নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধ পাগল কোবাদ ভাই এবং রাজাকারের পেটন

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

কোবাদ ভাই আমার বড় ফুফুর ছেলে। আধ পাগল মানুষ। যেমনি সহজ সরল তেমনি বুদ্ধিসুদ্ধিও কম। চালাক চতুর না হওয়ার কারণে আর্থিক দিক দিয়েও দুর্বল। পোষাক আশাকেও তেমন জৌলুস ছিল না।

একাত্তুর সালে যুদ্ধের সময় (সম্ভাবত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি) কোবাদ ভাই কোন এক কাজে ভরতখালী গিয়েছিল (এলাকাটি গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত সাঘাটা থানা) । গায়ে প্রচন্ড জ্বর থাকায় কাজ না করেই বাড়ি ফিরে আসে। সেই সময়ে রিক্সা গাড়ি তেমন একটা ছিল না তারোপর যুদ্ধের কারণে যানবাহনও বন্ধ ছিল। জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে হেঁটে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিল। গায়ে একটি আধাছেঁড়া পুরানো চাঁদর। ফুলছড়ি থানা সদরের বাজারের উপর দিয়ে ফিরতে হয়। ফুলছড়ি বাজারের পশ্চিম পাশ্বেই ব্রীজ। ব্রিজটি সেই সময় রাজাকারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কয়েকজন রাজাকার সবসময় পাহারা দিত। ব্রীজ থেকে অল্প দূরেই ফুলছড়ি হেড কোয়ার্টর আর এই হেড কোয়ার্টারেই ছিল কুখ্যাত খান সেনাদের ক্যাম্প।

বর্ষাকাল থাকায় এই রাস্তা ছাড়া অন্য কোন রাস্তায় বড়ি ফেরার উপায় ছিল না। পাক সেনা ও রাজাকারদের ভয় থাকার পরও ঐ রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরছিল। গরমের দিনে গায়ে চাদর জড়ানো অবস্থায় ব্রিজের কাছে আসতেই রাজকাররা তাকে আটকিয়ে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধা মনে করে কিছু বলার আগেই তার হাত বেঁধে ফেলে। গায়ের চাদর হেঁচকা টানে খুলে দূরে ছুঁড়ে দেয়। গায়ের চাদর শরীর থেকে খুলে নেয়ায় অসুস্থ্য কোবাদ ভাই বিপদে পরে যায়। জ্বরে কাঁপতে থাকে। জ্বরের কথা বলেও লাভ হয় না উল্টো তাকে পরনের লুঙি ছাড়া গায়ের সব জামা কাপড় খুলে উদাম করে রাখে।

উদাম অবস্থায় পুরো শরীর চেক করে। অস্ত্রসস্ত্র কিছু না পেয়ে টাকা পয়সা দাবী করে বসে। তার কাছে কোন টাকা পয়সা ছিল না। টাকা পয়সা না পেয়ে বাপ মা তুলে গালি দেয়। খামাখাই অনেকক্ষণ আটকিয়ে রাখে। একটা পর্যায়ে হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে চলে যেতে বলে। কিন্তু চলে যাওয়ার কথা বলেই পিছন থেকে একজন রাইফেলের বাট দিয়ে কোমরে আঘাত করে। আচমকা আঘাত করায় তাল সামলাতে না পেরে ছিটকে রাস্তার ওপরে পড়ে যায়। রাইফেলের আঘাতে কোমরের হাড্ডি ভেঙে যাওয়ার অবস্থা। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু দাঁড়াতে পারে না। কোমরের ব্যাথায় টলকে পড়ে যায়। রাস্তার সাইডে বসে পড়ে। তাকে বসতে দেখে আরেকজন রাজাকার এগিয়ে এসে আবারও লাথি মারে। লাথি খেয়ে গড়িয়ে রাস্তার নিচে পড়ে যায়। অনেক কষ্টে হামাগুড়ি দিয়ে রাস্তার উপরে উঠলে আবারও রাজাকার তেড়ে আসে। রাজাকারের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভাঙা কোমর নিয়েই দৌড়ে পালাতে থাকে। এই অবস্থায় অনেক কষ্টে অবশেষে বাড়ি ফিরে আসে।

বাড়ি ফিরে কোমরের ব্যাথায় মরার অবস্থা। দীর্ঘ দিন বিছানায় পড়ে থাকে। সাধ্যমত চিকিৎসা করেও পুরোপুরি সুস্থ্য হয় না। কোমরের ব্যাথা থেকেই যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই ব্যাথায়ই ভুগেছেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক দিন পরে তিনি বাজারে যাওয়ার পথে দেখে সেই রাজাকারকে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কোবাদ ভাই রাজাকারকে দেখেই চিনে ফেলে। তাড়াতাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গিয়ে বলে, ভাই আমার একটা বিচার আছে।
মুক্তিযোদ্ধারা বলল, কি বিচার?
কোবাদ ভাই আঙুল দিয়ে রাজাকারকে দেখিয়ে বলল, এই রাজাকার আমার কোমরে রাইফেলের বাট দিয়া বাড়ি মাইরা কোমর ভাইঙা দিছে, আমি সেই থাইকা ভাঙা কোমর নিয়া খুব কষ্ট পাইতেছি। আপনারা এইটার বিচার করেন।
মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকজন ছিল, তাদের মধ্য থেকে একজন এগিয়ে এলো। নিজের হাতের লাঠি কোবাদ ভাইয়ের হাতে দিয়ে বলল, এই শালা রাজাকার আপনার উপর যে অত্যাচার করেছে, সে বিচার আপনি নিজের হাতেই করেন।

মুক্তিযোদ্ধারা তার হাতে লাঠি ধরিয়ে দেয়ায় কোবাদ ভাইয়ের মেজাজ তখন তুঙ্গে। পাগল হলেও তার ভিতরে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠেছে। এমন সুযোগ হাত ছাড়া করা উচিৎ হবে না। মনে মনে ভাবে ও যেমনভাবে আমার কোমরে রাইফেলের বাট দিয়ে পেটন দিয়েছে আমিও তেমন ভাবেই ওকে পেটাবো। ও আমার কোমর ভেঙে দিয়েছে আমিও ওর কোমর ভেঙে দিব। এই মনে করে লাঠি হাতে নিয়ে রাজাকারকে যেই পেটন দিতে যাবে অমনি রাজাকার হাউমাউ করে কেঁদে উঠে। রাজাকারের কান্না শুনে থমকে যায়। মুখের দিকে চাইতেই মায়া লাগে। রাজাকারের চোখের পানি দেখে মনটা নরম হয়ে যায়। নরম দিলের সহজ সরল মানুষ হওয়ায় আর পেটাতে পারে না। হাতের লাঠি ফেলে দিয়ে বলে ওঠে, মুক্তিযোদ্ধা ভাই, আমার পক্ষে রাজাকার পেটানো সম্ভব হইলো না। ওর চোখের দিকে চায়া আমার মহব্বত লাগছে। আমার বিচারটা আপনারাই কইরেন।

মুক্তিযোদ্ধারা তার সরলতা দেখে রেগে যায়, ধমক দিয়ে বলে উঠে, আরে ভাই আপনি যে মহব্বত করতেছেন ও যখন আপনাকে পিটাইছে তখন কি ও আপনাকে মহব্বত করেছিল?
রাজাকারের মহব্বতের কথা শুনে কোবাদ ভাই কিছুটা উত্তেজিত হয়েই বলে উঠে-- না ভাই, মহব্বত তো করেই নাই, উপরন্ত আরো আমারে লাত্থি দিয়া রাস্তার নিচে ফালায়া দিছে।
লাত্থি মেরে রাস্তার নিচে ফেলে দেয়ার কথা শুনে একজন রেগে গিয়ে বলে--আরে বেকুব লোক, লাত্থি খাওয়ার পরও মহব্বত লাগলো? ওর ভিতরে যেইখানে মহব্বত নাই সেইখানে আপনার মহব্বত করার দরকার কি? ধরেন-- লাঠি হাতে নেন, বলেই তিনি আবার তার হাতে লাঠি তুলে দেয়।

কিন্তু কোবাদ ভাইয়ের নরম দিল আর শক্ত হয় না। লাঠি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পিটাতে গিয়েও আর পিটাতে পারে না। তাকে থ মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষেপে যায়। তারা তাকে তিরস্কার করতে থাকে। কিন্তু তাদের শত তিরস্কারেও তিনি প্রতিশোধ না নিয়ে দাঁড়িয়েই থাকেন। তার থ মেরে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে পাগল ভেবে ক্যাম্পে চলে যায়।

বিনা কারণে রাজাকারের হাতে পেটন খাওয়া সেই আধ পাগল ভাইটি গত ১১ ডিসেম্বর (২০১৭ইং) বিজয়ের মাসে মারা গেছেন (ইন্না- - রাজেউন)। তার মৃত্যুর খবর শুনে মর্মাহত হলাম। এই পাগল ভাইটি বাড়ি গেলেই এসে দেখা করে যেত। আমার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে কত যে দোয়া করতো। তার সরলতার আদরমাখা হাত বুলানোতে বিগলিত হতাম। খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। অসুস্থ্য অবস্থায়ও পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তেন। এমন মানুষ খুব কমই চোখে পড়ে। আমি তার মাগফেরাত কামনা করি। আপনারাও দোয়া করবেন, পাগল ভাইটি যেন জান্নাতবাসী হয়।

(রাজাকারের অত্যাচারের কাহিনীটি তার মুখেই শোনা। তার মৃত্যু সংবাদ শুনে সেই ঘটনা বার বার মনে পড়ছিল। আজকের এই বিজয় দিবসে পাগল ভাইটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ঘটনাটি তুলে ধরলাম।)

(ছবি ঃ ইন্টারনেট)

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মানিজার বলেছেন: মানুষটা ভাল । এইরকম ভাল মানুষের দরকার শান্তিপুর্ণ কোন দেশ হলে । তবে বাংলাদেশের মতু দেশে এইরকম মানুষ না থাকাই ভাল ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ভালো মানুষের এদেশে মূল্যায়ন কম। ধন্যবাদ ভাই

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ উনাকে বেহেশ্ত নসিব করুন।

রাজাকাররা সত্যিই নির্দয় ছিলো। ইচ্ছে আছে তাদের কিছু কাহিনী নিয়ে লেখার।

ধন্যবাদ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, রাজাকারের অত্যাচারের কাহিনীগুলো লিখে রাখা দরকার, ভবিষ্যতে এগুলোই ইতিহাস।

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তিনি ভাল মানুষ ছিলেন। নরম মনের মানুষ। চরম প্রতিশোধ নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ থাকা সত্তেও তিনি তা নেন নি।
আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁকে জান্নাত নসীব করুন!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, খুবই সরল মানুষ ছিলেন, কখনও কারো সাথে রাগ করতে দেখি নাই।

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আরাফআহনাফ বলেছেন: কোবাদ ভাইয়ের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।
এরকম কত শত শত আত্মত্যাগে যে আমাদের স্বাধীনতা!!!!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এরকম অনেক ঘটনা দেশের ভিতর ছড়িয়ে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
খায়রুল আহসান বলেছেন: তিনি ভাল মানুষ ছিলেন। নরম মনের মানুষ। চরম প্রতিশোধ নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ থাকা সত্তেও তিনি তা নেন নি।


আমিও এমন কিছু একটাই ভাবছিলাম।


ভালো লাগলো আপনার লেখাটা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, বাস্তব ঘটনা থেকেই লেখা। যুদ্ধের পরে তার মুখে এই কাহিনী শুনে সবাই হেসেছিলাম।

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কোবাদ ভাইএর জান্নাতবাস কামনা করছি।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই, আপনার দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হোক এই কামনা করি।

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বেনামি মানুষ বলেছেন: আমাদের লোকালিটিতে একটা সেম ঘটনা আছে। আমার কুদ্দুস চাচা তখন হাইস্কুলের ছাত্র। রাজাকার সর্দার, চেয়ারম্যান তাকে একবার মেরেছিলো।
পরবর্তীতে জয়ের পরে যখন উপজেলার মাঠে রাজাকারদের বিচার হচ্ছিলো তখন কুদ্দুস চাচা প্রতিশোধ/শাস্তি সরূপ রাজাকারের পিঠে ঘোড়া চরেছিলো। :)

শেষের দিকে কোবাদ ভাইয়ের মৃত্যু শুনে কষ্ট লাগলো একটু।
কোবাদ ভাই সুখে থাকুক ওপারে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: কুদ্দুস চাচা কোবাদ ভাইয়ের মত অনেক কাহিনীই ৭১সালে ঘটেছে। কিন্তু কাহিনীগুলি প্রকাশ নাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কোবাদ ভাের জান্নাত কামনা করছি।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

প্রামানিক বলেছেন: আপনার দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হোক।

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,




একজন নরম মানুষের কথা । বাঙলার মানুষ এমনই নরম বলেই অপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়ে বারবার । আপনার কোবাদ ভাইয়ের মতো আমরাও সবাই আধা পাগল হয়তো !
আজ বিজয়ের দিনটিতে আপনার এই কাহিনী পড়ে এমনটাই মনে হলো । কিন্তু আর কতোদিন মানুষ এমনি নরম থাকবে ?

আপনার অমন ভাইটির আত্মার শান্তি কামনা করছি ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: আসলে বাঙালিরা নরম মনের অধিকারী হওয়ায় পাকিস্তানীরা সুযোগটা পুরোপুরি নিয়েছিল। ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার মানুষ প্রতিশোধ নেয়নি বলেই জামাতযীরা বেঁচে গেছে, এখন বংশ বিস্তার করছে

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




এমন নরম এবং পরিষ্কার মন মনে হয় এমন পাগলদেরই হয় । ওনার মৃত্যু ব্যাথিত করলো । ওনার আত্মার শান্তি কামনা করছি ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: সরল মানুষগুলোকেই মানুষ পাগল ভাবে, আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলার মানুষের কোমল মানুষ
সবাইকেই ক্ষমা করে দেয়।
আল্লাহ তার সমস্ত গুণাহ মাফ করে দিবেন
শেষ বিচারের দিন সেই প্রার্থনা জানাই।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: আপনার প্রার্থনা যেন আল্লাহ কবুল করেন। ধন্যবাদ নূরু ভাই।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

লেখা চোর বলেছেন: প্রতিশোধ নেয়ার সক্ষমতা থাকার পরও যে ক্ষমা করে দেয় সেই প্রকৃত ক্ষমাশীল। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুক। আমিন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: আপনার প্রার্থনা যেন আল্লাহ কবুল করে নেয়। ধন্যবাদ

১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আল্লাহ উনাকে মাফ করবেন উনার এই উদারতার জন্য। আসলে ভালো মানুষ হলে চরম শত্রুকেও নিজ হাতে খুন কিংবা মারার সময় খারাপ লাগে...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ভালো মানুষ নিজের ক্ষতি হলেও কখনও মানুষ মারার কথা চিন্তা করতে পারে না।

১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

সুমন কর বলেছেন: কবোদ ভাইয়ের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। লেখা ভালো লাগল।
+।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, কবোদ ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করায় শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই তো আমাদের দেশ -
আমরা হেথায় নাগেরে দোলাই, নাগের মাথায় নাচি (গোলাম মোস্তফা খুব সম্ভবত )
আবার শত্রুকে ক্ষমা করতেও পারি |কোবাদ ভাই আধপাগল কেউ না |মহান একটা মানুষ | আমরা এতো সংকীর্ণ ভাবনার আমাদের কাছে মনে হয় আধা পাগল | আল্লাহ কোবাদ ভাই-কে তার মহানুভবতার সর্বোচ্চ প্রতিদান দিন |

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ৭১সালে কোবাদ ভাইয়ের ঘটনাটি আসলেই ভেবে দেখার মত। তার ঘটনা শুনে আমরা তাকে পাগল হিসাবেই উড়িয়ে দিয়েছি কিন্তু তিনি মহানুভবতার কাজ করেছিলেন।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরা মননে কিন্তু কোবাদভাইই।। যে কারনেই যুগে যুগের কথা নির্বিকারে ভুলে যাই।।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২২

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯

সোহানী বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল কাহিনী শুনে। যেখানেই থাকুক পরম শান্তিতে থাকুক সে শান্তিপ্রিয় নরম মনের মানুষটি।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন, আপনার দোয়া আল্লাহ যেন কবুল করে।

২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মহান আল্লাহ উনাকে জান্নতুল ফেরদাউস দান করুন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনার দোয়া আল্লাহ যেন কবুল করে নেন।

২১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

সামিয়া বলেছেন: না পড়েই লাইক দিয়ে গেলাম, সময় করে পড়ে মতামত জানাবো ভাইয়া ।।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

প্রামানিক বলেছেন: লাইক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

২২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

প্রামানিক বলেছেন: আসলে এটা গল্প নয় ৭১সালে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩২

অলিউর রহমান খান বলেছেন: মর্মস্পর্শী কাহিনী।
ভালো লাগলো সাথে কষ্ট ও হলো।
রাজাকারদের জায়গা বাংলাদেশে নয়, পাকিস্তানে।

প্রিয়তে রেখে দিলাম গল্পটি।
ধন্যবাদ জানবেন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: ৭১সালের অত্যাচারের কাহিনীটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তার মাগফেরাত কামনা করি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

প্রামানিক বলেছেন: আপনার দোয়া আল্লাহ যেন কবুল করে নেন।

২৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একজন আধপাগল মানুষের ওপর রাজাকারদের নিপীড়ন বড্ড কষ্ট লাগলো। ওরা (রাজাকাররা) তো মানুষ ছিলো না; ছিলো অমানুষ! তা না হলে স্বজাতির ওপর কেউ নির্যাতন চালায় (সামগ্রিকভাবে)। ওদের প্রতি ঘৃণা চিরদিনই থেকে যাবে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, আসলেই তাকে রাইফেল দিয়ে যে পেটন দিয়েছিল সে ব্যাথায় মরার আগ পর্যন্ত ভুগেছে।

২৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কোবাদ ভাইয়ের দয়া-মায়ায় ভরা হৃদয়টাকে শ্রদ্ধা জানাই ।

আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন উনি তাঁকে ক্ষমা করে দেন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

প্রামানিক বলেছেন: আপনার দোয়া আল্লাহ যেন কবুল করে নেন।

২৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কোবাদ ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: দুঃখ পাবার মতো ঘটনা।

ভালো মানুষ কষ্ট পায় বেশী।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.