নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসহাবে কাহাফ

কবি হাইড্রা

কবি হাইড্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইএস ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭


দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ
শহীদের প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে
স্থান পায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট। অন্যদিকে ২০০৩
সালে সংঘটিত আমেরিকা ও ইরাক যুদ্ধের মধ্যদিয়ে আল
কায়েদা নেটওয়ার্ক(AQN), হিজবুত তাহিরি (HT ) ,
আইএসআইএস ( ISIS ), আইএসআইএল. ( ISIL ) হয়ে
আজকের আইএস ( IS ) তথা ইসলামিক স্ট্যাট
( Islamic State) জন্ম হয়.।কিছুদিন আগে বিবিসি
( BBC ) নিউজ এ সাবেক ব্রিটিশ প্রধান্মন্ত্রী টনি
ব্লেয়ার একটা মন্তব্য পড়েছি,, " ২০০৩ সালের ইরাক
বিরোধী যুদ্ধই ছিল বর্তমান আইএস উত্থানের মুল
কারন। উল্লেখ্য যেঁ,,,এই টনি ব্লেয়ারই সেই যুদ্ধের
সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জ্ররজ বুশের সাথে নেতৃত্ব
দিয়েছিল। আসুন, এখান থেকে আমরা একটা শিক্ষা নেয়,
আর তা হল- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।


আসুন এই বার দেখাযাক, আইএস এর জীবনী। আল
কায়েদা নেটওয়ার্ক এর মুল যুদ্ধ বা বিরোধ প্রথমত
সুন্নি মুসলিম রাষ্টের বিপক্ষে এবং তারা তা চালিয়েও
যাচ্ছিল।ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আল কায়দার
কর্মকান্ডের জন্য মুসলিমদের দোষারোপ করে ইরাকের
বিরোদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। পরে আস্তে আস্তে আরও
কিছু স্থানীয় মুসলিম উগ্রপন্থী সংঘটন নিয়ে আল
কায়েদা বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন নামে
তাদের কর্মকান্ড চালাতে শুরু করে। কিছুদিন পরে তাদের
মধ্যে অন্তকোন্দল দেখা দিলে হিজবুত তাহিরির নেতা
আইমান আল জাওহিরি তাদেরকে পুর্ন্রায় একত্রিত
করে আইএস গঠন করে। এরপর থেকে ইসলামের নামে
উগ্রপন্থী এই মুসলিম সংঘটন টি বিভিন্ন দেশে
ইসলামি রাষ্ট ব্যবস্থা বা শাসন প্রতিষ্ঠার নামে
জঙ্গি হামলা চালাতে শুরু করে। এই সংঘটন টি বিভিন্ন
সময় বিভিন্ন নামে পরিচিত লাভ করলেও ২০১৪ সালের
প্রথম থেকে ব্যাপক ভাবে আইএস হিসেবে পরিচিত
হচ্ছে।



যাইহোক, বর্তমানে আইএস সাংগঠনিকভাবে কিছুটা
দূর্বল হলেও তাদের কর্মকান্ড ভয়ংকর আকার ধারন
করেছে! এখানে একটা মজার বিষয় হল পাকিস্তানি
তালেবানরা কি আইএস নয়? তবে অনেকেই সেই বিষয়ে
প্রশ্ন না তুললেও পাকিস্তান যে আইএস কে উস্কানি
বা মদদ দে তা বলতে দ্বিধা করে না। আমি বা আমরা
বাংলাদেশি তাই,,পাকিস্তান কে নিয়ে না ভাবলেও
বাংলাদেশ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে এখন। অনেকেই
হয়তো একটা বিষয় ভুলে গেছেন জামাতুল মুজাহিদিন
বাংলাদেশ ( জেএমবি) প্রাধন বাংলা ভাই, হরকতুল
মুজাহিদিন এর শায়খ আবদুর রহমান ও এরাশাদ
সিকদারের কথা যাকে সূর্য দীঘল বাড়ি থেকে গ্রেফতার
করে। ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে জেএমবি'র
আত্মপ্রকাশ বলে ধরে নেওয়াযাক! তাহলে বাংলা ভাই,
আবদুর রহমান ও কুখ্যাত খুনি এরশাদের মত লোক
যেখানে ফাঁসিতে ঝুলে সেখানে তার চেয়েও ভয়ংকর রুপের
কোন জঙ্গিবাদী নেতা থাকতে পারে না এই কথা
বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কথা। এখন বলেন হঠাত করে
বাংলাদেশে কিভাবে জঙ্গিরা মাথা চড়া দিয়ে উঠিল?
এতদিন,, হিন্দু,বৌদ্ধ ও খৃষ্টানদের ধ্ররমশালয়ে বা
বাড়ি ঘরে হামলা হলে মুসলিমদের মৌলবাদ জঙ্গিবাদ
নিয়ে প্রশ্ন উঠত। তাহলে এখন যখন মুসলিমদের
বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে বোমা হামলা হিন্দুত্ববাদী,
বৌদ্ধবাদী, খৃষ্টানবাদী জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্ন উঠে না?


আসলে এখান থেকে স্পষ্ট যে বাংলাদেশে কেবল মাত্র
মুসলিম বা ইসলাম ধর্মের লোকেরাই নয় বরং অন্যান্য
ধর্মের লোকেরাও জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত। কেউ কেউ
ভাবতে পারেন এটা কেমন কথা! হ্যা,,,যদি তা হয় এটা
স্বীকার করতে সমস্যা কি যে বাংলাদেশেও আইএস
আছে? কারন আইএস একমাত্র সংঘটন যারা মুসলিম
হয়েও মুসলিমদের উপর হামলা করত শিয়া-সুন্নির
ভিত্তিতে। বর্তমানে বাংলাদেশে মুসলিমদের উপরই
হামলা হচ্ছে বেশি, তাহলে বাংলাদেশে আইএস না
থাকলে এই দায় টা কার? আর যদি মৌলবাদী জঙ্গিবাদ
এর জন্য দায়ী হয় তারা মসজিদে হামলা করবে কেন?
সুতারাং জঙ্গিবাদ মানে যে মুসলিমরা জড়িত এমনটা
মনে করা ঠিক না। এইবার,, টনি ব্লেয়ার এর কথায় আসা
যাক, তিনি নিজেই জুরজ বুশের সাথে ইরাক যুদ্ধের
নেতৃত্ব দিয়ে পরে আবার বলেছেন আইএস উতউত্থানের
জনই সেই যুদ্ধটাই দায়ি। তিনি সুকৌশলে রাজনৈতিক
উদ্দেশ্য এই দুইটা কাজই করেছেন। তাহলে,,,আমাদের
দেশেও কি এই ধরনের কোন রাজনৈতিক দল আছে যারা
নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আইএস,জেএমবি
ইত্যাদি নামে-বেনামে বিভিন্ন হামলা চালাচ্ছে?


সর্বশেষে এটাই বলব,,যে বা যারা যেই উদ্দেশ্যে করুক
না কেন, দেশ ও জাতির জন্য তা কোনদিনও সফলতা
বয়ে আনবে না। আর,,ইদানিং আমাদের মধ্যে একটা
রোগ হয়েছে, তা হল- আমরা হুজুর, মৌলনা, পাঞ্জাবি
পরিহিত বা দাড়িওয়ালা লোক দেখলেই তারমধ্যে
জঙ্গিবাদ, আইএস বা জেএমবি খুজি। সাথে যদি ব্যগ
থাকে আর কথায় নায়,তার কাছে থেকে নিজেকে ১০০
হাতাজারি দুরে রাখি, একজন মুসলমান হিসেবে কাম্য
নয়। দয়া করে, কেউ দাড়ি,টুপি বা পাঞ্জাবি দিয়ে
আইএস-জঙ্গি বিনেচনা করে ইসলাম ধর্ম তথা
মুসলিমদের কলুষিত করবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.