![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিকিৎসক, লেখক। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি।
একদিন হঠাৎ তৃতীয় মাত্রা দেখতে দেখতে জিল্লুর রহমানকে তাঁর নির্বাচিত অথিতিকে একটা প্রশ্ন করতে দেখি। তিনি খুব নির্দোষ ভাবে জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা, আমার ঠিক জানা নেই “ধর্মনিরপেক্ষতা” এই শব্দটা মুক্তিযুদ্ধের আগে কোন ঐতিহাসিক ডকুমেন্টে উল্লেখিত হয়েছিলো কিনা? যদি এ বিষয়ে বলতেন? যাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি বেশ জোরের সাথেই বলেন, হ্যাঁ ছিল, অবশ্যই ছিল। তখন জিল্লুর রহমান খুব বোকার মত বলেন, ও, তাই ছিল, আচ্ছা বলবেন, কোন ডকুমেন্টে ছিল, ছয় দফা নাকি ১১ দফায়? এবার যাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি ঘামতে থাকেন, আর জিল্লুর রহমানের ঠোঁটে মৃদু হাসির রেখা দেখা যায়। যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি তখন বলেন, আচ্ছা, আমার এখন মনে পড়ছে না, আমি আপনাকে পরে জানাবো।
এরপর, আরেকদিন; তৃতীয় মাত্রা দেখছি, আবার সেই প্রশ্ন, আচ্ছা, আমার ঠিক জানা নেই “ধর্মনিরপেক্ষতা” এই শব্দটা মুক্তিযুদ্ধের আগে কোন ঐতিহাসিক ডকুমেন্টে উল্লেখিত হয়েছিলো......। সেই একই প্রশ্ন, একই ধরণের উত্তর আর জিল্লুর রহমানের মুচকি হাসি।
সঙ্গত কারনেই প্রশ্ন জাগে জিল্লুর রহমান সাহেব কেন এটা দেখে নিলেন না? একই প্রশ্ন বারবার করতে হচ্ছে কেন? আসল উত্তর হচ্ছে উনি খুব ভালো করে দেখেছেন এবং নিশ্চিত হয়েছেন “ধর্মনিরপেক্ষতা” শব্দটি মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তী কোন ডকুমেন্টে ছিল না। উনার এই প্রাজ্ঞতা দিয়ে উনি উনার মেধাহীন অতিথিদের ন্যাংটা করে দিয়ে মজা নেন আর মুচকি মুচকি হাসেন। উনার অতিথিদের জ্ঞানের বহর এমন যে এতদিনেও কেউ উনার মজা নেয়াটা বন্ধ করতে পারলো না। বন্ধুবর মাসুদ রানার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আলোচনার একটা পর্যায়ে, এই বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনা মাসুদ রানার অসাম্প্রদায়িকতা শিরোনামের একটি লেখায় গ্রথিত ছিল। এবার সেই লেখা থেকেই জবাবটা দিচ্ছি।
মুক্তিযুদ্ধ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়টি ব্যাখ্যার জন্যে ‘প্রিন্সিপল অফ ইনভেলিডেশন এ্যাণ্ড জাস্টিফিকেশন' - অর্থাৎ বাতিলায়ণ ও ন্যায্যায়ণ নীতির দ্বান্দ্বিক ক্রিয়া বুঝা প্রয়োজন।
ঐতিহাসিকভাবে প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার ‘আণ্ডারপিনিং' বা টিকিয়ে রাখার সমর্থনে ক্রিয়াশীল থাকে একটি আদর্শবাদ। প্রতিষ্ঠিত সেই রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন হয় তার পক্ষের আদর্শবাদটির ‘ইনভেলিডেশন' বা বাতিলায়ণ। কিন্তু এই বাতিলায়ণ সম্ভব হয় না, যদি-না একটি বিকল্প প্রস্তাবিত ব্যবস্থার ‘জাস্টিফিকেশন' বা ন্যায্যায়ণ প্রতিষ্ঠা করা যায়।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো হিন্দু-মুসলিম দ্বিজাতি তত্ত্বের দ্বারা অভিন্ন ভারতীয় জাতি তত্ত্বের বাতিলায়ণের মাধ্যমে। মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ্র দ্বিজাতি তত্ত্ব অভিন্ন ভারত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বৈধতাকে বাতিল করে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায্যতা এনে দিয়েছিলো। দ্বিজাতি তত্ত্বের আদর্শ ছাড়া ভারত বিভাগ সম্ভব ছিলো না।
আমরা পরবর্তীতে দেখি, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য পূর্ব-বাংলার প্রয়োজন ছিলো দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবিকৃত তথাকথিত মুসলিম সাম্যের বৈধতার বাতিলায়ণ। বাঙালীকে তাই পাকিস্তানের আদর্শিক ভিত্তিমূলে - অর্থাৎ, ধর্মবাদের উপর -আঘাত করতে হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ দিয়ে। সেখানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটি উচ্চারিত হয়েছিলো কি-না সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আমাদের বুঝার জন্য প্রয়োজন যে, পূর্ব-বাংলার মানুষ তাঁদের ধর্মীয় পরিচয়কে রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি হিসেবে বাতিল করে জনজাতিক পরিচয়ের ন্যায্যতাদায়ী যে-আদর্শবাদের জন্ম দিয়েছিলেন, তা ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ। যেহেতু ২৪ বছর আগে ধর্মীয় পক্ষপাতের ভিত্তিতে বাঙালী পাকিস্তান গড়েছিলো, তাই পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতার জন্ম ছিলো অনিবার্য। ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ছাড়া পাকিস্তান ভাঙ্গা সম্ভব ছিলো না।
আশা করি মুক্তিযুদ্ধ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার অবিচ্ছিন্নতার বিষয়টি এরপর কেউ জিল্লুর রহমান সাহেবকে বুঝিয়ে দেবেন এবং উনার স্যাডিস্টিক মুচকি হাসা বন্ধ হবে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: ধন্যবাদ বোধহীন স্বপ্ন মন্তব্যের জন্য।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: আরেকটা প্রশ্ন তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কোন অতিথি পেলে প্রায় জিজ্ঞেস করেন যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ডেফিনেশন সাথে সেই স্যাডিস্টিক মুচকি হাসি
উনি কিভাবে যে জামাতের কাছে বিক্রি হয়ে গেলেন তা বুঝা যায় উনার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এসব প্রশ্ন শুনলে
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: কলাবাগান১ জামাতের কাছে হয়তো উনি বিক্রি হননি, কিন্তু একটা নিরপেক্ষ ভাব বজায় রাখার জন্য হয়তো এটা উনি করছেন।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬
কামাল উদ্দিন ফারুকী জুয়েল বলেছেন: অনুসন্ধিৎসুদের জন্যঃ
Click This Link
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
বিষন্ন একা বলেছেন: হুমম। আন্ডারপিনিং শব্দটির অর্থ জানলাম। আসলেই গবেষণা ছাড়া এ ধরনের টকশো গুলোর মান যে দিন দিন কই যাবে কে জানে... পোস্টে ধইন্যা
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: ধন্যবাদ বিষন্ন একা
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৪
এম এইচ সাব্বির বলেছেন: তৃতীয় মাত্রার পর্বটি আমিও দেখেছি। জিল্লুর রহমান তার আসল পরিচয় অনেক আগেই দিয়েছেন।উনাকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। উপযুক্ত জবাব পেলাম। প্রিয়তে রাখলাম।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: ধন্যবাদ এম এইচ সাব্বির
৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটিও পড়ুন
Click This Link
৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: এই বালবৈশাখী জ্বালাইয়া মারলো, মন্তব্য যেখানেই করুক নিজের বালের পোষ্টের লিংক সান্দায়া দিবেই।
৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
রাজীব বলেছেন: @কলাবাগান১, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করলেই কি কেউ জামায়তের লোক হয়ে যায়??
তাহলে আইন করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করে দিন।
তাহলে স্কুলের পরীক্ষায়ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকবে না।
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২
এম এইচ সাব্বির বলেছেন: না মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্ন করা খারাপ কিছুনা। আপনার জানার ইচ্ছা হতেই পারে। তবে মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক বিষয় নিয়ে যে সন্ধিহান তাঁকে জারাজ বলাই শ্রেয়।@রাজীব
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২
HHH বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কিত বা ধর্ম নিরপেক্ষতা কোন কিছু নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয় নি। আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের ভূমিতে অবস্থিত সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে। যা পরে মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়। এখানে ধর্ম কোন ফ্যাক্টর অন্ততঃ বাংলাদেশীদের মধ্যে ছিল না। যদি থাকতো তাহলে মুসলিম বলে পাকিদের ছেড়ে দিত। পাকিস্তান বা ভারতের মধ্যে থাকতে পারে। সুতরাং পাকিস্তানের আদর্শিক ভিত্তিমূলে - অর্থাৎ, ধর্মবাদের উপর -আঘাত করতে হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ দিয়ে। কথাটি ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কিছু ভারতীয় ছাড়া অন্য কেউ চিন্তা করেন না। শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম করা কালীন কখনোও ধর্মীয় কোন কিছু উল্ল্যেখ করেননি।
ইদানিং এতো রকমের চেতনার কথা শোনা যায় যে যারা চেতনা চেতনা করে অচেতন হন তারা নিজেরাও বোঝেননা যে কিসের চেতনার কথা তারা বলছেন!!
এই ভূমির ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম। এইসব মানূষকে প্রশ্ন করে দেখেন তারা কি চায়? ধর্মনিরপেক্ষতা নাকি ইসলামি মূল্যবোধ? যদি ৯০ ভাগ মানুষ ইসলামিক মূল্যবোধকে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আনতে চায় তাহলে বাকি ১০ ভাগ মানুষ কীভাবে মনে করে যে তাদের জন্য সংখ্যাগুরুদের মতামত কে অগ্রাহ্য করা হবে?
ভারতীয়রা চাইলেই তো আর সবকিছু হবে না। অখন্ড ভারতের স্বপ্ন যারা দেখেন তারা বরং ওপারে পারি জমান। আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে ভারতে প্রবেশের জন্য নয়।
১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
সাজেদ বলেছেন: ১৯৬৯ সালের সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসুচী, যার ফলে বাংলার স্বাধিকারের দাবিতেই গনঅভুখ্যানের সৃষ্টি হয়। যার পথ ধরে ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধ। এই ১১ দফায় ধর্মনিরপেক্ষ বাংলার কথা সুস্পষ্ট করা হয়েছিল।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: আপনার তথ্যটি সঠিক নয়। ১১ দফা টা আপনার রেফারেন্সের জন্য দিলাম। ১. শিক্ষা সমস্যার আশু সমাধান। অর্থাৎ, হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত আইন বাতিল করা এবং ছাত্রদের সকল মাসিক ফি কমিয়ে আনা।
২. প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং পত্রিকাগুলোর স্বাধীনতা দেওয়া এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশনার নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলা।
৩. ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানে পূর্ন সায়ত্তশাষন প্রতিষ্ঠা।
৪. পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশগুলোকে (অর্থাৎ, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ,বেলুচিস্তান,পাঞ্জাব,সিন্ধু) স্বায়ত্তশাসন দিয়ে একটি ফেডারেল সরকার গঠন।
৫. ব্যাংক, বীমা, পাটকলসহ সকল বৃহৎ শিল্প জাতীয়করণ।
৬. কৃষকদের উপর থেকে কর ও খাজনা হ্রাস এবং পাটের সর্বনিম্নমূল্য ৪০ টাকা(স্বাধীনতার দলিলপত্রে উল্লেখ রয়েছে) ধার্য করা।
৭. শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং শ্রমিক আন্দোলনে অধিকার দান।
৮. পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ন্ত্রন ও জল সম্পদের সার্বিক ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহন।
৯.জরুরী আইন, নিরাপত্তা আইন এবং অন্যান্য নির্যাতনমূলক আইন প্রত্যাহার।
১০. সিয়াটো (SEATO), সেন্ট্রো (CENTRO)-সহ সকল পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিল এবং জোট বহির্ভূত নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ।
১১. আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত ব্যাক্তি সহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি ও অন্যান্যদের উপর থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার।
১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুতরাং পাকিস্তানের আদর্শিক ভিত্তিমূলে - অর্থাৎ, ধর্মবাদের উপর -আঘাত করতে হয়েছিলো ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ দিয়ে। কথাটি ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কিছু ভারতীয় ছাড়া অন্য কেউ চিন্তা করেন না। শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম করা কালীন কখনোও ধর্মীয় কোন কিছু উল্ল্যেখ করেননি।
ইদানিং এতো রকমের চেতনার কথা শোনা যায় যে যারা চেতনা চেতনা করে অচেতন হন তারা নিজেরাও বোঝেননা যে কিসের চেতনার কথা তারা বলছেন!!
এই ভূমির ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম। এইসব মানূষকে প্রশ্ন করে দেখেন তারা কি চায়? ধর্মনিরপেক্ষতা নাকি ইসলামি মূল্যবোধ? যদি ৯০ ভাগ মানুষ ইসলামিক মূল্যবোধকে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আনতে চায় তাহলে বাকি ১০ ভাগ মানুষ কীভাবে মনে করে যে তাদের জন্য সংখ্যাগুরুদের মতামত কে অগ্রাহ্য করা হবে?
ভারতীয়রা চাইলেই তো আর সবকিছু হবে না। অখন্ড ভারতের স্বপ্ন যারা দেখেন তারা বরং ওপারে পারি জমান। আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে ভারতে প্রবেশের জন্য নয়।
+++@ট্রিপল এইচ
আসলে ভাদাদের এ পুরানো অস্ত্র! যার শুরু করেছিল রাজাকারদের টুপি আর দাড়ি দিয়ে সিম্বলাইজ করার মাধ্যমে!!
অথচ বহু ইমাম শহীদ হয়েছেন ৭১-ও। ৩০ লাখের মধ্যে ৯০ ভাগ মুসলিম হিসাবে শহীদের সংখ্যার অনুপাত নিশ্চয়ই ধর্মীয় বিভাজনে মাপা হবে না!!
অথচ তারা ইচ্ছকৃত জাতি বিভক্তির জণ্য একটানা একটা ফালতু ইষ্যু দাড় করায়- যা মূলত মৌলিক এগিয়ে যাওয়াকে ব্যহত করে!!!!!
১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৯
nurul amin বলেছেন: মূলত গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা নিয়ে এত ক্যাচালের কি প্রয়োজন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: এই বিষয়গুলো এখন আর এত গভীরভাবে কেউ চিন্তা করে না বা ভেবে দেখে না। কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারী আছে কথায় কথায় কিছু মুখস্ত শব্দের পিছনে ছুটছে আর জিল্লুরের মত কিছু সঞ্চালক তাদের অজ্ঞতা নিয়ে রঙ্গ তামাশা করে বেড়াচ্ছে। এসব দেখে খুব হতাশ হতে হয়।