নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসহাবে কাহাফ

কবি হাইড্রা

কবি হাইড্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচার বহির্ভূত হত্যা কেন? রায় তবে কার?

২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯


" রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব
তবু এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব! "
কথাটা বলছিলেন বাঙ্গালি জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ তিনি না পেরার দেশে চলেগেছেন অনেক আগে! তবে আজ কারা আবার দেশকে মুক্ত করার জন্য নিজের রক্ত ঢেলে চলেছে রাজ পথে? দেশের জন্য রক্ত দিতে কারা প্রস্তুত আমি জানি না, তবে দেশের জন্য অনেকেই রক্ত নিতে প্রস্তুত আছেন এই ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। যে হারা মানুষ কে খুন, ঘুম, হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণ চলছে তাতে মনে হয় এই দেশে দেশপ্রেমিক আগেও ছিল এখনও আছে! তবে সবাই যদি দেশের জন্য রক্ত দিতে প্রস্তুত তবে কেন এই বিচার বহির্ভূত হত্যা কান্ড? হ্যা বন্ধুরা, আমি দেশের চলমান অবস্থা থেকে একটা বিষয় তুলে ধরে সামনে এগুবো। আসুন তার আগে বাংলা সিনেমার একটা দৃশ্য দেখে আসি।


বাংলা সিনেমায় দেখা যায় যখন খুনের আসামি হিসেবে বন্দি নায়কের পরিবার কে বাচানোর মত অথবা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার মত আর কোন চরিত্র থাকে না তখন আদালত থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে নায়ক পালিয়ে যায়! নতুবা যদি বন্দি নায়কের বা ভিলেনের কোন সহযোগী থাকে তারা রাস্তায় নায়কে কে পুলিশের কাছ থেকে চিনিয়ে নেয়। এই দৃশ্যটা অনেক পুরোনো এবং সবার পরিচিত। এখন ২০১৬ সালে। সময় পাল্টেছে অনেক বেশি। তাই এই বার দৃশ্যপটে এসেছে পরিবর্তন। আসামি কে নিয়ে জঙ্গি ধরতে গিয়ে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয় পুলিশ! আর সেখানেই পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়- বন্দি আসামি। মনে করুন ঘটনা টা দেখেছেন কিনা এর আগে! এইবার আসা যাক, গ্রেফতার কৃত আসামি টা কে?
আসামি আর কেউ নয়! ফাহিম!!!
ফাহিম কে কিছুদিন আগে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ! বলা হচ্ছে সে খুনের আসামি এবং একটা জঙ্গি সংঘটনের সদস্য। সে খুন করেছে কিনা, নাকি সে নিজেই জঙ্গি না নির্দোষ তা আমরা কেউ জানি না। এটা একান্তই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিষয়! তবে সে যদি জঙ্গিও হয় কিংবা খুনের আসামিও হয় তার বিচার পাওয়া একটা সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু কথা হল, সে কেন তার এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হল? বিচার পাওয়া কি তার অধিকার নয়? সে কেন পুলিশের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় খুন হল? ফাহিমের হত্যাকারী কে বা কারা?


পাঠক প্রশ্ন একান্তই আমার মনের! তাই তুলে ধরলাম। তবে এই বার মিলিয়ে নিন সিনেমার গল্পের সাথে! সিনেমার দ্বিতীয় গল্পের সাথে ফাহিমের হত্যার বর্তমান ঘটনা মিলে গেছে! তবে এখানেই আমার যত মাথা ব্যাথা! কথা হল ; মাথা থাকলেই ব্যাথা অনুভুত হবে! তবে আপনাদের কি মাথা নেই, যে ব্যাথা বুঝতে পারছেন না? আরেকটু কষ্ট দিব। ধৈর্য্য ধরে আমার মাথা ব্যাথার কারন গুলে জেনে নিন। এইগুলো আমার কারন বললেই শেষ নই বলতে হবে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাদের কাছে প্রশ্নও হতে পারে!
সিনেমায় পরিচালক জানে যে কোন পথ দিয়ে আসামি কে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হবে। তাই তিনি আগে থেকেই সেই পথে আক্রমণ কারীদের সাজিয়ে রাখে? কিন্তু ফাহিম কে যদি আসামি ধরতে বা জঙ্গি আস্তানা অনুসন্ধানের জন্য নিয়ে যায় তাহলে এখানে পরিচালক কে? তিনিই বা কিভাবে ফাহিমের সহযোগীদের এই তথ্য দেন যে সেদিন ফাহিম কে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবে? বন্দুকধারীরা কিভাবে জানত যে ফাহিম কে নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধানে যাবে? ভাই, পুলিশ কিংবা দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি জঙ্গি সন্দেহে বন্দি আসামি কে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয় যেন সে তার সহযোগিদের বলতে পারে; তাকে কোন সময় কোথায় নিয়ে যায়? বিষয়টা একটু হাস্যকর মনে হচ্ছে এখন।


ঠিক আছে, আমি মানলাম যে ফাহিম যেকোন ভাবেই তার সহযোগিদের খবর দিল যে তারা ফাহিম কে নিয়ে তাদের সন্ধানে যাবে! কিন্তু কথা হল, বন্দুক যুদ্ধে আর কোন জঙ্গি বা সন্ত্রাসী নিহত না হয়ে শুধুমাত্র ফাহিম নিহত হল কেন? আসুন, ঘটনা টা ভিন্নভাবে না নিয়ে আমরা এই বিষয় গুলো অনুধাবন করি। আমার কাছে এই ধরনের হত্যা আর ক্রস ফায়ার এর মত হত্যা কাণ্ডের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই! সুতারাং পরিচালক সাহেবের উচিত হবে বাস্তবিক সিনেমার গল্প গুলো তে যে আর কোন বিচার বহির্ভূত হত্যা কাণ্ড না ঘটায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: ক্রসফায়ার হবে না ভাই, এটার নাম হবে কথিত বন্দুক যুদ্ধ! যে যুদ্ধে একজনের হাত বাঁধা থাকে, আর অন্য জনের হাতে থাকে বন্দুক! X(

আপনার লিখাটার সাথে আমি পুরাপুরি সহমত।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.