![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা প্রবাদ বাক্য দিয়ে শুরু করি, ' স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন ' কথাটা কতটুকু সত্য তা ছাত্রজীবনে বইয়ের পাতায় লিখা গদবাধা ভাব সম্প্রসারণ মুখস্থ করে কিছু বুঝতে না পারলেও আজকের বাংলাদেশ তা বুঝানোর জন্য যথেষ্ট পারদর্শী। গত ১লা জুলাই বাংলাদেশে ঘটে গেল সময়ের অন্যতম নির্লজ্জ ঘটনা গুলশানে বিদেশীদের জিম্মির ঘটনা। আমি বিদেশী বলছি কেন? সেখানে কি দেশী কেউ ছিল না? আসলে এটাই এখন আমাদের বর্তমান মিডিয়ার ব্যবসা হয়েগেছে! সংখ্যা লঘু, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মুসলিম, জঙ্গিবাদ, ফতোয়া শব্দ গুলি ব্যবহার করে পায়দা লুটা! আরও একটা কারন আছে, কারণ আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আনাড়ি ব্যবহার কারী। তারা বুঝে না বুঝে এত বেশি ফেইজবুকে স্ট্যাটাস দেয় যা আমাদের সঠিক বিষয় থেকে বিচ্যুতি ঘটায়। ঘটনার দিন আমি ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য ঢাকা বিমান বন্দর রেল ষ্টেশনে বসে আছি। ফেইজবুকে দেখি মুহুত্বেই ভরে গেছে ; গুলশানে বিদেশীদের রেস্তোরার জিম্মি করে রেখেছে কিছু জঙ্গি। অথচ যারা সচেতন তারা লিখেছেন; গুলশানে গুলাগুলি, হলি আর্টিজান রেস্তোরার ভিতরে সবাইকে জিম্মি করে রেখেছে বন্ধুকধারীরা! এখানে আমি কথাটি এই জন্যই বলছি যে, অস্ত্র হাতে নিলেই সবাই জঙ্গি হয়ে যায় না! হয় বন্ধুকধারী তদ্রুপ বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরার মধ্যে থাকলেও সবাই বিদেশী না। কিন্থ এই বিদেশী এবং জঙ্গি শব্দ দুইটা আমাদের নৈতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে যায়। যাইহোক, আমার কথা হচ্ছে, ' স্বাধীনতা। ' ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া একটি জাতি আজ ৪৪ বছর পরে এসে ও কেন তার স্বাধীনতা রক্ষা করতে বার বার কেন ব্যর্থ হচ্ছে? কেন এই দেশের ব্যক্তি স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে? কেন বিদেশীদের পর্যন্ত স্বাধীনতা বঞ্চিত করে জিম্মি করা হচ্ছে! কথায় আছে, ' চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।' আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী গুলোর অবস্থাও ঠিক সেই রকম! কোন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তারা সমাধানের উপায় বের করে কিন্তু একটি পরিকল্পিত ঘটানাও তারাও ঘটার পূর্বে উপায় খুজে বের করে বন্ধ করতে পারেনি। আসুন একটা কবিতা থেকে শিক্ষা নেই -
তোমার কষ্ট বুঝতে হলে আমার কষ্ট বুঝতে হবে
সবার কষ্ট বুঝতে হলে শিকড় ধরে খুজতে হবে!
উপরিউক্ত লাইনদ্বয়ে হয়তো কবি প্রেমের বহি:প্রকাশ ঘটেছে কিন্ত সাথে সাথে কবি এটাও ইঙ্গিত করেছেন ; যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য শিকড় পর্যন্ত অনুসন্ধান করতে হবে! সমস্যার মূলে কি রয়েছে? কারা এর জন্য দায়ী? আমি মনে হয়ে পাঠক বরাবরই বিষয়ের বাইরে নিয়ে যাচ্ছি! আমার বিষয় গুলশানে জঙ্গি হামলা! বাংলাদেশে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই , ডাকাতি অপহরণ হয়েছে কিন্তু কখনও জিম্মি হয় নি! অথচ গত ১ লা জুলাই সেটাও হল! অন্যদিকে ঈদের দিনে শোলাকিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে ককটেল বিষ্ফোরন হল যা আগে ছিল কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ভয় ভীতি প্রদর্শনের মোক্ষম হাতিয়ার! এখন সেই বিষ্ফোরন ও আত্মঘাতী হামলাও হচ্ছ যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেই সিরিজ বোমা হামলার কথা! সেই সময়ের জঙ্গিদের কিছুটা দমন করেছে সরকার! তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা ভাই, আবদুর রহমান ও শিকদার কে বাংলার বুক থেকে নির্মূল এই দেশের জন্য একটা মাইলফলক! তখন থেকে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে উঠে জঙ্গি সংঘটন গুলো কিন্তু প্রায় মেরুদণ্ডহীন জঙ্গি সংঘটন কিভাবে এত শক্তিশালী হল তার জবাব কি? বাংলাদেশে ইতালির ও জাপানের বিদেশী দুই নাগরিক কে হত্যা করা হলে সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয় বাংলাদেশে আইএস নেই ; তাহলে জঙ্গি আছে তা নিশ্চিত! কিন্তু এতটা নিশ্চিত হওয়ার পরও কেন আমরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করি? আসুন না, কাদা ছুটাছুটি না করে জঙ্গি সংঘটন গুলো সমূলে তুলে ফেলি! সময়ের দোলাচলে কিন্তু বরাবরই প্রামাণিত হচ্ছে বাংলাদেশে আইএস আছে! সুতারাং এই কথাই বলা যায় সে উগ্রবাদী জঙ্গিরাই আজকের বাংলাদেশে আইএস এর অনুচর!
।
।
এখন দেখা যাক গুলশান হামলা আমাদের সম্মুখে কি কি বিষয় তুলে ধরেছে ; ১। বাংলাদেশে আইএস তথা জঙ্গিদের শক্ত অবস্থান। ২। তাদের পক্ষের সমর্থন এবং সাহায্য সহযোগিতার শক্তিমত্তা। ৩। আইএস কেবল গরিব বা মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কিংবা মুসলিম দের কাজ নয়, সভ্য সমজের যে কোন কেউ আইএস এর সদস্য হতে পারে। ৪। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিম্নমান ও জঙ্গি মোকাবেলার শক্তি সামর্থ্য তদুপরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ। ৫। রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠানাদি পরিচালনায় দুর্বল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। এইছাড়াও আরও অনেক বিষয় স্পষ্ট যা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি প্রধান কয়েকটি বিষয়ের উপর যুক্তি তুলে ধরে আপনাদের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার করছি। আইএস বা জঙ্গিদের অবস্থান যদি বাংলাদেশে শক্ত না তারা নির্ঘাত মৃত্যু জেনেও প্রকাশ্য জিম্মি এবং হামলা করার কথা কখনই মাথায় আনতে পারে না। তারা এটা করেছে এইজন্যই যে তাদের নিবরাসদের মত পাচ জঙ্গি সদস্য চলে গেলেও তাদের দ্বিতীয় হামলা করার মত হাজার হাজার সদস্য আছে। এর প্রমান তারা রেখেছেও! যার প্রমাণ ঈদের দিন শোলাকিয়ায় হামলা ও বিভিন্ন জায়গায় হামলার হুমকি দিয়ে। ঢাকা শহরে এই জঙ্গিদের পরিচয় গোপন রেখে ও এই ধরনের কাজে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কথাও উঠেছে ; তার জন্য ইসলামী বক্তা ড.জাকির নায়েক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল শিক্ষকের নামও শুনা যাচ্ছে! যা এককথায় প্রতীয়মান হয় তাদের পক্ষে সমর্থন বা সহযোগিতার শক্তি সম্পর্কে। যদি তারা সত্যিই মুসলিম এবং ইসলাম ধর্মের জন্য ড. জাকির নায়েকের মত বক্তার কথায় অনুপ্রাণিত হয় তার দায়ভার বিশ্বনেতাদের নিতে হবে! কারন, তারাই ড.জাকির নায়েক কে বানিয়েছে। সুতারাং বিশ্বনেতারা যেহেতু সবাই মুসলিম নয় সেহেতু আইএস তথা জঙ্গিবাদ কেবল মুসলিমদের কাজ নয়। পাশাপাশি এই কথাও বলা যায়, হামলায় যারা জড়িত ছিল তারা সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র! তাহলে একথা বলাই যায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মানেই আইএস , জঙ্গি নয়; আইএস একজন স্কুল ছাত্র,ইহুদী , হিন্দু, খৃষ্টান কিংবা মুসলিম যেকোন কেউ হতে পারে। এই মাসে ঘটে যাওয়া শোলাকিয়ায় মুসলিমদের উপর ঈদের দিন হামলা ও ফ্রান্সের ঘটে যাওয়া নিহত ঘটনা অন্তত সে দিকটাই ইঙ্গিত করে। আমি চতুর্থ ও পঞ্চম নং বিষয় হিসেবে নিরাপত্তার কথা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের কথা বলেছি। আপনারা লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন, যে এলাকায় ঘটনা টা ঘটে তা মুলত সংরক্ষিত এলাকার ন্যায় যেখানে থাকে সকল উচ্চ পর্যায়ের লোকজন ও বিদেশী। তাহলে সেখানে অবশ্যই আগে থেকেই অন্যান্য জায়গার তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি ছিল। তারপরও এই হামলা কিভাবে ঘটে? এইছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা এবং জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য লম্বা সময় নিয়ে জনমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমি বিষয়ের পক্ষে আরও দুইটা উদাহরণ দিই; হামলা সংঘঠিত হওয়ার পর যদি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে জঙ্গিদের সনাক্ত করা যায় তবে হামলার।আগে করা গেল না কেন? সিসি ক্যামেরা গুলি শুধু ' শাক দিয়ে মাছ ডাকার মত?' কেন সর্বক্ষণ সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হয় না বা করার কোন নিয়ম নেই? রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠান গুলো কেন তার সদস্যকে নিয়মিত প্রোফাইলিং করছে না? কিভাবে অবাদে জঙ্গিরা একদেশ থেকে অন্যদেশে যাতায়াত করে? এই সব বিষয়েই আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট যে ;এই দেশে রাষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ হচ্ছে না।
।
।
আমি মনে হয় কবিতা থেকে অনেক দুরে সরে যাচ্ছি।কবিতার দ্বিতীয় চরণ ' সবার কষ্ট বুঝতে হলে শিকড় ধরে খুজতে হবে! ' আসুন, এখনই সময় শিকড় ধরে খোজার। এই সব জঙ্গিবাদের কারন কি? কারা আইএস তথা জঙ্গিবাদের নৈপথ্যে কাজ করে। বেশ দেরিতে হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিখোজের তালিকা তৈরীর কাজ টা খুবই প্রশংসার দাবিদার! তাই তাদের এই কাজ টা শুরু করার জন্য আমি সাধুবাদ জানায়। তবে, আমার কথা হল; এই কাজ টা আগে করা হয়নি কেন? কথা আগের টাই- চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। এই বাক্য দিয়ে আর কত কাল যাবে? এই বার খেলাটায় পরিবর্তন আনুন; চোর যেন আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা করুন। বুদ্ধিমত্তার ঝুড়িটা নড়াচড়া দিন,দেখুন কিছু বের হয় কিনা। কিভাবে দমন করা যায় এই জঙ্গিবাদ ও ইসলামী লেবাস ধারী আইএস। না হয় দিনে দিনে এই দেশ একদিন পাকিস্তান, সিরিয়া,লিবিয়াও কেউ হার মানাবে। পাঠক একটু সময় নিব, চলেন একনজরে দেখে নি নিখোজের তালিকা তৈরির কাজ! র্যব এই পর্যন্ত ২৬২ জন যুবক নিখোজের একটা তালিকা তৈরি করেছে। সেখানে ১১১ জনের নামে থানায় কোন রকম জিডি বা মামলা নেই; ১৭ জনের কোন পেশা বা প্রতিষ্ঠানিক পরিচয় নেই; ৩৫ জনের পিতা-মাতার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এইছাড়াও এই তালিকায় একজন ১২ বছরের যুবক রয়েছেন। তাহলে দেখুন বিষয়টা কতটা জটিল হয়ে দাড়িয়েছে। আর এই ধরনের জটিল হাজারও সমস্যা আছে যেগুলো থেকে আমাদের অতি দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে জাতি কতটা পিছিয়ে যাবে তা আমার বোধগম্য নয়।
।
।
অবশেষে গুলশানের হামলা কে ইসু করে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উঠে পড়ে লেগেছে জঙ্গি নির্মূলে কিন্তু দেখার বিষয় এই অভিযান কতটা নিরপেক্ষ ও কার্যকারী হয়। কেননা এর আগে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী কে প্রকাশ্য হত্যা করার পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি গ্রেফাতারের নামে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করার অনেক নজির রয়েছে যা দিনের আলোর মত সকলে সামনে উন্মুক্ত। এই বারও তার ব্যতিক্রম নয়। গুলশান হামলার প্রতিক্রিয়া সরুপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের তালিকা তৈরীর পাশাপাশি শুরু করেছে গ্রেফতার অভিযান। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫/৭/১৬ ইং র্যাব পুলিশ মিলে কল্যাণী পুরে জঙ্গি আস্তানায় গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে ১ জন কে জীবিত গ্রেফতার করে; এই সময় পুলিশের সাথে যুদ্ধে আরও ৮ জঙ্গি নিহত হয়। এটা সরকারের জন্য মাইলফলক হলেও কিছু কিছু অনলাইন পত্রিকা ও মিডিয়া চ্যানেল এবং ফেইজবুক সহ বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অভিযান কে সাজানো নাটক বলে অভিহিত করে। এই সাজানো নাটকের পক্ষে অনেকেই স্থানীয় জনগনের বক্তব্য, মেডিকেলের প্রতিবেদন কে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন। আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সূত্র ধরে দুইটা প্রামণ তুলে ধরছি। (১) এলাকার বাসির কথা মতে " যেই বাসায় অভিযান হয়, এবং জঙ্গি আস্তানা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, এই ছাড়াও যাদের কে জঙ্গি হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়, এদের কাউকে কোন দিন ঐ এলাকার কোন লোকজন দেখেন নি এমনকি বাসার সামনে গলির মুখের দোকানদারও না। (২) মেডিকেলের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, নিহতদের শরীরে ৮০% গুলি লেগেছে পিছন দিক থেকে যা কখনই একটা বন্ধুক যুদ্ধ কে সাপোর্ট করে না। সুতারাং আমি সেই দিকে আর যাচ্ছি না যে, এটা কি সরকারের সফলতা না সফলতা প্রমাণের একটা বৃথা আকুতি। তবে এই কথা অনিবার্য সত্য ; সরকার বার বার প্রতিটি কর্মকাণ্ডের জন্য জনগনের কাছে সঠিক বিষয় বা সত্য কথা তুলে ধরতে ব্যার্থ। যেমন: তনু হত্যা, বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদ ও তার স্ত্রী হত্যার ঘটনা এবং সর্বশেষ কল্যাণী পুর অভিযান।
।
।
আমরা পাঠক তথা লেখক তারপরও বলব ; এটা সরকারের সাফল্য কিন্তু কথা হলো, এই সাফল্য কি আমরা সাফল্যের পথে ধরে রাখতে পারব? কিছু দিন আগের একটা ঘটনা, তালিকা অনুযায়ী আমার এলাকায় এক ছেলে কে গ্রেফতার করে। তবে তালিকা কতটুকু তথ্য নির্ভর তা যাচাই করা সরকারের কাজ! কিন্তু কথা হল, সেই ছেলে প্রায় আট বছর আগে হারিয়ে যায় এবং বর্তমানে কিছুটা পাগল প্রায়! কথা হল; ছেলেটার বর্তমান বয়স অনুযায়ী ৮ বছর আগে তার বয়স ছিল ১৫ বছর। তাহলে প্রশ্ন এখানেই ; ১৫ বছরের একটা ছেলে ৮ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৮ সালে কি।কোন জঙ্গি সংঘটনের সাথে জড়িত হতে পারে বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে পারে? আমি, আমরা বরাবরই সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বলব, এই তালিকা ও অভিযান যেন নিরপেক্ষ, নির্ভেজাল হয় এবং কেবল মাত্র সরকারের সাফল্য প্রকাশই উদ্দেশ্য না হয়ে জঙ্গি দমনে সীমাবদ্ধ থাকে। এই জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সুন্দর মনমানসিকতায় যথেষ্ট! তারা যদি এই অভিযানে সফল হয় ও নিরপেক্ষ থাকে পক্ষান্তরে আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগনও তাদের পক্ষে থাকবে। Finally, One more word; I want to say " Look before you leap. "
©somewhere in net ltd.