![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওপার বাংলার জনপ্রিয় চরিত্র মিঠুন চক্রবর্তীর একটা পরিচয় হল ফাটা কেষ্ট! সিনেমায় দেখেছিলাম কিভাবে ফাটা কেষ্ট সাত দিনের মন্ত্রী হয়ে দেশ কে বদলে দিয়েছিল। ঘটনা টা কেবল সিনেমার পর্দায় ছিল,,,আর বাস্তবেও তার প্রকাশ দেখেছি বাংলাদেশে " ফখরুদ্দীন ও মঈনুদ্দীন " ফাটা কেষ্ট দের শাসনামলে! যাইহোক,, রাজনীতি নিয়ে তাদের শাসন বর্ণনা করা আমার কাজ নয়, আমি কেবল ফাটা কেষ্ট চরিত্রের কথাই বলব। একমাত্রই ফাটা কেষ্ট পারে যেকোন ভঙ্গুর সভ্য সমাজ ব্যবস্থা কে পূর্নরায় গড়ে তুলতে!! কিছুদিন আগে " মাছরাঙা " টেলিভিশন বাংলাদেশের যে শিক্ষাব্যবস্থা দেখিয়েছেন তাতে শিক্ষার উন্নতিকল্পে ফাটা কেষ্টর আগমন অনিবার্য! এখনও ১৫ দিন পেরোই নি অথচ আমরা ঠিকই বিষয়টা ভুলে যেতে বসেছি। আর যেদিন মাছরাঙার প্রতিবেদন টা প্রকাশ করে তারপরের দিন থেকে ফেইজবুকের হাসি তামাশা আর দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করার লোকের অভাব দেখিনি। আমি মাছরাঙ্গার ঐ ভিডিও চিত্রটিকে প্রতিবেদন বলেছি যদিও কিন্তু এটা কোন প্রতিবেদন ছিল না। কেবল মাত্র একটা ফানি ভিডিও ছিল, এই নিয়ে একটু পরে বলছি।
।
।
যা বলছিলাম,, সেই প্রতিবেদন নামের ফান ভিডিও প্রকাশের সাথে সাথে দেশের কিছু দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা কে দোষারোপ করেছেন,, তাহলে এই দোষী টা কারা? ছাত্রদের/ছাত্রীদের পড়ালেখার এই নিম্ন মানের জন্য দায়ী কে? পাঠক, প্রশ্নের উত্তর আপনারাও খুঁজতে থাকেন,,পেয়েও যেতে পারেন কোন একদিন।এই প্রশ্নটা অনেক সহজ কিন্তু উত্তর কঠিন। তবে এই মুহুরতে মিঠুন চক্রবর্তী ওরফে ফাটা কেষ্ট কে যদি এই প্রশ্ন করা হয়, তবে সে বলবে,,যারা শিক্ষাবিদ, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রক তারা সহ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী!! কেন তারা সবাই দায়ী তাই এই ফেইজবুকে লিখে শেষ করা যাবে না। এখন ফাটা কেষ্ট যদি বলা হয়,, এই শিক্ষাব্যবস্থা কে কিভাবে পরিবর্তন করা যায়! ফাটা কেষ্ট কি করবেন জানেন? - ফাটা কেষ্ট সর্বপ্রথম আবার ৭ দিনের জন্য মন্ত্রী হবেন,, বোর্ড মিটিং বলবে, শিক্ষকদের হাতে বেত চাই! শিক্ষকের হাতে বেত থাকবে এই নিয়ম আবার ফিরিয়ে আনবে। শিক্ষক দের বেতের ভয়ে ছাত্র ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেষ করবে। রাস্তায় শিক্ষক দেখলে ছাত্র আবার খারাপ কাজ থেকে গা ডাকা দিয়ে আড়াল হয়ে যাবে! অর্ধবাষিকী ও বার্ষিকী অর্থাৎ ৬ মাসি ও ৯ মাসি পরীক্ষার পরিবর্তে আবার প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক এবং বার্ষিক পরীক্ষা চালু করবে!! শিক্ষকদের ফাস্ট ক্লাস সেকেণ্ড ক্লাস বাদ দিয়ে তাদের মান সম্মান বাড়িয়ে দিতেন আর তখন শিক্ষক দেখলে ছাত্র সাইকেল থেকে নেমে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকত! আত্নীয়তা ও পারিবারিক সূত্রে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে! তিনি কখনই বলত না, এই বার ৮০% মার্কস দিতে হবে,,৯৫% পাস করাতে হবে! তিনি কখনই প্রশ্নপাস কারীদের ক্ষমা করতেন না। ভণ্ড শিক্ষকদের প্রশয় দিতেন না! তাহলে দেখবেন শিক্ষার এই মান অবস্থা আর বেশিদিন খারাপ থাকত না! কিন্তু তা কেবল সিনেমায় সম্ভব! বাস্তবে আমাদের মাঝে ফাটা কেষ্ট কেউ হবে না। কারন, তারা আমৃত্যু মন্ত্রী থাকতে চাই! যদি ৫ বছরের জন্য মন্ত্রী হত তারা সাপ কে সাপ আর কুকুর কে কুকুর বলতে পারত! তারা সত্য কথা বলে ৫ বছরের জন্য দেশটা কে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারত! অথচ তারা নিজেদের গদি ঠিক রাখার জন্য যেকোন অন্যায় কে মাথা পেতে নিচ্ছে! সুতারাং সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এর চেয়ে ভাল আর কিভাবে হয়?
।
।
আসুন,,এখন আপনাদের সেই মাছরাঙা টেলিভিশনের ফানি ভিডিওর গল্পটি বলি,,,প্রথমে মাছরাঙা টেলিভিশন ও সেই সাংবাদিক কে ধন্যবাদ দিতে চাই শিক্ষার এই দুরাবস্থা তুলে ধরার জন্য। অন্তত দেশের সুশীল সমাজ ও নীতিনির্ধারকদের মুখ দিয়ে স্বীকারকরানোর জন্য যে বর্তমান শিক্ষার মান খুবই খারাপ! তবে সাংবাদিক বন্ধু অন্যের ভুল ত্রুটি ও অযোগ্যতা তুলে ধরতে গিয়ে নিজের ভুল ত্রুটি দেখিয়েছেন বেশি। কারন,,তিনি যে ভিডিও চিত্রটি দেখিয়েছেন তা কেবলমাত্র ফান ভিডিও বটে! কারন একটা প্রতিবেদনে যে সকল তথ্য থাকার কথা তা তিনি সেখানে উল্লেখ করেন নি, তিনি প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে কতিপয় ছাত্র/ছাত্রীদের মানহানি করেছে যার কারনে তারা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবে আজীবন। তাদের উচিৎ ছিল,, কোন স্কুলের কত জন ছাত্র/ছাত্রী, গ্রাম না শহরের, কত টা প্রশ্নের মধ্যে কতটা উত্তর ভুল এই সব বিষয় তুলে ধরা! ভিডিও চিত্রটি প্রকাশ করার সময় ছাত্র/ছাত্রীদের মুখমণ্ডল ঢেকে দেওয়া। ভিডিও চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে,,,একটা স্কুলের কক্ষে, একটা ছাদের উপর, একটা খেলার মাঠে,, একটা ঘরের মধ্যে ( সম্ভাব্য) তাহলে প্রশ্ন হল তিনি হঠাত করে কিভাবে জিপিএ৫ পাওয়া ছাত্র/ছাত্রী পেল? তারা কি এতই বোকা যে এত সহজ প্রশ্ন গুলোর মধ্যে একটা প্রশ্নেরও উত্তর পারে না। যদি তাই হয়,, তিনি কিভাবে এই সব আনাড়িপনা ছাত্র/ছাত্রীদের সন্ধ্যান পেল? ভিডিও চিত্রটি প্রকাশ পাওয়ার পর সবাই খুব মজা করেছেন, আপলোড করেছেন, ডাউনলোড করেছেন,, শেয়ার করেছেন,, সমালোচনা করেছেন,, কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন এটা শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের জন্য অথবা টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য তো হতে পারে।
তবে বর্তমানে এই ভুল গুলো সাংবাদিক বন্ধুরাও বেশি করে, কারন, তারা সবাই আইডি কার্ড ধারী সাংবাদিক,, তাদেরও সাংবাদিকতার নিয়ম-কানুন দুরের কথা সাংবাদিকতার বিষয়ে তেমন কোন পড়াশুনা নাই। ক্ষমাপ্রার্থী এই আমি অহেতুক এই বিষয়টা তুলে ধরার জন্য, কিন্তু করতেই হল, কারন, লিখতে হলে পক্ষে বিপক্ষে লিখতে হয়,, যা আমার সাংবাদিক বন্ধু করেন নি। তাই তুলে ধরলাম অনিচ্ছাকৃতভাবে।
।
।
তবে হ্যা, আমিও স্বীকার করি বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষার মান তথা শিক্ষাব্যবস্থা খুবই খারাপ! ছাত্র/ছাত্রীরা প্রকৃত জ্ঞানের পিছু না ছুটে কেবল সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা মুখী হয়েগেছে! আর তার জন্য দায়ী পরিবার, পিতা মাতা ও রাষ্টের শিক্ষা ব্যবস্থা। সাংবাদিক ছাত্র/ছাত্রীদের যে প্রশ্ন করেছে তা নয়,, যদি তাদের কে প্রশ্ন করা হতো, তোমার পিতার নাম কি? আর তারা যদি তাও উত্তর দিতে, " জানি না, ' তবে অবাক হবেন না। কারন,,বাচ্চারা এখন তোমার পিতার নাম কি? তা শিখে না, কারন প্রশ্নটা পরীক্ষায় আসে না। পরীক্ষায় আসে,, তারা শিখে " Do the sum, Won't you? " কারন, এটা পারলেই পরীক্ষায় ১ নাম্বার! আমার এখনও মনে আছে, ছোট বেলায়, আমার এক দুলাভাই ছিল, তিনি যখনি আমাদের বাসায় আসতেন, তখন,,বলতেন, আমি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি, আমার বয়স ১২, আমি একজন ছাত্র, আমি যায় এর অনুবাদ কি? এমন কি দেখতাম না পারলে তিনি শিখিয়ে দিতেন। অথচ এখন কোন পরিবারেই শিশুদের এইভাবে কিছু শিখানো হয় না। কারন, সবাই মনে শিক্ষাটা কেবল স্কুলের বা শিক্ষকের অংশ! অথচ তারা এটা জানে না, বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র,নানান ভাবে নতুন জিনিস, শিখছি দিবা রাত্র! " আর ইসলাম বলে, " কবর থেকে দোলনা পর্যন্ত শিক্ষার স্থান, " যাইহোক, প্রকৃত শিক্ষার জন্য এখনই আমাদের ঝাপিয়ে পড়তে হবে না হলে ঠিকই একদিন এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ", I AM GPA 5 হয়ে যাবে।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
কবি হাইড্রা বলেছেন: রাজনৈতিক ও পারিবারিক শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হলে আন্দারে কিছু আছে এমন লোক পাওয়া যাবে ঢের! ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪২
সাধারন জন বলেছেন: শিক্ষকের হাতে বেত থাকতে হলে আন্দারে কিছু থাকা লাগে