![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি দিন আইল! টিমের সবডি বেদ্দপ হয়ে গেছে। কাউরে পাত্তাও দেয় না, গুনেও না। মহাবিশ্বসেরা বেদ্দপ আছে একটা, প্রত্যেক ম্যাচেই গণ্ডায় গণ্ডায় উইকেট নিবেই সে। পাঁচ উইকেট ছাড়াই ওয়ানডে ইতিহাসে দুইশ উইকেট নেওয়ার অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়ে ফেলছিল, আজকে লাইফে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেট পাইল, চেহারায় কোন পরিবর্তন নাই। ''আউট হইছে তো কি হইছে" উইকেটই তো পাইছি একটা, তাই না? টাইপের ভাব নিয়া নির্লিপ্ত চোখে তাকায়া থাকে।
আরেকজন আছে সানগ্লাস স্পেশালিষ্ট বেদ্দপ, লাস্ট উইকেট নিয়া টাইটানিকের জ্যাক হইয়া বিপদজনকভাবে আম্পায়ারের দিকে আগাইতেছিল, বেচারা আলিমদার কোনোরকমে সইরা গিয়া বাঁচছে। বেদ্দপি করবি, ভালো কথা। তাই বইলা আম্পায়ারের লগেও?
আর এদের ক্যাপ্টেন হইল আরেক বেদ্দপরাজ। ডেঙ্গু থেকে উঠছে মাত্র... অন্য কেউ হইলে সব ফালায়া আগে এক মাস বেডে পইড়া থাকতো, আগে শরীর, তারপর দুনিয়া। আর সে? যেমন বোলিং, তেমন ভাব... জ্বরে ভুগে উঠে আমরা যেখানে ঠিকঠাক হাটতেই পারি না, শরীর দুর্বল লাগে, মাথা ঘুরায়, সেখানে এই লোক কলারটা উঁচায়া দৌড়ায়, দেশের হয়ে দৌড়ায়, দেখে মনে হয় সরাসরি সুন্দরবন থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দৌড়ায়ে আসতেছে, ঝাঁপায়া পড়তেছে তুমুল গর্জনে... বেচারা ব্যাটসম্যানরা চোখে সরিষার ক্ষেত দেখতে দেখতে হঠাৎই নিজেরে ড্রেসিংরুমে আবিস্কার করে। কি আর করা, বল করতে গিয়া বুলেট ছুঁড়লে ক্যামনে টিকবে বেচারারা?
পুরা মাঠে যেদিকেই তাকাও, সেদিকেই সে আছে। হি ইজ এভ্রিহোয়ার, ইন এভ্রিথিং... লাগে জানি বাকি ১০ জন তার আন্ডারে সোলজার, মেশিনগানটা নিয়া সে সবার আগে লিড দিতেছে। পা ভাইঙ্গা, লিগামেন্ট ছিঁড়া, হাঁটুর বাটি খুইলা আসলেও তারে থামানো যায় না। সাতবার অপারেশন হওয়া ভাঙ্গা পা নিয়াই একটা সিঙ্গেল ঠেকাইতে এখনো বাঘের মত ঝাপায়া পড়ে। ওর আশপাশ দিয়ে কোন বল ছুটতে পারে না, সেইটা বুলেটের বেগে আসুক কি আলোর বেগে, বেদ্দপটা ঠিকই সেইটা আটকায়ে ফেলবে। অথচ আর একটাবার পা ভাঙ্গলে বা লিগামেন্ট ছিঁড়লে চিরকালের মত পঙ্গু হয়ে যাবে সে, রিপেয়ার করা যাবে না আর। খুব ভালোভাবেই জানে সে কথাটা, বোঝাইলে হু হু করে সায়ও দেয়, কিন্তু যেই না একটা বল তার ত্রিসীমানায় আসছে, চোখের পলকে সব ভুলে যায়, ভাঙ্গা পায়ে ঝাঁপ দেয় পুরাতন ক্ষিপ্রতায়...
এদের দেইখা অনেকদিন আগের কয়েকজনরে মনে পইড়া যায়। খালেদ নামে একজন ছিল, হায়দার নামে আরেকজন ছিল তার ডান হাত। প্রথমজন ছিল অমিত ব্যক্তিত্বের, লিড দিত সবার সামনে থেকে, পরেরজন আগলাইয়া রাখতো সব সোলজারগুলারে, একেবারে নিজের সন্তানের মত... বারুদের টুকরা ছিল একেকটা, মাই বয়েজ বইলা ডাকতো সোলজারগুলারে হায়দার। খালেদ এইগুলার নাম দিছিল ক্র্যাক প্লাটুন, সবগুলা ক্র্যাকের আখড়া... যাদের অমিত তেজে অকল্পনীয় বীরত্বে কানে ধইরা নাকে খত দিয়া ল্যাংড়াইতে ল্যাংড়াইতে স্রেফ জাঙ্গিয়াটা পরনে ভাগছিল পাইক্কাগুলা... এখনো ৪৪ বছর আগের সেই গাবুইরা মাইরের কথা ভুলতে পারে নাই ওরা, পুর্নিমা-অমাবস্যায় অখনো গিরায় গিরায় মোচড় দেয় অগোর, সহ্য করতে পারে না, শোধ নিতে আৎকা পাকিস্তানের চিপা থেইকা গায়েবী আওয়াজ দেয়,"সাকা বড় ভালু লুক ছিল। আমরা নিজের চোখে দেখছি ভাইসব, আমাগোর চোখের সামনেই বড় হইছে গেন্দাকাল থেইকা... সাকা একটা নিস্পাপ ফেরেশতার নাম...
এই বেদ্দপ ক্যাপ্টেনটার মধ্যে কেন জানি খালেদ আর হায়দাররে খুইজা পাই। কলারটা উঁচা কইরা ঠাণ্ডা চোখে দেওয়া লুকটা দেইখা কেন জানি মনে হয়, খালেদ মরে নাই, হায়দার মরে নাই...
কার্টেসী- রাহমান রাআদ ভাই
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: বল করতে গিয়া বুলেট ছুঁড়লে ক্যামনে টিকবে বেচারারা?- মানি না, খেলুম না।
জয়তু মাশরাফি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর এলোমেলো কথা!