নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসহাবে কাহাফ

কবি হাইড্রা

কবি হাইড্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প- অশরীরি চুম্বন

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩


মনিয়া আর নয়ন খুব ভাল বন্ধু। প্রায় এক বছর পেরিয়ে ২য় বছরে পা দিল তাদের এই সম্পর্ক। আপনি বলা থেকে শুরু করে সম্পর্ক এখন গোপন অঙ্গ ভেদ করেছে। মুনিয়াকে নয়ন প্রথম দেখেছিল ইউসিসি ভার্সিটি ভর্তি কোচিং করার সময়। হিযাব পড়া একজন শান্ত স্বভাবের মেয়ে। প্রতিদিন কোচিং ক্লাসে শেষের বেঞ্চে বসত বলে সবাই 'লাষ্ট গার্ল অফ দ্যা বেঞ্চ' নাম দিয়েছিল। আস্তে আস্তে নয়ন আর মুনিয়ার মাঝে নাম্বার বিনিময় ও ফেইজবুক এর আইডি বিনিময় হয় কিন্তু হিযাব পরিধান করা মুনিয়ার চেহেরা কখনই দেখা হয়ে ওঠেনি নয়নের।


দুইজন একসাথে কোচিং করলে ও ভর্তি হয়েছে আলাদা ভার্সিটিতে। মুনিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানী বিদ্যা বিভাগে আর নয়ন জাহাংগীর নগর ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট বিজ্ঞান। দুইজন আলাদা পড়লে ও এখন ও ভাল বন্ধু। মাঝে নয়ন আবিষ্কার করে ফোনে কথা বলার সময় মুনিয়া অস্বাভাবিক আচরন করে। এমন ও হয় নয়নের কাছে মোবাইলে কথা বলার একটা চুম্বন দাবী করে বসে। রাষ্ট বিজ্ঞানের ছাত্র নয়ন গন্তন্ত্র ভালই বুঝে।চুম্বনের বিনিময় চুম্বন চাই। কিন্তু নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভুতি ও মূল্যবোধ বুঝেনা। নয়নের সহজ চিন্তা,খেলার মাঠে অনেকেই তো ফ্লাইং কিস করে! সিনেমা তে নায়ক নায়িকারা এই ধরনের চুম্বন করে, তাই মুনিয়ার অন্যায় আবদারের প্রতি নয়নের কোন মনযোগ নাই,।কেবল তার ডাকে সাড়া দিয়ে চুম্বন খেলায় মিলিত হওয়ায় তার কাজ!


ইদানীং এর মাত্রা আর ও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নয়ন একদিন মুনিয়াকে প্রশ্ন করে।তুমি আমার সাথে কথা বলার সময় এমন অস্বাভাবিক আচরন কেন কর? কেন অযাথা মোবাইলে চুম্বন দাবী কর? এই যান্ত্রিকতার মাঝে তুমি কি পাও? মুনিয়ার একটাই উত্তর, জানি না। নয়ন বিষয় টা সহজভাবে নিতে না পেরে তার বন্ধু ও মুনিয়ার ক্লাসমেট শাবিদ কে ফোন করে। পরিচয় পর্ব শেষে নয়ন শাবিদ কে প্রশ্ন করে।
- মুনিয়ার কি খবর?
-মালের বাজার দর কম।
শাবিদ এর এমন উত্তরে নয়ন কিছুটা শক। শাবিদ বিষয় টা সহজ করে দিল এইভাবে- যে মুনিয়ার চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যেত না, এখন তার জামার ভিতরের অন্তঃ বাস দেখা যায়। ' এই জগতে মেয়ে চেনা খুব কঠিন হয়ে পরেছে।' মুনিয়া এখন হিযাব পরিধান করা দুরের কথা ঠিক মত বুকের উপর ওড়না দেওয়াটা ও সেকেলে মনে করে। এই কথা শুনার পর থেকে নয়ন আর মুনিয়ার সাথে যোগাযোগ রাখেনি।


কিন্তু আজ নয়ন বুঝতে পেরেছে। যখন সে প্রথম আলো পত্রিকার শিল্প- সাহিত্য পাতায়, লেখিকা উম্মে মুসলিমার " অ'নাবৃতা " গল্পটি পড়েছে। লেখিকা তার গল্পের লিখেছেন,'""""' কেবল তার কন্ঠ স্বরই আমাকে যৌন উত্তেজনার শীর্ষে পৌছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ""''"''এখন নয়ন বুঝতে পেরেছে মুনিয়ার চুম্বন চাওয়ার জজন্যই সে নিজেই দায়ী!

বি.দ্র: কিছু কিছু মানুষের কন্ঠ-আমাদের শরীরি মনে ও অন্তরে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.