![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের বই পড়তে চান। কোন বই পড়লে মুক্তিযুদ্ধের চাপা পড়া বিস্মৃত ইতিহাসগুলো জানতে পারা যাবে।মুক্তিযুদ্ধের উপর এই পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি বই বের হয়েছে। আপনি যদি প্রকাশিত এই বইগুলোর অর্ধেকও পড়তে পারেন,তবে মুক্তিযুদ্ধ নামক এই মহাকাব্যের অশেষ অসংখ্য চাপা পড়া অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের পর্যায়ক্রমিক নয় মাস সময়ের সলিড নির্ভরযোগ্য ইতিহাসটা জানতে হলে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কতৃক হতে প্রকাশিত এবং হাসান হাফিজুর রহমান কতৃক সম্পাদিত “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’-১৫ খণ্ড” এর বিকল্প নাই। সাড়ে তিন লাখ ডকুমেন্টস থেকে ভ্যারিফিকেশন শেষে ১৫ খণ্ডের এই সংকলন প্রস্তুত করা হয়েছে, পৃষ্ঠা সংখ্যা এরাউন্ড ১৫,০০০। এই বইটির প্রকাশনায় ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সকল দর্শনের গভমেন্টই কমবেশী কাজ করেছে এবং আমাদের জানামতে এখানে শুধু রিপ্রিন্ট করা হয়েছে। কোন গভমেন্টের আমলে এডিটিং করা হয় নাই বললেই চলে। তাই এখানে রক্ষিত ডকুমেন্টসকেই নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রাইমারি সোর্স হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
এই ১৫ খণ্ড অনলাইনে সহজলভ্য করতে অবিশ্রান্ত কাজ করে যাচ্ছে ‘’বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র থেকে বলছি’’ । তারা ইতিমধ্যে অষ্টম খণ্ডটি(গণহত্যা) মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ইউনিকোডে বাংলায় কম্পাইল করে উন্মুক্ত করে দিয়েছে সর্বসাধারনের জন্য। বাকি খণ্ডগুলোর কাজও এগিয়ে চলেছে দ্রুতই। তাদের পেজে প্রতিদিন সকাল ১০ টা, সন্ধ্যা ৬ টা এবং রাত ১১ টা সময় দলিলপত্রের বিভিন্ন অংশ কম্পাইল করে প্রকাশ করা হচ্ছে।এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত থেকে আপনিও জেনে নিতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস...
পেজের লিংকঃ https://www.facebook.com/muktizuddho1971/
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ইউনিকোডে বাংলায় কম্পাইলড অষ্টম খণ্ডের ডাউনলোড লিংকঃ http://1971.ga/zuddho_dolil_8_19_10_2015
১৫ খণ্ডের মূল পিডিএফ ফাইলের লিংকঃ
http://www.liberationwarbangladesh.org/.../blog-post_1121..
এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ বইয়ের খোঁজ পাবেন মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভে... মুক্তিযুদ্ধের বই খুঁজে পাবার জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর হতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধের ই-আর্কাইভের লিংকঃ Click This Link
ফেসবুক পেজের লিংকঃ Click This Link
এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধাদের, নির্যাতিতদের বর্ণনা এবং প্রত্যক্ষদর্শী অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে রচিত বেশ কিছু বইয়ের নাম দেওয়া হল। এর মধ্যে অনেকগুলোতে ফিকশনের আদলে সত্যিকার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে...
১। অসমাপ্ত আত্মজীবনী - জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২। রাইফেল রোটি আওরাত—আনোয়ার পাশ{শহীদ বুদ্ধিজীবী(অধ্যাপক)রচনাকাল- একাত্তরের এপ্রিল থেকে জুন মাস। মুক্তিযুদ্ধের বীভৎসতার প্রামাণ্য প্রত্যক্ষ দলিল}
৩। একাত্তরের দিনগুলি-জাহানারা ইমাম। (আম্মা)
৪। বারে বারে ফিরে যাই—ডাঃ মেজর আখতার বীর প্রতীক।মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা
৫। Brave Of Hearts- হাবিবুল আলম বীর প্রতীক(ক্র্যাক প্লাটুনের বীরযোদ্ধা, সেক্টর-২)
৬। মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার এবং তার বিয়োগান্তক বিদায়ঃ জহিরুল হক। (মেজর হায়দারের অধীনস্থ গেরিলা যোদ্ধা)
৭। ঘুম নেই- নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। (ক্র্যাক প্লাটুন-সেক্টর ২)
৮। মা- আনিসুল হক। (আজাদ এবং ক্র্যাক প্লাটুন ভিত্তিক ঢাকার গেরিলা যোদ্ধাদের নিয়ে আখ্যান)
৯। ক্র্যাচের কর্নেল- শাহাদুজ্জামান। (কিংবদন্তী ফিল্ড কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গাঁথা)
১০। মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স – মেজর খালেদ মোশাররফের যুদ্ধদিনের প্রত্যক্ষ বর্ণনায় লেখা ডায়েরি সংগ্রহ। প্রতিদিনের যুদ্ধের বিবরনসমৃদ্ধ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য দলিল।
১১। অনিল বাগচির একদিন- হুমায়ূন আহমেদ
১২। আমার বন্ধু রাশেদ- মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
১২। জোছনা ও জননীর গল্প- হুমায়ূন আহমেদ
১৩। চরমপত্র- এম আর আখতার মুকুল
১৪। ছোটগল্পসমগ্র- মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
১৫। তালাশ- শাহীন আখতার
১৬। যুদ্ধ ও নারী- ডাঃ এম এ হাসান
১৭। ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স কমান্ডার : খালেদের কথা -মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া বীর প্রতীক
১৮। আলবদর ১৯৭১- মুনতাসির মামুন
১৯। অপারেশন জ্যাকপট- সেজান মাহমুদ
২০। পতাকার প্রতি প্রণোদনা- মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া
২১। একাত্তরে আমরা ভুল করিনি- গোলাম আজম ও জামাতের রাজনীতি
২২। দৈনিক সংগ্রামের ভূমিকা-- আলি আলবার টাবি
২৩। একাত্তরের দশ মাস-- রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী
২৪। অপারেশন বিগ বার্ড: যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে - অমি রহমান পিয়াল
২৫। ওঙ্কার- আহমেদ ছফা
২৬। আমি বীরাঙ্গনা বলছি- নীলিমা ইব্রাহিম
২৭। একাত্তরের গেরিলা - জহিরুল ইসলাম
২৮। ডেটলাইন বাংলাদেশ : নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান - সিডনি শনবার্গ
২৯। ত্রিশ লক্ষ শহিদ বাহুল্য নাকি বাস্তবতা - আরিফ রহমান
৩০। একাত্তরের ঘাতক দালালেরা কে কোথায়- শাহরিয়ার কবির, আহমেদ শরীফ এবং নূর-উজ-জামান
৩১। পাকিস্তানী জেনারেলদের মন, বাঙ্গালী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ- মুনতাসীর মামুন
৩২। যারা ভোর এনেছিল- আনিসুল হক
৩৩। পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী ১৯১ জন- ডঃ এম এ হাসান
৩৪।ঊষার দুয়ার- আনিসুল হক
৩৫। পিতার অস্থি'র সন্ধানে - অনল রায়হান
৩৬। বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ-নিউক্লিয়াস - ডা. মাহফুজুর রহমান
৩৭। রক্ত ও কাদা ১৯৭১-তাদামাসা হুকিউরা
৩৮। জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা – মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া
৩৯। একাত্তরের বিশটি ভয়াবহ যুদ্ধ – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি
৪০। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-৭৫- এইচ টি ইমাম
বইগুলো শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, নীলক্ষেত, পাঠক সমাবেশসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে এবং অনলাইনে রকমারি.কম, বইজগত.কমসহ সব ধরনের অনলাইন বুক শপে অর্ডার করতে পারবেন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ ওয়েবসাইটে বইগুলো বিনামূল্যে ডাউনলোড করবার সুবিধা রয়েছে...
তো আর দেরি কেন? বই পড়ুন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানুন...
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৮
রুদ্র রিটার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট