![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ফেইসবুক লিঙ্ক www.facebook.com/rahathossain.pollob
বিকেলে এনাম মেডিকেলেই ভেতর
লাশের সংখ্যা ছিলো ৮০, অধরচন্দ্র
স্কুল বারান্দায় ছিলো ৬৯ টা লাশ,
আর স্কুল মাঠে সারিবদ্ধ লাশের
সংখ্যা জানতে পারি নাই।
ঢাকা মেডিকেলেও মারা গেছে ১জন।
এখানেই তো প্রায় ২০০ লাশের হিসাব
পাওয়া যায়। কিন্তু এতো কম
বলা হচ্ছে কেন লাশের সংখ্যা? আর
নিয়মিত বিরতিতে তো আরো লাশ
নেয়া হচ্ছেই। এই সংখ্যা বাড়ছেই।
বলা হচ্ছিলো 'রানা প্লাজা' ভবনের
৩য় তলা থেকে ৮ তলা ভবনের
গার্মেন্টসগুলোতে মোট শ্রমিকের
সংখ্যা ছিলো ২৬০০। সেই
ভবনে যারা কাজ করতেন
ভাগ্যক্রমে আজ বেঁচে গেছেন,এমন
দুইজনের ভাষ্যমতে ৩য় তলায়
শ্রমিকের সংখ্যা ছিলো প্রায় ৯০০
আর ৪-৮ তলায় প্রতি ফ্লোরে প্রায়
১০০০ জন। এই হিসাবে মোত
শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৬
হাজার! ধরলাম নাহয়
তারা বাড়িয়ে বলেছে। ২০০০ বাদ
দিলেও তো থাকে ৪০০০ হাজার
শ্রমিক। যাদের একটা বিশাল অংশই
এখনও ভেতরে আটকা পড়ে আছে।
দিনের আলোতেই হিসাবের
এতো গড়মিল- বিধাতা না করুক,আজ
রাতে যদি আটকে পড়া শ্রমিকেদের
মধ্যে কিছু মারা যায়,
তাহলে কতোগুলো লাশ গুম
হবে হিসেব আছে?
বাতাসে এখনও লাশের গন্ধ...! না,
আমি বাতাশে শুধু লাশের গন্ধপাইনা।
বাতাসে আমি আই নিন্মবিত্ত
শ্রমিকের পরিবারের বন্ধ
হয়ে যাওয়া রুটি-রুজির গন্ধ। মাথার
ঘাম পায়ে ঝড়িয়ে যারা দিন কাটাত
সেই রক্ত পানি করা ঘামের গন্ধ পাই।
নামে মাত্র কয়েক হাজার টাকার
ক্ষতিপূরণে কি পরিবারগুলোর
আগামী দিনের অন্য যোগাতে পারবে।
এখানে দুর্ঘটনায় মৃতদের
মৃত্যুকে 'অপমৃত্যু' বললে ভুল হবে।
এটা শ্রেফ খুন ছাড়া আর কিছুই না।
স্পেকট্রাম ট্র্যাজেডি, তাজরিন
অগ্নিকাণ্ডর মত ঘটনার পর
কিভাবে এমন একটি মৃত্যুকূপ
শ্রমিকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল?
যেখানে গতকাল ই এই ভবনের দেয়াল
ও পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছি?
পিলারের খয়ে যাওয়া তলা সনাক্ত
করা হয়েছিল?
আর একদল পিশাচ লাশ গুম করবে। না,
এখানে কেবল লাশ গুম হবে না,
এখানে গুম হবে কোনও
মতে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা কিছু
পরিশ্রমী মানুষের ভবিষ্যৎ।
বেশীরভাগ অগ্নিকাণ্ড বা ভবন
ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভন্ন
গার্মেন্টস। পোশাক শিল্পেরমত
একটি উন্নয়ন খাতের অবকাঠামোর
দিকে এতো নিগ্রহতা কেন? এর
উত্তর কে দেবে? বিজিএমিএ দিবে?
নাকি সরকার?
প্রধানমন্ত্রী, পারবেন এর উত্তর
দিতে? নাকি কেবল
সংসদে দাঁড়িয়ে চশমা খুলে ‘দুঃখপ্রকাশ
করে চুপ হয়ে যাবেন? একদিনেরশোক
ঘোষণায় থেমে থাকবেন? পারবেন এই
ধ্বসে যাওয়া ভবনের বিভন্ন
প্রতিষ্ঠানের মালিকদের?
এই একদিনের দুঃখ প্রকাশ আর
শোক ঘোষণা করে কালো ব্যাজ
ধারন করতে পারবেন আপনি, কিন্তু
যেই পরিবারগুলোর একমাত্র
উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি আজ
মারা গেল তার চোখের ঘৃণাকে ধারন
করতে পারবেন না। যেই
ব্যাক্তিটি আজ পঙ্গু
হয়ে গেলো সারাজীবনের জন্য তাদের
বেঁচে বেঁচে মরে যাওয়ার কষ্ট
ভুলাতে পারবেন না এক দিনের
শোকে আর দুঃখ প্রকাশে।
এই দুর্যোগেও মাননীয়
রাষ্ট্রপতি আজ শপথ নিলেন। শপথ
যখন নিয়েই ফেলেছেন,
আরো একটি শপথ কি আজ
নিতে পারতেন না? অভিযুক্তদের
চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়ার শপথ? কী,
পারতেন না মহামান্য
রাষ্ট্রপতি?
©somewhere in net ltd.