নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার ইচ্ছা ফেসবুকে আমি https://goo.gl/MsyCIb

রুদ্র রিটার্ন

রুদ্র রিটার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রিবিউট টু ম্যাশ

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

বিশ্ববিখ্যাত ইংলিশ অলরাউন্ডার 'এন্ড্রু ফ্লিন্টফ' মাত্র একটি সার্জারীর ভয়েই ক্রিকেট কে গুডবাই জানিয়েছেন... নিউজিল্যান্ডের 'শেন বন্ড' দুইবার সার্জারীর পরই ভয়ে ক্রিকেট ছেড়ে দেন... মাশরাফি বিন মুর্তাজা একমাত্র ক্রিকেটার যিনি পরপর ৭টা মারাত্নক সার্জারী করেও এখনো ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন... বিশ্বের কোন ফার্স্ট বোলারই দুইবারের বেশি সার্জারী করে খেলতে পারেননি কিন্তু তিনিই এই অসাধ্য ব্যাপার সাধ্য করেছেন । মাশরাফি একমাত্র পরিশ্রমী ক্রিকেটার যার ওজন বেড়ে যাচ্ছে বলে ক্রিকেট ছাড়ার আশংকা ছিল তাই তিনি ১মাসে ১২ কেজী ওজন কমিয়ে সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়েছিলেন । যেকোন আঘাতে তাঁর বাম পা পঙ্গু হয়ে যেতে পারে এমন রিস্ক থাকা সত্ত্বেও তিনিই একমাত্র সাহসী মানব যিনি প্রতিটি ম্যাচে এখনো হিংস্র বাঘের মত বোলিং করে যাচ্ছেন !তিনিই একমাত্র দেশপ্রেমিক যার একমাত্র আদরের ৫ মাস বয়সী ছেলে এ্যপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে টাইফয়েডের সঙ্গে মূত্রাশয়ের সংক্রমণ রোগে মৃত্যুর মুখো-মুখি, অথচ দেশের স্বার্থে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে একমাত্র ছেলের সুস্থ্যতার জন্য দু'হাত তুলে দোয়া করে দেশের জন্য মাঠে নেমেছেন। বিশ্বে মনে হয় আর কোন বোকা বোলার নাই যে দুই পায়ে সাত বারের মতো অপারেশন করার পরও আগের মত দৌড়ে বোলিং করে ব্যাটসম্যান কে এক একটি আগুনের গোলা উপহার দিয়ে ব্যাটসম্যানের ভিত কাঁপিয়ে দেয়। মাশরাফি ভাই আপনি এত বোকা ক্যান অন্য ফাস্ট বলারা ইনজুরিতে পড়ার ভয়ে নিজর শরীরবাঁচিয়ে খেলে সেখানে ও এই রকম ভয়ডর বিহীন ভাবে আপনি খেলেন কেন ? আমাদের একমাত্র প্লেয়ার যে কিনা ইনজুরি বিধ্বস্ত অবস্থায় বোলিং এর কষ্টকে ভুলতে নিজেকে সান্ত্বনা দেন এই বলে "মুক্তিযোদ্ধারা পায়ে গুলি নিয়েও যুদ্ধ করে যেতে পারলে আমি কেনো সামান্য অপারেশন নিয়ে বোলিং করতে পারবো না।আমাদের একমাত্র প্লেয়ার যে কিনা ইনজুরি বিধ্বস্ত অবস্থায় বোলিং এর কষ্টকে ভুলতে নিজেকে সান্ত্বনা দেন এই বলে "মুক্তিযোদ্ধারা পায়ে গুলি নিয়েও যুদ্ধ করে যেতে পারলে আমি কেনো সামান্য অপারেশন নিয়ে বোলিং করতে পারবো না।
মাশরাফির এই উক্তি গুলো পড়লে হ্রদয়ে আসলেও ভালোবাসা জাগে দেশের জন্য "সেদিন প্রথম বুঝি, দেশ আছে বলেই আমি আছি। প্রথম আলোয় প্রতিদিন সবার আগে পড়ি শেষ পৃষ্ঠার ‘তোমাদের এই ঋণ শোধ হবে না’। একটা লেখা পড়লেও ওটাই পড়ি। টেলিভিশনে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারির যেসব অনুষ্ঠান দেখায়, আমি সব দেখি। এগুলো তো অনেক পরে তৈরি করা জিনিস, তার পরও ওই সময়ের কথা মনে হলে আমার খারাপ লাগে। তাঁরা দেশের জন্য কী করে গেছেন আর আমরা কী করছি? তাঁদের জন্যই তো আমরা আজ অন্যের জুতা পরিষ্কার করছি না। ম্যাচ জিতলে সবাই বলে আমরা নাকি বীর। আসল বীর তো তাঁরা!
বারবার ইনজুরি থেকে ফিরে আসার প্রেরণাও পাই সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকেই। এমনও ম্যাচ গেছে আমি হয়তো চোটের কারণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। দুই-তিনটা বল করেই বুঝতে পারছিলাম সমস্যা হচ্ছে। তখন তাঁদের স্মরণ করেছি। নিজেকে বলেছি, ‘হাত-পায়ে গুলি লাগার পরও তাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন কীভাবে? তোর তো একটা মাত্র লিগামেন্ট নেই! দৌড়া...।"

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ইলি বিডি বলেছেন: সালুট ম্যাশ....

ধন্যবাদ আপনাকে.।।।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্যালুট ম্যাশ।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রুদ্র রিটার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ দুইজন কেই

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: গো টাইগার্স //////////

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.