![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাহিনী সংক্ষেপঃ
আকাশ আর ইভা দুইজনের মধ্যে ভালই প্রেম চলছিল। ২০১৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে আকাশ ঢাকা চলে যায় পড়ালেখার জন্য আর ইভা ভর্তি হয় গ্রামে। ঢাকায় গিয়ে আস্তে আস্তে আকাশ পড়ালেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে,তবে প্রায় সময় ইভার সাথে মোবাইলে কথা এবং ফেইজবুকে চ্যাট হত। অন্যদিকে ইভাদের বাড়িতে প্রায় পাত্র পক্ষ ইভাকে দেখতে আসে। ইভার বাবার ইচ্ছা চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার আগেই মেয়ের বিয়ে শেষ করবেন। উপায় না দেখে ইভা আকাশ কে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের অনার্স পড়ুয়া আকাশ বাস্তবতার কথা চিন্তা করে না বিয়ের কথা ভাবতে পারে না বাবা-মা কে নিজের পছন্দের কথা বলতে পারে। এদিকে দেশে তখন সরকার বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে অনির্দিষ্ট কালের অবরোধ চলে।যার পেক্ষিতে বাড়িতে গিয়ে ইভাকে বুঝানো সম্ভব হয় না।
হঠাত একদিন ইভা আকাশ কে ফোন বলে সে যদি বাড়িতে না আসে তাহলে ইভা আত্নহত্যা করবে। আকাশ ও ইভার ভালবাসায় দুর্বল,তাই সে অবরোধের তোয়াক্কা না করে রাতের গাড়িতে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সারা রাত আকাশ গাড়িতে ভাবে কিভাবে ইভা কে নিজের কাছ থেকে আলাদা করবে। সকালে আকাশ বাড়িতে যাওয়ার পূর্বে দেখে দোকানের সামনে সবাই কি যেন বলা বলি করছে। টিভির শিরোনাম, গতরাতে কুমিল্লায় দূর্ভিক্ষদের ছোড়া পেট্রল বোমায় ১৫ জন বাসযাত্রী নিহত। আকাশ তখন বাড়িতে না গিয়ে বন্ধুর মাধ্যমে তাদের বাড়িতে খবর পৌছায় সেই গাড়িতে আকাশ মারা গেছে।
আকাশ মারা যাওয়ার পর ইভাকে মা বাবা অনেক বুঝিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়।বিয়ের পর ইভা স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে আসে। ইতিমধ্যে আকাশ প্রায় নেশাগ্রস্ত যুবক। হঠাত করে একদিন আকাশের সাথে ইভার দেখা হয়ে যায়। আকাশ ইভা কে সবকিছু খুলে বলে, কিন্তু ইভা বিশ্বাস করে না। তাই আকাশ ইভার সম্মুখে তার ভালবাসার প্রমান দিতে চাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে আত্ন বিসর্জন দেয়।
সমাপ্ত!
রচনায়-শিক্ষার্থী- বাংলা বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.