নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশের জন্য কিছু করতে চাই

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ

ভালবাসি মাকে আর দেশটাকে। \nবিশ্বাস করি, \"সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।\"ধর্মভীরু তবে ধর্মান্ধ নই। দেশ আর মানুষের কল্যাণে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি আর চাই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

আজ আপনাদের সামনে যে গল্পটা লিখতে যাচ্ছি সেটা
আমার বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া একটি বাস্তব কাহিনী।
সঙ্গত কারণে গল্পটিতে আমরা তার ছদ্মনাম
ব্যবহার করবো।
গল্পটিতে তার ছদ্ম নাম রাখলাম "উজার"।

^↓উজার যখন ১০ম শ্রেণীর ছাত্র, তখন তার জীবনে প্রথম
একটা মেয়েকে ভালোবাসে সে।
তাই সে বেশী দেরী না করে সরাসরিই মেয়েটাকে
বলে দেয় তার ভালোবাসার কথা। মেয়েটা প্রথমে রাজি
না হলেও পরে ঠিকই তার কথায় রাজি হয়ে
যায়।
তারপর কে দেখে উজারের খুশি, এত খুশি ওকে আমি আগে কখনো
হতে দেখি নি। কিন্তু কেই বা জানে এ খুশি
মাত্র দুদিনের ক্ষনস্থায়ী।
কারন মেয়েটা দুদিন পরই উজারকে না বলে দিল।
আর এর কারণও ছিল উজার নিজেই....
কারন উজার মোটেই ভালো ছেলে ছিলনা।
পড়া-লেখা তো করতোই না বরং সারাদিন ঘুরত, ফিরতো
আর খেত। শুধু তাই না,,,
নেশায়ও আসক্ত হয়ে পড়েছিল উজার।
আর এদিকে মেয়েটি ছিল প্রচুর ভালো student,
আর দেখতেও ছিল অপরূপা।
এছাড়াও তাদের পারিবারিক অবস্থাও ছিল দেখার মত।
তার মানে দাড়ালো মেয়েটা সব দিক দিয়েই perfect।
তবে সে কেনোইবা উজারের মতো এত খারাপ একটা ছেলেকে
ভালোবাসবে??
আসলে মেয়েটা হয়তো তার ভুল বুঝতে পেরেই উজারকে
না বলে দিয়েছিল।
সাধারণত গল্পটা এখানেই শেষ হওয়ার কথা।
আর এখানে শেষ হলেই হয়তো ভালোও হতো।
কিন্তু এ গল্পের কাহিনী এখানে শেষ না..........
কারন মেয়টা মাত্র ২৯ দিন পরই উজারের সাথে আবার
কথা বলে...
মেয়েটা আবার এসে উজারকে আশার আলো দেখায়,
ওকে ভালো হওয়ার জন্য বলে....
উজারের position থেকে আসলেই ভালো হওয়ার
ব্যাপারটা এতটা সহজ ছিলনা।
কারন ও তো মাদকাসক্ত ছিল.....
কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই উজার সকলের চোখ ধাঁদানোর
মতো কান্ড করলো। কারন উজার সকল কিছু
বাদ দিয়ে লেখা-পড়ায় পুরোপুরি ভাবে মনোনিবেশ করলো।
স্কুলের শিক্ষরাও অবাক হয়েছিলো উজারের
এ কান্ড দেখে...
আসলেই উজার প্রকৃত পক্ষেই ভালোবেসে ফেলেছিল
মেয়েটিকে। আর এটাও বুঝতে পেরেছিল ওর
নিজের অবস্থার পরিবর্তন না করলে এই মেয়েকে পাওয়া কোনদিনই
ওর পক্ষে সম্ভব নয়...
কিন্তু হয়তো এটা বুঝতে ওর একটু বেশীই সময়
লেগে গিয়েছিল। কারনটা এই যে,
উজারের S.S.C পরিক্ষার বাকি ছিল মাত্র
৮ মাস...
যে ছেলেটা পুরো Class 9 এবং class 10 এর ৪ মাস
পর্যন্ত বইই হাতে তুলে দেখেনি, সে মাত্র
এই ৮ মাসে কি করতে পারবে???
এদিকে মেয়েটা বারবারই উজারকে একটা কথাই
বলতো,
"তুমি যদি S.S.C তে Golden A+ না পাও, তবে
আমাকে চীরকালের মত তোমাকে ভুলে
যেতে হবে"।
যে উজারের পক্ষে পাশ করাটাই ছিল অনেক কঠিন
ব্যাপার। সে কি করে আনবে Golden
S.S.C তে???
এই প্রশ্নটাই ছিলো আমাদের সকল বন্ধুদের মাঝে....
তবে উজারের চিন্তা ছিল সম্পূর্ন অন্য রকম....
ও ভাবতো ও ঐ মেয়েটার জন্য সব করতে পারে।
আসলে উজার এতটা ভালোবাসতো মেয়েটাকে যে, কখনোই
ঐ মেয়েটাকে হারাতে চায়নি ওর জীবন থেকে...
তাই উজার লাগাতার পরিশ্রম করতে লাগলো। আমরা দেখিছি উজারের
এমনও রাত যেত যে রাতে ১সেকেন্ডের জন্যও
ও ঘুমায়নি। পুরোটা রাত পড়ার মধ্যে
কটিয়েছে.....
দেখতে.....দেখতে....
S.S.C পরিক্ষাও চলে আসলো উজারের।
সব পরিক্ষা ভালোই দিচ্ছিল ও...
কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস....!
পদার্থ পবিক্ষার দিনে উজার মাত্র ১৭টি নৈব্যত্তিক মেশাতেই
স্যাররা তার খাতা নিয়ে নিল।
আসলে এতে উজারের কোন দোষই ছিলনা।
স্যাররা টাইম নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল।
আর সেদিন পুরো হলের ছাত্রদেরই এই একই অবস্থা
হয়েছিল।
তবে এখন প্রশ্ন হলো,,
উজার কি এখানেই হেরে গেল???
হ্যা।
কারন উজার S.S.c তে golden তো দূরের কথা..
A+ও পায়নি।
উজারের GPAছিল মাত্র 4.94।
এই গল্পের কাহিনী এখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল
কিন্তু তা না হয়ে মেয়েটা ছেলেটাকে বলে,
"টেনশন নিচ্ছ কেন এবার হয়নি তো কি হয়েছে
H.S.Cতে নিচ্শই Golden পাবে"
সেদিন উজার মেয়েটিকে কথা দিয়েছিল,
ও নিচ্শই এবার গোল্ডন পেয়ে দেখাবে।
কিন্তু এই দুটি সম্পর্কে হয়তো ঈশ্বর নিজেই রাজি
ছিলেন না, কারন উজারের বাবা উজারকে
কলেজে না ভর্তি করিয়ে
ভর্তি করলেন ডিপ্লোমা লাইনে।
এখানে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে উজার প্রথমে না মত
করেছিল কিন্তু ওর বাবা ওকে সম্পর্ক ভঙ্গের
হুমকি দিয়ে এখানে ভর্তি করায়।
মেয়টাকে এখানে ভর্তি হবার পর জানিয়েছিল
উজার।
মেয়েটারও এই বিষয়ে কম অভিঙ্গতা থাকার ফলে কিছুই বলে নি,,,
তবে মানুষের সময়ের সাথে সাথে অভিঙ্গতাও বাড়ে...
তাই আজ শুরুর সময়ের থেকে প্রায় ২ বছর পর অভিঙ্গতা বেড়েছে
উজারেরও আর মেয়েটারও।
আজ তারা ফিরে গিয়েছে সেই আগের দুনিয়ায়
সেখানে উজার জানে তার এই অবস্থার
পরিবর্তন ছাড়া ও এই মেয়েকে জীবন সঙ্গি বানাতে
পারবে না...
তবে কি হবে শেষ পর্যন্ত???
তারা কি এক হতে পারবে, না কি এই স্বার্থপর
পৃথিবীব কাছে শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে????
না কি আবার উজার পরিণত হবে আগের সেই ভয়ঙ্কর উজারে????

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শেষ প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি নিজেই আপনার বন্ধুকে দিতে পারেন। বন্ধু হিসেবে এটাই আপনার দায়িত্ব।।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেছেন: হ্যা আমি তো দিতেই পারি। আমি আমার বন্ধুকে সব সময় একটা কথাই বলি, অবশ্যই তার ভালবাসা একদিন জয়ী হবে।

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য...

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: সত্যিকারের ভালবাসা হার মানতে পারে না :(

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেছেন: হ্যা তা অবশ্য আপনি ঠিক বলেছেন। আমি আশা করি আমার বন্ধুও হার মানবেনা ইনসাল্লাহ্।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.