নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

পি এম বাহার আহমেদ

পি এম বাহার আহমেদ

সব সৃষ্টি সাহিত্যের অনুগত। আমরা এবং আমাদের সমাজ ও চার পাশের কর্ম বা ঘটনা প্রভৃতি এবং শৈল্পিক ও বাস্তবতা, সব কিছুই সাহিত্যের আদলে গড়ে উঠে। যেহেতু সাহিত্য সুন্দর ও শৃংখলাবদ্ধের শিকলে বাঁধা, ফলে মানুষের কর্ম বা আচরণ, সমাজ ও সমাজের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও ছন্দময় করে তুলতে অবশ্যি সাহিত্যের প্রয়োজন আছে। একথা সত্য, সমাজ প্রত্যেক মানুষের জীবন ব্যবস্থাপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর সাহিত্য নিয়ন্ত্রণ করে সমাজ ও সমাজের নানাবিদ কর্ম ব্যবস্থাপনা।যে সমাজে কর্ম পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা যত উন্নত, সে সমাজ ও মানুষের জীবন প্রবাহ ততো উন্নত। ফলে ব্যক্তি ও সমাজ ‍নিয়েই জীবন প্রবাহের স্বার্থকতা। আর এ স্বার্থকতার পেচনে রয়েছে সাহিত্য।

পি এম বাহার আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরপেক্ষ কণ্ঠ থেকে রাজনীতির বাইরে কিছু বলতে চাই

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

কিছুদিন হয়েছে কথা বলা যেনো বন্ধ করেদিয়েছি।

হৃদয়টি খুব ছোট মনে হলেও এখন দেশটাকে সে তুলনায় বিশাল মনে হচ্ছে। এমন মনে হওয়ার কারন হচ্ছে, ধর্ম, রাজনীতি ও আমাদের আধুনিকতা নিয়ে যে তুমুল সংঘাতময় বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যেনো মনের কল্পনার আয়তনকে হাড়িয়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে অনেকেই আবদার করে আসছে, বিশেষ করে কতিপয় সাংবাদিক বন্ধুদের কথা রাখার জন্য ভেবেছি, একটা লেখা উপহার দেবো।



অবশেষে সেটা আর উপহার হয়ে এলো না। বাংলাদেশের আমরা সব জনগণ দেশের জন্য জীবন দিতে পারি। ধর্মের জন্যও পারি। সত্যের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অকালে মরতে পারি। আবার দেশকে নিয়ে আকাশ কুশুম পর‌্যন্ত ভাবতে পারি। এরই ফলাফল দেখছি, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ, ৭১ এ মানবতাবিরোধীদের বিচার, এবং সর্বশেষ যেটা, ইসলাম ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ প্রেরিত রাসুল সঃ কে কটুক্তির প্রতিবাদে ঘাত-সংঘাত।

আগেই বলে রাখী, কে ছাত্র লীগ-ছাত্রদল বা জামাত-শিবির, সেটা বিচার করা আমার উচিৎ না। কেনোনা, রাজনীতি এবং আমি ও আমার লেখা সব সময় আলাদা ভাবের হয়। এখানেও আমি আলাদা করে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই।

গত কয়েকদিন থেকে একদল ক্যাকারের ফাদে পড়তে হয়েছে আমাকে। ফেইস্ বুক একাউন্ট একাধিকবার হ্যাকিং করে তারা কি পেতে বা খুঁজতে চেয়েছিল আমার জানা নেই। কিন্তু এদের প্রতিহত করা সম্ভবনয় এটা নিশ্চয় বুঝতে পারি। কয়েকমাস পূর্বেই এসব হ্যকাররা বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা শুধু সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত ID হ্যাকিং করতে পারদর্শী নয়, তারা দশ কোটি মানুষের ব্যবহৃত ফেইস বুক কোম্পানীর মূল ID কেই বন্ধ করে অচল করে দিতে পারে বিশাল ফইস বুক কে।



যিনি রাজনীতি করেন তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃত্ততা যোগান দিয়ে চলতে ভালোবাসে। হোক্ সে সরকার বা বিরোধী দলের লোক। আমি দেশকে নিয়ে ভাবি রাজনীতির বাইরে, তাই যার তার কথা আমার এবং আমার দেশে কল্যাণে বলা হয়, সেটি এখন বিশ্বাস করি না। সরকারী দল গাইবে নিজ দলের গান, বিরোধীদল গাইবে তার এবং জামাত শিবিরও গাইবে তার দলের গান। এমন করে যত দল রয়েছে সবাই ব্যক্তিগত বা নিজ পছন্দের দলের নামে বেনামে সুনাম গেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ময়ের কথা হচ্ছে, অধিকাংশ মুসলমানরা আজ তার ধর্ম ইসলামের সুনাম করতে পারছে না। কি বিবেক বাঁধা দিচ্ছে, না রাজনীতি নাকি সমাজ ও সামাজিকতা থেকে বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে, সেটি নেহাৎ চিন্তার বিষয়।

তাই ইসলামকে এখন কয়েকটি রাজনৈতীক দলের ব্যানারে দমনের অপ্রতিহত চেষ্টা চলছে। গত কাল যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটাকে নিরীহ কিছু মুসল্লিদের ব্যানারে দাঁড় করিয়ে ইসলামকে ব্যাপক ক্ষতিগস্ত করার পায়তারা করেছে পুলিশ ও সরকার।

সাংবাদিকতার বদৌলতে গত কাল একটি স্পটে সরজমিন থেকে বিপজ্জনক এক সংঘাতের চোখ সাক্ষি ছিলাম। যেখানে রাসুল সঃ কে অবমাননা ও কটুক্তির প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ হচ্ছে, সেখানে পুলিশ আতর্কিত হামলা করে হাজার হাজার জনগণকে খেপিয়ে তোলার পেছনে কি কারণ ছিল, আদৌ তা বুঝে আসে না। এরকম পরিরিস্থতির শিকার হয়ে দেশের অনেক স্থানে সংঘর্ষ ও হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে সব যায়গাতে যে একই কারণে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে তা মোটেও নয়। কিছু লেজুর বৃক্তের লোকদের দ্বারা সৃষ্ট ঘটনার বলী হতে হয়েছে অসংখ্য নিরীহ মুসল্লিকে।

আর পুলিশ যে প্রতিহত করতে গিয়ে সারাদেশে হাজার হাজার গুলি চুড়েছে, সেটা নিশ্চয় খুব ভালো করেছেন বা জাতীকে উদ্ধার করতে পেরেছেন তা নয়। আমি যে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সংঘাত দেখেছিলাম, সেখানে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্য থেকে অনেকেই ছিল। একজনকে বলতে শুনেছি, রাজনীতি আলাদা কথা। রাসুলকে নিয়ে যারা খারাপ মন্তব্য বলে, তাদের ছাড় দেবো না।

যদিও আজকের অধিকাংশ পত্র-পত্রিকায় এসেছে, জামাতের তান্ডব বা জামাত-পুলিশ সংঘর্ষ ইত্যাদি ধরনের শিরোনাম। কিন্তু ১২ দলের নেতাদের সাথেেএকাত্বতার মাধ্যমে যে সমাবেশ হয়েছিল, সে সমাবেশের উদ্দেশ্যকে আন্তর্জাতিক মহলে জঙ্গী বলে পরিচিত করা সরকারের লক্ষ ছিল সেটা অনায়াসে বুঝা যায়।

মানবতা বিরোধীদের সরকার চরম হাতে ধরেছে ,সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। জামায়াতকে বা ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করণ সেটা সরকার, আদালত ও জনগনের আবেদনের বিশ্লেষণ করেই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিবে। আশা করি নির্বাচন কমিশন জাতীয় প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁচবেন। তবে ইসলাম বা যে কোনো ধর্ম-নেতা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে যারা আঘাত হানে তাদের বিচার করা ক্ষমতাধীন সরকারের হাতেই পড়ে।



অন্যদিকে শেষে একটি কথা না বললেই নয়। রাজধানীসহ সারা দেশে যে সংঘাত হয়েছে সেটা নিয়ন্ত্রণ ও একটি সুন্দর প্রতিবাদ সভা ও মিছিলের জন্য সার্বিক সহযোগিতা কি পুলিশ পারত না?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

এ.িট.এম. েমাসেলহ্ উিদ্দন জােবদ বলেছেন:

নিরপেক্ষ কথা কেউ পছন্দ করেনা। খোঁচা দিন, তাইলে বুঝবেন।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

পি এম বাহার আহমেদ বলেছেন: সবাই খোঁচা দিলে নিরপেক্ষতা থাকবে কি করে?
ধন্যবাদ আপনাকে ৥ এটিএম

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: সুন্দর সত্য কথাগুলোই তুলে ধরেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.