।
ফ্যারাগলিওনি বা অ্যাসাল্টা নামের বদলে ভারতীয় নাম হলে বেশি মানাতো।
অভিলাষ বাবুর পরিকল্পনার ঠিকঠাক ছিল। শুধুমাত্র একটাই ত্রুটি ছিল যা তিনি আঁচ করতে পারেননি। বাধাবিঘ্ন নয় মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে ক্ষুরধার করে। --- এখানে বাধাবিঘ্ন নয় এর পর 'সময়' বা এরকম কিছু বসার কথা। এরকম কিছু ছোটোখাটো টাইপিং এরর আছে, জিবোর্ড বা এরকম স্পিচ টু টেক্সটে এটা অহরহ ঘটে থাকে। আরো এডিটিং -পলিশিং দরকার।
মমের গল্প ভাবানুবাদ কঠিন কাজ। এই বিশেষ গল্পটিতে গল্পের মূল চরিত্রের সাথে মমের কিছু পার্সোনাল কানেকশন ছিলো (দুজনেই একটা সময়ে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ ছিলেন), কিছুটা অনুরাগ থেকে বিরাগ ছিলো। এটা ফুটিয়ে তোলা প্রায় অসম্ভব। তার পরেও আমি বলবো মন্দ না। ব্লগে প্রথম প্রচেষ্টার জন্য ভাবিকে আন্তরিক অভিনন্দন।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বরাবরের মতো আপনার সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।সহমত আপনার সঙ্গে যে অনুবাদটি পড়ে আমারও বেশ কিছু জায়গায় খাপছাড়া লেগেছে। আসলে সাবলীলতা আনতে গেলে ধারাবাহিকভাবে লেখালেখি করতে হয়। শ্রীমতি যেহেতু একাডেমিক কাজ নিয়ে থাকে, লেখার জগতের বাইরে হওয়ায় লেখার মধ্যে তেমন সাবলীলতা আসেনি। তবে আপনার কমেন্ট পড়ে ও ভীষণ খুশি হয়েছে। এত নিখুত করে পড়ে কমেন্ট করার জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ জানিয়েছে।
ভুয়া ভাইরা তিন ভাই বোন সেপারেট নিকে লিখলেও আমাদের ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বাচ্চার স্কুল পড়াশোনার চাপ একটু কম থাকাতে সুযোগ পেলে ব্লগিং করি। এরপরে তিনজনেই যদি ব্লগিং করি তাহলে বাসার সব কাজ পন্ড হবে আরকি। সাথে গৃহের মধ্যে দেওয়াল তুলতে রাজি নই।যখন প্রয়োজন হবে পদাতিক নিকেই কাজ চালিয়ে নেবো। আমি একটা ফোন থেকেই ব্লগিং করি।তিনটি নিক মানে নিউটনের কুকুরের ছটা বাচ্চার জন্য ছয়টি দরজা করার মতো আমিও তিনটি নিকের তিনটি ডিভাইস কিনতে পারুমনা। কিছু মনে করিয়েন না।
লেখা প্রসঙ্গে অনুবাদকারীর বড় না করতে একটা বার্তা ছিল। স্কুলের মুখপাত্রে প্রজেক্টের জন্য কাটছাঁট করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান বাদ গিয়ে থাকবে।আর এসব কারণেই অভিলাষ বাবুর মুখের সংলাপ বুঝতে অসুবিধা হয়েছে।
বাকি অংশের জন্য সেপারেট প্রতিমন্তব্যে আবার আসছি।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মমের গল্পের প্লট নির্বাচন ভারতের ভৌগোলিক অবস্থানে পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব। তবুও কিছুটা গোয়ার সী-বিচের সঙ্গে তুলনা করা যায়।বিশাখাপত্তনমের বা মেরিনা বিচের গরমটা অত্যধিক বেশি। তবে শৈললহরের খোঁজ করলে ভাইজাক গোয়ার চেয়েও নিরাপদ। তবে লাইফস্টাইলের দিক দিয়ে গোয়ার সঙ্গে ভারতের অন্য বিচের কোন তুলনা চলেনা।গোয়ার পরিবেশটা পুরোটাই যেখানে বিদেশি সেখানে অন্য বিচগুলোতে বিদেশির ছোঁয়া একেবারেই নেই।
আমি উড়িষ্যার চন্দ্রভাগা বিচে গিয়ে এক বিদেশীকে পেয়েছিলাম যিনি আমার খালি চোখে দেখা স্বল্প বসনের কাপল।যেটা দীঘা/ পুরী সহ পূর্ব ভারতে এখনও তেমন চোখে না পড়লেও গোয়াতে স্বল্প বসনার উপস্থিতি খুবই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য গোয়াটা অ্যাংলো- ইন্ডিয়ান কমুউনিটির জন্য ইউরোপীয় ঘরানাটা স্বাভাবিক। এদের নামগুলোও পশ্চিমী দুনিয়ার মতোই। স্বভাবতই অনুবাদকারী সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ফ্যারাগলিওনি বা অ্যাসল্টা নামকরণ পরিবর্তনের না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।আর তাছাড়া দেশি খ্রিস্টানদের নামগুলোও ইংরেজিতেই শুনি।
টাইপিং এরর বা জিবোর্ডের স্পিচ টু টেক্সটে কিছু সিলি টাইপিং এরর থাকলেও আমার দিক থেকে চেষ্টা করেছি যতটা নির্ভুল করা যায়। তবে আমি আগবাড়িয়ে মিসেসের পোস্টে হাত দিতে চাইনি। ভালো হোক বা মন্দ হোক সবই ওনার প্রাপ্য। কাজেই কিছু অসংগতি থাকাটা স্বাভাবিক।
সবশেষে মমের গল্পের সঙ্গে গল্পে তুলে ধরা ওনাদের পার্সোনাল কানেকশনের বিষয়টি জানা ছিল না বিষয়টি ওর কাছেও সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি তুলে ধরাতে।
পোস্টটিতে like'করে অনুবাদকারীকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় মা.হাসান ভাইকে।
১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
পদ্মপুকুর বলেছেন: লোটাস ইটার্স পড়া নেই দেখে ভাবানুবাদ হলেও আমার সেটা বোঝার কথা নয়, তাছাড়া স্থানীয় চরিত্র ও স্থান কাল এমনভাবে এসেছে যে খুবই মৌলিক মনে হলো।
বেশ কিছুদিন পারিবারিক ঝামেলা সামলিয়ে ব্লগে ঢুকে আপনার করোনা'র খবর দেখে একটু বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম। ওখানে আবার মন্তব্য না করার জন্য বলেছিলেন। আজ ২২ তারিখে আপনার আইসোলেশন শেষ হওয়ার কথা। কি অবস্থা এখন? আশা করি সব ঠিকঠাক।
আচ্ছা, পিএসপিসি বিষয়টা কি?
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে আপনার কাছে লেখাটির মৌলিক মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে সবারই সবকিছু পড়া থাকেনা, সম্ভবও নয়। আমারও ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা একেবারেই সীমিত। আমার মনে হয় সে সময়ে আমি দুটো বাংলা উপন্যাস শেষ করতে পারবো।
আশাকরি এই মূহূর্তে পারিবারিক ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পেরেছেন। আমি অবশ্য বিগত দুই সপ্তাহ ধরে প্রবল সমস্যার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি। এই মুহূর্তে সপরিবারে অনেকটা সুস্থ হয়েছি।যে কারণে আমার আইসোলেশন চলাকালীন পোস্টে নতুন করে কাউকে মন্তব্য না করতে অনুরোধ করেছিলাম, আপনি সেটাই দেখে থাকবেন। হ্যাঁ আনুষ্ঠানিকভাবে আজ আমাদের আইসোলেশন শেষ হয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে তিন বেলা হোম ডেলিভারির খাবার নিয়েছি।
আপাতত আরো কিছুদিন হোম ডেলিভারি খাবার খাব। তারপরে আবার নিজেদের কিচেন রুমকে সচল করার কথা ভাববো। বাচ্চাকে গত 16 দিন আগে বড় বুবুর বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম। আগামীকাল ওকে বাড়িতে নিয়ে আসব।
পোস্ট সম্পর্কে আপনি জানতে চেয়েছেন পিএনপিসি নিয়ে। হেহেহে.... 'পর নিন্দা পর চর্চা'কে সংক্ষিপ্ত পিএনপিসি বলা হয়।
পোস্টটিতে like'করাতে অনুবাদকারী প্রেরণা পেয়েছে।ওর হয়ে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: সমারসেট মমের লেখা আপাত দৃষ্টিতে বেশ সাদামাটা মনে হলেও উনার প্রকাশভঙ্গির কারণে চরিত্রগুলোর ভাব প্রকাশ অপেক্ষা পাঠকের মনে তা ভাব উদ্রেককারী।এরকম একটি লেখাকে ভিন্ন ভাষায় রূপান্তর করা খুবই কঠিন কাজ।এ রকম একটি কঠিন কাজের চেষ্টা করার জন্য আপনার মিসেস তথা মোদের ব্লগীয় ভাবী বিরাট একটা থ্যাংকস ডিজার্ভ করেন.... উনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
অ.ট. আসলাম স্লথের মত ধীইইরেরে পদাতিক জুনাপির কথায় হাহাপগে!
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময় নিয়ে এসে অবশেষে চমৎকার একটি মন্তব্য রেখে যাওয়াতে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় মবীন ভাই আপনাকে।
সহমত আপনার সঙ্গে যে মমের লেখা অনুবাদ করে ফুটিয়ে তোলা খুবই টাফ।
"প্রকাশভঙ্গির কারণে চরিত্রগুলোর ভাব প্রকাশ অপেক্ষা পাঠকের মনে তা ভাব উদ্রেককারী।" খুব দামি একটা কথা বলেছেন। আর এ কারণেই অনুবাদ সাহিত্যে ভাব ফুটিয়ে তোলা খুবি কঠিন কাজ। তবুও সেই কাজে হাত দিয়ে আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপনে পোস্টদাতা রীতিমতো অনুপ্রাণিত। তার হয়ে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
জুনাপুর কথায় আমিও খুব হেসেছি। হেহেহে.....
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় মবীন ভাইকে।
১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১১
মা.হাসান বলেছেন: আসলে আমার অপারগতা, কি কারনে গোয়া বনাম বিশাখাপত্তমের আলোচনা তা পরিস্কার করিনি।
অভিলাষ বাবুর শেষ দিন গুলো যে ঘরে কেটেছে তার বর্ণনায় বলা হয়েছে -- নড়বড়ে একটা সহজ জায়গা যার কোনো জানালা নেই, গরমে অগ্নিকুণ্ড ও শীতে ঠান্ডা বরফ জমে সেই জায়গায় খাবারের মান তথৈবচ।
গোয়াতে শীতে তাপমাত্রা কুড়ির নীচে সচরাচর নামে না। গরমেও ত্রিশের উপর কদাচ যায়। শীতে জমা বা গরমে পোড়ার মতো হবার কথা না। বিশাখাপত্তমে গরমে চল্লিশ ডিগ্রি পার হওয়াটা খুব নর্মাল। তবে শীতে ১৫র নীচে এখানেও নামে না। গোয়ার আবহাওয়ার সাথে মানান সই করতে গেলে ঐ ঘরের বর্ননায় শীত আর গরমের কথা বাদ দিয়ে -খুপরি মতো ঘর, আলো হাওয়া ঢোকে না - এরকম কিছু বললে হয়তো বেশি মানাতো।
বেশী ছিদ্রান্বেষী হয়ে থাকলে দুঃখিত। অনেক শুভ কামনা।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে..... আপনার অপারগতার কথা বলতেই আসল ঘটনাটা বুঝলাম। সত্যি কথা বলতে মমের লেখার পরিবেশ ভারতের কোথাও নেই। আপনার যুক্তিতে এখন বুঝেছি বিশাখাপত্তনম হলে বেশি ভালো হতো। আবহাওয়ার তারতম্যগত কারণে ওটাই বেশি গ্রহণযোগ্য। আপনার যুক্তিকে খন্ডন করার কোন কারন দেখিনা। আমি অনুবাদ কারীকে বিষয়টি বলেছি। উনি ঢোক গিলে স্বীকার করলেও পাঠক হিসেবে আপনার বিচক্ষণতায় মুগ্ধ। ওর হয়ে আমি আবারও ধন্যবাদ জানান আপনাকে।
আর ছিদ্র থাকা খুবই সায়েন্টিফিক। একটা বাসায় মত ছিদ্র থাকবে ততই নির্মল বাতাস স্থানটিকে বসবাসের উপযোগী করে তুলতে বাধ্য। আপনার মনের জানালা গুলো খুলে রাখুন অথবা এভাবেই আপনি ছিদ্রান্বেষণে ব্যস্ত থাকুন..... আপনার অন্বেষণ যেন ইনফিনিটি হয় এই কামনাই করি।
২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
পদাতিক, ইফ আই সে থ্যাংকস ইটস নট এনাফ , তারপরও বলছি থ্যাংক ইউ !
ইউ নো দ্যা রিজন ।
পোষ্ট পরে এসে পড়বো ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
বুঝতেই তো পারছেন হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমাননা।
ভালো থাকুন সবসময়।
২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি মধুসুদন দত্তের কোন লেখা পড়েছেন?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পড়েছি তো বটেই কিন্তু ঠিক বুঝলাম না কেন আপনি এই কথা বলছেন?
২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৭
অধীতি বলেছেন: প্রথমে অনুবাদ গল্প ভেবে শুরু করে কিছুদূর এগুতে শিশু সাহিত্য মনে হলো তারপরে মনে হলো মৌলিক গল্প শেষে এসে আপনার মিসেসের প্রচেষ্টার ওপর কৃতজ্ঞতা চলে আসলো। গল্পটা খুব ভালো লেগেছে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। সুস্বাগতম আপনাকে।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনুবাদকারীর হয়ে ধন্যবাদ জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২
নীল আকাশ বলেছেন: আমি অরিজিনাল লেখাটা পড়িনি। তবে আমি ভাবানুবাদ বেশি পছন্দ করি।
পুরো লেখা পড়ে মাথায় থীম এনে এবার নিজের পারিপার্শ্বিক এর সাথে মিলিয়ে লিখতে বলবেন বৌদিকে।
সব শব্দ বা লাইন এর বাংলা করার দরকার নেই।
প্রথম দিকের অনেকখানি অংশ অপ্রয়োজনীয়।
এটা গল্প। গল্প লেখার সময় ২০০০ শব্দ অথবা ৪০০০ শব্দ, যেকোন একটা বাউন্ডারি মেনে লিখতে বলবেন। তাহলে দেখবেন অপ্রয়োজনীয় অংশ এমনিতেই বাদ পরে যাবে।
ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর একটা সাজেশন রেখে যাওয়াতে প্রীত হলাম।ম্যাডামকে কমেন্টটি দেখিয়েছি। আশাকরি উনি পরবর্তীতে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। ওনার হয়ে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা আপনাকে। ভালোবাসা সতত...
২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
এ মুহূর্তে আমার একটু লোটাস খেতে পারলে ভালো হতো, চোখে এক ফোটা ঘুম নেই, রাত চারটার বেশী বাজে ।
অভিলাষ বাবুর জীবনাদর্শ আমার ভালোই লেগেছে । আরলি রিটায়ারমেন্ট নিয়ে অবকাশে জীবন কাটানো ঘুরে বেড়ানো মন্দ না, বেশ ! আমিতো ওনার মাঝে অনেকই মিল পাচ্ছি । আমার ফিউচার আমি কি অনেকটা অভিলাষ বাবুর মতো হবে কিনা । নিসর্গ প্রকৃতির শোভাপান, দারুণ ! অবশ্য শেষটা তারমতো করুণ পরিনতি হোক এটা অবশ্যই চাই না ।ওনার একটু ভুল ছিলো । ভবিষ্যতের জন্য কিছু প্রিপারেশন থাকলে এমনটা হতো না । একটু দূরদর্শিতার অভাব ছিলো । ওই ভুলটা ছাড়া তার জীবন আমার জোস্ লেগেছে ।
লেখাটার জন্য পদাতিক আর পদাতিকা দুজনকেই শুভেচ্ছা
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা,....লোটাস যদি খাওয়ার হতো তাহলে খেতে পারতেন। কিন্তু এখানে লোটাস যে অনুভবে ভক্ষণ করা। সুতরাং তাকে তো বসে বসে খেলে একদিন বাস্তবেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। তবে রাত চারটার সময়েও আপনার চোখে ঘুম নেই। বিষয়টি নিঃসন্দেহে উদ্বেগের....এক আধদিন যদি হয় তাহলে আলাদা কথা।অন্যথায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন আপু।
অভিলাষ বাবুর জীবন দর্শন যেহেতু ব্যতিক্রমী আমাদের অনেকেরই তার ভালো লাগবে। তবে নিজেকে ওরকম করে গড়ে তোলা খুবই অপরিণামদর্শীতার কাজ। আপনার ভবিষ্যৎ অভিলাষ বাবুর মত হওয়ার কোন চান্স নেই।
আপনি হিসাবী। বেহিসাবী, অপরিণামদর্শী না হলে অভিলাষ বাব হওয়া যাবে না।সরি আপু.... হেহেহে
চার্বাক পন্থীদের জীবন দর্শন হলো,
'যাবৎ জীবেৎ
সুখং জীবেৎ
ঋণং কৃত্বা
ঘৃতং পিবেৎ।'
যতদিন বাচবো সুখে বাঁচবো। প্রয়োজনে ঋণ করে ঘি খাবো।
কমেন্টের পরের অংশে সহমত আপনার সঙ্গে যে ভবিষ্যতের জন্য প্রিপারেশন থাকলে এতটা পস্তাতে হতো না।
সবশেষে লেখাটার জন্য আপনার ধন্যবাদ সানন্দে গৃহীত হল। প্রতি ধন্যবাদ আপনাকেও।
আমাদের দুজনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
হা হা হা পদাতিক …. লোটাস খাওয়ার কথাটা জোকস ছিলো আমার মনে হয় একটা ইমো দেয়ার দরকার ছিলো । লোটাস খেয়েই যদি ঘুমের নেশা হতো, তাহলে সব নেশাখোর ওগুলো খেয়ে নিঃশেষ করে দিতো ।
নাহ প্রতিরাত নির্ঘুম না কিন্তু উইকেন্ড নাইটে একদমই ঘুমানো হয়না ।
অপরিণামদর্শী কেনো হবে ! আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড প্রায়ই প্ল্যান করি আর্লি রিটায়ারমেন্ট নিয়ে যেদিকে দুচোখ যায় প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাবো । তবে হ্যাঁ অভিলাষ বাবুর মতো বোকামি না করে ফিউচারের ব্যাকআপ প্ল্যান ঠিক রেখে যেতে হবে যেনো শেষ সময়টাও কমফোর্ট হয় ।
যতদিন বাচবো সুখে বাঁচবো। প্রয়োজনে ঋণ করে ঘি খাবো।
প্রথম অংশটুকুর সাথে ১০০% সহমত কিন্তু শেষাংশটুকু ভীষণ ডিজলাইক
ঋণ খুবই বাজে জিনিস , এটা থেকে একশো হাত দূরে থাকা উচিৎ ।
নিজের যা আছে সেটা নিয়ে বেঁচে থাকার মাঝেই অনেক প্রশান্তি
অনেকই থ্যাংকস পদাতিক ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে...আপু আপনার লোটার্স খাওয়ার কথা শুনে সেদিনেই বুঝেছিলাম।এটা জোকস্ আরকি। আমি অবশ্য সেটাকে মাথায় রেখেই বলেছিলাম আপনার দিয়ে লোটাস খাওয়া সম্ভব নয় কারণ আপনি হিসেবি মানুষ। বেহিসেবী জীবন যাপনের অধিকার না হলে তার পক্ষে লোটাস খাওয়া সম্ভব নয়। তবুও বলবো, আপনি যদি পরিকল্পনা নেন তাহলে নিজের মত করে বাঁচতেই পারেন। রিটায়ারমেন্টের পর তাই আপনার বন্ধুর সঙ্গে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। শুধু একটু দাবি করবো, মাঝে মাঝে ব্লগে আপনার নুতন নুতন অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট দিবেন। আমরা দূর থেকে তা পড়ে রসাস্বাদন করবো। হেহেহে..
ঋণ করে থাকাটা আপনার কাছে অকল্পনীয় হলেও আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক। আপনাকে বলি তাহলে, গৃহনির্মাণ করতে আমাদের দেশের সরকার ট্যাক্স ছাড় দেওয়াতে চাকরি জীবিরা হোমলোন নেওয়ার জন্য আগ্রহী। আমি নিজে এই আর্থিক বছরে একমাসের টাকা ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে খুব বিষণ্ণে আছি। যেকারণে সামনের ফিনান্সিয়াল ইয়ারে হোম লোন নিতে আপ্রাণ চেষ্টায় আছি। সুতরাং আপু ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ ছাড়া আমাদের উপায় নেই। হেহেহে..
আপনার জন্যও নিরন্তর শুভেচ্ছা রইলো আপু।
২৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
পদাতিক ওরফে আতিক, আমি কিন্তু বেহিসেবি জীবন যাপনই করি কিন্তু নিজের মতো করেই বাঁচি । এটাই প্রাপ্তি একজীবন নিজের খেয়ালে কাটিয়ে দেয়া । নাহ নাহ আমার বন্ধুর সাথে প্ল্যান না, কিন্তু দুজনের একই রকম প্ল্যান বাট হিজ হিজ হুজ হুজ একসাথে না ।
কি সর্বনাশ !!! রিটায়ারমেন্টের জন্য এখনই উইশ করা হচ্ছে, সেতো অনেক দেরি !!!
বহুদুর যেতে হবে
এখনো পথের অনেক রয়েছে বাকী
ঋণ করে থাকাটা আপনার কাছে অকল্পনীয় হলেও আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক।
আরে নাহ, তা না । আমি যেটা বলতে চেয়েছি, ঋণ প্রয়োজনের জন্যই হতে পারে । যখন এটা ছাড়া অপশন নেই । তার মাঝে একটা হচ্ছে বাড়ীর জন্য যেটা ওপরে বলা হয়েছে । কিন্তু প্রয়োজনে ঋণ করে ঘি খাবো। এটা বলতে আমি যা বুঝেছি , এমন না যে মাস্ট প্রয়োজন বাট ফাইনানশিয়াল ক্রাইসিসে হচ্ছে না তাই লোন নেবে । যেটা না হলেও চলে, সেটাও ঋণ করে হলেও করতে হবে । এটা ঠিক না । সেক্ষেত্রে অবশ্যই যতটা না করা যায়, সেটাই মঙ্গল আনলেস ইউ হ্যাভ টু ডু ।
জানিনা বোঝাতে পারলাম কিনা
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমাকে আতিক কেন বললেন বুঝলাম না। তবে নামটি খারাপ নয়। এবার বলি, আপনার বেহিসাবি জীবন যাপনের মধ্যেও কিন্তু একটা হিসেব আছে।আর এটা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে মাঝে মাঝে একটু আধটু বেহিসাবি হওয়া মন্দ নয়। কিন্তু সেটাও আংশিক।সার্বিক জীবনে হিসেবী হওয়াটা আমাদের সবারই কাম্য। আপনার ক্ষেত্রে আমার ধারণা সেই হিসেব থেকেই আপনি আপনার মত নিজেকে গড়তেই পারেন।আর সেই ভাবনাটাও্ হবে পরিকল্পনা মাফিক। আপনার কমেন্টেও তার ইঙ্গিত পেয়েছি। কাজেই স্বীকার করতে অসুবিধা নেই যে আপনিও একজন হিসেবী মানুষ।
তবে আমার ভয় অন্যত্র। আপনি যদিও জানেন তবুও একথা বলছি। একাকী থাকলে শেষ জীবনে একাকীত্বের পিছুটান আসতে পারে। যেটা আরো বেশি যন্ত্রণার হবে বৈকি। আমার যুক্তিতে যতদিন শরীর চলে ততদিন সমস্যা হওয়ার নয়। কিন্তু শরীরের শক্তিও এক সময় যায় কমে। একগ্লাস জল খেতে হলেও তখন অন্যের সাহায্যের দরকার হয়। সমস্যা হয় তখনই। আপনি হয়তো শুনে থাকবেন, একসময় বোম্বের সিনেমা জগতের হার্টথ্রব পারভিন ববিকে। ভদ্রমহিলার বাসায় পঁচা গদ্ধ পেয়ে পুলিশ গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে যেকটা দুধের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখেছিল,তা থেকে আন্দাজ করে উনি তার কতদিন আগে মারা গেছেন। যেকারণে আপনার একাকী থাকার কথায় শিউড়ে উঠলাম। আশাকরবো,এটা আপনার স্রেফ কথার কথা। আত্মীয়-স্বজন পরিবার-পরিজন নিয়ে বাকি জীবনটা কলরব মুখর হয়ে কাটান কামনা করি।
২৭| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে উল্লেখিত পিএনপিসি কথাটার মানে বুঝলাম না, ব্রাকেটে ভেঙে বলে দিলে ভাল হতো।
লোটাস ইটার্স - মূল গল্পটা পড়িনি, তবে আপনার স্ত্রীর ভাবানুবাদটি পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।
অভিলাষ বাবু শেষ পর্যন্ত তার পছন্দের পরিবেশে থেকেই ইহধাম ত্যাগ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। পূর্ণিমার রাতে পাহাড়ের কোলে শুয়ে সাগরের ফুলে ওঠা জলরাশি আর জোড়া শিলাখণ্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে অনন্তলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন, এমন সৌভাগ্য ক'জনারই বা হয়ে থাকে?
পরিবারের সবাই মিলে আপনারা লেখালেখি করেন, এটা বেশ প্রশংসনীয় একটি পারিবারিক প্রথা।
বরাবরের মতো মা.হাসান এর মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। মিরোরডডল এর গুলোও।
পোস্টে চতুর্দশতম প্লাস! + +
২৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যার ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে আশাকরি অবগত আছেন। পেপারে যেটা দেখছেন বাস্তবে অবস্থা তার চেয়ে বহুগুণ শোচনীয়। প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম। এখন অবশ্য রাজ্য সরকারের সুনির্দেশনায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অনেকটা ভালো। মৃত্যুহার ও আক্রান্ত বেশ কমে গেছে। সাথে সাথে আমিও এখন বেশ স্বস্তি বোধ করছি। আবার ব্লগে নিয়মিত হবার চেষ্টা করবো।
পোস্টটি মিসেস ভাবানুবাদ করেছিল ওর ছাত্রদের একটা প্রজেক্ট ওয়ার্কের নির্দেশনা স্বরুপ।
"লোটাস ইটার্স - মূল গল্পটা পড়িনি, তবে আপনার স্ত্রীর ভাবানুবাদটি পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।
অভিলাষ বাবু শেষ পর্যন্ত তার পছন্দের পরিবেশে থেকেই ইহধাম ত্যাগ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। পূর্ণিমার রাতে পাহাড়ের কোলে শুয়ে সাগরের ফুলে ওঠা জলরাশি আর জোড়া শিলাখণ্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে অনন্তলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন, এমন সৌভাগ্য ক'জনারই বা হয়ে থাকে?"-চমৎকার জায়গাটা তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। আমারও খুব ভালো লেগেছিল জায়গাটা। তবে সম্ভব হলে টেনিসনের অরিজিনাল গল্পটা পড়ার অনুরোধ করবো। আশাকরি খুব ভালো লাগবে।
আপনার কথার সুর মিলিয়ে বলি, সত্যিই তো শিলাখন্ডের দিকে তাকিয়ে অনন্তলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সৌভাগ্য ক জনের কপালে জোটে সন্দেহ...
আমার মিসেস খুব বেশি লেখেনা। তবে ছেলে খুব লিখতে ভালোবাসে। গতবছর আম্ফান নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিল।এবার মার্চে আবার করোনা নিয়ে একটা কবিতা লিখেছে। দু'দিন আগে অপু/সর্বজয়ার আদলে গ্রামে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চারের উপর চারশো ওয়ার্ডের একটা ইংরেজি গল্প লিখেছে। আমি এতটুকু কালেকশন করার বিরোধী। আমার মুক্তি কয়েকবছর পরে ও নিজেই নিজেকে সংশোধন করতে শিখবে।
বরাবরের মতই মা.হাসান ভাই সুন্দর কমেন্ট করেছেন।আপনি বিচক্ষণ মানুষ। স্বভাবতই কমেন্টের সৌন্দর্য আপনার দৃষ্টি এড়ায় নি।মা. হাসান ভাইয়ের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
পোস্টে চতুর্দশ লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
লোটাস ইটার্স অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি অনুবাদ পড়লাম
এবং আপনার মিসেস কে ধন্যবাদ অনুবাদের জন্য ।
অভিলাষবাবু স্ত্রী ওকন্যা মারা যাওয়ার পর প্রকৃতির কাছে
নিজেকে সমর্পণ করে আত্মকেন্দ্রিক এবং ভয়ঙ্কর নিঃসঙ্গ
জীবন বেছে নিলেন । উনার জীবনের শেষ দিকটা খুব কষ্টে কেটেছে । একটা বিষয়ে কষ্টের এই জীবনটা কেন যে উনি
বেছে নিলেন ।