![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" তুমি বেশ বদলে গেছো
পুরোনো সৈকতে আর পানসী ভিড়াও না।"
পুরোনো সৈকতে পানসী ভিড়ানোর মত সময় ও পরিবেশ পেলে ঠিকই পানসী ভিড়াবে একদিন! আমাদের সমাজে বিয়ের পরেও পূর্বের প্রেমিক প্রেমিকার সাথে রাত কাটানো কিংবা সময় পার করা একটা নিয়মিত ঘটনা! যে টা কে আমরা ' পরকীয়া ' বলে সম্বোধন করি। যে কোন নারী পুরুষ এটা করতে পারে! আর এর জন্য দায়ী আমাদের অজ্ঞতা ও সামাজিক অসচেতনতা! একজন বিবাহিত নারী বা পুরুষ যদি তার বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে অবৈধ কোন সম্পর্ক তৈরী করে সেটাই হবে পরকীয়া! এবার দুইটা ঘটনা বলি; একদা খলিফা হযরত উমর (র তার শাসনামলে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন ; এমন সময় তিনি গৃহের ভিতরে এক মহিলার কাব্যপাঠ শুনতে পেলেন। কাব্যের বিষয়টা ছিল এমন যে, যদি আল্লাহর শাস্তির ভয় না থাকত তবে সেই মহিলা গ্রামের সব গুলো যুবক কে নষ্ট করে দিত! মহিলাটা বিবাহিত ছিল কিন্তু তার স্বামী অনেকদিন হল তাকে ছেড়ে চলে গেছে! তাই তিনি এমন কাব্য রচনা করে পাঠ করেছেন। বিষয়টা শুনে হযরত উমর (র
ঘরে ফিরে গিয়ে তার নিজের মেয়ে এবং বিশ্ব নবীর বিবি হাফসা (র
কে প্রশ্ন করল; একটা মেয়ে বিবাহের পর কত দিন তার স্বামী ছাড়া থাকতে পারবে? জবাবে হযরত হাফসা (র
৪ টি আঙ্গুল দেখিয়ে ৪ মাসের কথা বলেন। অন্য একটা ঘটানায় ছিল; একদিন এক স্ত্রী লোক হযরত উমর ( র
কাছে এসে তার স্বামীর বিরোদ্ধে নালিশ করে যে স্বামী তাকে সময় দেয় না।
উপরোক্ত ঘটনাদ্বয় নিয়ে ভিন্নতা ও মতভেদ থাকলেও এর সমাধান ছিল ; কোন বিবাহিত পুরুষ স্ত্রী কে একা রেখে ৪ মাসের বেশি কোথায়ও থাকবে না। এমন কি যুদ্ধের ময়দান হতে স্বামীদের স্ত্রীর কাছে পাঠানোর নজির আছে! দ্বিতীয় ঘটনার সমাধান ছিল প্রতি তিন রাত পর পর অর্থাৎ চতুর্থ রাতে স্ত্রী কে সময় দিতে হবে! আমার যদি ভুল না হয়; এটা স্ত্রীর জৈবিক অধিকার স্বামীর উপর। খলিল এই নিয়মের কথাই বলেছিলেন।
।
।
একজন বিবাহিত নারীর কাছে মিলনের অভিপ্রায় কেমন হতে পারে? এই প্রশ্নটা কোন একসময় একজন লোক কে আমি করেছিলাম। তিনি জবাবে বলেছিলেন ; আমরা কেন নিজেদের মেয়ে বা বোনদের বিয়ে দিই? খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি না তার জন্য নাকি কাপড় চোপড় দিতে পারি না তার জন্য? আমরা মেয়েদের বিবাহ দিই শুধুমাত্র তাদের জৈবিক চাহিদা মেঠানোর জন্য! আমি এর পর লোকটাকে আর দ্বিতীয় প্রশ্ন করি নায়। আমার উত্তর পেয়ে গেছি তার একটা কথায়! সুতারাং এই কথা স্পষ্ট যে কোন মেয়ে যদি বিয়ের পর তার স্বামী কে কাছে না পাওয়ার জন্য পরকীয়া করে তার জন্য আমরা বা পরিবার বা সমাজ দায়ী। আমরা কিভাবে দায়ী? আমাদের দেশে কিংবা বিশ্বের প্রতিটি দেশে দেখা যায় লোকজন বিভিন্ন কারনে একদেশ থেকে অন্যদেশে গিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয়! যার কারনে অনেকেই পরকীয়ায় আকৃষ্ট হয়! অন্যান্য দেশে ফ্রি সেক্সের প্রচলন থাকাই সেখানে পরকীয়া শব্দটি আসে না। তাহলে এর জন্য আমাদের সবার আগে করতে হবে ; স্ত্রীদের থেকে স্বামীদের এক নাগাড়ে ৪ মাসের বেশি দুরে থাকা কে নিরুৎসাহিত করতে হবে। মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় পাত্র নির্বাচনে বিদেশী/প্রবাসী দের এড়িয়ে যেতে হবে!
।
।
আমি কেবল মেয়েদের বিষয়টা তুলে ধরেছি; ছেলেরাও তো স্ত্রী কাছে থাকার সময় পরকীয়া করে থাকে! তাই নয় কি? সেই জন্য প্রতিটি স্ত্রীর ও উচিত তার স্বামীর হক আদায় করা! এইবার দক্ষিণা সুদানের একটা ঘটনা বলি; সেই দেশে একজন মহিলা বাংলাদেশের এক পুরুষ কে প্রশ্ন করল, তুমি কি মুসলিম? মুসলিম ভাইটি বলল, হ্যা। তখন ঐ মহিলা প্রশ্ন করল,বিয়ে কয়টা করেছেন? মুসলিম ভাইটা উত্তর দিল, একটা। তখন মহিলা রেগে গিয়ে বলল,শ্যালা তুই তো একটা কাফির,মুসলিম না! তুই যদি একটা বিয়ে করিস ; তাহলে তোর যখন স্ত্রীর হায়েয /ঋতুস্রাব ( মাসিক) হয় তখন তুই কার সাথে সহবাস করিস? কোন মেয়ের সাথে মিলন করিস? তাদের বিশ্বাস সেই জনই মুসলিমরা চাইলেই সামর্থ্য অনুযায়ী একের অধিক বিবাহ করিতে পারে!
।
।
আমি দুইটা ব্যতিক্রমী ঘটনার আলোকপাত করে একটা গোপন অথচ জানা বিষয় কে তুলে ধরলাম ; যেন প্রতিটি স্বামী -স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন ও পরিবার তথা সমাজ যেন এই বিষয় গুলো নিয়ে ভাবে! আমাদের সমাজে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পারিবারিক অশান্তি ও হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হচ্ছে শুধুমাত্র পরকীয়ার জন্য। এর জন্য শুধু স্ত্রী কিংবা শুধু স্বামী একাই নয় দুইজনই সমান দোষী! সুতারাং আমার উল্লেখিত ঘটনার পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি না তুলে একটু সচেতন হউন অন্তত নিজের বৈবাহিক জীবনে সুখি হবেন।
শহিদুল্লাহ কায়সারের ' সংশপ্তক ' উপন্যাসে পড়েছিলাম, ধর্মের জন্য মানুষ না; মানুষের জন্যই ধর্ম! সুতারাং সকল ধর্মের নৈতিকতা আছে! নারী পুরুষ সবার নীতি বা নৈতিকতা ঠিক থাকলেও এই ধরনের পাপাচার থেকে মুক্তি সম্ভব।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
সুলতানা রহমান বলেছেন: দক্ষিণ সুদানের এইরকম তথ্য কই পাইলেন? মহিলাটা হঠাৎ এইরকম প্রশ্নই কেন করলো? হঠাৎই এরকম প্রশ্ন করা যায়? আমি কি আপনাকে এইরকম প্রশ্ন করতে পারবো? পুরুষ যখন এক স্ত্রীর সাথে রাত কাটাবে তখন অন্য স্ত্রী কার সাথে রাত কাটাবে? নাকি শুধু হায়েয নিফাযের সময়ের জন্যই বিয়ে করবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পড়বেন।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোলেছে
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
নতুন বলেছেন: ভাই শারীরিক সম্পকটা পরের বিষয়.... প্রথম বিষয় হইলো মনের মিল।
যদি স্বামী স্ত্রী মাঝে ভালোবাসার সম্পক` সৃস্টি না হয় তবে শুধুই সেক্স খুব বেশিদিন চলে না। যখন বিষয়টা বিরক্তিকর হয়ে দাড়ায় দুইজনের জন্যই।
সেই থেকেই পরকিয়ার সৃস্টিহয়। কারন স্বামী যখন স্ত্রীকে মানুষিক ভাবে সময় দিচ্ছেনা তখনই অন্য পুরুষ সেই অভাবটা পুরন করলেই পরকিয়ার সৃস্টি হলো। মনের মিল আসলে শারীরিক দুরত্ব কমে যায়...
পুরুষদের সবসময় স্ত্রীদের মনের মানুষ হবার চেস্টা করা উচিত.... তখন কোনপুরুষই সেই নারীকে স্বামী থেকে সরিয়ে আনতে পারেনা।