নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার ইচ্ছা ফেসবুকে আমি https://goo.gl/MsyCIb

রুদ্র রিটার্ন

রুদ্র রিটার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়ায় রাশিয়ার IS বিরোধি যুদ্ধের একটি সম্পূর্ণ চিত্র

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

1) সিরিয়ার আসাদপন্থি সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা লাটাকিয়া অঞ্চলে খুবই অল্প সময়ে একটি পার্মানেন্ট শক্তিশালি বেইজ গড়ে তুলেছে রাশিয়া । বছরের পর বছর ওখানে অবস্থান করবার মতো সাপ্লাই পৌছে গেছে । ১৫০০ রাশিয়ান মেরিন ,৫০০০ সাধারণ সৈন্য এবং অজানা সংখ্যক স্পেশাল স্পেটজ্নাজ কমান্ডো বাহিনী পৌছেছে লাটাকিয়াতে ।শত শত গানশিপ ,হেলিকপ্টার ,আর্মারড যানের পাশাপাশি এসেছে শক্তিশালি ট্যাংক । তবে এখানকার মূল অস্ত্র রাশিয়ান এয়ার ফোর্সের শক্তিশালি ফাইটার জেটগুলি । গত তিন দিনে ১২৫টি স্ট্রাইক করে লাটাকিয়া থেকে তুরস্ক পর্যন্ত আইসিস ক্লিয়ার করে ফেলেছে রুশ এয়ার ফোর্স । নিকট অতীতে এই বিরাট এলাকায় মার্কিন বা জঙ্গি গ্রুপের ঢোকবার সম্ভাবনা ক্ষীণ ।
.
২)মিডল ইস্টে রাশিয়ার প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এলাকার বাইরে একমাত্র শক্তিশালি মিলিটারি নেভাল বেইজের অবস্থান সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় পোর্ট টারটাস-এ । সাধারণ সময়েই এই রুশ নৌঘাটিতে রাশিয়া বিপুল সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রাখে । তবে গত এক সপ্তায় টারটাসে পৌছে গেছে রুশ নৌবাহিনীর ব্যালিস্টিক সাবমেরিন , মহাশক্তিধর এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ও অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ ।এখান থেকে লাটাকিয়া সহ সমগ্র সিরিয়া এমনকি ইরাকেও এয়ার কভার দিতে পারবে রাশিয়া ।
.
3) টারটাস বেইজে পৌছে গেছে চীনা তিনটি মিসাইল ক্রুজার ও একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার । চীনা মিলিটারি এডভাইজার রা অবস্থান করছে লাটাকিয়া বেইজে । চীনা "রেড গার্ড" এর ট্রুপ পাঠানো হয়েছে কিনা তা অনিশ্চিত । তবে প্রাক্তন কম্যুনিস্ট ব্লক ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এটাই এই মুহুর্তে মার্কিন দুশ্চিন্তার সবচে বড় কারণ ।
.
4) লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইরানের সামরিক বাহিনী হাজারে হাজারে ঢুকে পড়েছে সিরিয়াতে । তবে এখনো আইএসের সাথে কোন ক্ল্যাশ ঘটেনি ।
.
5) জর্ডান মার্কিন নেতৃত্বের সামরিক অভিযান থেকে বেরিয়ে এসে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ।
.
6) ইরাক তাদের সমস্ত যোদ্ধা রাশিয়ার সাহায্যে ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । তবে তা কেবলমাত্র যখন রাশিয়া ইরাকে আসবে IS কে দমন করতে তখন । ইরাকের বাগদাদেই আরেকটি রুশ বেইজ স্থাপনের গুঞ্জন উঠেছে কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে ।
.
7) বিশাল সিরীয় শরনার্থী ক্রাইসিসে পড়ে জার্মান অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত । জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মর্কেল মার্কিনিদের পুতিনবিরোধি নীতির বিরোধিতা করে গত বৃহস্পতিবার জার্মানি ফ্রান্স ও রাশিয়ার একটি ত্রিপাক্ষিক মিটিং এ বলেন,"We have all known that there can only be a solution there with russia, and not against russia." উল্লেখ্য জার্মানি ইউরোপের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পর শ্রেষ্ঠ মিলিটারির দেশ ,যাদের অর্থনীতি দাড়িয়ে আছে রুশ তেলের ওপর ।
.
8.) আইসিসের ঘোষিত "রাজধানী" রাক্কাতে আক্রমণ করে ১২০ জন আইসিস জঙ্গি মেরেছে রুশ এয়ার ফোর্স । এমুহুর্তে এন্টি এয়ার অস্ত্র হিসেবে IS এর আছে কেবল Manpad যেটার রেঞ্জের অনেক উপর থেকে আঘাত করে অত্যাধুনিক রুশ জেট গুলি ।এছাড়া সিরিয়া তুরস্ক বর্ডারে আল কায়েদার ব্রাঞ্চ আল নুসরা ফ্রন্ট, আহরার আল শামস ও সিআইএ আততায়ীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ক্লিয়ার করেছে তারা ।উল্লেখ্য ,তুরস্কের বর্ডারের কাছাকাছি এতদিন আল নুসরা ,সিআইএ এবং আইসিস নির্ভয়ে আশ্রয় নিয়েছিল একারণে যে আসাদ এখানে ফাইটার জেট পাঠালে তুরস্ক তা ধ্বংস করে দিত । কিন্তু রাশিয়ার আগমণের কারণে এখন এ এলাকায় আক্রমণ সম্ভব হচ্ছে যেহেতু রাশিয়ার গায়ে টোকা দেবার সাহস তুরস্কের শয়তান এরদোগান প্রশাসনের নেই ।
.
9) অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধ প্রযুক্তির সাহায্যে এ মুহুর্তে সিরিয়ান আর্মি রুশ এয়ার ফোর্সের সাথে কো অর্ডিনেট করে উত্তর সিরিয়া স্বাধীন করতে আক্রমণ চালাচ্ছে । পাশাপাশি কো অর্ডিনেশন রেখে আর্টিলারি ফায়ার করছে ইরান ও হিজবুল্লাহ । মুখোমুখি যুদ্ধের জন্যও তাদের সৈন্যরা হাজির ।ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন ,Syria is Russia's sister and will be defended.
.
10) সবমিলিয়ে ওবামা প্রশাসন রাশিয়াকে বাধা না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এমনকি সিআইএর প্রশিক্ষিত আততায়ী যারা ওখানে আসাদের বিরুদ্ধে আছে তাদের রাশিয়া আক্রমণ করলেও আমেরিকা চুপ থাকবে । কোন ভাবেই তারা এ মূহূর্তে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ চায়না
লেখা- সংগৃহীত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় মুলিম দেশের কথিত রাজা বাদশাহ রা!!

সেই ২য় বিশ্বযোদ্ধ পূর্ব এবং পরের যে অবস্থাং! আজও তারচে খারাপ হাল!!

নিজস্বতা স্বকীয়তা সত্য হারিয়ে আজ আমেরিকা রাশিয়া যুদ্ধে করে তাদের স্বার্থে- তোদের মাটিতে!

কে জানে এই উত্তেজনা ৩য় বিশ্বযুদ্ধে রুপ নেয় কিনা!

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: শেষ পর্যন্ত রাশিয়া পশ্চিমাদের ফাঁদে পড়ল , ক্রিমিয়া একসন টা এবার রাশিয়া টের পাবে , আমিরিকা ও অনন্য পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্র গুলা অত্যাধিক ধনী ও আসাদ বিরোধী বিশেষ করে সৌদি কাতার তুর্কি ও আমিরাত , আমিরিকা এবার লাভে লাভ , অস্ত্র বেচবে আবার নয়া শত্রু রাশিয়াকে ও সাইজ করবে , ৬০ বিলিয়ন আর ১০০ বিলিয়ন সবয় কিন্তু বাকির খাতা রাশিয়ার জন্য, দীর্ঘ সময় সারভাই ব করার জন্য কাচা পয়সার দরকার , আর তেল বাইচা নগদ পাইবো সে আশাও খুব কম , তেলের যা বারোটা বাজছে তাতে সিরিয়া দুরের কথা ইরান রুশিয়া ও তেল বিক্রি করে কুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা। আসলে ৩ য় বিশ্ব যুদ্দু তুদ্দু কিছুনা সিরিয়াতে রাশিয়া কে সাইজ করার জন্য আমেরিকা কিছু হাতে বহন যোগ্য এন্ট্রি এয়ার মিজায়িল দিলে কাম সারা। ইরানের তালে রাশিয়া একটি গর্তে পড়ল , ইরান চাইছিল ইয়েমেনের রিয়াকসন দেখানন জন্য , কিন্তু রাশিয়া যে গরম উনানে হাত ঢুকাইছে তা এবছরের মধ্যে তের পাইব, রাশিয়া যে আফগান অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়নাই। আফগান যুদ্ধের সময় ও রাশিয়ার বিপরীতে একই শক্তি ছিল আমেরিকা , পশ্চিম ইউরোপ , সৌদি , গালফ কান্ট্রি , তুর্কি , জাপান সব সব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.