নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসহাবে কাহাফ

কবি হাইড্রা

কবি হাইড্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেইজবুক-কা-লীলা!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৮


বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে ফেইজবুক। ২০০৪ সালে মার্ক জুকারবার্গ নামে জৈনক ব্যক্তি এই জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমটি আমাদের উপরহার দেয়। বর্তমানে এসে এর দৈনন্দিন ব্যবহার বেড়ে চলেছে অত্যধিক মাত্রায় যা বর্ণনা করা দূরহ ব্যাপার। বর্তমান বিশ্বে এই ফেইজবুক ছোট বড় সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়, কারন হিসেবে আমরা দেখতে পায়-
১। সহজেই সবার সাথে যোগাযোগ রাখা যায়।
২। খুব কম সময়ের মধ্যে যেকোন খবর সবার কাছে পৌছে দেওয়া যায়।
৩। নিজের মনের অনুভুতি গুলো সবার সাথে ভাগাভাগি করা যায়।
৪। যেকোন বাণিজ্যিক প্রচারনা করা যায়।
৫। আমাদের অবসর সময় কাটানোর অন্যতম একটি মাধ্যম।
৬। নগ্নতা, বেহায়াপনা ও বেপর্দার স্বাদ।

কিন্তু এতসব সু্যোগ সুবিধার পাশা-পাশি প্রতিনিয়ত ধীর গতির অন্ত্রালে আমাদের ঠেলে দিচ্ছে ধংসের দিকে! আসুন দেখেনি ফেইজবুক আমাদের কাছ থেকে যা যা কেড়ে নিচ্ছে -
১। স্বাভাবিক বন্ধুত্বের খোলামেলা আড্ডা।
২। অবসর সময়ের বাইরের আনন্দ।
৩। ভাল চরিত্রগুন।
৪। শারিরীক যোগ্যতা ও সুন্দর মননানসিকতা।
৫। স্বাধীন ও স্বাভাবিক চিন্তাচেতনা।

এইছাড়া ও অসং্খ ভাল মন্দ দিক নিয়ে ফেইজবুক। তবে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে ভাল চেয়ে খারাপ দিকটা দেড় বেশি মনে হয়।এবং এটাই সত্যি যে ফেইজবুকের অপকারিতা অনেক বেশি। একটা উদাহরণ দিয়-
আগে ছেলে মেয়ের প্রেম হত শুধুমাত্র স্কুল কলেজে দেখা হওয়ার মাধ্যমে এতে করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার সু্যোগ ছিল কম, এমন কি এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে বাসায় থাকলে মা বাবার সামনে মোবাইলে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে। কিন্তু এই ফেইজবুক চ্যাট বা ছবির প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিটি ছেলে মেয়ে নিজের অজান্তে জড়িয়ে যাচ্ছে এক বা একের অধিক প্রেমের সম্পর্কে। সারা রাত দিন মোবাইল নিয়ে প্রেমিকের/ প্রেমিকার সাথে চ্যাট কিংবা ছবি আদানপ্রদানে ব্যস্ত থাকে এতে করে তার নিজের শরীর ও মনে খারাপ প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে মেয়েরা নেমে পড়েছে অঘোষিত নগ্ন প্রতিযোগিতায়।কিভাবে নিজেকে খোলামেলা পোশাকের ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা যাই ফেইজবুকে! কার কেমন বাজে মন্তব্য পাওয়া যায় ইত্যাদি।

এই ছাড়াও যেখানে খারাপ কিছু কল্পনা করা দুরের কথা সেখানে সবচেয়ে সহজেই খারাপ ছবি,ভিডিও, চটি গল্প আমরা ছড়িয়ে দিচ্ছি এই আত্নবিধংসী ফেইজবুকের মাধ্যমে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রধান্দের ভাবা উচিত ছিল এই বিষয় টা নিয়ে। তারপর শুধুমাত্র শর্তসাপেক্ষ কিছু নির্দিষ্ট লোকের ব্যবহারের সু্যোগ দেওয়াই হবে এর সদ্ব্যবহার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.