নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ব্লগার সোনাগাজীর সর্বশেষ পোস্টে আমার করা কমেন্ট....
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনারা শুধু আলোকিত অংশটা দেখেন। প্রদীপের নিচে অন্ধকার বুঝতে চেষ্টা করেন না।এই বিজ্ঞানী মোদিজী সময়ে করোনা নির্মুল করতে একঘন্টা আলো না জ্বালানোর,কাসর ঘন্টা বাজানোর, তুলসী পাতা সেবন করা প্রচার করেছিলেন। ওনার ভক্তরা দিল্লিতে প্রকাশ্যে গো চোনা পান করে করোনা নির্মুল করার বাতলা দেন।
আসলে গত দুদুবার মোদিজী পাকিস্তান আক্রমণের গল্প ফেঁদে বৈতরণী পার হয়েছেন। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাম্প্রদায় মুসলিম নিধনে সাফল্যকে দেশের উন্নয়নের সূচক হিসেবে দেখে ঢেলে ভোট দিয়েছেন মোদিজীকে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে গুজরাট দাঙ্গার নেতা হয়ে দিল্লিশ্বরে পরিণত হয়েছেন সেই পথে হেঁটে বিজেপির একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম নিধন যজ্ঞে মেতেছেন। মজার ব্যাপার এরা আবার দেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী।যোগী আদিত্যনাথ মুসলিম নিধনে সর্বাধিক পয়েন্ট গেইন করে মোদিজীর পরবর্তী দিল্লিশ্বর হবার লাইনে বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন। তুলনায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারা।প্রতিদিনই একে অন্যকে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ছাপিয়ে গিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। (যেমন - রাজপথে মুসলীমদের গুলি করা, বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া, মাজার- মসজিদ - দরগা- মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়া, রাস্তায় নামাজ পড়া দেখলে জয় শ্রী রাম বলিয়ে বা গনধোলায় দেওয়া,লাভ জেহাদি শব্দ আউড়ে দম্পতিকে সামাজিক অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা এবং অবশ্যই দেশের আদালতকে এসবের ক্ষেত্রে নীরব দর্শকে পরিণত করা।)
তবে মোদিজী মুসলিম এবং পাকিস্তানকে সমার্থক শব্দে পরিণত করেও এবার অন্য পথে হাঁটতে চেষ্টা করছেন।আর এরই ধারাবাহিকতায় এরকম কিছু।
আসলে দাঙ্গাবাজ বিজেপির হঠাৎ খেয়াল হয়েছে তারা বিজ্ঞান সচেতন এবং দেশের উন্নয়নের জন্য ভাবিত। দেশের পাঁচটি ব্যঙ্ককে এক করে ছেড়েছেন।আদানী,নিরব মোদী,বিজয় মাল্যদের হাজার হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের সুযোগ দিয়েও ইন্টারপোলের হেলৃপ না নিয়ে বহাল তবিয়তে তাদেরকে লন্ডনে বসবাসেরর সুযোগ করে দিয়েছেন।অমিত শাহের ছেলেকে দুহাজার কোটির হিরের ব্যবসা ও ভারতের ক্রিকেট প্রধানের অনেকটা উচ্চ আসনে বসিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার সুযোগ করে গোটা দেশবাসীর নজর ঘোরাতে ৪১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুদিনের মচ্ছব করে জি ২০ বৈঠকে মার্কিন পদমর্যাদার চালকের আসনে বসে ঢেকুর তুলে ২৪ এর লোকসভা তুড়ি মেরে উৎরাতে চাইছে।
এখন দেখুন ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক বিজেপির হাতে দেশের দায়িত্বভার দুবার দিয়েছে, তৃতীয়বার দিতে চলেছে। বাংলাদেশ যদি ভারতকে অনুকরণ করে তাহলে সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাম্প্রদায় বিজেপির মতো তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে দেশের দায়িত্বভার তুলে দেয় তাহলে আপনারা আবার রে রে করে উঠবেন না তো? যেন আবার বলে বসেন না, ভারতের হিন্দুদের যে অধিকার আছে, বাংলাদেশের মুসলিমদের সেই অধিকার নেই।
শুনুন সত্তরের দশকে আফগানিস্তান ধর্মের পথে হেঁটেছে। মোদিজীর ভারত একবিংশ শতকের প্রথম দশকে সেই পথ অনুসরণ করেছে। এক্ষেত্রে তাহলে আফগানিস্তানের মতো ধর্মশ্রয়ী রাষ্ট্র ভারতের পথপ্রদর্শক বলতেই হবে। পাকিস্তানও ইতিমধ্যে ধর্মের পথে হেঁটেছে। উপমহাদেশে বাকি বাকি রইল বাংলাদেশ।একা বাংলাদেশ-ই বা আর কাঁহাতক মুখে পুরানো সম্প্রীতির কথা বলবে? মোদিজী দেশের প্রতিটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে এই মূহুর্তে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন।আই এ এসে পদে প্রতিবছর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে চলেছেন। কাজেই ভারতের অলিতে গলিতে শুধু হিন্দু আর হিন্দুত্ব।
তবে আপনার এইসব পোস্ট দেখে ভারতের কিছু হাম্বা ব্লগার আনন্দে গদগদ হয়ে হাম্বা হাম্বা বলে লম্বা ডাক ছাড়লো বলে....
ভারতে ২৪ এর লোকসভা আসন্ন ;একই ভাবে নির্বাচন আসন্ন বাংলাদেশেও। এমতাবস্থায় ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন, আপনারা কী মোদিজী বা হিন্দু সম্প্রদায়িক দল বিজেপিকে নকল করে ঢাকার সিংহাসনে মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে শাসনভার তুলে দিতে মানসিকভাবে তৈরি আছেন কিনা...
কৃতজ্ঞতা ব্লগার গেঁয়ো ভূত ভাই।
সোনাগাজীর পোস্টে কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে এই পোস্ট হলেও কিছু পরিমার্জিত হয়েছে।
আপাতত এই পোস্টে আর কোনো মন্তব্য গ্রহণ করতে পারছিনা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি বরং পরোক্ষভাবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মনে করিয়ে দিলেন-
গাহি সাম্যের গান
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান।
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ- মুসলিম- ক্রীস্টান
গাহি সাম্যের গান।
কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আজকে সেটা অন্য দিক দিয়ে অনেকটা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
সোনাগাজী বলেছেন:
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ; গুজরাটের দাংগার পর, সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেয়ার শুরু করে; তারই ফলাফল, মোদী ক্ষমতায়। মোদী, শি জিনপিং, পুটিন, আয়াতোল্লাহ ও কিম বিশ্বের জন্য হুমকি।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত আপনার সাথে মোদি জিনপিং পুটিন আয়াতোল্লাহ কিম জং আধুনিক যুগের হিটলার; মানবসভ্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মোদী কি চাচ্ছে এবং কি পাবে বলে মনে হয় আপনার?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের কাছে নকল উত্তর না নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে সরাসরি মোদিকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: মোদীর মোদী হওয়ার জন্য আপনারা মুসলমানদের অবদান অসীম। ইসলামের নামে দেশ ভাগ করবেন। তারপর সেই দেশ থেকে হিন্দু, খ্রীিষ্টানদের বিতাড়িত করবেন। জিহাদ করবেন, কাফের মারবেন। মোদী হচ্ছে একটা ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া মাত্র। ভারত সেই দেশ যে দেশ পাকিস্তান ভাগ হয়ে ইসলামিক দেশ ঘোষনা হওয়ার পরপরই হিন্দু রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি আমাদের মত কিছু সেকু মাকুর জন্য। আপনারা মুসলমানেরা ত কিছুর অভাব ছিল না, তার পরেও ইস্কুল কলেজ যাননি, পড়াশোনা করেন নি, চুরি ছ্যাঁচড়ামি করে বেড়িয়েছেন, আর গণ্ডায় গণ্ডায় বাচ্চা নিয়ে আরো গরীব হয়েছেন। যে দেশে আপনারা সংখ্যালঘু সেখানে আপনারা নাকে কাদেন। আর দেশে আপনারা সংখ্যাগুরু সে দেশের সংখ্যালঘুরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। ভারতে কষাই মোদীদের হাত থেকে এই সেকু মাকুরাই আপনাদের বাঁচাবে। কিন্তু আপনারা ত আর শোধরাবেন না। আবার কোনো না কোনো মোদী ঠিকই তৈরি করবেন। তারপর আবার নাকি কান্না করবেন।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো বলতে বলতে চারপেয়ে হাম্বা লেজ উঁচিয়ে চলে এসেছে।সবে একটা হলো।দেখি শেষ পর্যন্ত কটা হাম্বাকে পাওয়া যায়।ধরে সোজা আদিত্যনাথের গোশালাতে .....
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। তখন মোট জনসংখ্যার ১৩ দশমিক ৫ ভাগ ছিল হিন্দু। এরপর ১৯৮১ সালে ১২ দশমিক ১ ভাগ, ১৯৯১ সালে ১০ দশমিক ৫, ২০০১ সালে ৯ দশমিক ৩ ভাগ হিন্দু লোকের বসবাসের তথ্য উঠে আসে আদমশুমারিতে। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে বলা হয়, মোট জনগোষ্ঠীর ৮ দশমিক ৫ ভাগ হিন্দু। এতে স্পষ্ট যে স্বাধীন বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী ক্রমান্বয়ে কমেছে। কেনু কেনু??? ভারতে কি মুসলমান কমছে??? কেমনে কি???
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চোখে ঠুসি পরে থাকলে,মুখে হাম্বা হাম্বা করলে ভারতের মুসলিমদের নিপিড়ত বোঝার কম্ম চৌদ্দ পুরুষের নাই। এখান ল্যাদাতে থাকুন আদিত্যনাথের গোশালায় জায়গা পাকা।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটি খুব ভালো লাগলো।
মুশকিল হলো সত্যাশ্রয়ী মানুষ সমাজে দুর্লভ। আমাদের জংগীগোষ্ঠি যেমন আপনার কথা বুঝবে না, তেমনি আপনাদের সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে, উন্নতির দোহাই দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই আরও শক্তিশালী করবে।
এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও জয় শ্রী রাম হওয়া অথবা নারায়ে তাকবিরের রাজনীতি খুব হতাশার কথা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে
"মুশকিল হলো সত্যাশ্রয়ী মানুষ সমাজে দুর্লভ। আমাদের জংগীগোষ্ঠি যেমন আপনার কথা বুঝবে না, তেমনি আপনাদের সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে, উন্নতির দোহাই দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই আরও শক্তিশালী করবে।"-শতভাগ সহমত আপনার সাথে কিন্তু এই পাশবিক শক্তি ক্রমশ বাড়ছে মানবতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে।যার পরিণাম এতো রক্তপাত ঘটিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে জাস্টিফায়েড করছে।আর উপমহাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে সংখ্যালঘুদের জীবন সম্পত্তি নষ্ট অগ্নিসংযোগ খুন ধর্ষণ করে বদ্ধভূমিতে পরিণত করে তুলছে।
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯
অহরহ বলেছেন: ভারতের সংবিধানে কঠর ভাবে কোন ধর্মের স্থান নেই, ভারতের সংবিধান ধর্ম নিরেপেক্ষ। পক্ষান্তরে, ইসলামিক রিপাবলিক অফ... ব্লা ব্লা, সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম.......... এসব বাজে শব্দ ভারতের সংবিধানে নেই। ১৯৪৭ থেকেই ভারতে সরকার বদল হয় জনগনের ভোটে, সামরিক আইন দিয়ে নয়। ভারতবাসী ভোট দিয়ে তাঁদের দেশে কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবে..., সেটা কী বাংলাদেশের তৌহিদী জনতার বুদ্ধি নিয়ে করবে নাকি???
বলা বাহুল্য : করোনা ভাইরাস আল্যার সৈনিক!!? চীনের মানুষ দলে দলে মসজিদে যেয়ে নামাজ পরছে!!? মুসলমানের করোনা হলে কোরাণ হয় না!!? ওজু করলে করোনা হয় না!!? নামাজ পড়লে করোনা হয় না!!? সূরা ফাতেহা তিন বার পাঠ করে ফূ দিলে করোনা ভাইরাস দৌড়ে পালায়!!?......... এসব কথা কারা যেন বলেছিল??
তবে এটা সত্য যে উটমূত্র খোর আর গোমূত্র খোরের ধর্ম একই নর্দমার কীট। ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ এটাই সবচেয়ে বড় ধোঁকা। ভারতের প্রত্যেকটা রাষ্ট্রীয় দপ্তর রেল, পোস্ট অফিস,ব্যাঙ্ক, হসপিটালে, কোথাও গনেশ পূজা,শিব পূজা, বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজো এসব দিয়েই দৈনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
কসাই একটাকে কাঁঠাল পাতা খেতে দিয়ে আরেকটার ছাল ছাড়ায়।যদি কাঁঠাল খেকোর বুদ্ধি থাকতো তাহলে কসাইকে দেখেই চিল চিৎকার করতো। কিন্তু বংশপরম্পরায় ওদের বুদ্ধি ওখানেই আটকে আছে। হাম্বারা একটু আকারে বড় এই যা। কোনো বিচার বুদ্ধি বোধ না থাকায় কেবল হাম্বা হাম্বা করে ল্যাদাতে পারে....
পোস্টের শেষে মূত্রের ধর্ম এক নিয়ে দ্বিমত নই। আপনাকেও ধন্যবাদ।
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভারতে ২৪ এর লোকসভা আসন্ন ;একই ভাবে নির্বাচন আসন্ন বাংলাদেশেও। এমতাবস্থায় ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন, আপনারা কী মোদিজী বা হিন্দু সম্প্রদায়িক দল বিজেপিকে নকল করে ঢাকার সিংহাসনে মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে শাসনভার তুলে দিতে মানসিকভাবে তৈরি আছেন কিনা...
বাংলাদেশের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী কি মুসলিম সম্প্রদায়ের বাইরের কেউ? বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ বা উগ্রধার্মিক না।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ । তবে চীনের সাথে অতি ঘনিষ্ঠতার কারণে ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা "র" যদি নিজেদের অনিরাপদ ভাবে তাহলে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে পারে যেমনটা করেছিল "অপারেশন ফেয়ারওয়েল" এর মাধ্যমে এরশাদের পতন ঘটিয়ে ।
জয় শাহ যে অমিত শাহ'র সুযোগ্য সন্তান জানা ছিল না।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"বাংলাদেশের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী কি মুসলিম সম্প্রদায়ের বাইরের কেউ?"- একদম যথার্থই বলেছেন যে এরা মুসলিম সম্প্রদায়ের বাইরের কেউ নন।যেমন নন স্বাধীনতার পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাইরে দিল্লির সিংহাসনে আসীন ব্যক্তিরা। তবুও ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় খুশি হতে পারেনি উগ্র হিন্দুদের উপর দেশ শাসনের ভার অর্পণ না করা পর্যন্ত।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ বা উগ্রধার্মিক না।"-এটাই তো সভ্য সমাজের কাছে কামনীয়। এটাই তো ভারতের ক্ষেত্রেও আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু আমরা আশা করলেই হলো? সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষবাস্পে এখন ভারত পুড়লেও নুতন সূর্যোদয়ের জন্য ভুক্তভোগীদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: এদেশে আর ভোট হয় না ভাই।
দিলেই কি আর না দিলেই কি!!! তবে হ্যাঁ ভোটের দিন বেশ ঈদ ঈদ একটা ভাব থাকে। ভুরিভোজ করে পায়ের উপর পা তুলে গা এগিয়ে গভীর রাত অবধি টিভি দেখতে মজা লাগে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
ছোটবেলায় আমরাও খুব এনজয় করতাম ভোটের দিনটিকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফাইবারের ব্যাচ পাওয়া যেত। দুই পকেটে দুই দলের ব্যাচ লাগিয়ে কি আনন্দই না পেতাম। সে সব দিন এখন অতীত। এখন ভোট মানে মিথ্যাচারিতা, ষড়যন্ত্র, হত্যা, অগ্নিসংযোগ বোমাবারুদের গন্ধ....
১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম লীগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পূর্ব বঙ্গের মুসলীম রা ১৯৪০ এর শুরুর দিকে বলতে থাকে মুসলীম রা হিন্দুদের সঙ্গে থাকতে পারবে না। তারা পাকিস্তান চায়। ১৯৪৭ এর শুরুতে তাদের দাবি মেনে নিতে হয় এবং পাকিস্তান তৈরীর কাজ শুরু হয়।
ধর্ম নিয়ে শেখ হাসিস্না রাজনীতি করেন না। তবে মোদি ধার্মিক। ভারতে কম তো দাঙ্গা হয়নি। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশে গৃহ যুদ্ধ লেগে যেতো, হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লেগে যেতো।
ভারতের বামপন্থী, ডানপন্থী বা মধ্যপন্থী সরকারকে রুখবার জন্য হঠাৎ করে মাননীয়া শেখ হাসিনার প্রয়োজন কেন পড়বে? ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, ভারতীয় জনতা পার্টি পরিচালিত সরকার জনতার দ্বারা নির্বাচিত। তারা যদি নীতিবিরুদ্ধ কাজ করে তবে তার জন্য ভারতীয় জনগন রয়েছে, পররাষ্ট্রের উপড় নির্ভর করবার প্রয়োজন দেখি না।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের কমেন্টের প্রথম দুটি অংশ ঠিক আছে। কিন্তু তৃতীয় বা শেষ অংশটি আমার পোস্টের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। পোস্টটি আবারো পড়ার অনুরোধ রইল।
১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশভাগ হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে সংখালঘুরা বিভিন্ন অত্যাচারে দেশত্যাগ করেছেল, আর পাকিস্তান থেকে থেকে পিটিয়ে টোটালি হিন্দু শুন্য করে ফেলা হয়েছিল। ৭১ এ অবস্য পাকিস্তান পন্থি রাজাকার-আলবদররা গণহত্যা করে হিন্দু শুন্য করার মিশনে নেমেছিল, আরো কিছুদিন সময় পেলে করে ফেলতো। বর্তমানে পাকিস্তান পন্থিরা এইবার ক্ষমতা নিতে পারলে অবস্যা আরেকরার এর কিছু নমুনা দেখতে পাবেন।
পক্ষান্তরে ভারতে এত কথিত অত্যাচারে ১ টা মোসলমানও পাকিস্তানে পালায়নি, বাংলাদেশের দিকেও আসেনি। ইভেন জঙ্গি হামলা দাংগা বিধ্বস্ত কাষ্মির থেকেও কেউ পালায় নি।
আপনাদের মোদি পন্থিরা অত্যাচার করছে ঠিকই, তবে মাত্রাটা কম্পেয়ার করে দেখুন।
বরং মোদি আসার পর বাংলাদেশীদের ভিসা অনেক সহজতরো হয়েছে প্রতি বছর কমবেশী ১৫ লাখ বাংলাদেশী ভারত ভ্রমনে যাচ্ছে। কাশ্মিরেও যাচ্ছে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মোদিজী বাংলাদেশকে চিকিৎসা সেবা দানের বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে এতো সংখ্যক ভিসা দানের সুযোগ দিচ্ছেন। অর্থাৎ নিজের সুবিধার্থে, বাংলাদেশকে সুযোগ দিতে নয়।
আপনার বোঝার গভীরতা ও বাংলা লেখার হতশ্রী চেহারা দেখে আপনাকে বরং বাংলা ভাষা শেখানোর কাজ দেই। রবীন্দ্রনাথের 'সহজ পাঠ' ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের 'বর্ণপরিচয়' বই দুটো এখন থেকে দুবেলা পাঠ করুন।
গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং বলে একটা শব্দ জীবনে কখনো শুনেছেন? না শুনে থাকলে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আপনাকেও উপরে অগ্নিবেশের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গোশালাতে বাকি জীবন পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পাকা।
বাংলা ব্লগে এসে একটা নির্ভুল বাক্য লিখতে পারেন না।আগে বাংলাটা শিখুন।
১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
বাউন্ডেলে বলেছেন: শেখ হাসিনা বা আওয়ামীলীগের দলবাজী ও কুটনীতি সবসময়ই বাংলাদেশের স্বার্থে হয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে মোদী বা কিমের মতো রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে অথবা যে কোন রাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সুবিধা পেলেই হলো। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা নেয়ার মতো দল আওয়ামীলীগ ব্যাতিত আর কোন দল নাই। ইসলামের নামে চরিত্রহীন মোনাফেক ভন্ডরা এমনিতেই দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করতে প্রানান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য আরেকটি আফগান্স্তিান, পাকিস্থানের জন্ম দেয়া। কিন্তু দেশের মানুষের সচেতনতার কারনে তাদের মনস্কাম পুর্ণ হচ্ছে না এবং অদুর ভবিষ্যতে হওয়ারও কোন সম্ভাবনাই নাই। কে বা কোন দেশ গোমুত্র,উষ্ঠমুত্র খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুললো তাতে এ দেশের আম পাবলিকের কিছুই যায় বা আসে না।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আপনি বেশ ভালো কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
"শেখ হাসিনা বা আওয়ামীলীগের দলবাজী ও কুটনীতি সবসময়ই বাংলাদেশের স্বার্থে হয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে মোদী বা কিমের মতো রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে অথবা যে কোন রাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সুবিধা পেলেই হলো। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা নেয়ার মতো দল আওয়ামীলীগ ব্যাতিত আর কোন দল নাই।" - একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ভালো মতামত তুলে ধরেছেন।
কিন্তু ভাইয়া বারো বছরেও তিস্তা বা ফারাক্কা সমস্যা মোদিজী মেটালেন না। তাইবলে একবারো সম্ভব নয় বলে উড়িয়েও দিলেন না।অথচ শেখ হাসিনা সমানে আশাবাদী জলবন্টন সমস্যা মেটাবেনই।এটাকে আপনি কি চোখে দেখেন?
কমেন্টে অপর একটি দিক-
"ইসলামের নামে চরিত্রহীন মোনাফেক ভন্ডরা এমনিতেই দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করতে প্রানান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য আরেকটি আফগান্স্তিান, পাকিস্থানের জন্ম দেয়া।"কিন্তু ভাইয়া আপনারা কি আগামীতে মোনাফেকদের আটকাতে পারবেন? আমরা ভারতকে যে ইতিমধ্যে আফগানিস্তান বানিয়ে ফেলেছি।
১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫
আরোগ্য বলেছেন: বেশ সাহসী পোস্ট। সেই সাথে কঠিনও বটে। তুমি এরকম পোস্ট করবে এটা চিন্তার বাইরে ছিলো। কি মন্তব্য করবো ঠিক বুঝতে পারছি না। এদেশে বরং সংখ্যাগরিষ্ঠরাই নিপীড়িত। মুসলিম হয়ে দাড়ি রাখতে হলে অনুমতি লাগবে অন্যথায় চাকুরী পাওয়া মুশকিল, হিজাব নিকাব পড়লে ভার্সিটিতে ক্লাস করা দায়, শরীয়তের বিধানগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করলে পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত বাঁকা চোখে দেখার প্রবণতা, হেনস্তার শিকার হওয়া, জঙ্গির তকমা লাগিয়ে দেয়া। সাধারণত প্র্যাকটিসিং মুসলিম আর নন প্র্যাকটিসিং মুসলিম নামে মুসলমানদের শ্রেণীকরণ করা হয়। আমি নন প্র্যাকটিসিং দের আরো দুই ভাগে ভাগ করতে চাই, ডোন্ট কেয়ার মুসলিম আর কেয়ারিং মুসলিম। কেয়ারিং মুসলিম বলতে তাদের বুঝাচ্ছি যারা আদৌতে ধর্মকম্ম পালন করতে না পারলেও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ পোষণ করে, ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ সমর্থন করে না, প্র্যাকটিসিং মুসলিমদের সম্মান করে, জঙ্গি খেতাব দেয় না। অপরপক্ষে ডোন্ট কেয়ার মুসলিম হচ্ছে গরু খাওয়া নামের মুসলিম, যাদের কাছে ধর্মীয় কানুন ডাণ্ডা বেড়ির মত মনে হয়, প্র্যাকটিসিং মুসলিম দেখলে গাত্রদাহন হয় এবং অন্তরের জ্বালা মিটানোর জন্য যাচ্ছেতাই উপাধি প্রদান করে, এদেরই বোধ হয় মুক্তমনা সেকুলার বলে।
ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি এটা ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। আমার পরিবার থেকেও তা ই শিক্ষা পেয়েছি। হিন্দু বন্ধুবান্ধবের বাসায় আসা যাওয়া খাওয়া, খ্রিস্টান বান্ধবীর রোজার মাসে বাসায় ইফতার করা কোন নিষেধ নেই। আমার যতদূর ধারণা হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ ত্যাগ করেনি বরং ভারত প্রীতির জন্য করে।
একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে অনেকের মন্তব্য পড়ে আমি মর্মাহত। বিবিধ দেশ ও তাদের রাজনীতি বিষয়ে আরো মন্তব্য করা যেত যেহেতু আমি এ বিষয়ের শিক্ষার্থী তাই না লেখাই শ্রেয় মনে করলাম। সর্বাবস্থায় দেশের ও দশের মঙ্গল কামনা করছি।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এটাই তো এক নির্মম পরিহাস। ভারতের উগ্র হিন্দুরা তাদের মতো করে সংখ্যলঘু নির্যাতন করবে আর প্রতিবেশী দেশে জামাই আদর পাবে।লীগ এদের তোল্লা দিয়ে মাথায় করে রেখেছে।ওরা এবার ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশেও বজরংবলী বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্যদের দেশের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ করতে চলেছে।অপ্রিয় হলেও এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে ওদেশের সংখ্যাগুরুদের নিজদেশে পরবাসী হয়েই কাটাতে হবে।
তুমি দেখতেই পাচ্ছো বজরংবলী আরএসএস ইতিমধ্যে এই পোস্টে ঢুকে গেছে। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা তোল্লা পেয়ে এরা ৯২% সংখ্যাগুরুর মাথায় চড়ে বসেছে।
ভালো থেকো। শুভেচ্ছা জানবে।
১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: হাসান কালবৈশাখীর কমেন্ট পড়ে স্তম্ভিত!!! চরম লজ্জিত বোধ করছি এপারের একজন ব্লগারের এমন নিল্লজ্জ কমেন্টে।
ভারতকে চরম সাম্প্রদায়িক উগ্রহিন্দু রাস্ট্রে পরিনত করেছে মোদি। যদিও বলা হয় যে ভারত একটি গনতান্ত্রিক দেশ কিন্ত গনতন্ত্রে যে সব নীতিমালা মানতে হয় তা ভারতে এখন আর চর্চা হয় না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে যে , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, মূলত মুসলিমদের ওপর আক্রমণের ঘটনাও অনেক বেড়ে গেছে। গনমাধ্যমের স্বাধীনতাও নেই। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) গত মে মাসে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডমের যে সর্বশেষ সূচক বা ইনডেক্স প্রকাশ করেছে, তাতে ভারতের অবস্থান ১১ ধাপ নেমে গেছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের র্যাঙ্কিং এখন ১৬১। সম্প্রতি জি২০ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছিলেন যে তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের সময় আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলন না-হোক, অন্ততপক্ষে একটি ‘প্রেস পুল স্প্রে’-র ব্যবস্থা করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন – কিন্তু সেই অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়।এই ধরনের ‘প্রেস পুল স্প্রে’ হোয়াইট হাউসে নিয়মিতই হয়, যেখানে একঝাঁক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা সফররত বিশ্বনেতাদের প্রশ্ন করার সুযোগ পান। তথ্য সুত্র ঃ বিবিসি বাংলা
তবে ভারত সরকারের সমালোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আটকাতে পারলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিয়েতনামে গিয়ে ভারতের নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার হাল নিয়ে ঠিকই মুখ খুললেন বাইডেন। জানিয়ে দিলেন, দেশকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে এই বিষয়গুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেই হবে ভারতকে। সুত্র প্রথম আলো
গনমাধ্যমে এসব খবর দেখে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু মুসলিম ও দলিত সম্প্রদায়ের উপড় সাম্প্রদায়িক হিন্দুদের মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখেও যারা মোদী সরকারের গুনগান গায় তারা হয় চরম সাম্প্রদায়িক অথবা সরকারের সুবিধাভোগী শ্রেনী।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাসান কালবৈশাখীর কমেন্ট মানে একচোখা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আরকি। অবশ্য চোখা চোখা কমেন্ট করতে গেলে ভিতরে যে ক্ষুরধার সারমর্ম থাকা দরকার। এখন কারোর যদি ভিতরে মশলা কম থাকে তাহলে তার কাছ থেকে আর সুগন্ধি আশা করা যায় না। কাজেই আপনার কাছে ওনার কমেন্ট অপ্রত্যাশিত মনে হলেও আমার কাছে স্বাভাবিক লেগেছে। আমি যাদের চোখ কান খোলা আছে তাদেরকে পছন্দ করি,সম্মান দেই। কিন্তু একচোখারা বা বুদ্ধিটা যাদের হাঁটুতে আটকে আছে তাদেরকে ভীষণ অপছন্দ করি। তাদের ব্লগ থেকে সহস্র হাত দূরে থাকি।
ভাইয়া আপনি বিদেশে থেকেও কমেন্ট থেকে পরিষ্কার যে ভারতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।যৌক্তিক আলোচনা করলে এটাই দরকার। অথচ বস্তাপচা কাসুন্দি ছিটিয়ে নিউলের গন্ধ নিবারণের চেষ্টা করলে তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না মোদিজীর ধাপ্পাবাজি ফন্দিফিকিরকে যৌক্তিক রূপ দিতে হনুমান বাহিনী মাঠে নেমেছে।
যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের সামনে বিচারাধীন বন্দিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা, বেআইনের গল্প ফেঁদে একেরপর এক সংখ্যালঘু বাড়ি, সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া,লভ জেহাদের দোহাই দিয়ে ইন্টার রিলিজিয়ান বিবাহিত কাপলদের মানসিক শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা, কর্মক্ষেত্রে মুসলিম কর্মীদের ছলেবলে চাতুরিতে নিগ্রহ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সংখ্যালঘুদের বদ্ধভূমিতে পরিণত করে ফেলেছে।
মোদির ভারত অমিত শাহের ভারত রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের দোহাই দিয়ে আগত হিন্দুদের জামাই আদর করে নাগরিকত্ব দান করে স্বাগতম জানালেও প্রতিবেশী দেশগুলোতে অত্যাচারী মুসলিমদের জন্য এরকম কোন নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা নেই এই সহজ সারমর্মটুকু ন্যূনতম কাণ্ডকার থাকলেই বোঝা যায়। এখন যাদের এটুকু বোধবুদ্ধি নেই তাদের সঙ্গে তর্ক জোড়া মানে এঁদো হাম্বার সঙ্গে গুঁতোগুতি করতে লাগা।
কাজেই সম্মান জানাই যৌক্তিককে, এঁদো বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে নয়।
১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সংখ্যাগুরুদের মনমর্জি না বুঝে চললে রাজনীতি করা যায় না। ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সে মতোই চলে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত আপনার সাথে সংখ্যাগুরুদের মনমর্জি বুঝে চললে সমস্যা কম হয়। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং, আমার জানামতে পার্টিশনের আগের।
আপনি যুক্তির ধার কাছে না যেয়ে অপমানজনকভাবে আমাকে ক্লাস ওয়ানের বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষা করার নছিয়ত করছেন।
কোন নম্রতা ভদ্রতা নেই।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার যুক্তিবোধ আছে বলে আপনার কমেন্ট দেখে মনে না হবার জন্য আপনাকেও আমি যৌক্তিক সম্মান দেখাতে পারিনি। আমি একচোখা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পছন্দ করিনা। তাদের ব্লগ থেকে সহস্র হাত দূরে থাকি। এখন কেউ যদি তার ভোঁতা অনুভূতি নিয়ে ভুল করে আমার ব্লগে চলে আসে সে দায় তো আমি নিতে পারিনা। কাজেই ক্ষুরধার সারমর্মকে সম্মান জানাই; একচোখা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের এড়িয়ে চলি। জ্ঞানতো আপনার পোস্টে আমি কোনো মন্তব্য করিনা, আপনিও আমার পোস্টটা এড়িয়ে চলুন। ফাইন দ্যাটস ওকে।
১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০১
অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখকের উগ্রতা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে এইবার বারাসাতেও বুলডোজার চলবে। এক ধর্মান্ধরা ক্ষমতা পেয়ে আরেক ধর্মান্ধদের বাড়ি ভাংগবে। আমারা সেকু মাকুরাদের কিইবা করার আছে? মজা দেখা ছাড়া। বড্ড বাড় বেড়ে গিয়েছিলেন, ছ্যাচা না খেলে শোধরাবেন না। জাতীয় সংঙ্গীত টাও গাইতে চান না। সহাবস্থানও বোঝেন না। পাকিস্তান জিতলে বাজী ফাটান। সেকু মাকুরা গত ৩০ বছর ধরে আপনাদের শিক্ষিত করার চেষ্টা করে গেল, মাদ্রাসাগুলো পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা র আওতায় নিয়ে এসে অঙ্ক বিজ্ঞান শেখানোর চেষ্টা করা হল। স্কুল কলেজ ফ্রী করা হল, হাসপাতাল ফ্রী করা হল। তার পরেও কোনো কিছু শিখতে পারলেন। সরকারের ফ্রী শিক্ষা ছেড়ে, বেহস্তের আশায় আরবের খয়রাতির টাকায় তৈরি মাদ্রাসাতে নিজেদের ছেলেদের দিলেন, অঙ্ক, বিজ্ঞান ছেড়ে শুধু আল্লা বিল্লা শেখালেন। পর্দার দোহাই দিয়ে, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে রাখলেন। তারপরেও উন্নতি চান? সেকু মাকুরা আর আপনাদের বাঁচাবে না। আল্লহকে ডাকুন, সেই আপনাদের রক্ষা করবে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইযে হাম্বা হাম্বা করতে করতে আবার চলে এসেছেন।বোঝাই যাচ্ছে শেখ হাসিনার তোল্লা পেয়ে ওদেশে বজরংবলী আরএসএস বিশ্ব হিন্দুপরিষদ মাথায় চড়ে বসেছে। তবে হাম্বা আপনি যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে পরিচিত নন তা কমেন্ট থেকেই পরিষ্কার। পশ্চিমবঙ্গে এখনো মাদ্রাসা শিক্ষা চালু আছে।আলিম ফাজিল ডিগ্রি বহাল তবিয়তে আছে।গতবিধানসভা নির্বাচনে মোদিজী অমিত শাহ ডেইলি প্যাসেঞ্জারী করলেও ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট।আর এবার তো দিল্লি থেকেই ঝেঁটিয়ে বিদায় করার সুযোগ এসেছে।
পাশাপাশি মনে করিয়ে দেই,এখনো এই রাজ্যে গরুর গোশত খাওয়ার সুযোগ আছে। এখন নিজেই খাবেন না কি হাসিনার সরকার পড়ে গেলে খাবার হবেন সেটা ভবিষ্যৎ বলবে।
নিজের পোস্ট যতখুশি ল্যাদান। তবে আমার পোস্টে এরপরে এলে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবো।
১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ অগ্নিবেশ , নিজেকে সেকুলার দাবী করে আর মানুষ হাসাবেন না।
বড্ড বাড় বেড়ে গিয়েছিলেন, ছ্যাচা না খেলে শোধরাবেন না
বিতর্কে নেমে এই যে দাবড়ানি দিলেন এই হচ্ছেন আপনারা। সাম্প্রদায়িক হিন্দুরাই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশাষন নিয়ে আজে বাজে মন্তব্য করে এভাবেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উসকানি দেয়। তা নাহলে বেহশতের আশায় কে মসজিদ , মাদ্রাসা বানাবে, কে পর্দায় দোহাই দেবে তা বিশ্লেষনে আপনার কাজটা কি ?
আমার প্রতিবেশি স্বামী স্ত্রী দুইজনেই ইন্ডিয়ান ডাক্তার । স্বামী স্ত্রী দুইজনেই বিদেশের হাসপাতালে খুব ভাল চাকুরি করে। একদিন হঠাৎ তাদের দরজার বাইরে দেখি যে এক জটাধারী ধর্মীয় গুরুর পা ছুয়ে স্বামী স্ত্রী দুইজনেই সটান শুয়ে আছে । দুই চোখকে প্রথমে বিশ্বাষ করতে পারছিলাম না যে ঠিক দেখছি কিনা । এত উচ্চশিক্ষিত বড় ডিগ্রীধারী ডাক্তারদের এ কি অবস্থা!! কিন্ত না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। তারা খুবই ধর্মপ্রান হিন্দু বলে জানতাম, কিন্ত এতখানি আশা করি নাই। যাই হোক এটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে ধর্মীয় বিশ্বাষের কারনে কখনো তাদের সাথে প্রতিবেশি সুসম্পর্কে ফাটন ধরেনি। কারন এর নামই সহবস্থান ।
আপনি এই ব্লগে নিজেকে একজন চরম ইসলাম বিদ্বেশি একজন উগ্র হিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নাস্তিকতাকে ইউজ করছেন জাস্ট ক্ল্যমোফেজ হিসেবে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"যখন তুমি কোন ভদ্রলোকের সাথে খেলবে তখন তোমাকে ভদ্রলোক হতে হবে, যখন তুমি কোন বেজন্মার সাথে খেলবে তখন অবশ্যই তোমাকে তার চাইতে বড় বেজন্মা হতে হবে। নচেত পরাজয় নিশ্চিত।- বঙ্গবন্ধু বিখ্যাত কথাটি আমি হৃদয়ে লালন করি।
ওদের নিজস্ব কোনো যুক্তি নেই। নাথুরাম গডসে যে যুক্তি দিয়ে গান্ধীজীকে হত্যা করেছে সেই এক কাসুন্দি এতো বছর পরও আউড়ে যাচ্ছে। দেখুন না এবারে ওপারে কি হয়? এমনিতেই এরা ওদেশে খেয়ে পড়ে বড় হয়ে ভারতে এসে বাংলাদেশ বিরোধীতা ষোল আনার জায়গায় আঠারো আনা চালু রাখে।এই সব তোল্লা আর এস এসদের ভারতেও নাগরিকত্ব ফ্লাটবাড়ি সব তৈরি। একসঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্ব ভোগ করে।যেই একটু সমস্যায় পড়বে টুপ করে কলকাতায় পালিয়ে আসবে। আপনাদের একজন চিপ জাস্টিস ছিলেন না।কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।এরা থাকবে বাংলাদেশে অথচ জাতীয়তাবাদ ভারতের। হাজার হাজার এরকম নেমকহারাম ওদেশে সরকারের তোল্লায় আছে।।এগুলোও সব একি ফন্দি ফিকির করছে।তবে যদি ক্ষমতার পালাবদল হয় তাহলে ধরে ল্যামপোস্টে বেঁধে গনধোলাই ফ্রি।
১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩১
অহরহ বলেছেন: আপনি বলেছেন : "ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ এটাই সবচেয়ে বড় ধোঁকা। ভারতের প্রত্যেকটা রাষ্ট্রীয় দপ্তর রেল, পোস্ট অফিস,ব্যাঙ্ক, হসপিটালে, কোথাও গনেশ পূজা,শিব পূজা, বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজো এসব দিয়েই দৈনিক কার্যক্রম শুরু হয়।"
তো, এর সাথে ভারতের সংবিধানের যোগসূত্র কোথায়! মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ধর্মবোধ থাকতেই পারে, সমস্যা কী?
কিন্তু ভাইয়া, ভুতের মুখে রামরাম!! সেই কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয় মাইকের শব্দ দূষণ : "কান ঝালাপালা বিরামহীন ভেড়ার ডাক"। তারপরও ভারতের গনেশ, সরস্বতী নিয়ে এত এলার্জি? নিজের চেহারা খানা কখোনো আয়না দিয়ে দেখেন? হা হা হা.... give me a break.
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কর্মক্ষেত্র সহ সরকারি দপ্তরে মূর্তি পূজা দেখতে এলার্জি। খুব ভালো কথা,তো আপনার দেখছি একদম অ্যালারজি নেই।তাহলে
মুসলিম, মুসলমান -এসবে যে আপনাদের জলাতঙ্ক হয় এখন প্রমাণ পেলাম। একবার বলছেন,
" মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ধর্মবোধ থাকতেই পারে, সমস্যা কী?"তাহলে আপনার মধ্যে এতো উগ্রতা, সহিংসতা,ঘৃণা ভাষণ পোস্ট ও কমেন্টের মধ্যে ইতিমধ্যে তুলে ধরেছেন কেন? র্যাবিস ভ্যাকসিন নিন।"সেই কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয় মাইকের শব্দ দূষণ : "কান ঝালাপালা বিরামহীন ভেড়ার ডাক।" এই হলো উদারতার নমুনা!!!?????
শুনুন আপনার বিদ্যার বহর বোঝা গেছে।এতো স্ববিরোধী বক্তব্য নিয়ে নিজেই ঠিক করুন নিজে কি চান...
পারলে র্যাবিস ভ্যাকসিন নিন। সঙ্গে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হোন। সুস্থ হয়ে ব্লগে ফিরুন।
অসুস্থ অবস্থায় এবার এলে ঘাড়ধাক্কা নিশ্চিত ...
নিজের পোস্ট মতো খুশি ল্যাদান।
২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রিয় পদাতিক চৌধুরি,
আপনাকে অভিন্দন অত্যন্ত সাহসী এ পোস্টটির জন্য। যতদূর বুঝতে পারি আপনাদের ওখানে বিশ্বাবিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষিত শ্রেণী মৌলবাদকে পছন্দ করেনা। কিন্তু তাহলে কি হবে? সংখ্যাগুরু ধর্মান্ধ্য বোকা লোকদের গোমূত্র খাইয়ে ধোকা দিয়ে অত্যন্ত সুচতুর কৌশলে ঠিকিই দিল্লি শাসন করছেন তথাকথিত ধর্মগুরুরা!
আমাদের এখানে অবস্থা অবশ্য অতটা খারাপ না। এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক ধার্মিক হলেও ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতি তাদের পছন্দ নয়, বিগত দিনের নির্বাচনী ফলাফলে এটা মোটামোটি পরিষ্কার। যদিও চতুর মৌলবাদীরা কৌশলে ধার্মিকদের ব্যাবহার করার চেষ্টা করেই যাচ্ছে তথাপি ফাইনালি তারা সফল হবেনা বলেই বিশ্বাস করি।
অনেক অনেক শুভকামনা। ভাল থাকবেন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গেঁয়ো ভূত,
ভাগ্যিস আপনি পোস্টটি দিতে বলেছিলেন নইলে ব্লগের উগ্রবাদী আর এস এস,বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা বজরংবলীদের সামনাসামনি দেখা হতো না। তবে ব্যাটারা এতোটাই উগ্র এখনো নাথুরাম গডসের হত্যার সময়কার ঘোরের মধ্যে আছে। পশ্চিমবঙ্গে আমরা ওদেরকে এখনো পর্যন্ত রুখে দিতে পেরেছি। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারের তোল্লা পেয়ে আপনাদের মাথায় চড়ে বসেছে।খাবে থাকবে না ওদেশে আর ঢেকুর তুলবে ভারতে এসে।যতো রকমের অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে আপনাদেরকে ফোকলা করে ওরা এদেশের আধার কার্ড,পাশপোর্ট,ফ্লাট বাড়ি জমি জায়গা কিনে রাখছে।একটু তাড়া খেলেই পালিয়ে সোজা ভারতে। আপনাদের এক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তো ওদের অনুপ্রেরণা। একসঙ্গে দুটি দেশের নাগরিকত্ব ভোগ করছে। এমতাবস্থায় এদের কাছ থেকে যতো দ্রুত সম্ভব সমস্ত আর্থের হিসাব না নিলে পলাশীর লুন্ঠনের মতো বাংলাদেশ লুন্ঠন অবশ্যম্ভাবী।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।
২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, আসল জায়গাতে হাত দিলেই আমি হয়ে যাই হিন্দু আর আপনি হয়ে গেলেন সূফী সাধক। হিন্দু মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ার একটাই অস্ত্র আছে, সেটা হল শিক্ষা। নিজেদের জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত করুণ। দেশের হয়ে কাজ করুণ। পৃথিবীর বোঝা না হয়ে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যান। এভাবেই সম্মান আদায় করতে হয়। একাবিংশ শতকে আর একটাও মহাত্মা গান্ধী পাবেন না, যে কিনা সারা জীবন মুসলমান তোষন করার জন্য নিজেদের জাতি ভাইদের হাতেই খুন হন। একটা সময় ভারতে সেকুলাররাই ছিল মুসলমানদের রক্ষা কবচ, এখন তারাও হতাশ। যারা নিজের ভালো চায় না তাদের আর কে ভালো চায়?? ধর্মান্ধদের মধ্যে এই যুদ্ধে অবশ্য কোনো শাহরুখ খান আমির খান মারা পড়বে না, মারা পড়বে কিছু মুসলমান শ্রমিক, আর বাংলাদেশে যে পাঁচটা হিন্দু আছে তাদের আর দেশে থাকা হবে না। আমি চাই বাংলাদেশে শরীয়া চালু হোক, ভারত হোক রামরাজ্য। পাকিস্তান আফগানিস্থান ত এমনিতেই মুসলমান রাষ্ট্র, তবেই শান্তি আসবে। কারন ভারত উপমহাদেশ ধার্মিকে ছেয়ে যাবে। আমি নাস্তিক অনেক আগেই দেশ থেকে পালিয়েছি। আপনারা এখন মনের সুখে নমাজ, রোজা, পুজা করে আমাদের উদ্ধার করুন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাম্বার বাচ্চা। এই সব বস্তাপচা কাসুন্দি নিজের ব্লগে যতখুশি ল্যাদান। একটা পরামর্শ দেই,গুরুর গোস্তের অকাল চলছে। হাসিনার সরকার না থাকলে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটা মোরগের কাহিনী' র মতো সুস্বাদু খাবার টেবিলে জায়গা হবে বলে রাখলাম। তখন কিন্তু আর ল্যাদানোর সুযোগ থাকবেনা।
এই পর এলে ঘাড়ধাক্কা নিশ্চিত।
২২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার, তর্কাতর্কিটা যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে প্লিজ।
কেউ ভুল ভাল তথ্য দিয়ে আক্রমন করবেন না। পদাতিক ভাই- ব্লগার হাসান কালবৈশাখির উপরে আপনার আক্রমনের ধারটা বেশী হয়ে গেছে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
এদেশের আর এস এস , বজরংবলী,বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্যদের চিনি জানি। ওদের সাথে কোনো তর্কাতর্কি করা যে বৃথা সেটাও বুঝি।ব্লগে এসে তাই কেউ এই লাইনে কথা বললে বুঝতে বাকি থাকে না যে এখন আমার করণীয় কি।যৌক্তিক আলোচনা সাধুবাদ যোগ্য। কিন্তু এরকম একচোখা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের আমি এড়িয়ে চলি। এখন কেউ যদি আগে বাড়িয়ে গায়ে গা ঠেকিয়ে ঝগড়া করতে আসে সেটা যে আর যাইহোক তার্কাতর্কি নয় সেটা বুঝে প্রয়োজনীয় যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিতে হবে।আর যাইহোক বাঁদরকে তো মাথায় চড়তে দেওয়া যায়না।কি বলেন?
২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক দা আপনার পোস্টটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। কালকে পড়ার পরে মন্তব্য করবো।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাচু ভাই কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই পোস্ট এর কমেন্টস এ আপনাকে একটু বেশি এগ্রেসিভ মনে হলো! নিশ্চয়ই কোন কারন আছে?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কারণ তো থাকতেই পারে। আবার কমেন্টে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।
২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার সব রিপ্লাই দিয়েছেন। আপনার জিহ্বা........থুক্কু, আঙ্গুলে যে এতো ধার আছে আগে জানতাম না তো!!!
যাই হোক, কোন নির্দিষ্ট প্রতি-মন্তব্যের কথা বলবো না। শুধু বলবো, হামাসের রকেট মারা যেন অব্যাহত থাকে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই পোস্টটা না দিলে ব্লগের বজরংবলীদের চিনতে পারতাম না। কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।
২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া ভাইয়ের মন্তব্যে একশত ভাগ সহমত। তোমার পোস্ট আর প্রতিত্তোর দেখে আমিও হতবাক। পানি মাথার উপর দিয়ে গেলে।যা হয় আরকি।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবারো কমেন্টে আসার জন্য আবারো ধন্যবাদ তোমাকে। আপাতত আর কোনো কমেন্ট এই পোস্টে নিচ্ছিনা। ভালো থাকবে। শুভেচ্ছা জানবে।
২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
করুণাধারা বলেছেন: আসলে বিজেপিকে নকল করে ঢাকার সিংহাসনের দায়িত্ব মুসলিমদের হাতে তুলে দেয়াটা আমাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। যিনি সিংহাসনে বসবেন এটা তার বিবেচনা। তিনি মুসলিম হবেন অবশ্যই, কিন্তু সাম্প্রদায়িক নন বলেই ধারণা করি।
আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু, লেখনী ভালো লেগেছে। শানিত এবং বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিমন্তব্যগুলো পড়লে বোঝা যায়, আপনি এ বিষয়ে ভালো ধারণা রাখেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনে ধর্মাশ্রয়ীরা পাত্তা পাবে না মনে হয়।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনি খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করেছেন। এটাই তো সুস্থ স্বাভাবিক একজন মানুষের করনীয়। বাসভূমি কখনোই ধর্ম দিয়ে আরেকজনের কাছে বধ্যভূমিতে পরিণত করা সভ্য সমাজের কাছে কাম্য নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটাই ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ অবলীলায় করে ফেলছে। ভারতীয়রা শিক্ষা নাকি অনেকটা উন্নত।আর এটাই বা ধর্ম তাহলে উন্নয়নের সূচক? আমার ক্ষেদোক্তি ঠিক এখানেই। লেখাপড়া শেখা একটা জাতি আরেকটি সম্প্রদায়ের উপর এতোটা পাশবিক নির্যাতন করেও ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কেমনে? তাহলে পরোক্ষভাবে স্বীকার করতেই হবে সংখ্যালঘু নিপিড়নে তারা নিশ্চয়ই আমোদিত।তাইজন্য তারা ঢেলে ভোট দিচ্ছে।
বাংলাদেশের জনগণের কাছে তাই আমার আইরনীক্যালি জিজ্ঞাসা ছিল।যদিও তার উত্তর সুন্দর করে আপনি দিয়েছেন। আমরা জানমালে নিপিড়িত হলেও কখনো মন থেকে চাইবো না অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের উপর আমাদের মতো সংহারের খাড়া নেমে আসুক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: এক জাতি গোমুত্র খোর আরেক জাতি উটের মুত্রখোর এই যা পার্থক্য।গরুর মুত্র বোতলজাত করে বিক্রয় হয় উটের মুত্র বোতলজাত করে বিক্রয় হয়।