![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলিম সমাজ আজ পৃথিবীর অন্যান্য মানুষের কাছ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। মানব জাতির চলমান অগ্রগামীতা ও প্রগতিশীলতার সাথে মুসলিম সমাজের আজ কোন সম্পর্ক নেই। অনেকেই হয়তো এটুকু পড়েই দ্বিমত করবেন, তবে এটাই বাস্তব সত্য। একজন মুসলিম হিসেবে এজন্য আমি অত্যন্ত ব্যথিত।
মনে করুন কাল হঠাত করে আল্লাহ দুনিয়ার সকল মুসলিমকে আসমানে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন, এতে কিন্তু দুনিয়ার বাকি মানুষদের জীবনে খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বেনা। মুসলিমরা টয়োটা, ভক্স ওয়াগন, মার্সিডিজ, বিএমডব্লু ইত্যাদি গাড়ি তৈরী করেনা তাই দুনিয়ার লোকের গাড়ির অভাব হবেনা। আমরা জনপ্রিয় কোন গান বাজনা অথবা সিনেমা তৈরি করিনা কারণ সম্ভবত ইসলামে এগুলো হারাম, তাই দুনিয়ার বাকি লোকের বিনোদনের অভাব হবেনা। আমরা এমন পরিমাণে কোন খাদ্যশস্য উৎপন্ন করিনা যে বাকি দুনিয়া আমাদের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল বা তারা নিজেরা সেটা পূরণ করতে পারবেনা। আমরা এমন কোন নামকরা ব্র্যান্ডের কাপড়, জামাজুতা বা টেকি পণ্য তৈরী করিনা যে দুনিয়ার লোক তা থেকে বঞ্চিত হবে। বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে আজ আমাদের বলার মত কোন অবদান নেই।
গুটি কতক যে মুসলিম দেশগুলো আজ উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত তার সবগুলোই (এমনকি মালয়েশিয়াও) প্রাকৃতিক সম্পদের তথা তেল বা গ্যাসের উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। তেল গ্যাস কেড়ে নিলে কিছুদিনের মাঝেই এসব দেশের পতন হবে। এমনকি তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্যেও তাদের নিজস্ব যোগ্যতা নেই, অমুসলিমদের উপর নির্ভরশীল। শুধুমাত্র একটি মুসলিম দেশ আছে যারা নিজ যোগ্যতায় উন্নত সেটা হচ্ছে তুরস্ক। তবে তুরস্ক মুসলিম হলেও একটা সেক্যুলার দেশ এবং বর্তমান ইসলামের সাথে এদের বমাত্রিক পার্থক্য আছে।
মুসলিমদের এই দূর্দশার মূল কারণ কোরআনের আদর্শ হতে দূরে চলে যাওয়া। কোরবানীর ঈদে আমরা পশু কোরবানী দেই এবং গোস্তের একটি অংশ গরীব দুঃখীদের দান করি। তবে অমুসলিম গরীবদের আমরা সেটা দান করিনা কারণ প্রচলিত বিশ্বাস এটাই যে অমুসলিমদের এটা দান করা যাবেনা। এতে সেই অমুসলিম দুঃখিরা ধারণা করে নিতেই পারে যে তাদের দুঃখ কষ্টে মুসলিমরা পাশে নেই। সৌদী আরবে একসময় কোরবানীর শত শত টন গোস্ত পঁচে নষ্ট হত, পরে সৌদী সরকার গাঁটের পয়সা খরচ করে এগুলো সংগ্রহ করে গরীব মুসলিম দেশে বিনামূল্যে বিতিরণ শুরু করল। তবে অমুসলিম দরিদ্র দেশগুলো এগুলো থেকে এখনো বঞ্চিত। সেই দেশগুলোর সাথে সৌদীর একটি বিচ্ছিন্নতা তৈরী হয়ে যায় এমনিতেই। অথচ কোরআনে বলা আছে অনাহারীকে খাবার দাও, অনাহারীর মাঝে মুসলিম / অমুসলিম বিভেদের কথা কোরআনে বলা নেই। ভিক্ষা দেয়ার সময়েও আমরা বেশীরভাগ সময় মুসলিম বেছে ভিক্ষা দেই। মুসলিম ভিখারী হলেও আমরা জিজ্ঞেস করি সে নিয়মিত নামাজ পড়ে কিনা, নামাজ না পড়লে ভিক্ষা নাই! আমরা যারা যাকাত দেই সেটাও মুসলিম এর বাইরে কোন অমুসলিমকে দেইনা। অমুসলিমদের সাথে আমরা বেশ ভালভাবে বিচ্ছিন্ন।
অথচ অমুসলিমরা আমাদের চাইতে ঢের ঢের বেশী পরিমাণে দান খয়রাত ও চ্যারিটির সাথে জড়িত। এটা তারা মুসলিম সহ সকলের উপকারের জন্য করে। মুসলিম- অমুসলিম, বিপন্ন প্রানী, সুমদ্রের তিমি, ম্যানগ্রোভ বন কোন কিছুই এদের চ্যারিটির আওতা থেকে বাদ যায়না। এত শত শত চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলা এইখানে অপ্রয়োজনীয়। এদের প্রায় সবগুলোই অমুসলিমদের। খোঁজ করে যদি ধনী মুসলিম দেশ থেকে কোন চ্যারিটির সন্ধান পাওয়া যায় দেখা যায় যে এরা শুধু মুসলিমদের সাহায্যার্থে নিয়োজিত, অমুসলিমরা এর আওতাভুক্ত নয়! সিডর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাংলাদেশ লন্ডভন্ড হয়ে গেলে আমেরিকা বিপুল পরিমাণ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসে। ভিক্ষুকের মত আমরা তা গ্রহণও করি। কিন্তু আমেরিকার উপর স্যান্ডি ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেলে আমরা খুশি হই, বলি যে আল্লাহর গজব পড়েছে!
ইসলাম ধর্মকে আমরা সম্মান করি, ইসলামের জন্য আমরা প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত, অথচ আফসোস ইসলামের আদর্শই আমরা ধারণ করিনা। এই সম্মানের মূল্য রইল কোথায়? কোরআন বা নবীর অপমানের কথা শুনে সারা দুনিয়ায় আমরা তান্ডব চালাই অথচ কোরআন বা নবীকে আমরা খুব কমই মানি! এটা আমাদের মূল্যহীণ অন্ধ বিশ্বাস। ইসলামকে বা নবীকে নিজের জীবনে প্রয়োগ নাকরে শুধু নামে নামে এইভাবে সম্মান করা যায়না, এটা হিপোক্রিসি, বস্তুত আমরা উগ্র জাতিতে পরিণত হয়েছি।
অমুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এত এত সুবিধা, টেকনোলজি, ঔষধ ভোগ করেও আমরা তাদের প্রতি এতটুকু কৃতজ্ঞতা পোষণ করিনা, বরং তাদেরকে জাহান্নামী/কাফের/নরকের কীট মনে করি। আমাদের মত স্বার্থপর ও অকৃতজ্ঞ আর কে হতে পারে!
১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ। একমত হওয়াটা স্বাভাবিক।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৯
আখাউরা পূলা বলেছেন: প্রতিটি কথাই সত্য আমার দৃষ্টিতে
১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: তবে অনেকেই এই বাস্তব সত্য মানতে চাইবেনা। আফসোস!
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩১
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই পোষ্টটি যথেষ্ট আলোচনার দাবী রাখে.............
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হুম! কিন্তু কেউ আলোচনায় আসলনা! বড়ই স্বার্থপর হয়ে গিয়েছি আমরা সবাই!
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৬
এবিসি১০ বলেছেন: সত্যি করে বলছি, আপনার মত এমন চিন্তাধারা ব্লগে অনেক অনেক কম মানুষেরই দেখেছি। যদিও সবার চিন্তাধারা এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো। খুবই লজ্জা লাগে নিজের।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: লজ্জা লাগলেও আপনি চাইলে নিজে ঠিক হতে পারেন। তারপর অন্যকেও সচেতন করতে পারেন। কোরআন তো আমাদের এমন স্বার্থপর হবার শিক্ষা দেয় না। কোরআন বলে মানবতার কথা।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৭
ওয়ান টু নাইন বলেছেন: কিছু কথা সঠিক নয় ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কোন কথা?
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১৩
মেলবোর্ন বলেছেন: আমরা চিন্তা কম লাভ বেশি খুজি আর ইসলাম সেইটাতো লেবাসে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে চর্চায় নাই। এর ভিতর আমিও পড়ি. সবাই ধান্দায় ব্যস্ত আমি ভাল তো আর কারো ভালো কি খারাপ দেখার সময় নাই সবাই এখন এতটা আত্বকেন্দ্রিক যে নিজের পরিবারের আত্বীয় সজনদের কথাও ভাবেনা এরকম হওয়ার ফলে বিশ্ব নিয়ে বা মুসলিম উম্মাহ নিয়ে ভাবার লোক যে নাই সেটা এখন দৃশত প্রকাশমান।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: বাস্তব সত্য কথা বলেছেন ভাই। আমাদের নিজেদেরকেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: বিষয়টা একটু ভিন্ন ভাবে দেখার চেস্টা করুন।
মুক্ত বাজারে প্রতিযোগিতামুলক মুল্যে যখন কোন কিছু ক্রয়/বিক্রয় করা হয় তখন কে লাভবান হয় - ক্রেতা নাকি বিক্রেতা? কে কার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে - ক্রেতা বিক্রেতার প্রতি নাকি বিক্রেতা ক্রেতার প্রতি?
অর্থনীতির ভাষায় কেউ কার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে না বা কেউ কার চেয়ে বেশী উপকৃত হবে না। কারণ প্রতিযোগীতামুলক বাজারে যখন উভয়ে সমান উপযোগ লাভ করে বা সন্তুস্ট হয় তখনই একটি পন্য বিক্রি হয়।
কিন্তু যদি বাজার মেনিপুলেট করা হয়, প্রতিযোগীতার পরিবর্তে মনোপলির মাধ্যমে অধিক মুল্যে পণ্য বিক্রয় করা হয় তখন অবশ্বই বিক্রেতা লাভবান হয়, ক্রেতার উপর জুলুম করা হয়। সেক্ষেত্রে বিক্রেতারই ক্রেতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
এখন বলুন পশ্চিমারা যা কিছু আবিষ্কার করেছে তার কোন কিছু কি বিনা মুল্যে বা কম মুল্যে বিক্রি করেছে? মোটেই না বরং প্রতিটা বিষয়কে মনোপলি করে অনেক অধিক মুল্যে বিক্রি করে পুরো পৃথিবীকে শোষণ করেছে। এমনকি রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব কাজে লাগিয়েও তারা তাদের বানিজ্য বিস্তার করেছে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নির্ভর অস্র ব্যাবসা চালু রাখার জন্য সারা বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বাধিয়ে কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছে। এইসব লুটেরাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কী আছে?
আপনি কি মজলুমকে জালিমের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: জালিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার কথা আমি কোথায় বলেছি যে কথা সেই দিকে ঘোরাচ্ছেন? কোন আবিষ্কারকই জালিম নয়। তারা মুসলিম/অমুসলিম বিবেচনা না করে মানব কল্যাণে কাজ করেন। আর আপনি এতটাই অকৃতজ্ঞ যে সাম্রাজ্যবাদী ব্যাবসায়ীদের দোষ দিয়ে মহান সব বিজ্ঞানীদেরকেও এক কাতারে ফেলে দিয়েছেন। এই পোস্টে সাম্রাজ্যবাদীদের নিয়ে আলোচনা করি নাই যা আপনি ভুলভাবে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। আপনার বাজার মেনিপুলেশনের বিষয়টি অন্য প্রসঙ্গে আলোচনার যোগ্য এই পোস্টে নয়।
ব্যক্তি হিসেবে চিন্তা করে দেখুন আপনি বিচ্ছিন্ন কিনা? অমুসলিম মানেই ভাল আমি সেই কথা বুঝাই নাই। সাম্রাজ্যবাদীরা শুধু মুসলিমদের জন্যই খারাপ তা নয় তারা সবার জন্যই খারাপ। নাহলে অমুসলিম দেশ আমেরিকা-চীন-রাশিয়ার মাঝে কোন দ্বন্দ থাকতনা। ১ম,২য় বিশ্বযুদ্ধ কোনটাই অমুসলিমেরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে করে নাই। এগুলো বলে নিজেকে অন্ধভাবে আরও বেশী রেসিস্ট বানানো ছাড়া আর কিছু করতে পারবেন না। ভালকে অন্তত ভাল বলতে শিখুন। আর প্রতিবেশী হিন্দু অনাথদেরও কিছু যাকাতের টাকা দিয়েন, কোরআনে এটা দিতে নিষেধ নাই। ওই হিন্দু অনাথরা মনোপলি ব্যাবসা করে আপনার উপর জুলুম করেনাই যে তার ঘাড়েও দোষ দিবেন।
যোগ্যতা থাকলে মুসলিমরা জুলুমেরই স্বীকার হতনা। ১০০০ বছর আগেও মুসলিমরা স্বার্থপর ছিলনা, প্রগতিশীল ছিল, জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে ছিল তাই তারাই ছিল পৃথিবীর নেতা। যেইনা প্রগতিশীলতা ত্যাগ করে ফেলেছে অমনি মুসলিমদের পতন হয়েছে। আজকের দুনিয়ার জন্য মুসলিমরা অযোগ্য, মানব কল্যাণে তারা কিছুই করতে পারেনা। জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় যতদিন না মুসলিমরা এগিয়ে আসছে আর যতদিন না কোরআন বহির্ভূত বর্ণবাদী আচরণ ত্যাগ করছে ততদিন মুসলিমরা জুলুমের স্বীকার হতেই থাকবে। এটা মুসলিম বলে নয়, বরং দূর্বল বলে জুলুমের স্বীকার। তবে এসব কিছুর আগে সবার বরং ব্যক্তি নিজেকে শোধরানো উচিত। ধর্ম নির্বিশেষে গরীব এর পাশে দাঁড়ানো উচিত যা আমরা না দাঁড়ালেও অনেক অমুসলিমরা দাঁড়ায়।
৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪১
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "যোগ্যতা থাকলে মুসলিমরা জুলুমেরই স্বীকার হতনা"
হ্যা এটা একটা বহুল প্রচলিত মতবাদ। দরিদ্র/দুর্বল মানুষের ব্যাপারে সম্পদশালী/শক্তিশালীরা এটাই প্রচার করে -'ওদের যোগ্যতা নাই তাই ওরা গরীব/দুর্বল/অনগ্রসর, ওরাতো শোষিত হবেই, এতে কোন অন্যায় নয় বরং এটা ওদেরই অযোগ্যতার ফল'। এভাবেই জালিমরা তাদের জুলুমকে বৈধতা দেয়ার চেস্টা করে। অথচ নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত সেনের থিওরীর মুল কথা হচ্ছে - 'দারিদ্রের জন্য দরিদ্র জনগোষ্ঠি নয় বরং ধনীদের পরিচালিত অর্থব্যাবস্থাই দ্বায়ী'। কথাটা একটা সমাজের মানুষের জন্য যেমন সত্য তেমনি বিশ্বের দেশগুলির জন্যও সত্য। দরিদ্র দেশগুলি তাদের দারিদ্রের জন্য নিজেরা নয় বরং সম্পদশালী দেশের শোষণমুলক ব্যাবস্থাই দ্বায়ী। মুসলিম দেশগুলি ধর্মীয় কারণে অধীক হারে এই শোষনের শীকার হচ্ছে বলেই আজকে তারা এতটা পিছিয়ে আছে।
আপনি যেসকল প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে মহান বলে কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়ছেন তার অধিকাংশই এই জুলুমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহৃত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। যদি ঐ মহান ব্যাক্তিরা সত্যিই মানবতার কল্যানে নিবেদিত থাকতেন তাহলে তাদের জ্ঞান মেধা এইভাবে মানবধ্বংসের হাতিয়ার হতে পারত না। আপনাদের দৃস্টিতে অতি মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের অনুরোধেই আমেরিকা পারমানবিক বোমা তৈরী করেছিল যার পরিনতি বিশ্ব দেখেছে। এইসব বিজ্ঞানীরা মুলত সম্রাজ্যবাদী, মুনাফালোভী গোষ্ঠির ক্রিনড়ক ছাড়া আর কিছুই নয়। বর্তমানে তারা এতটাই অসহায় যে বহুজাতিক কোম্পানীর স্পন্সর ছাড়া প্রায় কোন গবেষণা কাজই চালাতে পারে না - আর বহুজাতিক কোম্পানী মানবতার কল্যানে নয় বরং তাদের মুনাফার প্রয়োজনেই গবেষণা কাজে স্পন্সর করে।
যাই হোক, আপনি যে অবস্থানে আছেন সেখান থেকে এইসব বিষয় অনুধাবন করা আসলেই কস্টকর। যদি বিরক্ত না হন তাহলে একটা প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিন - কে কার উপর নির্ভরশীল - গরিব ধনীর উপর না ধনী গরিবের উপর? অথবা কে কার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে - গরীব জনগন ধনীদের প্রতি নাকি ধনীরা গরিবের প্রতি? এই প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যে হয়ত আপনি আপনার চিন্তা ধারার দুর্বলতাও অনুধাবন করতে পারবেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার বিভিন্ন কমেন্টে আপনার চিন্তাধারার দূর্বলতা অনেক দেখেছি। তাই অযথা আর এটা নিয়ে তর্ক করছিনা। আপনার ধারণা আমি জুলুমকারীর পক্ষে কথা বলেছি। তাই আগের মন্তব্যে পরিষ্কার করে বলেছি আমি তা বলিনি, তবু আপনি বুঝতে পারলেন না।
আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে যখন এত অনীহা তখন কম্পিউটারে বসে ব্লগ না লিখলেও পারেন। টিভি, ফ্রিজ, বিদ্যুত, গাড়ি, কম্পিউটার, চিকিৎসা ইত্যাদ সমস্ত সুবিধা ভোগ করতে একপা পিছাবেন না আবার তাদের গালিও দিবেন এই নাহলে কি আজকের মুসলিম? এটা চূড়ান্ত হিপোক্রিসি।
না জেনে না বুঝে আইনস্টাইনের ঘাড়ে দোষ দিয়ে দিলেন! আপনার মত মুসলিমের পক্ষে সবই সম্ভব। আইনস্টাইন কেন অনুরোধ করেছিলেন সেটা জেনে কথা বলুন। আইনস্টাইন সারা জীবন শান্তিকামী মানুষ ছিলেন, এটা পড়ে নিজের একপেশে চিন্তাধাড়া একটু পাল্টান http://www.ppu.org.uk/people/einstein.html । আলফ্রেড নোবেল তো ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন। মানব কল্যাণে ডিনামাইটের গুরুত্বের কথা আর নাই বা বললাম। কিন্তু খারাপ লোকেরা এর অপব্যাবহারও করেছে। তাই বলে মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলা যেমন অবান্তর তেমনি সারা দুনিয়ার কেউই আলফ্রেড নোবেল কে ডিনামাইট আবিষ্কারের জন্য দোষ দেয়না। তবে আপনার কথায় বুঝলাম আপনি আলফ্রেড নোবেলকেও চূড়ান্ত দোষী মনে করেন আর মানব কল্যাণের বিপক্ষ শক্তি মনে করেন। আপনার মনোভাব জেনে আনন্দে চোখে পানি এসে গেল। আপনার কথায় আমি মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যতে সুদিন দেখতে পাচ্ছি। আপনি বড়ই মানবিক।
নিজের জীবনটাকে তো কাঠামোবদ্ধ বানিয়েছেন তাই আমাকে একটা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন করেছেন। কে কার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে সেটা ধনী গরীব দিয়ে আমি বিবেচনা করিনা। আমি কোরআনে আদর্শ মানি। উপকারীর উপকার আমি স্বীকার করি আর কৃতজ্ঞ হই। কোরআন অনুযায়ী ধর্ম নির্বিষেষে আমি গরীবদের সাহায্য করি। মানব কল্যাণে যারা কাজ করে তাদেরকে আমি মহান মনে করি। তাই বলে জুলুমকারীর পক্ষে আমি নই। সেইসাথে জুলুমকারীর দোষ আমি ভাল লোকের ঘাড়েও দেইনা।
চিন্তাধারায় আপনি যে কতটা পিছিয়ে তার প্রমাণ পেলাম বর্তমান গবেষণা নিয়ে আপনার কথায়। শুনেন, দুনিয়ায় শুধু গোলা/বোমা নিয়েই গবেষণা হয়না, মানব কল্যাণে লাগে এমন হাজার হাজার গবেষণা হচ্ছে। এভাবেই মানব জাতি এগিয়ে যাবে। ব্যাবসাটাই সবার মূল উদ্দেশ্য নয়। আর এত উন্নত যুগে টাকা ছাড়া কোন গবেষণাও সম্ভব নয়। তবু নাহয় ধরে নিলাম টাকার জন্য এত গবেষণা, কিন্তু এতে তো মানুষ অনেক উপকৃতও হচ্ছে। পক্ষান্তরে আপনারা কি করছেন? গ্রামে গ্রামে দোড়ড়া মেরে বেড়াচ্ছেন। মজলুমের পক্ষে কিইবা করছেন? শুধু মিনমিনে গলায় এটা জুলুম এটা জুলুম বলে কান্নাকাটি করছেন। আপনার এত উন্নত চিন্তাধারা দিয়ে জুলুমকারীর বিরুদ্ধে কান্নাকাটি ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না, পারবেননা শান্তি আনতে, পারবেন না মানবিক হতে, পারবেন শুধু হিন্দুর ভাত মারতে।
৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি আমার প্রশ্নটার উত্তর এড়িয়ে গেলেন - কারণ আপনি যে ধারায় চিন্তা করেন তাতে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আসলেই কঠীন।
আপনি দেখছেন পশ্চিমাদের উন্নতির চাকচিক্য - তারা কত কত আরামের জীবন যাপন করছে। কিন্তু দেখছেন না তারা কিভাবে পৃথিবীটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে!!
আপনি দেখছেন তাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট আমরা ব্যাবহার করছি - অথচ দেখছেন না এটা তারা মনোপলি মার্কেটে অতি উচ্চ মুল্যে বিক্রি করে আমাদের কীভাবে শোষণ করছে।
আপনার দৃস্টিতে তারা অতি মহান, অতি মানবিক - আর মুসলমানরা সব অলস, অকর্মন্য। তাইতো তাদের বিলাষীতা, অপচয়, পরিবেষ ধ্বংস আপনার চোখে ধরা পড়ছে না - কিন্তু আমি দেখছি তাদের এই অতি উন্নত প্রযুক্তি পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষকে বিনা দোষে পানিতে ডুবিয়ে মারার ব্যাবস্থা করছে।
আমাদের দেশে হলমার্ক খ্যাত তানভীর মাহমুদ প্রতি বছর তার গ্রামের বাড়িতে বহু টাকা ব্যায়ে বিষাল আয়োজনে কোরবানীর উৎসব করত। দশ গ্রামের শত শত মানুষকে উদার হস্তে দান করত - যারা শুধুমাত্র সেই দান দেখেছে, নিজে ভাগে পেয়েছে তারা তাকে বিরাট দানবীর মানবিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে শ্রদ্ধা নিশ্চয়ই করত। কিন্তু আমরা এখন জানি তার সেই অর্থের উৎস কোথায়?
আপনি যে পশ্চিমাদের মানবিকতা আর উন্নত বিলাষী জীবন দেখে মুগ্ধ বিমোহিত তাদের ঐ সম্পদের উৎসও পুরো পৃথিবী বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব। ইওরোপীয়ানরা শোষন করত দেশ দখল করে কলোনী স্থাপনের মাধ্যমে, আর বর্তমান আমেরিকা শোষণ করছে মুদ্রা ব্যাবস্থা আর বানিজ্যিক আগ্রাসনের মাধ্যমে। আপনার দৃস্টিতে অতি অতি মহান বিজ্ঞানীগন কখনই এইসব লুটেরাদের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে অবস্থান নেয় নি - নিতে পারে নি। কাজেই তাদেরকে শ্রেফ অক্ষম/দুর্বল ভাল মানুষ ছাড়া বেশী কিছু মনে করার কোনই কারন নাই - হ্যা, সে হিসেবে আমি তাদের অবদানকে স্বীকার করি, তাদেরকে দেখি দানবের হাতে বন্দিকে দেখার করুনার দৃস্টিতে, কাজেই তার জন্য কৃতজ্ঞতায় নতজানু হওয়ার কিছুই নাই।
এখনও সম্পদের অনুপাতে মুসলমানরা যে হারে দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করে পশ্চিমারা তার ধারে কাছেও আসতে পারবে না। তবে আপনাকে হিসেবটা করতে হবে আনুপাতিক - যার এক কোটি টাকা আছে সে যদি ১ লাখ টাকা দান করে তাহলে তা সেই দানের সমান হবে যে একশ টাকা থেকে একটাকা দান করে(অর্থাৎ ১%)। হ্যা আপনি অমুসলিমদের দানের কথা বলেছেন, নিশ্চয়ই মুসলমারা অমুসলিমদেরও দান করবে(এখ্নও করে) - কিন্তু কখন? নিজের মুসলিম ভাইকে বাদ দিয়ে কি? আমি যখন দেখছি মুসলিমদের মধ্যেই কোটি কোটি দরিদ্র তখন আমি অমুসলিমদের কথা চিন্তা করার সুযোগ কোথায় পাচ্ছি? হ্যা, আমরা যখন সম্পদশালী ছিলাম তখন তখন অমুসলিমদেও প্রচুর দান করা করেছি - এবং মুসলিম বিশ্ব আবার যখন বিশ্ব নেতৃত্বে উঠে আসবে তখনও একই ভাবে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকল দরিদ্র মানুষকেই সাহায্য করা হবে - ইনশা আল্লাহ।
ইতিহাস দেখুন, মুসলমানরাও একসময় জ্ঞানে বিজ্ঞানে বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়েছিল। তখন কিন্তু তারা সেটাকে কুক্ষিগত করে মনোপলি ব্যাবসা করেনি। ইওরোপিয়ানরা মুসলিম স্পেন থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞান শিখেই রেনেসাঁর সুচনা করেছিল। মুসলিম বিজ্ঞানীরা যদি তাদের আবিষ্কারগুলি সকল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরে থাকে তাহলে বর্তমান বা সাম্প্রতিক কালের পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা কেন তাদের আবিষ্কারগুলি মানব কল্যানের পরিবর্তে মানব ধ্বংসের কাজে ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারল না? বাংলার প্রবাদটা জানেনতো - 'দুস্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভাল'।
আপনার সাধের পশ্চিমা বিশ্বের মাত্র ৭০-৮০ কোটি মানুষের বিলাশিতা আর অপচয়ের দ্বায়ে ( শুধুমাত্র কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমনের কথা চিন্তা করুন ) পুরো পৃথিবী ক্রমান্ময়ে বসবাসের উপযোগীতা হারাতে বসেছে - আর আপনি আছেন তাদের গুনকীর্তনে, তাদেরকে মহান মানবিক হিসেবে উপস্থাপনে ব্যাস্ত!! হবে, আপনাকে দিয়েই হবে। ওরা আপনারমত মানুষকেই খুঁজছে মুসলিম বিশ্বে ওদের মানষিক আধিপত্ব বিস্তারের জন্য।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কম্পিউটারের দাম মুসলিম দেশগুলোর চাইতে উন্নত অমুসলিম দেশগুলোতে আরও অনেক বেশী, এই সাধারণ তথ্যটাও আপনার জানা নাই। শুধু কম্পিউটার না বাকি বেশিরবাগ ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য। আপনার মতে এর মানে তারা নিজেরাই নিজেদের শোষণ করছে, হাহাহা।
আপনার এতগুলো কথার মূলকথা আমি অস্বীকার করিনাই। আপনি যা বলতেছেন সেগুলো সাম্রাজ্যবাদীদের কথা বলতেছেন, আমি এগুলো জানি এবং স্বীকার করি, আমি সাম্রাজ্যবাদের চরম বিরোধী, অযথা আমাকে এগুলো বলতেছেন কেন বুঝতে পারছিনা। আমি পশ্চিমাদের মোটেই মহান, মানবিক বলিনাই আর আপনি অযথাই সেইটা ভেবে আমাকে এত কথা বলতেছেন। আমি শুধু বিজ্ঞানীদের কথা বলেছি, এখন অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা পশ্চিমে থাকে বলেই যদি বিজ্ঞানী=পশ্চিমা মনে করেন তাহলে সেটা আপনার চিন্তার দৈন্যতা।
আমি পোস্টে যেটা বুঝাতে চেয়েছিলাম আপনি নিজেকে দিয়ে ১০০% সেটা প্রমাণ করেছেন।
গরীব দুঃখী দেখলে আপনি আগে মুসলিম অমুসলিম ভাগ করে মুসলিমদের সাহায্য করবেন। কোরানে কোথায় এমন ভাগাভাগি করে সাহায্য করতে বলা হয়েছে দয়া করে জানাবেন। এটা চরম সাম্প্রদায়িক মানসিকতা। কোরানের আদেশের সরাসরী লঙ্ঘণ।
আমি পোস্টে যেসব অমুসলিম দাতাগোষ্ঠির কথা বলেছি তারা কিন্তু আপনার চাইতে অনেক ভাল মানুষ। কারণ তারাও বেছে বেছে আগে তাদের ধর্মের গরীবকে সাহায্য করতে পারত, কিন্তু তারা তা করেনা। তারা মুসলিম গরীবকেও সাহায্য করে। গরীবের মাঝে তারা আপনার মত হিন্দু/মুসলিম ভাগ করেনা। রেডক্রস একটি খ্রীস্টান পরিচালিত চ্যারিটি সংস্থা হলেও তারা মুসলিমদের সাহায্য করা থেকে বিরত থাকেনা যদিও দুনিয়াতে গরীব খ্রীস্টানের সংখ্যা কম না। অথচ এই অসাম্প্রদায়িক লোকগুলোর কাজের প্রতি আপনার কোন সম্মান নেই, তাদের একমাত্র দোষ তারা মুসলিম না, তারা পশ্চিমা। সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে এদের পার্থক্য বুঝার সাধারণ জ্ঞানটাও আপনার নেই! খুব তো দুষ্ট গরুর কথা বললেন, কিন্তু আপনার নিজের গোয়াল তো শূণ্য নয় বরং দুষ্ট গরুতে ভরপুর। সেটা খালি করে কথা বললে ভাল হতনা?
আমার পোস্টের মূল কথাই আপনি বুঝেন নাই, পশ্চিমাদের গুনাগুন করতে আমি এই পোস্ট লিখিনাই (আপনি আন্দাজে এটা আবিষ্কার করেছেন), আমার পোস্টের উদ্দেশ্য কোরআনের আদর্শে চলতে মুসলিম ভাইদের উদবুদ্ধ করা, সাম্প্রদায়িকতা থেকে বেরিয়ে আসতে আহবান করা, মানবতার পক্ষে কাজ করতে বলা। তবে আপনার মত লোকদের কারণে এই দেশে সাম্প্রদায়িকতা টিকে থাকবে মনে হচ্ছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ইবনে সিনা হচ্ছেন চিকিতসা বিজ্ঞানের জনক। তাকে ইমাম গাজ্জালী কাফের ঘোষনা দিয়ে বহু কষ্ট দিয়েছেন। প্রগতিশীল বহু মুসলিম বিজ্ঞানী এইরকম মোল্লাদের খপ্পরে পড়ে নষ্ট হয়েছেন। মোল্লারা চাইতেন শুধু কোরআন হাদীস নিয়ে থাকতে। এর ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন, মুসলিমদের পতন। জ্ঞানচর্চা শুরু না করলে যতই ইনশাল্লাহ বলে লাফালাফি করেন না কেন জীবনেও আর উন্নতির চেহারা দেখবেন না। আর জ্ঞান চর্চা শুরু করে যদি মুসলিমরা কোনদিন উন্নত হয় তাহলে এই আপনার মত কেউই নতুন করে ইমাম গাজ্জালীর ভূমিকা নেবে।
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৩
আখাউরা পূলা বলেছেন: আমার মতে একটা উন্নত রাষ্ট্র আরেকটা অনুন্নত রাষ্ট্রকে অনেক ক্ষেত্রেই পরোক্ষ ভাবে শোষণ করে। এটা মূলত রাষ্ট্রীয় ব্যাপার, ধর্মীয় ব্যাপার নয়।
কিন্তু মুসলমানরা এটা ধর্মীয় ব্যাপার, ধর্মীয় শোষন বলে মনে করে। কারনটা হল, পৃথীবিতে ইসলামিক প্রায় সব রাষ্ট্রগুলোই অনুন্নতই বলতে গেলে। আর প্রায় সকল উন্নত রাষ্ট্র খ্রীষ্টান, কমিউনিস্ট।
তাহলে অমি মানি যে, আমেরিকা পুরো বিশ্বকে শোষণ করতেছে নিজের স্বার্থে। তাহলে আমেরিকার মুসলমানরাও কি পরোক্ষভাবে শোষন করছে না? তারা তো অমুসলিম নয়।
আমেরিকার মুসলমানরাও তো রাষ্ট্র দ্বারা শোষিত হচ্ছে না। বরং আর বাকি ১০ টা নাগরিকের মতই স্ুবিধা পাচ্ছে।
আমার মতে, এইসব টাইপ ধারনা যে, “মুসলমান মাত্রই শোষিত হয় অমুসলিম দ্বারা” দূর করতে হবে। বরং তারা “নিজেদের অবস্থার কোন পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে না” বলেই তারা শোষিত হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে, ধর্মীয় ভাবে নয়, এইটা স্বীকার করতে হবে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি কথাটা খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। এই সহজ কথাটাই গোঁড়া মানসিকতার লোকজন বুঝতে চায়না, এটা তারা ইচ্ছে করেই বুঝতে চায়না কিনা সে বিষয়ে আমার প্রশ্ন আছে। মনের ভিতর সাম্প্রদায়িক মনোভাব গেঁড়ে বসলে এমন হতে পারে। আপনার যুক্তিগুলো আসলেই সুন্দর হয়েছে আখাউরা পোলা ভাই।
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৫
আখাউরা পূলা বলেছেন: ধন্যবাদ! এতদিন জানতাম আমি কিছু বুঝাইতে পারি না। আজ এই ধারনায় ফাটল ধরাই দিলেন!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: শুধু ফাটল? এখনো ভাঙ্গেনাই?
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আর জ্ঞান চর্চা শুরু করে যদি মুসলিমরা কোনদিন উন্নত হয় তাহলে এই আপনার মত কেউই নতুন করে ইমাম গাজ্জালীর ভূমিকা নেবে।"
আপনি ইমাম গাজ্জালীর সমালোচনা করছেন আর রেডক্রিসেন্টের মানবতা দেখে মুগ্ধ!!
আপনার প্রফাইলে দেখলাম সুইডেনে আছেন। হ্যা, এটা ঠিক যে 'নুন খেলে গুন গাইতে হয়'। আমিও আপনাকে 'নেমক হারামী' করতে বলব না। কিন্তু দয়া করে এত অন্ধ ভক্ত হবেন না। জাতিগত ভাবে চিন্তা করলে দেখবেন ওরা মানবিকতার নামে যা কিছু করছে তার পুরোটাই 'গরু মেরে জুতা দ্বান' এর সমতুল্য। হ্যা, ওদের মধ্যেও কিছু মানবিক মুল্যবোধের ভাল মানুষ আছে - তারা বিপন্ন মানুষের জন্য কিছু কাজ করে ঠিকই - কিন্তু তারাও কখনই নিজেদের ভোগবাদী-পুঁজিবাদী-বিশ্বশোষক ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরী করবে না। বরং কিছু মানবিক কাজ দেখিয়ে আপনারমত মানুষকে এমনভাবে ভুলিয়ে রাখবে যাতে আপনারাও বিশ্ব-দানবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে না পারেন।
লাল সালুর ভন্ড মজিদের কথা মনে আছে? সে যেমন ধর্মের আড়ালে গ্রামের জোতদারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে প্রশমিত করত - এইসব মানবিক(!!) সংগঠনও তেমনি বিশ্ব দানব ভোগবাদী-পুঁজিবাদী-বিশ্ব শোষকের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে প্রশমিত করে মানবিক সাহায্যের ছলনায়। অথচ যেসকল যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা সাহায্য করে তার অধিকাংশের জন্য তারা নিজেরাই দ্বায়ী - কিন্তু আপনাদের দৃস্টিতে তা কখনই ধরা পরে না।
আপনি অসাম্প্রদায়ীকতার নামে যেভাবে নিজ ধর্ম, জাতীয়তা, জাতীয় ভ্রাতৃত্ববোধকে উপেক্ষা করতে চাচ্ছেন আমি সেটারই বিরোধীতা করছি। এটা মোটেই উদারতা নয় বরং হীনমন্যতা। আচ্ছা বলুনতো ইসলামের দৃস্টিতে দান বা সাহয্য পাওয়ার অধিকার সবচেয়ে বেশী কার? নিশ্চয়ই গরীব নিকট আত্মীয়ের, তার পর গরীব প্রতিবেশীর এবং তারপর অন্য সবাই। একজন মুসলমানের নিকটআত্মীয় মুসলমান হবে এটাই স্বাভাবিক, মুসলিম সমাজে বাস করলে প্রতিবেশীরাও স্বাধারণত মুসলমানই হয়ে থাকে - আর আমারা যখন দেখছি এই নিকটআত্মীয় এবং প্রতিবেশী মুসলমাদের মধ্যেই বহু দরিদ্র মানুষ আছে তখন এদেরকে বাদ দিয়ে অন্যদের কথা চিন্তা করার সুযোগ পাচ্ছি কোথায়? এ'কারণেই বর্তমান সমাজে মুসলমানদের দ্বান প্রধানত মুসলমানের ঘরেই যাচ্ছে, এটা অবস্থার প্রেক্ষিতে ঘটছে - কিন্তু এটাই মুসলমানদের সার্বজনীন নীতি নয়। বরং বর্তমানেও বিপদগ্রস্থ অমুসলিম ব্যাক্তিকেও সাহায্য করা হয় - কিন্তু সেটা নিজের জাতীয় পরিচয়ের বাইরে অতি আধুনিক হিসেবে নয়।
আপনি কি জানেন পুর্ব তিমুর কত দ্রুত স্বাধীন হয়েছে? দক্ষিন সুদান কত সহজে মুল সুদান থেকে আলাদা হয়েছে? কেন? কারণ তারা ধর্মে খ্রীস্টান। আর কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, ইরান, চেচনিয়া, মিন্দানাও, আসাম, গুজরাট, মিয়ানমার - এ কেন আগ্রাসন চলছে? সেখানে কেন আপনার ঐসব অতি মানবিক সংগঠন ও লোকজন সাহায্য নিয়ে আসছে না? এর পরও কি আপনি বলবেন পশ্চিমারা ধর্মের ভিত্তিতে চিন্তা করে না? ' ইহুদীবাদ' এর ভিত্তিতে অন্যের জমি জবর যখল করে তৈরী করা ইজরাইলের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক পশ্চিমাদের মুখে অসাম্প্রদায়ীকতা বা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কিভাবে উচ্চারিত হয় আর আপনারাই বা তা কিভাবে বিশ্বাস করেন - সেটাই আমার বুঝে আসে না।
আজকে শুধু মুসলমান নয় বরং পুরো বিশ্ব ঐ পুঁজিবাদী-ভোগবাদী দানবের আগ্রাসনের সীকার - আর প্রযুক্তি উদ্ভাবকরা সেই দানবেরই সেবাদাস মাত্র। কমিউনিজমের পতনের পর মুসলমানরাই এখন এই দানবের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সংগ্রামের অগ্রবর্তী বাহিনী। তারা এই প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ নতজানু রাখার জন্যই মুসলমানদের থেকে বেছে বেছে কিছু মানুষকে তাদের চাকচিক্য দেখাতে নিয়ে যায়। তাদের মানুষ বাছাই প্রকৃয়া কতটা সাম্প্রদায়ীক তার নজীর আমি নিজে দেখেছি - আমার পরিচিত এমন মানুষ আছে যে সকল যোগ্যতা থাকা সত্যেও শুধুমাত্র তার স্ত্রী বোরকা পরে এই কারণে কানাডার ইমিগ্রেশন পায় নি। খুজলে এমন উদাহরণ আরো বহু পাবেন। তবে চোখের রঙ্গীন চশমাটা খুলতে না পারলে এসবের কোন কিছুই আপনাদের দৃস্টিতে ধরা পরবে না।
অনেক কথা বল্লাম - আপনি সম্ভবত বিরক্ত হচ্ছেন। আসলে চিন্তা ধারার দুই প্রান্তে বসে কথা বল্লে কোন বিষয়ে একমত হওয়া কস্টকর। আমি কথাগুলি এ'কারনে বলছি যাতে আপনি অন্তত এটা জানতে পারেন যে মুদ্রার আর একটা পিঠও আছে - আপনি যা দেখছেন, যেভাবে ভাবছেন সেটাই চুড়ান্ত নয়।
আচ্ছা আপনি কি পশ্চিমাদের সম্পদ, ভোগ-বিলাষ দেখে বিমোহিত? আর মুসলমানদের দারিদ্র দেখে লজ্জিত? তাহলে জাতীয় কবি নজরুলের কবিতার দুটি লাইন স্বরণ করতে পারেন -
হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান
তুম মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান।
এবং খলিফা ওমর(রা.) সম্পর্কে -
অর্ধ পৃথিবী করেছ শাষন ধুলার তখতে বসি
খেজুর পাতার প্রাসাদ তোমার বারে বারে গেছে খসি।
আপনি আশংকা করেছেন আর একজন ইমাম গাজ্জালীর আগমনের। হ্যা, ওনাকে পুরো মুসলিম বিশ্ব হাজার বছর ধরে ইসলামের দ্বিতীয় মুজাদ্দীদ হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছে, ওনার নামের সাথে দরুদ (র.) পড়ছে। বর্তমানে পুরো বিশ্ব ইমাম গাজ্জালীর মত একজন মুজাদ্দীদের অপেক্ষায় আছে - যিনি এই ধ্বংসউম্মুখ বিশ্বে পুনরায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবেন। মানবতাকে বৈষম্য আর শোষন নির্যাতন থেকে মুক্তি দেবেন - ধুলার তখতে বসে শাষন করবেন পুরো পৃথীবি। আল্লাহ আমাদের সেই মহামানবের অনুসারী হিসেবে কবুল করুন - আমীন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনি সহজ কথা বুঝতে চাইছেন না কেন?
আমি কোন পশ্চিমার গুনগান গাইনাই। অযথা এটা নিয়ে আর কথা বইলেন না। বিজ্ঞানীদের আপনি হুকুমের গোলাম বলে চালিয়ে নিজেকে সান্তনা দেবেন এটাই স্বাভাবিক। তারা হুকুমের গোলাম বলে স্বীকার করে নিলেও তারাই মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনাকে তো বললামই আপনি এদের হুকুমের গোলাম মনে করলে তাদের আবিষ্কৃত জিনিস ব্যবহার না করলেই পারেন, তা তো করবেন না, ষোল আনা স্বার্থপরের মত ভোগ করবেন আর গাল দিবেন। আপনি ওদের প্রোডাক্ট না কিনলে কি ওরা জোড় করে আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনাকে জিনিস দিয়ে যাবে? কি অদ্ভুত চিন্তাধারা! বর্তমানের অথর্ব মুসলিমরা দুনিয়ায় না থাকলে তাদের কিছুই আসবে যাবেনা। মানব কল্যাণে অপরিসীম অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে আপনার ধারণা এতই ভুল যে লোকে শুনলে আপনাকে ধিক্কার দেবে। বিজ্ঞানীদের সম্মান করা বলতে তাদের প্রতি নতজানু হতে আমি বলিনাই, শুধু এতটুকু শ্রদ্ধাবোধ রাখতে বলেছি যে তারা নরকের কীট নয়, যখন আপনার মত ধার্মিকেরা তাদের তাই বলে মনে করেন।
আগে আত্মীয়স্বজন কে সাহায্য করতে হবে ঠিক আছে, কিন্তু আত্মীয়ের সাহায্য মিটে গেলে তখন কি করবেন? আমি সেটাই বুঝিয়েছি। আপনার বাড়ির পাশের হিন্দুটিকে আপনি প্রতিবেশীও মনে করেন না তাহলে! কই কোরআনের কোন রেফারেন্স তো দিতে পারলেন না আপনার এই সাম্প্রদায়িক মানসিকতার পক্ষে? প্রতিবেশীর বেলায় হিন্দু মুসলিম ভাগাভাগি কেন? নিজেরে আর ছোট কইরেন্না। কোরআন অনুযায়ী চলতে চেষ্টা করেন, সামনে অনাহারী পেলে তার ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞেস না করে আগে বরং তাকে খেতে দিন। আর অমুসলিম দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ তাদেরকে মহান প্রমাণ করার জন্য আনিনাই, এনেছি শুধু এটা বুঝাতে যে আমরা মুসলিম হয়েও কিভাবে মানবিকতার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের চাইতে পিছিয়ে আছি। অমুসলিমদের ওটা লোক দেখানো হলেও ভুল তো নয়। কোরআন তো আমাদের এমন শিক্ষা দেয়না। আপনি আলোচনাটাকে পুরাই ভিন্নদিকে নিয়ে গিয়েছেন।
ইমাম গাজ্জালী একজন মানুষ ছিলেন, আর মানুষ ভুলের ঊর্ধে নয়। আমি ইমাম গাজ্জালীর ধর্মীয় পুস্তক বা ইসলাম সম্পর্কিত মতবাদের সমালোচনা করিনাই, তবে তিনি জ্ঞান সাধনাকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন এটা অবশ্যই অন্যায় করেছিলেন। এই ব্যাপারে তার সমালোচনা না করলে বুঝতে হবে আপনি একজন অন্ধ বিশ্বাসী। কোরআনে কোথায় জ্ঞানচর্চাকে নিরুতসাহিত করা হয়েছে? বরং জ্ঞানচর্চার পক্ষে বলা হয়েছে। ইমাম গাজ্জালীর এই ভুলটাও কি আপনি স্বীকার করেন না? মনে রাখবেন যতই ইমাম গাজ্জালীর অপক্ষে করেন না কেন জ্ঞানচর্চা না করলে কেউই মুসলিম জাতিকে উদ্ধার করতে পারবেনা।
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশিদ :
পশ্চিমা একজন বিখ্যাত দার্শনিক (এখন নাম মনে করতে পারছিনা) তার গবেষনাগ্রন্থে বলেছেন, "এক ইমাম গাজ্জালীর যদি জন্ম না হতো, তাহলে আজ মুসলিমরা হতো নিউটন, আইনষ্টাইনের জাতি"
একদা আমাদের পুর্বপুরুষ অনেক ধনী ছিলো এটা বলে হয়তো আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, এর বেশী কিছুনা, যা আত্মপ্রতারনারই শামিল ।
আমাদেরকে বিশ্বসমাজের একজন হতে হবে, নাহলে আমরা অর্থহীন, হাস্যকর আত্মঅহমিকা নিয়ে মাটিতে মিশে যাব.............
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৫
আখাউরা পূলা বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশিদ :
গোড়ামী ার সাম্প্রদায়িকতা, ঞ্জান, আর চিন্তাশীলতার সম্পূর্ণ বিপরীত…
১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশিদ
ইমাম গাজ্জালীর বই- এহিয়া উলুম আল দীন, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২৬- ২২৮
কাকে বিয়ে করতে হবে সে ব্যাপারে কি রকম উদ্ভট পরামর্শ দেয়া আছে:
তাকে অসুন্দরী হলে চলবে না, হতে হবে সুন্দরী। তার স্বভাবটাও হতে হবে সুন্দর। এবং আরও:- নবী বলেছেন: সর্বশ্রেষ্ঠ স্ত্রী হল সে, যার দিকে তাকালে স্বামী তৃপ্ত হয়, স্বামীর যে বাধ্য, এবং স্বামীর অবর্তমানে যে নিজের এবং তার সম্পদ রক্ষা করে। যে সব মেয়েদের বিয়ে করা যাবে না তারা হল, বিবাহিতা, ধর্মত্যাগিনী, নাস্তিক, নারীবাদী, স্বাধীনচেতা, অগ্নিপূজক, মূর্তিপূজক, অশ্লীল যৌনাচারে অভিযুক্ত তা সে প্রমাণিত হোক বা না-ই হোক, এবং এ ছাড়া কোরানে যাদের নিষেধ করা হয়েছে আত্মীয়তার কারণে।
প্রমাণিত হোক বা না হোক!! আচ্ছা শত্রুতা করে সবসময়ই আপনার বিয়ের আগে কেউ যদি পাত্রী সম্পর্কে উপরোক্ত কোন একটি অভিযোগ করে তাহলে তো আপনার সারা জীবনেও বিয়ে করা হবেনা। কারণ অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করার সুযোগ আপনাকে দেয়া হয়নাই। আপনার মহান ইমাম গাজ্জালী দেখা যাচ্ছে দেশে খুব শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে এসেছিলেন।
১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:০১
ইভা_110 বলেছেন: পরাগ সাহেব আপনার লেখা্ গুলো সুন্দর ।
তবে মুসলিম বিশ্ব সর্ম্পকে আপনার সমালোচনাগুলো অনেকটা সাধারণ মানুষের মত ।
আপনি ভালো করেই জানে পশ্চিমাদের মধ্যযুগের বর্বতা মানব ইতিহাসের একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। যার ফলে রেনেসাঁর আর্বিভাব ঘটে । সেই রেনেসাঁ বিল্পবের অনুপ্রেরণা জ্ঞান -বিজ্ঞান মুসলিম জাহান থেকে চুরি করে ছিন্তাই করে নিয়েগেছে । এখনও মুসলিম মনীষিদের অনেকেই জ্ঞানের জনক হিসেবে পশ্চিমাবিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষতির স্মৃতি কুরাচ্ছে।
শতের শতক থেকে বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত মুসরমানদের নৈতিক ও আর্দশিক পতনের ফলে তারা তাদের গৌরব ধরে রাখতে পারেনি। এটাই হয়ত স্বাভাবিক পৃথিবীর ইতিহাসে বিভিন্ন সভ্যতার উত্থান পতনের দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়ে যায়।
বর্তমান মুসলিম জগত সম্পর্কে আপনি তথ্যের অভাবে আছেন। চলতি শতাব্দির ইরানের ইসলামী বিপ্লব মুসলিম জগতের জন্য এক মু'যিযা ছাড়া আর কিছুই নয়। পাশ্চাত্য বিশ্ব আমাদের তথাকথিক নামধারী রমুসলমানদের চেয়ে ভাল করে ইরান ও ইরানের ইসলামী বিপ্লব সম্পর্কে ধারণা রাখে। তাই সব সময় চেষ্টা করে এসেছে শীয়া এবং সুন্নীদের মাঝে দ্বন্দ্বকে তাজা রাখতে যাতে পরস্পরে একত্রিত হতে না পারে। তারা ভাল করেই জানে ঐতিহাসিকভাবে ইরানীদের যে মেধা ও সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে তা মুসলিম জাতির হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। তাই সবসময় আমাদেরকে ইরান ভীতি দিয়ে তাদের থেকে সরিয়ে রাখা হয়। শীয়াদেরকে ঘায়ের করার জন্য তারা তালেবান, সালাফী, ওহাবী. ..তৈরী করেছে।
বর্তমান ইরান আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যেভা্বে এগিয়ে যাচ্ছে তা নিশ্চিত ভাবে জেনে রাখেন আগামী দশ বছরে সে তথাকথিত পরাশক্তিদের দেয়াল টপকায়ে পার হয়ে যাবে।
শুধু বস্তগত সামগ্রীর প্রতিযোগীতায় টিকে গেলেই সম্মান পাওয়া যায় না বরং আদর্শ একটি বড় বিষয়। অতএব জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উত্তম আর্দশের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে সভ্যতা ।
যাহোক ইরান ও ইরানের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে একটু খিয়াল রাখবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৬
আখাউরা পূলা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত…