![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
*গা শিউরে ওঠার মত ঘটনা... বাংলাকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে? পড়ুন বিজেপির নিজেদের মধ্যেকার এক ব্যক্তির ফাঁস হওয়া মেসেজ..*
-------------------------------
আমায় আমার নাম, পরিচয় প্রকাশ করতে অনুরোধ করবেন না। চাকরি সহ জীবনটাও সংশয়ে পড়ে যাবে। আমার হাতে এখন ৪০ মিনিট সময়। এটা লিখছি কেবল আমার মাতৃভূমি পশ্চিমবাংলার স্বার্থে।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা চলছে। আপনারা ইতিমধ্যেই জানেন তাতে কিছু মানুষ নিহত। প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। আমি আপনাদের শুধু এটুকু বলে রাখি, সবে ট্রেলার দেখেছেন, আরও অনেক অনেক অনেক কিছু হতে বাকি। আমার লিখতে গিয়ে হাত কাঁপছে, জানিনা গোটাটা লিখতে পারব কিনা। ক্ষমতার জন্য সব সম্ভব, সব। এতদিন শুনতাম, আজ চোখে দেখলাম।
আসল কথায় আসি। তার আগে বলি, মমতা, সুজন, সেলিম, অধীর সবাই আমার কাছে সমান। আমি বিজেপির সরাসরি সদস্য না হলেও নিজে একজন হিন্দুত্ববাদী। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পেছনে এই অধমেরও কম ভূমিকা নেই। ২০১৭ উত্তরপ্রদেশে বিজেপি যখন প্রথম বার ক্ষমতায় এলো, আমি তখন স্টেট ইনচার্জের টিমের অংশ ছিলাম। আমিই সম্ভবত হাতে গোনা বাঙালির মধ্যে পড়ি যাদের কয়েকজনকে এরা গুরুত্ব দেয়। এরা সুকান্ত মজুমদারকে পাত্তা দেয়না। শুভেন্দুর পার্সোনাল সেটিংয়ের জন্য ও কিছুটা ভেসে আছে শাহের কাছে। বাকি বাংলার নেতাদের ওরা খিস্তি করে শুধু। যতটুক শুনেছি, মধ্যবঙ্গের একটা নতুন লোক আরএসএস থেকে আসছে তাড়াতাড়ি।
যাইহোক, প্রথমে দিলীপ, তারপর শুভেন্দু, তারপর সুকান্ত, ওরা মনে করে বাংলার নেতাদের অপদার্থতার জন্যেই বিজেপি বাংলা জিততে পারছে না। হেমন্ত বিশ্বশর্মার মত একজন নেতা এরা বাংলায় খুঁজছে।
আসল কথার আগে এতগুলো কথা বলার একটাই কারণ; আমি বিরোধীদের লোক নই। পার্টি মেম্বারশিপ না নিয়েও যে বছরের পর বছর নিজের ব্যবসা সাইডে রেখে পার্টিকে সার্ভিস দেয় সে আর যাই হোক বেঈমান নয়! বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় আমার বয়স ২৫ বা ২৬ হবে। মসজিদের গম্বুজের মাথায় উঠে নাচা ব্যক্তিদের মধ্যে এই অধমও একজন। সিনিয়র সিটিজেন হওয়ার মুখে দাঁড়িয়েও বলতে পারি People like me can sacrifice anything for ideology.
এবার আসল কথা। বাংলার নেতাদের সম্পূর্ণ অকর্মণ্যতার কারণে ছোট বস নিজে এবার বাংলার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার এবং কয়েকজনের সাথে কদিন আগে ছোট বসের আপ্তসহায়কের একটা মিটিং হয়েছে। ওরা এবার আমায় বাংলায় কাজে নামতে রিকোয়েস্ট করেছেন। আমি ওদের থেকে প্ল্যান জানতে চাই ঐদিন। আমায় বলেনি। বলল "হাম ওয়াহী বানারাহে হ্যায়। হো জায়গা তো বাতা দেঙ্গে। লেকিন ইসবার লেকে রহেঙ্গে বেহেঞ্চোদ"। ওর ভাবভঙ্গিতে একটা অ্যাগ্রেসন ছিল। ওর এই reaction মানে ওর বসের আরও কতটা!!! আমারও ভালো লাগল যে ফাইনালি বাংলা নিয়ে এরা সিরিয়াস হয়েছে! যাই হোক।
তো সেদিন আমরা চলে এলাম। দিন ১৭-১৮ পরে আমি তখন আমার শালার ছেলের পৈতের অনুষ্ঠানে। রাত্রি ১- টা নাগাদ ফেসটাইমে কল করল। বলল কালকেই যেতে হবে, একসাথে বসবে। কিন্তু সেদিনের সবাই থাকবে না। "ওনলি সেভেন ম্যান উইল বি দেয়ার"..
পরের দিন অ্যাড্রেস মেসেজ এলো, নয়ডার একটা পাঁচতারা হোটেলে সুইট রুমের। গেলাম। পুরোটা শুনলাম। হঠাৎ মিটিংয়ের শেষে ওর ফোনে ছোট বসের কল। ও ফোন স্পিকারে করল। বস আমাদের উদ্দ্যেশ্যে বললেন যার বাংলা হয়, "আপনারা কিন্তু কোর গ্রুপের মেম্বার এই অপারেশনের। তিন দশক ধরে পার্টি আপনাদের পরীক্ষা করেছে। তাই আজ বিশ্বাস করছে। যান কাজে লেগে পড়ুন, বাকিটা আমি দেখব"
বেরিয়ে আমার শরীর খারাপ লাগছিল। This is the first time I've heard something like this! আমি এই লেখাটা এতদিন দেখিনি কারন আমার মনে হয়েছিল এরা হয়তো বাংলা নিয়ে এর আগেও এরকম অনেক প্ল্যানিং করেছে কিন্তু বিভিন্ন কারণে, এক্সিকিউশনের দোষে সফল হয়নি। যেগুলোর অংশ হয়তো আমি ছিলাম না, তাই জানিনা। আগের ৩-৪ বার যখন পারেনি, এবারও ব্যাপারটা জাস্ট প্ল্যানিং অবধিই হয়ত সীমাবদ্ধ থাকবে! কিন্তু না.. আজকে যখন একে একে খবরগুলো পাওয়া শুরু করলাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, আর তারপরই যখন ছোট বসের পিএর ফোন পেলাম "নেক্সট স্টেপ" নেওয়ার অর্ডারের, আমার বুঝতে অসুবিধা হল না এবার প্রজেক্ট ফেল করেনি। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম লিখে ফেলতে হবে এটা। আজকে সকালে টেলিকম কোম্পানিতে কাজ করা বন্ধুকে ধরে বিনা ডকুমেন্টে নতুন সিম নিয়েছি, একটা নতুন ফোন নিয়েছি। শুধু এই লেখাটা লিখে আমার জীবনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুটাকে পাঠাবো বলে। ওর দায়িত্ব আপনাদের সবার কাছে এটা পৌঁছে দেওয়া। আমি নিশ্চিত আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছো মানে ফোন ট্যাপ করে রেখেছে।
(আবার ৯ ঘন্টা পর লেখাটা শুরু করছি। তখন লেখাটা থামিয়ে দিয়েছিলাম। নিচে গাড়ি চলে এসেছিল। আবার যেতে হয়েছিল। লেখাটা আগে কমপ্লিট করি...)
মোদ্দা কথা শুনুন। কয়েকদিন আগে বড় বসের সাথে বাংলাদেশের বড় বসের মিটিং হয়েছিল দেখেছেন ব্যাংককে? শুনলাম, হাসিনাকে ওই দেশে আবার এস্টাবলিশ করার যে চিন্তাভাবনা ছিল, সেটা থেকে আপাতত বস সরে এসেছেন। আলোচনার কিছু অংশ ছিল অবশ্যই চীন, পাকিস্তান কেন্দ্রিক। কিন্তু আরেকটা ছিল সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক! বড় বস বাংলার তিস্তার জল ঐদিকে দেবেন। এটা ওপারের বসের জন্যেও বড় পলিটিকাল উইন হবে সেক্ষেত্রে। হাসিনা পারেনি, ও পারল। দুজনেরই লাভ।
উল্টোদিকে আপনাদের মনে থাকবে যখন মহাকুম্ভ চলছে, তখন মোহন ভাগবতজী বাংলায় গিয়ে বসেছিলেন দশ দিন। আমিও অবাক হয়েছিলাম! মহাকুম্ভের সময় উত্তরপ্রদেশে না থেকে ভাগবতজি বাংলায় কেন? সেদিন শুনলাম ওখানে অনেক কিছু হয়েছে। সিপিএম, তৃণমূলের অনেক নেতাও দেখা করেছে তার সঙ্গে।
এদের মিটিংয়ের পরের দিন বিএসএফের সেকেন্ড বসের (ও বেশি বিশ্বস্ত বসের) সাথে বাংলাদেশের আর্মির গুরুত্বপুর্ন একজনের মিটিং হয়। সেখানে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশী জামাতের দুজন টপ লিডার। আলোচনার জিস্ট হল, এদিক থেকে গ্রিন সিগন্যাল এলেই বিএসএফ আর ওদের আর্মি বর্ডার খুলে জামাতের টিম ঢোকাবে। তার জন্য ওপারের আর্মির কয়েকজনকে মোটা টাকা দেওয়া হবে। জামাতের মুসলমানেরা ফার্স্ট যাবে বর্ডার এলাকার কয়েকটা বাছাই করা মাদ্রাসাতে। সেখান থেকে কয়েকটা ইয়ং ছেলেকে তুলবে। প্রায় ৭০০-৮০০। তার জন্য আবার হেল্প নেওয়া হচ্ছে কিছু মৌলবীর। হাওয়ালা দিয়ে ফ্যান্ডিং চলে আসবে। আরেকটা কথা, এই কাজে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটা বড় অফিসারও যুক্ত। এরা শুভেন্দুর ক্লোজ। মমতার সরকারের কাগজপত্র যাবতীয় যা, এরাই শুভেন্দুর হাতে তুলে দেয়!
মুসলিমদের ওয়াকফ-ল বিরোধী মিছিলগুলো শুরু হলেই এরা ওই মাদ্রাসার ইয়ং ছেলে গুলোকে মুসলিমদের মিছিলের ভিড়ে ঢুকিয়ে দেবে। ঢুকে থাকবে জামাতের ওরাও। আপনারা জানেন না, এক একটা ছেলেকে কাউকে ৫ হাজার, কাউকে ৭ হাজার করে দেওয়া হচ্ছে। এদের কাজ মিছিলের শেষ প্রান্তে থেকে পাথর ছোঁড়া। উল্টো দিক থেকে ক্ষিপ্ত হিন্দুরা তেড়ে এলেই এদের পাতলা হয়ে যেতে হবে। এটাই নির্দেশ। পশ্চিমবঙ্গের ১১-টা জায়গায় ফার্স্ট দিন এটা করার প্ল্যানিং ছিল। কিন্তু করতে পেরেছে ৭-টায়। এদের বলা হয়েছে সিসিটিভি থাকলে ভেঙে দিতে হবে। আরেকটা কথা, একজায়গায় যারা কাজ হাসিল করবে, তারা সাথে সাথে বর্ডার দিয়ে ওপার। আগামী ৬ মাস এমুখো হবে না। সেই কদিন ওদের দেখভালের দায়িত্ব ওপারের ফিট করা কিছু লোকের! অশান্তি বেশ গরম হয়ে এলে পার্টি প্রেসার দেবে সেন্ট্রাল ফোর্সের নামাতে। মমতা না মানলে কোর্টে যাবে। কোর্টে হেরে গেলে ডিভিশন বেঞ্চ, সেখানেও হেরে গেলে সুপ্রিম কোর্ট। ওরা শিওর ডিভিশন বেঞ্চেই অর্ডার পেয়ে যাবে। তারপর হবে সেকেন্ড ফেজের খেলা। BSFর সাথে একই রকম ড্রেস পড়ে মিশে যাবে আমাদের আরএসএসের লোকেরা। এদের কাজ হবে মুসলিমদের পেটানো। ক্ষিপ্ত করে তোলা। তারপর আবার কাজে লাগবে জামাত। ওরা গিয়ে আহত মুসলিমদের উষ্কাবে। এভাবেই প্ল্যান এ, বি, সি সব ছকা। দাঙ্গা হলে মমতা ইন্টারনেট বন্ধ করবেই, ওরা সেটা নিশ্চিত। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ এলাকাগুলো থেকেও কিভাবে ভিডিও সার্কুলেট করতে হবে, সবটাই প্ল্যান করে নেওয়া হয়েছিল। যেমন মুর্শিদাবাদ নিয়ে প্ল্যানিং হয়েছিল, সেখানকার অশান্তির ভিডিও একেবারে অনেকগুলো রেকর্ডিং করে, স্টোর করে কিছুটা এগিয়ে চলে যেতে হবে নদীয়া জেলা। আমাদের স্ট্রং বেল্ট। সেখানে ইন্টারনেটও খোলা। সেখান গিয়ে এক এক ছড়ানো হবে স্টোর করে আনা ভিডিও গুলো। এরকমই অনেক খুঁটিনাটি আলোচনা।
এতটুকু অবধি আমার অসুবিধা ছিল না। আমি নিজেও বহুদিন থেকে চাই মমতা সরুক। বিজেপি একবার অন্তত বাংলায় আসুক। আমার যুব বয়সের স্বপ্ন। তার জন্য একটু আঙুল বাঁকাতে হলে হোক। কিন্তু দুটো ব্যাপার মেনে নিতে পারছি না। এক, বাংলাদেশের জামাত আর আসাউদ্দিন ওয়েসীর মিমের সাহায্য নেওয়া। কেন আমরা ওসব মোল্লাদের সাহায্য নেব? আমাদের প্রচুর ফান্ডিং এমনিই মিমে যায় বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের আগে। কিন্তু মিমকে এই রাজ্যে টানবো কেন? এইসব করতে গিয়ে ওরা যদি একবার এই রাজ্যে জমিয়ে বসে কী হবে বুঝতে পারছেন?? কালচার বলে কিছু থাকবে না। আর দ্বিতীয় খারাপ লাগার বিষয়টা শুনলাম একদম লাস্টে। ছোট বসের পিয়ের সাথে সেদিনের মিটিংয়ে শেষ অংশটা শুনে আমি আর নিতে পারিনি! আমরা শুধু জেতার জন্য হিন্দু মারব? জেনে শুনে? What the hell! ওদের কী দোষ?
প্ল্যান হল যখন কোনো এলাকা এভাবে দাঙ্গায় ব্যস্ত থাকবে, তখন চুপচাপ গিয়ে কয়েকটা মার্ডার করতে হবে। হিন্দু বডি চাই। বার বার বলা হল মুসলিম যেন না মরে। মুসলিম মরলে আবার শিতলকুচির মত কেস হবে। সব মুসলিম ভোট মমতার দিকে এককাট্টা যাবে। সেটা পার্টি চাইছে না। কিন্তু পার্টির মিনিমান ৭-৮ খানা হিন্দু বডি চাই। তার মধ্যে মিনিমাম হাফ বডি মহিলার। মহিলার বডি কারণ ওটা দেখিয়ে সন্দেশখালি কায়দায় লক্ষীর ভান্ডারের বিরুদ্ধেও ক্যামপেন চালানো যাবে। যার মূল মন্ত্র হবে, তোমরা লক্ষীর ভান্ডারের জন্য ভোট দিচ্ছ আর ওরা তোমার লক্ষীকে মেরে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
এইটা শোনার পর আমার খুবই শরীর খারাপ লাগছিল। মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আমার রীতিমত শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। নিজেকে জিজ্ঞেস করছিলাম, শুধু ক্ষমতা দখলের আশায় এই মহাপাপের সাথে যুক্ত হওয়াটা কি ঠিক হবে? ওরা তো নিরীহ হিন্দু! ওদের মধ্যেও হয়ত কেউ কেউ আমাদের ভোট দেয়। ওদেরই মারব নিজেদের রাস্তা সাফা করতে? আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি তখন। বাড়ি এসে অনেক ভেবেছিলাম। তারপর আর কোনো কমিউনিকেশন ছিল না কদিন যদিও। ওরাও আর কিছু বলেনি পরে।
কিন্তু ছোট বসের সেক্রেটারির ফোন পেলাম কাল। এগুলো ঘটার খবর যখন দেখছি। আমায় বলল এক ঘণ্টা পর আমার রুমের নিচে গাড়ি আসবে। উঠে পড়তে। গাড়ি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানে গিয়ে ওয়েট করতে। আমি যখন কনফার্ম হলাম ওরা সত্যি সত্যি এগুলো করছে, এবং সেগুলো সাকসেসফুল হচ্ছে, তখনই মিনিট দশকের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিলাম এগুলো লিখে ফেলা দরকার। তাই লেখা শুরু করেছিলাম। তার আধা ঘন্টা পরেই ফোন এসেছিল নিচে গাড়ি এসে গেছে। তাই লেখা থামিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়েছিল তৎক্ষণাত। গোটা রাত্রি মিটিং হয়েছিল। আজ সকালে ফিরেছি। ঘুমাইনি এখনো। লেখাটা পুরো করে, বন্ধুকে পাঠিয়ে, সিমকার্ডটা ভেঙে, ফোনটা ফেলে তারপরে ঘুমোতে যাব।
গত কালকের মিটিংয়ে আমাকে কি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আমি আপনাদের বলতে পারব না। কারণ এটা লিখলেই আমি চিহ্নিত হয়ে যাব। এতটুকু ঘটনা আপনাদের লিখতে পারলাম কারন আমার মত আরও ৬ জন এই গোটা প্ল্যানিং প্রসেসের সঙ্গে যুক্ত। যার মধ্যে চারজনই বাঙালি। ফলে আমি একা সন্দেহের তালিকায় থাকবো না।
আমি এই মেসেজটা যখন লিখছি তখনো পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। দুজনেই মুসলিম। ওরা চায়নি মুসলিম মরুক, কিন্তু মরেছে। জানিনা মমতা এটাকে কিভাবে ব্যবহার করবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনও হিন্দুর মৃত্যুর খবর পাইনি। আমি জানিনা আপনি ঠিক কবে কখন এই মেসেজটা পড়ছেন। আদৌ আমার এই মেসেজটা সঠিক সময় আপনাদের কাছে পৌঁছবে কিনা আমি জানিনা। আমি এটাও জানি না ওদের সন্দেহের তীর শেষমেষ আমার বুকে বিদ্ধ হবে কিনা। ভয় পাচ্ছি না সে কথা আপনাদের বলবো না। যারা ক্ষমতার জন্য নিরীহ হিন্দুদের মারার ছক কষার আগে দুবার ভাবেনা, তাদের কাছে আমি হাতের ময়লা! যদি ধরতে পারে, আমার ব্যবসা, প্রাণ, পরিবার সবটাই হয়ত শেষ হয়ে যাবে। তবে আমি এটুকু আপনাদের বলছি, এই মেসেজ ভাইরাল হওয়ার পর যদি আমি টের পাই আমায় মেরে ফেলা হতে পারে, তাহলে আমি আমার এই বন্ধুর কাছে কয়েকটা কল রেকর্ডিং জমা দিয়ে তবে মরবো। ওকে বলা থাকবে, যদি শুনিস অপঘাতে আমি মরেছি, তাহলেই সাথে সাথে এই অডিও রেকর্ডিং গুলো ভাইরাল করে দিবি। ওতে স্বয়ং ছোট বসের ইন্সট্রাকশন আছে।
আমার এই মেসেজের উদ্দেশ্য আমার জন্মভূমির হিন্দুরা। আমি নিজে মুসলিম ঘৃণা করি। কিন্তু আরও বেশি ঘৃণা করতে শুরু করেছি তাদের যারা তোমাদের বন্ধু সেজে তোমাদের মারার প্ল্যানিং করছে। বাংলার হিন্দুরা একটু সাবধানে থেকো। ওরা কিন্তু আগামী ছমাসের ছক কষেছে। ওদের হাবভাবে যেটুকু বুঝেছি, আরো অনেক বড় বড় চিন্তা-ভাবনা ওদের আছে।
আর এই মেসেজ যদি মমতার সরকারের কারোর কাছে যায় তাহলে তাদের বলবো, মমতাকে বোঝান। ওর প্রতি আমার কোনো ভালোবাসা নেই। কিন্তু ও যদি strongly ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আমি চাই মমতা আমার হিন্দু ভায়েদের বাঁচাক। বাকি কে মরল আমার জানার দরকার নেই। ছোট বস যে কী জিনিস ও জানে না। শুধু বাংলার সর্বনাশ হবেনা, ওরও রাজনৈতিক সর্বনাশ হয়ে যাবে। নিজের স্বার্থে অন্তত হিন্দুগুলোকে বাঁচাক। এটা ওকে বোঝান আপনারা। আর বাঙালি হিন্দুদের বলছি, অটলজী এমনটা ছিলেন না। উনি সত্যি সত্যি হিন্দুদের কষ্টে কষ্ট পেতেন। নেহাত আদর্শটা রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে বলে বদলে যেতে পারি না! কিন্তু এই দুই ভাই ক্ষমতা ছাড়া কিছু বোঝেনা। আমার চেনা বিজেপিটাকে এরা শেষ করে দিচ্ছে। প্লিজ আগামী ৬টা মাস আপনারা আমার বাংলাটাকে বাঁচান।