| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বয়সের সীমারেখায় তারুণ্যকে সংজ্ঞায়নের একটা প্রয়াস স্বীকৃত, তবে বয়স বা শরীরের সীমারেখায় তারুণ্যকে আটকানো যায়না তার প্রমান শাহবাগ চত্ত্বরের আন্দোলন। মুদ্রণ মাধ্যম, দুরদর্শনে অনেক প্রবীনদের দেখেছি সারারাত যুদ্ধপরাধী কসাই কাদেরের ফাসির দাবীতে সোচ্চার। অথচ এই আমারই শাহবাগে যাওয়া হলনা। তাহলে কি আমি এক্সপায়ার্ড!!! নিজেকে প্রশ্ন করি, আর উত্তর জোটে 'ধিক্কার'......
৯০ এর সেই উত্তাল দিনের বিজয় উতসবে সেই কিশোর বয়সেই রাজপথে সামিল হওয়ার গৌরবটা এখনও গৌরবন্বিত করে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের গণ আদালতের উত্তাল দিনগুলোতেও মিশে ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোন দাবী আদায়ে, আইসিসি ট্রফি জেতার, বিশ্বকাপে পাকিদের বধ করার, শামসুন্নাহারে নির্যাতনে গণ আন্দোলনে - সব কিছুতেই সরব ছিলাম। অথচ লাখো শহীদের ঋণ শুধবার সরব আন্দোলনটাতেই দর্শক হিসেবে রয়ে গেছি। গতকাল প্লান ছিল সারাদিন থাকার। কিন্তু জরুরী কাজে ছুটির দিনটাতেও রাত ৭টা পর্যন্ত অফিসে কাটাতে হল।
তবে হ্যাঁ, আন্দোলনে সরাসরি না থেকেও আন্দোলনের বাইরের কিছুটা রুপ সত্যিই অভিভুত করেছে গতকাল। শাহবোগ মোড় বন্ধ থাকায় কাকরাইল মোড় থেকে বাস শেরাটনের দিকে ঘুরে গেল। ঘুড়ে গেল বললে ঠিক হবেনা, আটকে গেল। তথন রাত আটটা। রাত সাড়ে নয়টায় শেরাটন মোড় থেকে বাংলা মটরের দিকে বাস ঘুরল। এইটুকু পথ যেত দেড় ঘন্টা। তীব্র যানজট। যার কারণ হল শাহবাগের আন্দোলন কিন্তু সবচে বিস্ময়কর হল পুরো বাসের একটা যাত্রীও এই যানযটে ভোগান্তির জন্য কোন ধরনের বিরক্তি প্রকাশ করলনা। খুব গভীরভাবেই আশে পাশের সকল যাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করছিলাম। কারো কোন অভিযোগ নেই, বরং আন্দোলনে থাকতে না পারার অনুশোচনা ছিল প্রায় সবারই। যাত্রীরা তাদের ভোগান্তি কসাই কাদেরসহ সকল যুদ্ধপরাধীদের ফাসির দাবীতে হাসিমুখেই মেনে নিল।
কাকরাইল মোড় থেকে মগাবাজারের দিকে, মিন্টু রোড, বাংলামটার, এলিফেন্ট রোড, কাটাবন থেকে নীলক্ষেত- সবদিকে আন্দোলনফেরত মানুষরে মিছিল। এদের হয়তো সারারাতই থাকার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু ছোট বাচ্চা, স্ত্রী থাকায় থাকা সম্ভব ছিলনা। যানবাহন না থাকায় পায়ে হাটা বেশিরভাগ মানুষের মাথায়ই রাজাকারের ফাসি চাই স্লোগান সম্ববিলত কাপড় বাধা। ছোট শিশুদের হাতে রঙীন বেলুনের সাথে মাথায় রাজাকারের ফাসি চাই স্লোগান সম্ববিলত কাপড় বাধা। কিছু কিছু পরিবারকে দেখেছি একেবারে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ। সারাদিন কাজ শেষে বিকেলেই বউ বাচ্চাসহ আন্দোলন দেখে এসেছে, স্বশরীরে সমর্থন দিয়ে এসেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি তবে শুনেছি, পড়েছি - সেইবার বাংলার ধনী, গরীব, শিক্ষিত- অশিক্ষিত একই কাতারে নেমে এসেছিল একটি দাবীতে - বীর বাঙালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। আজ আবারও তারা নেমেছে যা নিজ চোখে দেখে গর্বিত ও উদ্দীপ্ত মনে করছি। তবে আর দেখা নয়, আজ দুপুর পর্যন্ত বেচে থাকলে শাহবাগে যাব, অন্তত একটি বার স্লোগানে অংশ নিতে - রাজাকারের ফাসি চাই, ফাসি চাই.......
আপডেট: শাহবাগে তরুণদের জমায়েতের শুরুতে ভেবেছিলাম ২/১ দিন চলবে, তারপর বাম/ছাত্রলীগরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আন্দোলন শেষ করে দিবে। তাহরির স্কয়ারের মতো সম্ভব হবেনা। কিন্তু কাল সরাসরি দেখে আমার ভুল ভাঙল। তাহরির স্কয়ারের আন্দোলনের পেছনেও ইঙ্গ মার্কিন ইন্ধন আছে, কিন্তু শাহবাগের আন্দোলন শুধুই, শুধুই চেতনা থেকে উৎসারিত। এতগুলো নি:স্বার্থ তরুণের এরকম জমায়েত পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল উদহারণ হয়ে থাকে। শাহবাগে আমি অনুভব করেছি রাজাকারের ফাসির দাবীতে স্লোগানগুলো বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে উচু ঢেউয়ের চেয়ে প্রবল, তরুণদের ঐক্য চীনের প্রাচীরের চেয়ে শক্তিশালী, আমি আশাবাদী প্রতিবাদের এই ঢেউ ক্ষমতালোভী শাসকদের ভীত করবে, ৪২ বছর পর হলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে বাধ্য হবে সরকারগুলো......
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
প্যাপিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতেখার ভাই। প্রিয় মা'কে বলে দিও.. ভালোবাসি প্রানের স্বদেশ।
২|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১০
সািকল খান বলেছেন: Click This Link
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
প্যাপিলন বলেছেন: এমন স্রোতস্বিনী মুক্তির মিছিল হয়তো আর দেখা হবেনা কোনদিন
৩|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
জয় বাংলা।
দাবী একটাই, সব রাজাকারদের ফাঁসী চাই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
প্যাপিলন বলেছেন: এমন প্রতিবাদের ঢেউয়ের কাছে বঙ্গোপসাগরের সবচে উচু ঢেউটিও হার মেনে গেছে
৪|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এক অসাধারণ অনুভব এক করেছে সবাইকে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
প্যাপিলন বলেছেন: মুক্তিকামী মানুষের এমন ঐক্য চীনের প্রাচীরকেও লজ্জা দিচ্ছে, শুধু বধির ক্ষমতাবান, ক্ষমতালোভী রাজনৈতিকরা এখলন লজ্জিত নয়, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি, খুবই দ্রুত
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভালোবাসার কোন রুপ নেই, গন্ধ নেই, নেই কোন আকার। শুধু অনুভবেই মেলে পূর্ণতা। বয়সের কোঠা আমারও প্রায় ৩০ ছুঁই ছুঁই করছে। একে তারুণ্য বলে কিনা জানিনা তবে শাহাবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করি শতভাগ। আজ আমরাও নেমেছিলাম পথে... দেখুন ভালোবাসা আর সমর্থনের দাবানর সুদূর আমেরিকায়ও পৌঁছে গেছে। প্রিয় মা'কে বলে দিও.. ভালোবাসি প্রানের স্বদেশ। এবার রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে গর্জে উঠলো নিউ ইয়র্ক (ফটো ব্লগ), ধন্যবাদ।