![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষাই পারে দেশ থেকে সকল প্রকার অন্যায়-অত্যাচার, খুন ও সন্তাস দূর করে দেশ কে এগিয়ে নিতে।
শাকিব, বয়স ৮/৯ বছর । মা-বাবা কেউ নেই, গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা । খালার সাথে ঢাকাই থাকে জিগাতলার একটা বস্তিতে। খালা বেশি ভালোবাসে শাকিবকে। খালু বেশি ভাল ব্যাবহার করে না শাকিব এর সাথে। ১৮ তারিখ ধানমন্ডি লেক এ রাত ৮ টাই আমার সাথে তার দেখা হয়। আমি তাকে আমার পাশে বসাই এবং অনেক কথাবলি তার সাথে। তারপর আমি তাকে বলি তুমি দুপর এ কি খেয়েছ, ছেলেটা বলল, "আমি দুপর এ খায়নাই, আমি দিন এ দুইবার খাই রাতে আর সকাল এ" আমি বললাম, তোমার খালা তোমাই খাবার দেইনা শাকিব বলল, শুধু সকাল এ একটু দেই আর দেইনা। আমার অনেক খারাপ লাগে আমি বললাম তাহলে রাতে তুমি কোথাই খাবা, ছেলেটা বলল মানুষ এর কাছে টাকা ছেয়ে তারপর রাতের খাবার খাব। আমি এই কথা শুনে ছেলে কে কিছু টাকা দিলাম। আর বললাম রাতে খাবার খেয়ে পরে বাসাই যেও। আর বললাম তুমি কি পড়া-লেখা কর? ছেলেটা বলল, আমি পড়া-লেখা করি। আমি বললাম কোথায় পড়, শাকিব বলল জিগাতলাই নেসকফি এর পাশের রাস্তাই পরি, একদল ভাইরা আমাদের রাস্তাই পরাই। তারা প্রতিদিন বিকাল ৪ তাই আসে এবং নেসকফি এর পাশের রাস্তাই চট বিছিয়ে পড়াই । আমার শুনে অনেক ভাল লাগল। আমি বলাম তুমার পড়া-লেখা কেমন লাগে? ও বলল ভাল লাগে, আমি বললাম কাজ করে হলেও শিক্ষিত হবা। ও বলল আমি পড়া-লেখা করে একটা চাকরি করতে চাই। তারপর ওর হাতে, শিক্ষা নিয়ে আমার লিখা কিছু লিফলেট দিলাম এবং বললাম এ লিফলেট গুলি তুমি, তুমার ওই ভাইদের দিও। পরে আমাদের মাঝে আর অনেক কথা হয়। ছেলেটা আমাই বলল আপনি অনেক ভাল, আপনি কি করেন? আমি বললাম আমি তোমাদের মত সকল শিশু যাতে শিক্ষিত হতে পারে এই জন্য কাজ করি। এই লিফলেট গুলি আমি দেয়াল এ লাগাই আর মানুষ এর হাতে হাতে দেই, সবাইকে বলি এই বিষয় এ কাজ করতে, তুমার মত শিশুদের সাথে কথাবলি, তাদের সাহায্য কারার চেষ্টা করি। পরে আমি বললাম রাত ৯:৩০ বাজে তুমি বাসাই চলে যাও। আর তুমার ভাই দের কে আমার সালাম দিও।
তাই সবাইকে বললে চাই আসোন সবাই এই রকম শিশুদের সাহায্যের হাত বাড়ায়। আর ওই ভাইদের পাশে গিয়ে এই মহত কাজে সাহায্য করি। তাহলেই আমাদের দেশ হবে শান্তির দেশ। আর আমরা হবো সত্যিকারের বিজয়ী জাতি।
©somewhere in net ltd.