নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওয়াশিংটন, ২১ জুন : তবে কি আশঙ্কা সত্যি ! মহাসাগরের অতল গভীরে কি সত্যি বাস করছে সে ? যে কোনওদিন উঠে আসবে মানব সভ্যতার কাল হয়ে ! ঠিক গ্রিক পূরাণে যেমনটা কথিত আছে। অস্তিত্ব আছে সামুদ্রিক দানব ক্র্যাকেনের ? একুশ শতকে এসে এই প্রশ্ন হয়ত বিবেচ্য হবে না। কিন্তু, সম্প্রতি গুগল আর্থের ভিডিওতে যা ধরা পড়েছে, তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের।
৯ এপ্রিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অ্যান্টার্কটিকার কাছাকাছি জলের অতলে রহস্যজনক কিছুর অস্তিত্ব পায় গুগল আর্থ। সেইমতো গুগল আর্থের তরফে সাগরের গভীরে সংশ্লিষ্ট অংশের পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতেও রহস্য আরও বেড়েছে। ভিডিওতে ধরা পড়েছে, খুব বড় আকারের কিছুর জন্য সংশ্লিষ্ট অংশের জল ব্যাপকভাবে আন্দোলিত হচ্ছে। সেই কিছু বা রহস্যজনক বস্তুটি দৈর্ঘ্যে ১২৩ মিটার। প্রাথমিকভাবে সেটি কী, বোঝা না গেলেও কেউ কেউ একাধিক পাথরের সমষ্টি বলে মনে করছেন।
তবে অনেকের মতে, এটি আসলে পূরাণে উল্লেখিত ক্র্যাকেন বা ওই জাতীয় কোনও জীব। কারোর মতে, ওটা আসলে ভিনগ্রহের কোনও প্রাণী। UFO সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক ম্যাগাজ়িনের এডিটর স্কট ওয়ারিং স্পষ্টতই দাবি করছেন, “আমি নিশ্চিত ওটা ক্র্যাকেন। গল্প তাহলে সত্যি।”
ঠিক গ্রিক নয়, তারও প্রায় হাজার বছর আগে নর্স পূরাণে উল্লেখ ছিল ক্র্যাকেন নামক সামুদ্রিক দানবের। হলিউডের বেশ কিছু সিনেমাতেও উল্লেখ করা হয়েছে ক্র্যাকেনকে। যার সঙ্গে লড়তে দেখা গিয়েছে (গ্রিক পূরাণ অনুযায়ী) হারকিউলিসকে। কিন্তু, সে সবই পূরাণ। এই দাবির কি কোনও বাস্তবিকতা আছে ? সে উত্তর এখনও মেলেনি। এমনকী মার্কিন গবেষণা সংস্থা National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA)-এর তরফেও এর কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। শুধু মিলেছে গুগল আর্থের ওই ভিডিও।
©somewhere in net ltd.