![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১১ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচটা মনে আছে ।চট্টগ্রামে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ . ম্যাচটা বাংলাদেশের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল একসময়। সেখান থেকে ত্রানকর্তার ভুমিকায় অবতির্ন হন শফিউল ইসলাম। হেরে যাওয়া ম্যাচটি হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন এক ছক্কা ৪ চারের মারের সহায়তায় ২৪ বলে ২৪ করে দল কে জয়ের বন্দরে ।ইংল্যান্ডের ২২৬ রানের জবাবে ব্যাটিং এ নেমে একটু খারাপ শুরু হলেও সাকিব ইমরুল জুটি ৮২ রানের জুট্রি গড়েন ।এরপর এই পার্টনারশিপ ভাঙ্গলে বাংলাদেশ ১৫৫/৩ থেকে ১৬৯/৮ হয়ে যায়। শেষ ১৪ রানেই ৫ উইকেট নেই। কেবল এক প্রান্ত আগলে রাখেন মাহমুদউল্লাহ। এত কাছের ম্যাচটাকে তখন অনেক দূরের মনে হতে থাকে। স্টেডিয়াম থেকে দর্শকেরা চলে যেতে শুরু করে। অনেকেই টেলিভিশনের সামনে থেকে উঠে যান। কিছু মানুষ তখনো বসে থাকেন। দলটা যে আমাদের বাংলাদেশ! জিতলেও বাংলাদেশ, হারলেও বাংলাদেশ।
জিততে তখনো দরকার ৬২ বলে ৫৭ রান। হাতে আছে মাত্র ২ উইকেট। ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেন বোলার শফিউল ইসলাম। অনেকেই জেতার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনো যে দেখানোর অনেক কিছু বাকি ছিল রিয়াদ-শফিউলদের। ৪১ ওভারে দলের রান ১৭১/৮। জিততে আর ৫৪ বলে ৫৫ রান দরকার। ৪২তম ওভার করতে এসেছেন গ্রায়েম সোয়ান। ওভারের ২য় বলে মাহমুদউল্লাহর চার, ৪র্থ বলে শফিউলের চার এবং ওভারের শেষ বলে লং অনের ওপর দিয়ে শফিউলের ছয় এখনো ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে শিহরণ জাগায়। সেই ওভারেই আসে ১৬ রান। ৪৬তম ওভারে ২০০ পেরোয় বাংলাদেশ। জয়টা তখন কাছ থেকে দেখা যাচ্ছে। রিয়াদ-শফিউল মাথা ঠান্ডা রেখে খেললেই সম্ভব।
শেষ ৪ ওভারে দরকার ২২ রান। ৪৭তম ওভার বল করতে আসেন টিম ব্রেসনান। সেই ওভারের ২য় ও ৫ম বলে বাউন্ডারি মারেন শফিউল। ৩ ওভারে তখন মাত্র ১২ রান প্রয়োজন। এরপর ২ ওভারে ৫ রান। জয়টাকে তখন সম্ভব মনে হচ্ছিল। উত্তেজনায় কাঁপছে পুরো বাংলাদেশ। ৪৯তম ওভারে ব্রেসনানের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহর কাভার ড্রাইভ। এরপর ইতিহাস! ড্রেসিংরুম থেকে বাংলাদেশের সব ক্রিকেটাররা দৌড়ে আসে। সাগর পাড়ের চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে বয়ে যায় দর্শকদের ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ গর্জনের উত্তাল ঢেউ।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
রুদ্র রিটার্ন বলেছেন: সবাই বলছিলো হেরে গেছে আর দেখিস ন তবু বসে ছিলাম জিদ ধরে ।অতঃপর ইতিহাস
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
অন্ধকারের আলোর দিশারী বলেছেন: মনে থাকবে না কেন মনের চিলেকোঠায় এখনো সজিব ।