নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসহাবে কাহাফ

কবি হাইড্রা

কবি হাইড্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলনি হত্যার রায় ও বিএসএফের সামরিক আদালত!

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

বাংলাদেশের মেয়ে ফেলনি হত্যার বিচার বসে ভারতের বিএসএফের সামরিক আদলতে! আমার অন্ত দৃষ্টি দিয়ে বিচার কার্যক্রম তুলেধরলাম আপনাদের জন্য।যারা এখন ও সামরিক আদলতের রায় নিয়ে সন্দিহান তাদের সংশয় দূর করার জন্য আমার এই ব্লগ ।

জর্জ সাহেবঃ হুকুম,হুকুম, বাদী পক্ষের উকিল সাহেবের আপনার বক্তব্য পেশ করেন।

বাদী পক্ষের উকিলঃ ধন্যবাদ মহামান্য বিচারপতি আমাকে বাদী পক্ষের উকিল হওয়ার পর ও কিছু বলতে দেওয়ার জন্য। আমি প্রথমেই আমার বিজ্ঞ বন্ধ আসামী পক্ষের সরকার বাদী উকিল সাহেবকে বলে রাখতে চাই,আদালত সবার জন্য সমান।হোক সে বাংলাদেশের মেয়ে ফেলনি কিংবা ভারতের বিএসএফ সদস্য আমিয়......।

সরকার পক্ষের উকিলঃ অবজেকশন ইউর অনার! বাদী পক্ষের উকিল অযাথা আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।
জর্জ সাহেবঃ অবজেকশন ওভার লোড!

বাদী পক্ষের ঊকিলঃ আমার মক্কেলের মৃত মেয়ে ফেলনি বেগম, সেই দিন দুপুরে খাবার খেয়ে শরীর চর্চা করার জন্য ভারত সীমান্তের কাটা তারের উপর দিয়ে হাটছিলেন। হটাত তিনি পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সময় কাটা তারে আটকা পড়েন। পরে দূর থেকে বিষয়টা লক্ষ্য করেন আজকের আসামীর কাট গড়ায় দাঁড়ানো অমিয়! তিনি দ্রুত বাচাতে গিয়ে ফেলনি কে বাচাতে পারেন নি।তাই আমার মক্কেলের ধারনা মিঃঅমিয় আমার মক্কেলের মেয়েকে হত্যা করেছে।আমার আর কিছুই বলার নাই।

জর্জ সাহেবঃ আসামী পক্ষের উকিল আপনার কিছু বলার আছে?

সরকার পক্ষের উকিলঃ আমি এটাই বলব, ফেলনি আত্নহত্যা করার নিমিত্তে কাটা তারে ঝুলে পড়ে! আমার মক্কেল চেষ্টা করে ও বাচাতে পারেনি। আমার মক্কেল কে তার এই প্রসংশাময় কাজের জন্য পুরুষ্কৃত করা হোক এবং সেই সাথে ফেলনির বাবা কে আমার মক্কেলের বিরোধ্যে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য শাস্তি দাবি করছি।

জর্জ সাহেবঃ অডার অডার! সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান, আসামী ও বাদী পক্ষের উকিলদের বক্তব্য এবং সামরিক আদালতের নিজ্বর্স তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফেলনি হত্যা মামলায় দায়ী বিএসএফ সদস্য অমিয় একে বারে নির্দোষ! যেহেতু বাংলাদেশ আমাদের আদলতের প্রতি সম্মার্ন দেখিয়ে এই বিষয়ে জোরালো কোন প্রতিবাদ করেনি সেহেতু ফেলনি কি কারনে,কেন,কিভাবে মরেছে তা খুজে বের করা ও আমাদের কাজ নই। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের প্রতি সম্মার্ন দেখিয়ে ভারতের সামরিক আদালত ও, ফেলনির বাবাকে বিএসএফ সদস্য অমিয়র বিরোধ্যে মিথ্যা অভিযোগ আনা সত্তে ও কোন প্রকার শাস্তি দেওয়া থেকে বিরত রইল। তবে তিনি চাইলে এই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।

কোন আদলত পাড়ায় যদি এমন বিচার কার্য পরিচালিত হয় সেখানে অমিয়র মত বিএসএফ সদস্যরা নির্দোষ প্রমানিত হবেই। বাংলাদেশের মেয়ে ফেলনি হত্যা মামলার আসামী অমিয় বার বার নির্দোষ প্রমানিত হলে ও আমাদের কিংবা আমাদের রাষ্টের কার ও কোন মাথা ব্যাথা নাই। যারা ফেলনি হত্যার এই রায়ে সন্তুষ্ট না ,তারা এটা মনে করেন যে “ আমরা ভারত রুপী ১৯৭১ সালের আগের পাকিস্তানিদের অধীনে আছি” তাহলে বুকে কষ্ট একটু কম অনুভূত হবে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.