নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংখ্যায় নয় সৃষ্টিতে বেঁচে থাকতে চাই !

নিমকহারাম

নিমকহারাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ক্রিটিক নই দর্শক মাত্র!! পর্ব #০১ স্বপ্ন কন্যা 'অড্রি'

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

ওয়াচ লিস্টে আরও কয়েকটি মুভির নাম জুড়ে দিয়ে দেখতে বসলাম সেদিন।

পুরনো দিনের সিনেমা দেখতে খুব ভালো লাগে কিন্তু তাই বলে ভাববেন না আমি ব্যাক ডেটেড ।



অড্রি হেপ বার্ন (১৯২৯-১৯৯৩) কে চিনেন? রোম্যান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান? অথবা ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফান্যির হলি গোলাইটলি? কিংবা মাই ফেয়ার লেডীর এলিজা ডু লিটিল? দারুন আক্টিং। তার ছবি গুলই দেখছিলাম।



ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফান্যির দৃশ্য ।

অড্রির যাত্রা শুরু ব্যালেরিনা দিয়ে,দ্য সিক্রেট পিপল(১৯৫২) থেকে।

নাচের উপর দখলটা ছোটবেলা থেকেই।

ইয়াং ওয়াইভস,লাফটার ইন প্যারাডাইস এগুলতে ছিল তার ছোট খাট কাজ ।





রোমান হলিডে মুভির দৃশ্য।প্রিন্সেস অ্যানের এই চরিত্রটি তাকে এনে দিয়েছিল অস্কার।



উচ্চতায় ৫ ফুট ০৭ ইঞ্চি ছিপছিপে গড়নের এই দীর্ঘকায় রমণী নাকি নিজেকে কখনই আকর্ষণীয় ভাবতেন না । এক ইন্টার্ভিউয়ে(১৯৫৯) বলেছিলেন এটা।



ফ্যাশনেও জুরি মেলা ভার!স্টাইল আইকন ছিলেন তিনি।

ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফান্যি ছবি খ্যাত তার ব্ল্যাক লিটল ড্রেস টি নিলামে বিক্রি হয়েছে যার দাম £৪৬৭,২০০। ডিজাইনার ছিলেন হুবারট ডি গিভেনশি। ড্রেসটি প্রথম ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয় ।

মজার কথা হল তার মতো ছিপছিপে গড়নের মহিলারাই কেবল তা পরার সৌভাগ্য পেয়েছেন।

শুধু তাই নয় হেপ বার্ন এর আরও ৩৬ রকমের সামগ্রী নিলামে জিতে নিয়েছে ভক্তরা। গিভেনশি কোচার কালেকশনের সব আইটেম বিক্রি হয়েছে চড়া দামে।

তার কিছু সিগনেচার কালার ও ছিল। নিলামে বিকেছে। প্রিয় রঙ ছিল প্যাস্টেল, পিঙ্ক ।বহুল আলোচিত 'হট পিঙ্ক 'ষ্টেটমেন্ট টা পড়ে দেখবেন,মজা পাবেন ফর সিওর!



আরও কয়েকটা নাম বলি তার সিনেমার। বোর হবেন না প্লিজ!

ফানি ফেইস (১৯৫৭), দ্য নান'স স্টোরি (১৯৫৯) হাউ টু স্টিল অ্যা মিলিয়ন (১৯৬৬) গ্রীন ম্যানশন (১৯৫৯),প্যারিস হোয়েন ইট সিজলস (১৯৬৪) খুব পপুলার ছবি ওই জামানার।



মার্কেটিং ছাড়া দুনিয়া অচল।

যত ভালো বিজ্ঞাপন তত ভালো কাটতি!এই সুযোগে

জাপানের কিরিন ব্লাক টি, আমেরিকার গ্যাপ খ্যাত স্কিনি ব্ল্যাক প্যান্ট, গালাক্সি চক্লেট বার এরা নিজেদের প্রোডাক্টের সব সুপার হিট টীভিসি বানিয়েছে হেপবারন এর বিভিন্ন ইমেজ ব্যাবহার করে।



বিচক্ষণতা ছাড়া সময়টাকে জয় করা যায়না তাই বলার অপেক্ষা রাখেনা উনি কতটা ট্যালেন্টেড ছিলেন।



তার মৃত্যুর পর তার সহ অভিনেতা গ্রেগরি পেক অস্রুসজল চোখে লাইভ ক্যামেরায় আবৃত্তি করেছিলেন "অনন্ত প্রেম"(Unending Love) কবিতাটি। রবি ঠাকুরের এই কবিতা নাকি অ্ড্রির খুব প্রিয় ছিল! বাহ!



কিন্তু এই কিংবদন্তী’র গল্প কি এখানেই থেমে যাবে?? প্রশ্নটা আপনারও!তাইতো?

সম্ভবত থেমে যাবেনা।



Harper's bazaar ম্যাগাজিনের নাম শুনেছেন? আমেরিকান উইমেন্স ম্যাগাজিন? ফলো করতে পারেন ।

রিসেন্টলি একটা কুড়ি বছরের মেয়ে কভার ডেবু করেছে। নাম টা হল এমা ফেরের

সে আর কেউ নয় অড্রির নাতনী।

যাকে বলে uncanny resemblance !! দারুণ কনফি্ডেন্ট!



অড্রির ছবিগুলোর রিমেকে এমা যদি কখনো নায়িকা হয় তবে আমি ক্রিটিক হয়ে লেখা শুরু করব।

কথা দিলাম !







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.