![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে নিয়ে গবেষণা চলছে । জানলে জানাব ।
আজ বিকেলে অটোতে করে বান্দুরা যাচ্ছিলাম । পথিমধ্যে এক কুড়ি বছর বয়সী ( হ্যাঁ কুড়ি বছর হবে ) মেয়ে ও সাথে এক ভদ্র মহিলা উঠলেন । মেয়ের কুলে একটি ফুটফুটে বাচ্চা । বেশ দারুন লাগছিল দেখতে । চ । আমি বাচ্চাটার সাথে একটু মজা করার চেষ্টা করলাম । কিন্তু আমার পাশে বসা আরেকটি ৫-৬ বছরের ছেলে । সে আম মাখা খাচ্ছে । তো আম মাখা খাবার শেষে ছেলেটি ঐ বাবুটাকে ধরার চেষ্টা করল । ওমা! সে কি কান্ড মেয়েটি এমনভাবে তাকাল যে ছেলেটা তার চোখ দেখেই ভয় পেয়ে গেল । তোমার হাতে আম লেগে আছে । তুমি ধরবে না, ওর গায়ে লাগবে । ভাবটা এমন ছিল । যদিও মুখে হেজাব লাগানো ছিল । সম্ভবত নিজের বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি ফিরছে । কারন ঐ ভদ্র মহিলার সাথে তার কোন চেহারার আদলের কোন মিল ছিল না ।
যাই হোক আমি বাবুটার দিকে মাঝে মাঝে তাকিয়ে জিভ বের করে ভেংচিকেটে মজা নেওয়ার চেষ্টা করছি । হাসছেও বেশ খলখলিয়ে । মেয়েটা মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাচ্ছে । চোখ দুটি শুধু দেখা যাচ্ছিল । ঠিক ভ্রু-জোরার মাঝে একটি তিল । এটা কিন্তু বেশ বিরল । কেননা, মেয়েদের যেখানে টিপ থাকার কথা, সেখানে একটি ছোট্ট তিল থাকা বেশ ভাগ্যের ব্যাপার । এতে চেহারার মাধুর্য অনেকখানি বাড়িয়ে তুলে ।
তো মনে মনে ভাবছিলাম, যাদের ছোট বাচ্চা আছে তাদের এই গরমের দিনে সকাল ৮ টার আগে এবং বিকেল ৪ টার পরে বের হওয়াই উচিৎ । এতে করে এই অসহনীয় মাত্রার গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা মেলে । তো আমি যখন বাবুটার দিকে তাকিয়ে এসব ভাবছি, ঠিক তখুনি খেয়াল করলাম বাবুটা আমার দিকে অপলকে তাকিয়ে আছে । বুঝার চেষ্টা করছিল মনে হয় আমি তাকে নিয়ে কি সব ভাবছি । তাদের সাথে এসময়ে নাকি ফেরেশতা থাকে । তারা মনের ভাসা বুঝে কিনা আমার জানা নেই তবে আমি এটুকু বিশ্বাস করি যে এরা ভাল-মন্দ মানুস চেনে ।
একটু পরে দেখলাম বাবুর মাটা হেসে ফেললেন আমার টি-শার্টের দিকে তাকিয়ে । মানে ইয়ে , আমার টি-শার্টে একটি কার্টুন বিড়ালের ছবি ছিল । বুঝলাম, এই বাবুটার সাথে মজা করা, আবার কার্টুন সম্বলিত টি-শার্ট পরা । সে বোধহয় বুঝার চেষ্টা করছিল, এই দাড়ি গোঁফ গজানো মানুষটির ছেলেমানুসি এখনো যায়নি ।
আমি মনে মনে ভাবলাম, দেহের বয়স আমার হাতে নেই । এটা বেশ বেহায়া । না বলেই বেড়ে চলে । কিন্তু মনের বয়স এটা কিন্তু আমার হাতে । ইচ্ছে করলেই বাড়তে পারবে না । তাই দেহের বয়স যতই বাড়ুক, তাতে আমার ভ্রুক্ষেপ্টি মাত্র নেই । কিন্তু মনের বয়স বাড়তে দেওয়ায় আমি কিন্তু বেশ নারাজ । তা কখনোই হতে দিতে পারিনা ।
দেহটি বয়সের ভাড়ে নুইয়ে পরুক, কিন্তু মনঃটা যেন সতেজ থাকে ।
তবেই সুখটাকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উপভোগ করা যাবে ।
©somewhere in net ltd.