![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডে বসে ছিল অভ্র চোখ ভরা অশ্রু নিয়ে। এ কি কোলাহল এ কি উৎসব এর আওয়াজ ।এই আনন্দ শুধু অন্য রকম বিজয়ের আনন্দ ।অভ্র চোখ মুছতে মুছতে দেখলো আশে পাশের অনেক মানুষের চোখ জয়ের কান্নার অশ্রু । দিনটা ছিল ১৯ এপ্রিল মিরপুর স্টেডিয়াম ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!শব্দটা অভ্রের চোখ ঝাপসা করে দিয়েছে জলে! হ্যাঁ, হয়তো শব্দহীন নীরব কান্না। আবার কেউ কেউ কান পেতে সেটা শোনার চেষ্টাও করেছেন। মিরপুর স্টেডিয়ামে অনেককেই দেখা গেছে আনন্দে কেঁদে উঠেছেন! চোখের জল ফেলেছেন । এদিন মিরপুর স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোর মাঝেও একজনকে চোখের জল মুছতে দেখে মনে হলো, ভদ্রলোকের চোখের জলের রংও যে লাল-সবুজ! হ্যাঁ, মিরপুর স্টেডিয়ামে তখন লাল-সবুজের উৎসব ।অভ্র প্রচণ্ড সিকনেস নিয়ে সব গুলো খেলা দেখেছিল ছিল তার ১০৪ ডিগ্রি জ্বর তার মা আটকে দিয়ে বলেছিল যাসনে বাবা তোর আরো শরীর খারাপ করবে তখন অভ্রের কড়া গলায় জবাব ছিল মা পাকিস্তানী রা আমাদের দেশ শাসন করেছিল আর আমরা যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছিলাম সেদিন আমার মত হাজার হাজার তরুন জীবন দিতে যুদ্ধ গিয়েছিল এই দেশের টানে আর আমি যদি সামান্য জ্বর নিয়ে স্টেডিয়ামে না যেতে পারি তাহলে কি হবে মা । আর মা শুনো আমাদের টাইগার ক্রিকেট বাহিনি কে লিড করছে সামনে থেকে মাশরাফি বিন মুর্তাজা যে কিনা ছয় বার পায়ে অস্ত্রোপ্রচার করেও বাঘের মত বাংলাদেশের ক্রিকেট কে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে এক নতুন রুপে আর আমি সামান্য জ্বর নিয়ে স্টেডিয়াম যেতে পারবো না মা ।তারপর অভ্রের মায়ের জবাবা ছিল যা বাবা জয় নিয়ে ফিরবি । তারপর ছুটে গেল অভ্র তার রক্তের টানে মিরপুর স্টেডিয়ামে শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডে বস এ দেখলো অকল্পনীয় এক মহা কাব্য বিজয় রথ টানা তিন ম্যাচে ১৬ বছরের জয় না পাওয়ার কস্ট ঘুছিয়ে দিল ৭৯ রানে ৭ উইকেট আর ৮ উইকেট এর বিশাল সব ব্যাবধানে দুমড়ে মুচরে আকশ থেকে মাটিতে নামিয়ে আনলো বিজয় নামের অধরা বস্তুকে । সারা গ্যালারী যখন ভাসছে বিজয় উৎসব তখন অভ্রের মনে পড়ে গেল বাবার কাছে শোনা শহীদ জুয়েল এর কথা যে কিনা ছিল এই বাংলার এক দামাল ক্রিকেটার যার নামে এই মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ডের নাম । অভ্র তখন জাতীয় পতাকা সারা গায়ে জড়িয়ে আকাশের পানে তাকিয়ে বলে দেখ হে বীর গন তোমরা কি দেখছ আজ এই বিজয় । এই জয় আমরা পেতাম না যদি তোমরা এই দেশের তরে প্রান দিতে ।যেখানে থাকো হে বীর রা সুখে থেকো। হয়ত রুমি জুয়েল বদি আজাদ সেদিন তার কথা গুলো শুনেছিল সেই হাজার মানুষের মাঝে থেকেও । আর মনে মনে বাজতেছিল “ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ”
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩
গাজী মোঃ মশফিকুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লিখা