![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা জীবনকে কখনো চালাতে হয় না, এ চলতেই থাকে, চলতেই থাক...
“আসমাউল হুসনা” বা “মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার ৯৯ (নিরানব্বই) টি নাম”-এর কথা আমরা প্রায় সকল মুসুলমানই কম বেশী শুনেছি । কিন্তু এই নামগুলো জিকির ও আমলের যে অসম্ভব শক্তি ও ফায়দা তা কতজন জানি ? শুধুমাত্র অন্ধের মত নামগুলো মুখস্ত না করে তা ভালোভাবে বুঝে তা থেকে আমল ও জিকিরের মাধ্যমে যে অকল্পনীয় উপকার লাভ করা যায় তা কি সবটুকু জানি আমরা ? তবে আসুন দেখি “আসমাউল হুসনা” কি ও কি এর ফযিলত -
পবিত্র কোরআন শরীফে মহান আল্লাহ্ পাকের ৯৯ (নিরানব্বই) টি নামের কথা উল্লেখ আছে । এই নামসমূহ আবার দু’ভাগে বিভক্ত । প্রথম প্রকার নাম হোল “জাতি বাচক” নাম এবং দ্বিতীয় প্রকার নাম হোল “গুণ বাচক” নাম ।
“জাতি বাচক” নাম দ্বারা আল্লাহ্ পাকের মহান সত্ত্বার অস্তিত্ব প্রকাশ করা হয়ে থাকে, অন্য কোনও অর্থ প্রকাশ পায় না, পক্ষান্তরে “গুন বাচক” নাম সমূহ দ্বারা আল্লাহ্ পাকের মহান গুণ এবং ক্ষমতা প্রকাশ পেয়ে থাকে । “জাতি বাচক” নাম শুধু মাত্র মহান আল্লাহ্ পাকের নিজের জন্য প্রযোজ্য, পক্ষান্তরে “গুণ বাচক” নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাম সৃষ্টিকুলের সাথে থাকার অবকাশ আছে ।
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত – রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “ আল্লাহ্ তা’য়ালার রয়েছে নিরানব্বই টি নাম, একশো থেকে একটি কম, যে এই নামগুলো মনে রাখবে, বুঝবে এবং উপলব্ধি করবে, সে জান্নাতে যাবে”, [সহীহ্ বুখারী ৩.৫০:৮৯৪, সহীহ্ মুসলিম ৩৫.৬৪৭৬, তিরমি্যী ৫১.৮৭:৫৯৩৮] ।
মহান আল্লাহ্ পাকের যে সকল নাম পবিত্র কোরআন শরীফে বিদ্যমান তার মধ্যে একটি নাম গুপ্তভাবে রাখা হয়েছে । যাকে বলা হয় “ইসমে আযম” । পরশ পাথরের মত উক্ত নামটি সাধারণ জ্ঞানের অগোচরে রয়েছে, নবী ও রাসূলগন, ফেরেশতাগন এবং অলী আউলিয়া গন ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি এই নামের সন্ধান পায় নি ।
মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার এই সকল নামগুলোকে বলা হয় “আসমাউল হুসনা” ।
মহান আল্লাহ্ পাকের এই সমস্ত পবিত্র নামগুলোর রয়েছে অলৌকিক গুণ এবং বিশাল শক্তি । হাক্কানী পীর, ফকির এবং আলেমগণ এই সমস্ত পবিত্র নাম সমূহের দ্বারা বহু প্রকার বিপদ-আপদ এবং রোগ-ব্যধি নিরাময়ের উছিলা হয়ে থাকেন । প্রতিটি নামের ভিন্ন ভিন্ন শক্তি ও গুণ রয়েছে, এগুলোর প্রতিটির আমলের ভিন্ন ভিন্ন ফযিলত পাওয়া যায় । আবার দুই বা ততোধিক নাম যোগ করেও আমল করা যায়, তাতে ভিন্ন ফযিলত থাকে ।
“আসমাউল হুসনা” জিকিরের ফযিলত -
১ । “আসমাউল হুসনা” তেই আছে “এসমে আযম” । নবী ও রাসূলগন, ফেরেশতাগন এবং অলী আউলিয়া গন ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি এই নামের সন্ধান পায় নি ।
২ । যে বান্দা প্রতিদিন এই নাম গুলো জিকির করবে, অবশ্যই সে বেহেশতে প্রবেশ করবে (তিরমিযী শরীফ)।
৩ । হেসন্-এ-হাসীন নামক কিতাবে বর্ণিত আছে, মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার এই পবিত্র নামগুলো প্রতিদিন পাঠ করা হলে বান্দার রুযীতে কোন সমস্যা হবে না, সে কখনো অনাহারে থাকবে না ।
৪ । প্রতিদিন এই নামগুলো পাঠ করলে স্বপ্নে নবীজির যেয়ারত নসীব হয় ।
আল্লাহ্ তা’য়ালার ৯৯ টি নাম, নামের উচ্চারণ, নামগুলোর অর্থ ও সেগুলো জিকিরের নিয়ম ও ফযিলত নিম্নে দেয়া হোল (বাংলায় আরবী উচ্চারণ সঠিক ভাবে লেখা অসম্ভব প্রায়, সুতরাং পাঠকদের অনুরোধ করা হোল তারা যদি আরবী পড়তে পারেন তবে আল্হামদুলিল্লাহ্, অন্যথায় নিকটস্থ কোন হুজুরের কাছ থেকে উচ্চারণ গুলো যাতে ভালো ভাবে আত্মস্থ করে নেন) –
১। الله
উচ্চারণঃ আল্লাহ্
অর্থঃ এই নামের কোন অর্থ পাওয়া যায় নাই
ফযিলতঃ এই নাম ১০০০ (এক হাজার) বার জিকিরে বান্দার রূহ ও আত্মা সকল প্রকার আশংকা ও সন্দেহ থেকে মুক্ত হয় । দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত বান্দা সর্বদা এই নাম জিকির ও মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার নিকট তা হতে মুক্ত হবার প্রার্থনা করতে থাকলে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে বান্দার সেই দূরারোগ্য ব্যধি দূর হবে ।
২। الرحمن
উচ্চারণঃ আর-রাহ্মান
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই পরম দয়ালু (সবার প্রতি)
ফযিলতঃ এই নামটি প্রত্যেক ফরয্ নামাজের পর ১০০ (একশত) বার জিকিরে বান্দার স্মরণশক্তি ও মনযোগ বৃদ্ধি পায়, মন হালকা হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৩। الرحيم
উচ্চারণঃ আর-রাহী’ম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই অতিশয় মেহেরবান, ক্ষমাশীল – ঐরূপ (মুমীনের প্রতি)
ফযিলতঃ এই নাম প্রতি ফজর নামাজে ফরয্-এর পর ১০০ (এক শত) বার জিকিরে বান্দা সকলের নিকট বন্ধুভাবাপন্ন হয়, অন্যান্যদের শাব্দিক আক্রমণ থেকে রক্ষা পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৪। الملك
উচ্চারণঃ আল-মালিক
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সমস্ত সৃষ্টিজগতের একক অধিপতি, একক মালিক
ফযিলতঃ এই নামটি প্রত্যেক ফজর নামাজের পর জিকিরে বান্দার ধন সম্পদ বৃদ্ধি হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৫। القدرس
উচ্চারণঃ আল-ক্বুদ্দূস
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা পূত পবিত্র, নিখুঁত
ফযিলতঃ এই নামটি নিয়মিত ১০০ (এক শত) বার মনে মনে জিকিরে বান্দার মন সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৬। السلام
উচ্চারণঃ আস্-সালাম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা নিরাপত্তা ও শান্তির উৎস, ত্রাণকর্তা
ফযিলতঃ এই নামটি কোন অসুস্থ বান্দার নিকট ১৬০ (একশত ষাট) বার পড়লে সে শীঘ্রই সুস্থ হবেন ।
এই নাম নিয়মিত জিকিরে বান্দা সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৭। المؤمن
উচ্চারণঃ আল-মু’মিন
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই ঈমান দানকারী, জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী
ফযিলতঃ এই নামটি ৬৩১ (ছয়শত একত্রিশ) বার জিকিরে বান্দা সকল বিপদ আপদ হতে মুক্ত থাকে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮। المهيمن
উচ্চারণঃ আল-মুহাইমিন
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই পরিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণকারী, অভিভাবক, প্রতিপালক
ফযিলতঃ পাক গোসল করে এবং এর পর দুই রাক’য়াত নফল নামাজ পড়ে অতঃপর ১০০ (একশত) বার এই নাম জিকিরে বান্দার অন্তর ও বাহির দুই ক্ষেত্রই পরিশুদ্ধ হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯। العزيز
উচ্চারণঃ আল-‘আযীয
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই প্রকৃত পরাক্রমশালী, অপরাজেয়
ফযিলতঃ এই নামটি প্রত্যেক ফরয্ নামাজের পর ৪১ (একচল্লিশ) বার জিকিরে বান্দা পরমুখাপেক্ষী ও সকল প্রকার আসম্মান হতে মুক্ত হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
১০। الجبار
উচ্চারণঃ আল-জাব্বার
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই প্রকৃত দুর্নিবার, সমুচ্চ, মহিমান্বিত
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অবাধ্যতা থেকে মুক্ত হয় । বান্দার হৃদয় সকল প্রকার অপরাধ, নৃশংসতা ও কাঠিন্য থেকে দূরে থাকে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
১১। المتكبر
উচ্চারণঃ আল-মুতাকাব্বিইর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে প্রতিপত্তি ও সম্মান বৃদ্ধি পায় । কোন কাজের শুরুতে জিকিরে কাজে সফলতা আসে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
১২। الخا لق
উচ্চারণঃ আল-খালিক্ব
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা
ফযিলতঃ একটানা ১০০ (একশত) বার করে ০৭ (সাত) দিন, মোট = ৭০০ (সাত শত) বার জিকিরে করলে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা সেই বান্দার উছিলায় একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করবেন । এই ফেরেশতা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’য়ালার এবাদত বন্দেগী তে নিয়োজিত থাকবেন এবং এই ফেরেশতার সকল এবাদত বন্দেগীর সওয়াব সেই বান্দাকে প্রদান করা হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
১৩। البارى
উচ্চারণঃ আল-বারী’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র আদেশদাতা
ফযিলতঃ “আল-মুছাউয়ির” এর জিকিরের সাথে যুক্ত ।
১৪। المصور
উচ্চারণঃ আল-মুছাউয়ির
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই একমাত্র আকৃতিদানকারী
ফযিলতঃ বিনা কারণে কোন নারী, সন্তান ধারণে ব্যর্থ হলে - সেই নারী সাত দিন একটানা রোযা রাখবেন । অতঃপর প্রত্যেক রোযায় ইফতারীর সময় মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার তিনটি নাম, যথাক্রমে “আল-খালিক্ব”, “আল-বারী’” ও “আল-মুছাউয়ির” (ক্রমিক নং-১২, ১৩ ও ১৪) প্রতিটি ২১ (একুশ) বার করে পড়ে এক গ্লাস পানিতে ফুঁ দিবেন এবং সে পানি দ্বারা ইফতার শুরু করবেন । মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো সেই নারী শীঘ্রই সন্তান লাভ করবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
১৫। الغفار
উচ্চারণঃ আল-গাফ্ফার
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই অনেক বেশী ক্ষমাকারী।
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে আল্লাহ্ তা’য়ালা বান্দার সকল গুনাহ্ (কবিরা গুনাহ্ ব্যতীত) মাফ করে দিবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
১৬। القهار
উচ্চারণঃ আল-ক্বহ্হার
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র দমন কারী
ফযিলতঃ মনে মনে জিকিরে তা বান্দাকে তার অনৈতিক জৈবিক চাহিদা থেকে রক্ষা করবে, আত্মাকে পার্থিব সকল আকর্ষণ থেকে মুক্ত রাখবে । প্রত্যহ জিকিরে বান্দাকে সকল প্রকার অন্যায় থেকে মুক্ত রাখে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
১৭। الوهاب
উচ্চারণঃ আল-ওয়াহ্হাব
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র স্থাপনকারী
ফযিলতঃ দারিদ্র ও ক্ষুধার জ্বালায় নিমজ্জিত বান্দা নিয়মিত জিকির করবেন । এই নামটি কোন পাক কাগজে লিখে কাছে রাখারও ফযিলত আছে । আরও ভালো আমল হয় সেই বান্দা যদি প্রতি চাশত্ এর নামাযের শেষ সাজদায় গিয়ে চল্লিশ বার এই নামটি পড়েন । আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো সেই বান্দাকে শীঘ্রই দারিদ্র ও ক্ষুধার জ্বালা হতে মুক্ত করবেন এবং তার সকল চাহিদা পূরণ করবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
১৮। الرزاق
উচ্চারণঃ আর-রায্যাক্ব
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র রিযিকদাতা
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে সেই বান্দা শীঘ্রই উত্তম রিযিক প্রাপ্ত হবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
১৯। الفتاح
উচ্চারণঃ আল-ফাত্তাহ্
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র বিজয়দানকারী, প্রারম্ভকারী
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দার হৃদয় উন্মুক্ত হবে, বিজয় লাভ করবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
২০। العلم
উচ্চারণঃ আল-‘আলীম
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দার হৃদয় উজ্জ্বল আলোয় (নূরে) পরিপূর্ণ হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
২১। القابض
উচ্চারণঃ আল-ক্ববেদ্ব’
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই একমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী, সরল পথ প্রদর্শনকারী
ফযিলতঃ এই নামটি চার টুকরো ফল অথবা রুটির ওপর খোদাই করে যদি কেউ তা খায় এবং এভাবে একটানা ৪০ (চল্লিশ) দিন তা করলে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো তিনি ক্ষুধার কষ্ট হতে মুক্ত হবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
২২। الباسط
উচ্চারণঃ আল-বাসিত,
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র প্রসারণকারী
ফযিলতঃ যদি প্রত্যহ চাশত্ এর নামাজের পর হাতের তালু খোলা অবস্থায় উর্ধমুখী রেখে ১০ (দশ) বার পড়ার পর সেই তালু দিয়ে বান্দা নিজের মুখমন্ডল মেসহ্ করে, মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো সেই বান্দা শীগ্রই পরমুখাপেক্ষীতা হতে মুক্ত হবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
২৩। الخافض
উচ্চারণঃ আল-খা’ফিদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র অবনতি দানকারী
ফযিলতঃ একদল বান্দা প্রথমে আলাদা আলাদা একটানা ০৩ (তিন) দিন, ৭০ (সত্তুর) বার জিকির করবেন, এবং চতুর্থ দিন সকলে একত্রে মিলে এই নামটি পুনরায় একসাথে ৭০ (সত্তুর) বার জিকির করলে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো তাদের সকলকে শত্রুর কবল হতে মুক্ত করে দিবেন ।
প্রত্যহ এই নামটি ৫০০ (পাঁচ শত) বার জিকিরে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো বান্দার সকল চাহিদা পূর্ণ করবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
২৪। الرافع
উচ্চারণঃ আর-রাফিঈ’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র উন্নীতকারী
ফযিলতঃ প্রতি দিন এবং প্রতি রাতে ১০১ (একশত এক) বার করে জিকিরে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো বান্দার অবস্থাকে আরও উচ্চে, সম্মানিত, ধন সম্পদে পরিপূর্ণ ও জ্ঞানমন্ডিত করে দিবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
২৫। المعز
উচ্চারণঃ আল-মু’ইয্ব
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র সম্মান প্রদানকারী
ফযিলতঃ নিয়মিত সপ্তাহের যে কোন সোমবার অথবা শুক্রবার মাগরেব নামাযের পর ১৪০ (এক শত) বার জিকিরে, মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা চাহেন তো অন্য সকলের চোখে সেই বান্দার সম্মান বৃদ্ধি করে দিবেন । তার মধ্যে আল্লাহ্ ভীতি জাগ্রত হবে এবং সে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য সকল ভীতি হতে মুক্ত হবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
২৬। المذل
উচ্চারণঃ আল-মুঝিল
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র সম্মান হরণকারী
ফযিলতঃ ৭৫ (পঁচাত্তর) বার জিকিরে বান্দা অপরের হিংসা ও ক্ষতির হাত হতে রক্ষা পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
২৭। السميع
উচ্চারণঃ আস-সামী’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র সর্বশ্রোতা
ফযিলতঃ প্রতি বৃহস্পতিবার চাশত্ এর নামাযের পর একটানা ৫০০ (পাঁচশত) অথবা ১০০ (একশত) অথবা ৫০ (পঞ্চাশ) বার জিকিরে আল্লাহ্ তা’য়ালা যদি চাহেন বান্দার সকল চাহিদা পূর্ণ করবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
২৮। البصير
উচ্চারণঃ আল-বাসীর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বদ্রষ্টা
ফযিলতঃ প্রত্যেক শুক্রবার আসর নামাজের ১০০ (এক শত) বার জিকিরে বান্দার দৃশ্যমান জগত এবং হৃদয় আলোকিত হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
২৯। الحكم
উচ্চারণঃ আল-হা’কাম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই শ্রেষ্ঠ বিচারপতি
ফযিলতঃ প্রতি রাতে জিকিরে বান্দার সামনে বহু অলৌকিক ইশারা সমূহের আগমন ঘটে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৩০। العدل
উচ্চারণঃ আল-‘আদল্
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা নিখুঁত
ফযিলতঃ শুক্রবার দিন অথবা রাতে বান্দা রুটির ওপর এই নাম খোদাই করবে এবং তা খাবে, অন্যান্য সকলে তার হুকুম তামিল করতে আগ্রহী হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৩১। اللطبف
উচ্চারণঃ আল-লাতীফ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা অমায়িক
ফযিলতঃ প্রতি দিন ১৩৩ (একশত তেত্রিশ) বার জিকিরে বান্দার রিযিক বৃদ্ধি পায় ও সফলতা আসে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৩২। الخبير
উচ্চারণঃ আল-খা’বীর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র সবকিছু সম্পর্কে অবগত
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দার মন হতে হিংসা ও সকল প্রকার দোষ দূর হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৩৩। الحليم
উচ্চারণঃ আল-হা’লীম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা ধৈর্যবান ও প্রশ্রয়দাতা
ফযিলতঃ কোন একটুকরা পাক কাগজের ওপর এই নামটি লিখে এবং লেখা কাগজটি পরিষ্কার পাক পানিতে ধুয়ে সেই পানি দিয়ে যদি কোন জিনিস উত্তম রুপে মোছা হয় তাহলে সেই জিনিসটি হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হবার হাত থেকে রক্ষা পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৩৪। العظيم
উচ্চারণঃ আল-আ’যীম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা সুমহান
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দার সম্মান বৃদ্ধি হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৩৫। الغفور
উচ্চারণঃ আল-গ’ফূর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই পরম ক্ষমাশীল ও বান্দার দোষত্রুটি গোপনকারী
ফযিলতঃ মাথা ব্যথা, জ্বর ও হতাশা রোগে নিয়মিত এই নামের জিকিরে আরোগ্য লাভ করা যায়, সেই সাথে আল্লাহ্ তা’য়ালার ক্ষমা প্রাপ্তি ঘটে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৩৬। الشكور
উচ্চারণঃ আশ্-শাকূর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা সুবিবেচক
ফযিলতঃ নিয়মিত প্রতিদিন ৪১ (একচল্লিশ) বার জিকিরে বান্দা আর্থিক অনটন ও অন্যান্য সমস্যা হতে রেহাই পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৩৭। العلى
উচ্চারণঃ আল-আ’লিই
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা মহান
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকির এবং পরিষ্কার পাক কাগজে লিখে তা সাথে রাখলে বান্দার অবস্থা ও অবস্থান দুয়েরই উন্নতি ঘটে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৩৮। الكبير
উচ্চারণঃ আল-কাবিইর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা উচ্চাশীন
ফযিলতঃ প্রতিদিন ১০০ (একশত) বার জিকিরে বান্দার সম্মান বৃদ্ধি ঘটে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৩৯। الحفيظ
উচ্চারণঃ আল-হাফীয
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই সমগ্র সৃষ্টি জগতের রক্ষণাবেক্ষনকারী
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকির এবং তা পরিষ্কার পাক কাগজে লিখে তা সাথে রাখলে বান্দা সকল প্রকার বিপদ হতে রক্ষা পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৪০। المقيط
উচ্চারণঃ আল-মুক্বীত
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই সমগ্র সৃষ্টিজগতের লালন পালনকারী
ফযিলতঃ সন্তানের বে-আদব প্রকৃতির চাল চলনে অতিষ্ঠ পিতা বা মাতা বা উভয়য়েই কয়েকবার জিকির কর পানিতে ফুঁ দিয়ে সেই পানি সন্তানকে পান করালে আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ মেহেরবানিতে সেই সন্তান শীঘ্রই আদব কায়দা রপ্ত করবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৪১। الحسيب
উচ্চারণঃ আল-হাসীব
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সকলের হিসাব গ্রহণকারী
ফযিলতঃ যে কোন সমস্যায় জিকিরে সমস্যা লাঘব হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৪২। الجليل
উচ্চারণঃ আল-জালীল
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা গৌরবান্বিত
ফযিলতঃ পাক কাগজে এই নাম কস্তুরী ও জাফ্রান সহযোগে লিখে তা সাথে রাখলে এবং নিয়মিত জিকিরে বান্দার সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৪৩। الكريم
উচ্চারণঃ আল-কারীম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা উদার ও দয়ালু
ফযিলতঃ নিয়মিত ঘুমানোর আগে জিকিরে দুনিয়াতে সম্মান প্রাপ্তি হয় এবং আখিরাতে বান্দার অবস্থান হবে জ্ঞানী-গুনি ব্যাক্তিদের কাতারে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৪৪। لرقيب
উচ্চারণঃ আল-রাক্বীব
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যবেক্ষণকারী
ফযিলতঃ ০৭ (সাত) বার জিকিরে বান্দা, তার পরিবার এবং তার সকল সম্পত্তি আল্লাহ্ তা’য়ালার হেফাযতে আসে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৪৫। المجيب
উচ্চারণঃ আল-মুজীব
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই সর্বোত্তম সাড়া দানকারী, উত্তরদাতা
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা সেই বান্দার আবেদনে সাড়া দিবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৪৬। الراسع
উচ্চারণঃ আল-ওয়াসি
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই অসীম, সর্বত্র বিরাজমান
ফযিলতঃ রিযিক অর্জনে বাধাগ্রস্ত ব্যক্তি এই নাম জিকিরে উপকার পাবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৪৭। الحكيم
উচ্চারণঃ আল-হাকীম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সুবিজ্ঞ, সুদক্ষ
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে কাজে সফলতা অর্জিত হয়, মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা বান্দার জন্য জ্ঞানের দরজা খুলে দেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৪৮। الوادود
উচ্চারণঃ আল-ওয়াদূদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা স্নেহশীল
ফযিলতঃ যদি দুজন বান্দা, যেমনঃ স্বামী-স্ত্রী, তাদের মধ্যে যদি মতনৈক্য তৈরী এবং এর ফলে সংসারে অশান্তি দেখা দেয় । দুজনের মধ্যে যে কোন একজন এই নামটি ১০০০ (এক হাজার) বার পড়ে কোন খাদ্যে ফুঁ দিয়ে খাদ্যটি অন্যজনকে খাওয়ালে তাদের মধ্যকার সকল মতনৈক্য দূর হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৪৯। المجيد
উচ্চারণঃ আল-মাজীদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা মহিমান্বিত
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে বান্দার সকল কাজে সফলতা অর্জিত হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫০। لاباعث
উচ্চারণঃ আল-বা’ইস
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক একমাত্র তিনিই পুনরুত্থানকারী
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে বান্দার মনে আল্লাহ্ ভীতি আসে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫১। لاشهيد
উচ্চারণঃ আশ-শাহীদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সকলের সকল কাজের চাক্ষুস সাক্ষী এবং সাক্ষ্যদানকারী
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে অবাধ্য স্ত্রী ও সন্তানেরা বাধ্য হবে । প্রতিদিন অন্তত ২১ (একুশ) বার এই নামটি জিকির করে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুখ মন্ডল মেসহ্ করে দিন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫২। الحق
উচ্চারণঃ আল-হাক্ব্
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই প্রকৃত সত্য
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফেরৎ পাওয়া সহজ হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫৩। الوكيل
উচ্চারণঃ আল-ওয়াকীল
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা সহায় প্রদাণকারী
ফযিলতঃ পানিতে ডুবে যাবার সময়, কিংবা আগুনে পুড়ে যাবার সময় জিকিরে মহান আল্লাহ্ পাক সহায় হন এবং বিপদ হতে রক্ষা করেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫৪। القوى
উচ্চারণঃ আল-ক্বউই
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী
ফযিলতঃ নিয়মিতে জিকিরে বান্দাকে শত্রুর সকল প্রকার ক্ষতি হতে রক্ষা করে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫৫। المتين
উচ্চারণঃ আল-মাতীন
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা দৃঢ় ও অটুট
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা বিভিন্ন সমস্যা হতে রেহাই পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫৬। الولى
উচ্চারণঃ আল-ওয়ালিয়্যু
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই প্রকৃত বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা সেই বান্দাকে তাঁর বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫৭। الحميد
উচ্চারণঃ আল-হা’মীদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সকল প্রশংসার একমাত্র দাবিদার
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা সকলের ভালোবাসা ও সম্মান প্রাপ্ত হন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫৮। المحصى
উচ্চারণঃ আল-মুহ্সী
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা সূক্ষ্ম হিসাবকারী
ফযিলতঃ এই নিয়মিত ১০০ (একশত) বার জিকিরে তা বান্দার জন্য হাশর্-এর ময়দানে সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান সহজ করবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৫৯। المبدى
উচ্চারণঃ আল-মুব্দি’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা
ফযিলতঃ প্রসূতি নারীর নিকট জিকির করে তার দিকে ফুঁ দিলে প্রসুতি নারীর সন্তান প্রসব জনিত ভয় লাঘব হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬০। المعيد
উচ্চারণঃ আল-মূ’ঈদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই মৃত্যুর পর পুনরায় জীবনদানকারী
ফযিলতঃ নিয়মিত ৭০ (সত্তুর) বার জিকিরে পরিবার হতে হারিয়ে যাওয়া বা পরিবার ত্যাগ করা সদস্য ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিরাপদে ফেরত আসবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬১। المحيى
উচ্চারণঃ আল-মুহীই
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই জীবনদাতা
ফযিলতঃ প্রতি দিন ০৭ (সাত) বার জিকিরে বান্দার হৃদয় হতে সকল বোঝা লাঘব হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬২। المميت
উচ্চারণঃ আল-মুমীত
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই মৃত্যুদানকারী, ধংসকারী
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দার সকল শত্রু (দুষ্ট) ধংস হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬৩। الحى
উচ্চারণঃ আল-হাইয়্যু
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই চিরজীবি, তাঁর কোন শেষ নাই
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা দীর্ঘায়ূ লাভ করবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬৪। القيوم
উচ্চারণঃ আল-ক্বাইয়্যুম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সমস্ত সৃষ্টি জগতের অভিভাবক, জীবিকানির্বাহ প্রদানকারী
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা সকল প্রকার ভুলত্রুটি হতে মুক্ত থাকে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬৫। الواجد
উচ্চারণঃ আল-ওয়াজিদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ আবিস্কর্তা, পর্যবেক্ষক
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দার হৃদয়ে বিশালত্ব আসে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬৬। الماجد
উচ্চারণঃ আল-মাজিদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাপেক্ষা সুপ্রতিষ্ঠিত ও শ্রেষ্ঠত্যের অধিকারী
ফযিলতঃ নির্জনে ও একাগ্রচিত্তে জিকিরে বান্দার হৃদয় আলোকিত হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬৭। الواحد
উচ্চারণঃ আল-ওয়াহি’দ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি এক, অনন্য ও অদ্বিতীয়
ফযিলতঃ নির্জনে একাগ্রচিত্তে ১০০০ (এক হাজার) বার জিকিরে বান্দার হৃদয় সকল প্রকার ভয় ও আতঙ্ক হতে মুক্ত হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬৮। الصمد
উচ্চারণঃ আছ-ছামাদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একমাত্র কারো মুখাপেক্ষী নন, স্বয়ংসম্পূর্ণ
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা বান্দার সকল (নেক) চাহিদা পূর্ণ করেন । বান্দা কারও মুখাপেক্ষী থাকে না, বরং অন্য সকলে তার মুখাপেক্ষী হন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৬৯। القادر
উচ্চারণঃ আল-ক্বদির
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বশক্তিমান
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দার সকল চাওয়া (নেক) পূরণ করা হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৭০। المقتدر
উচ্চারণঃ আল-মুক্বতাদির
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক একমাত্র তিনিই সকল শক্তির উৎস
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা সত্য সম্পর্কে জানতে পারে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৭১। المقدم
উচ্চারণঃ আল-মুক্বাদ্দিম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই অগ্রসরকারী
ফযিলতঃ যুদ্ধক্ষেত্রে জিকিরে করলে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ মেহেরবাণীতে বান্দা রক্ষা পায়, বিশেষ কোন জায়গায় কোন বান্দা যদি কোন প্রকার ভয় অনুভব করেন, এই নাম জিকিরে কোন কিছু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ।
নিয়মিত এই নাম জিকিরে বান্দা আল্লাহ্র অনুগত হবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৭২। الموخر
উচ্চারণঃ আল-মুয়াখখের
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই বিলম্বকারী
ফযিলতঃ প্রত্যহ ১০০ (এক শত) বার জিকিরে বান্দা আল্লাহ্র প্রেমে এমন ভাবে মশগুল থাকবেন যে, দুনিয়ার আর কোন প্রেম বান্দাকে আকর্ষণ করবে না (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৭৩। الاول
উচ্চারণঃ আল-আউয়াল
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্ব প্রথম, তাঁর আগে আর কিছুই ছিল না
ফযিলতঃ সন্তানহীন দম্পতি ৪০ (চল্লিশ) দিন একটানা ৪০ (চল্লিশ) বার এই নাম জিকির করলে আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে তারা সন্তান প্রাপ্ত হবেন ।
ভ্রমণকারী বান্দা কোন শুক্রবার এই নাম ১০০০ (এক হাজার) বার জিকির করলে সেই বান্দা সুস্থ দেহে ও নিরাপদে বাড়ি ফেরার তওফিক লাভ করবেন (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৭৪। الاخر
উচ্চারণঃ আল-আখির
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই অনন্ত, তাঁর কোন শেষ নাই
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা সুন্দর জীবন লাভ করবে, এবং জীবনের শেষ প্রান্তে বান্দার মৃত্যু হবে সুন্দর (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে)।
৭৫। الظاهر
উচ্চারণঃ আয-য’হির
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বোত্তম প্রকাশিত, সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান
ফযিলতঃ প্রতি শুক্রবার জুম’য়া নামাজের সময় ১৫ (পনের) বার জিকিরে বান্দার রূহে নূর প্রবেশ করে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৭৬। الباطن
উচ্চারণঃ আল-বাত্বিন
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই দৃষ্টি হতে অদৃশ্য, লুক্কায়িত, অন্তরস্থ
ফযিলতঃ প্রত্যহ ০৩ (তিন) বার জিকিরে বান্দা সকল কিছুতে সত্য অবলোকন করতে সমর্থ্য হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৭৭। الوالى
উচ্চারণঃ আল-ওয়ালি
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সমস্ত কিছুর অভিভাবক, সুরক্ষাকারী বন্ধু, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভূ
ফযিলতঃ কোন বান্দা এই নাম জিকির করে তার ঘরে ফু দিলে সেই বান্দার ঘর সকল বিপদ মুক্ত থাকবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৭৮। المتعالى
উচ্চারণঃ আল-মুতা’আলী
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বোচ্চ মহিমান্বিত, সুউচ্চ
ফযিলতঃ নিয়মিত জিকিরে বান্দা মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অসীম কৃপা লাভ করে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৭৯। البر
উচ্চারণঃ আল-বারর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ উপকারী
ফযিলতঃ নিজ সন্তানের নিকট বসে এই নাম জিকির করলে সন্তান দূর্ভাগ্যের হাত হতে মুক্ত হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮০। التواب
উচ্চারণঃ আত-তাওয়্যাব
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বদা আবর্তিতমান, বিনম্র
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা কবুল হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮১। المنتقم
উচ্চারণঃ আল-মুনতাক্বিম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই শাস্তিদানকারী
ফযিলতঃ পর পর তিন শুক্রবার অধিক পরিমাণে এই নাম জিকিরে শত্রুর উপর বান্দার জয় সুনিশ্চিত হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮২। العفو
উচ্চারণঃ আল-আ’ফুঊ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই পরম উদার, ক্ষমাশীল
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে বান্দার সকল গুনাহ্ (কবীরা গুনাহ্ ব্যতীত) মাফ হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮৩। الرؤف
উচ্চারণঃ আর-র’ওফ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই পরম স্নেহশীল
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে আল্লাহ্র স্নেহাশীষ হওয়া যায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮৪। مالك الملك
উচ্চারণঃ মালিকুল-মুলক্
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে বান্দার সম্মান বৃদ্ধি পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮৫। ذوالجلال والأكرام
উচ্চারণঃ যুল-জালালে-ওয়াল-ইকরাম
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সমস্ত প্রভাব প্রতিপত্তি ও মর্যাদার মালিক
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে বান্দার ধন সম্পদ বৃদ্ধি পায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮৬। المقسط
উচ্চারণঃ আল-মুক্বসিত
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বোত্তম ন্যায়পরায়ণ, সর্বোত্তম প্রতিদানকারী
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে শয়তানের হাত হতে মুক্ত থাকা যায় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮৭। الجمع
উচ্চারণঃ আল-জামিই’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই হাশরের ময়দানে সকলকে একত্রিত করবেন
ফযিলতঃ জিকিরে হারিয়ে যাওয়া জিনিস প্রাপ্তি সহজ হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮৮। الغنى
উচ্চারণঃ আল-গ’নিই
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই প্রকৃত ধনী, ঐশ্বর্যশালী
ফযিলতঃ সর্বদা জিকিরে বান্দা ইহ জীবনে সুখী হবে এবং তার ইহজীবনে কোন অভাব অনটন থাকবে না (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৮৯। المغنى
উচ্চারণঃ আল-মুগনিই’
অর্থঃ মহান আল্লাহ পাক তিনিই অভাব মোচনকারী, সমৃদ্ধিকারী
ফযিলতঃ প্রতি শুক্রবার ১০০০ (এক হাজার) বার জিকিরে বান্দা সমৃদ্ধশালী হবে, তার অভাব অনটন থাকবে না (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯০। المانع
উচ্চারণঃ আল-মানিই’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বোত্তম প্রতিহতকারী, রক্ষা কর্তা
ফযিলতঃ প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় ২০ (বিশ) বার জিকিরে বান্দার পারিবারিক জীবন সুখের হয় (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯১। الضار
উচ্চারণঃ আদ-দরর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী
ফযিলতঃ অশান্তিতে পতিত বান্দা প্রতি শুক্রবার দিবাগত রাতে ১০০ (এক শত) বার জিকিরে শান্তি প্রাপ্ত হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯২। النافع
উচ্চারণঃ আন্-নাফি’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই মঙ্গলকর্তা
ফযিলতঃ প্রতি নেক কাজের শুরুতে এই নাম ৪১ (এক চল্লিশ) বার জিকিরে বান্দা নেক কাজে সফল হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯৩। النور
উচ্চারণঃ আন্-নূর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সমস্ত নূরের মালিক
ফযিলতঃ এই নাম নিয়মিত জিকিরে বান্দার রূহ নূরে পরিপূর্ণ হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯৪। الهادى
উচ্চারণঃ আল-হাদী
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই পথ প্রদর্শক
ফযিলতঃ প্রত্যেক এশা নামাজের পর ১১০০ (এগার শত) বার “ইয়া-হাদী-ইহ্-দিনাস্-সিরাত্বাল- মুস্তাক্বীম” জিকিরে বান্দা শীঘ্রই সকল অভাব অনটন হতে মুক্ত হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯৫। البديع
উচ্চারণঃ আল-বাদীই’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই একক অতুলনীয়
ফযিলতঃ দুঃখ ও কষ্টে নিমজ্জিত বান্দা এই নাম ৭০,০০০ (সত্তুর হাজার) বার জিকির করবে, তাঁর দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যাবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯৬। الباقى
উচ্চারণঃ আল-বাকী
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই চিরস্থায়ী ও অবিনশ্বর
ফযিলতঃ এই নাম প্রতি শুক্রবার রাতে ১০০ (একশত)বার জিকির করলে বান্দা যেন সকল সৎকর্মের পুরষ্কার নিশ্চিত করল (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯৭। الوارث
উচ্চারণঃ আল-ওয়ারিস’
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সকল কিছুর উত্তরাধিকারী
ফযিলতঃ প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পর এই নাম ১০০ (এক শত) বার জিকিরে বান্দা সকল দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯৮। الرشيد
উচ্চারণঃ আর-রশীদ
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সঠিক ও সর্বশ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক
ফযিলতঃ কোন বান্দা যদি কোন কাজ সফলভাবে করতে ব্যর্থ হয়, বা সে বুঝে উঠতে পারে না কাজটা কিভাবে সম্পাদন করতে হবে । এই নাম মাগরিব ও এশা’র নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে ১০০০ (এক হাজার) বার জিকির করবে । কাজটি সফলভাবে সম্পাদন করা তার পক্ষে সম্ভবপর হবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
৯৯। الصبور
উচ্চারণঃ আস-সবূর
অর্থঃ মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই সর্বাধিক ধৈর্যশীল
ফযিলতঃ সমস্যায় পতিত বান্দা ৩০০০ (তিন হাজার) বার নামটি জিকির করবে, তার সমস্যা দূর হয়ে যাবে (মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে) ।
পরিশিষ্ঠঃ পাঠকগন অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ইসলাম ধর্ম ০৫ (পাঁচ) টি মৌলিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত । ঈমান, নামায, রো্যা, যাকাত, হজ্জ্ব । এগুলো অস্বীকার করে আপনার আমল মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা তিনিই ভালো জানেন ।
আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইল ।
যে সমস্ত ওয়েবসাইট এর নিকট কৃতজ্ঞঃ
http://www.quraneralo.com/99-names-of-allah/
http://www.mbd24.com/islamic/asma-ul-husna.html
http://theholyquranandhadis.blogspot.com/2013/12/blog-post_4480.html
http://footstepsofmuhammed.weebly.com/asma-ul-husna.html
http://forum.projanmo.com/topic37714.html
http://www.oocities.org/fazaileamaal/asmaulhusna.html
http://www.skyten.wapka.mobi/forum2_theme_111183474.xhtml?tema=63
http://porokalerjonnokaaj.blogspot.com/2014/08/blog-post_45.html
যে বই এবং লেখকের কাছে কৃতজ্ঞঃ
• Hisn-E-Haseen by Shaykh AshiqIlahi Madni (r.a)
• Explanation to the Beautiful and Perfect Names of Allaah –
Abdur-Rahman ibn as-Sa’di
• The Status of Having Knowledge of Asmaa Allaah and His
Sifaat - Shaykh AbdurRazaaq bin AbdulMuhsin al-Badr,
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিস্তারিত বর্ননার জন্য। আমি আমার ছেলের নাম রেখেছি ( আল জামি)।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আল্হামদুলিল্লাহ্, খেয়াল রাখবেন ও কিন্তু প্রস্রাব জনিত আর লিভারের সমস্যায় পড়তে যচ্ছে ... । পারলে ওর ছবি, জন্ম তারিখ, জন্ম বার, জন্ম সময় আর ও যেখানে ঘুমায় সেখানকার ছবি একটু পাঠিয়ে দিবেন । আল্লাহ্ চাইলে হয়ত কিছু সাহায্য করতে পারব । আমার ই-মেইল অ্যাাড্রেসে ।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপনার মেইল অ্যাড্রেস তো পেলাম না।
পুরো নাম ঃ কাজী আব্দুল্লাহ আল জামি
জন্ম তারিখঃ ০৮.০৮.২০১২, বুধবার
সময়ঃ রাত ২-৩ টা
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: [email protected]; ধন্যবাদ ।
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: নাম বয়স তো দিলাম !
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ওর এখনকার একটা ছবি দিবেন, ওকে দেখতে চাচ্ছিলাম । শুধু ওর ছবি, কারও সাথে না । ধন্যবাদ ।
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০২
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমি ঠিক বুঝতে পারছি না ..আপনি ছবি কেন চাইছেন।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আপনার প্রথম কমেন্টের উত্তরটা যদি একটু দেখতেন, তারপরও হুবহু তুলে দিলেমঃ লেখক বলেছেন: আল্হামদুলিল্লাহ্, খেয়াল রাখবেন ও কিন্তু প্রস্রাব জনিত আর লিভারের সমস্যায় পড়তে যচ্ছে ... । পারলে ওর ছবি, জন্ম তারিখ, জন্ম বার, জন্ম সময় আর ও যেখানে ঘুমায় সেখানকার ছবি একটু পাঠিয়ে দিবেন । আল্লাহ্ চাইলে হয়ত কিছু সাহায্য করতে পারব । আমার ই-মেইল অ্যাাড্রেসে ।" আমার দ্বারা যদি কারও কোন উপকার হয় তাহলে আমার ক্ষতি কি ?
আপনি না চাইলে থাক । বাদ দিন ।
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
নীল জোসনা বলেছেন: এত চমতকার পোষ্ট কমেন্ট না করলে অন্যায় হবে ।
অাপনাকে অনুসরন করছি ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আল্হামদুলিল্লাহ, ধন্য বাদ ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩
সরদার হারুন বলেছেন: সুন্দরলেখা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
++++++++++++