নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার মত বলে যাই

পিন্টু টামির ( হাজং)

আমি আমার মত

পিন্টু টামির ( হাজং) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল যোগাযোগে মানুষের সম্পর্ক কোথায়

২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

[sb]আজকাল যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাবে মানুষ খুব বেশী ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে। অর্থৎ সবাই কেমন যেন নেট ভিত্তিক, নেট নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। যোগাযোগ করছে নেটের মাধ্যমে, কেনাকাটা করছে নেটের সাহায্যে, ছবি দেখা, গান শোনা বা অন্যান্য বিনোদনের জন্য ব্যবহার করছে নেট। আগে চিঠিতে মনের মাধুরী মিশিয়ে একজন আরেক জনকে লিখতো মনের কথা। তাতে সম্পুর্ন মনের কথা যেমন প্রকাশ পেত, তেমনি একটা সাহিত্যও রচিত হয়ে যেত। একেকটি চিঠি তো একেকটি কবিতা, রচনার মতই হয়তোবা সেটার মান কোন কবি বা লেখকের মত হতো না। কিন্তু সংরক্ষনে থাকা ১০ বছর আগের নিজের চিঠি কেউ পড়লে দেখবেন নিশ্চিত অনেক আন্দোলিত হবে যে কারো মন। মোবাইল আসার পর মানুষ অতি সংক্ষেপে একটা কল বা একটা ম্যাসেজ দিয়েই যোগাযোগ শেষ করে দিচ্ছে। আবার এও বলছে দেখা হলে বিস্তারিত বলব। আর সে ভাবে দেখাও হয় না বলাও হয় না। কারো জন্মদিনে হয়তোবা আগে ফুলটুল দিয়ে বাসায় গিয়ে কাউকে শুভেচ্ছা জানানো হতো এখন হয়তো খুব কাছের কেউ না হলে ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস বা মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়েই দায় ছাড়ছি। এভাবে এই ভার্চুয়াল হয়ে যাওয়ার কারনে মানুষের মধ্যে যে আত্মিক সম্পর্ক তা বোধ হয় নিমেষেই কমে যাচ্ছে। আমাদের ভাষায় আমরা যাকে বলি শ্বশরীরে যোগাযোগ থেকে মানুষ দিনকে দিন সরে যাচ্ছি। খুব বেশী প্রয়োজন না পড়লে মনের তাগিদে হয়তো দেখা করিনা। ভিডিও কনফারেন্সিং, স্কাইপি, ইত্যাদির মাধ্যমে দূর থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে, কোন মিটিং বিশেষ কারো বক্তব্য রেকর্ড করে শোনানো হচ্ছে অথচ হয়তোবা উনার সেখানে উপস্থিত থাকার থাকে। এতে কী শ্বশরীরে থেকে বক্তব্য দেয়ার মাহাত্ব থাকে বা শ্রোতাদের মধ্যে সে বক্তব্য শুনে কতটুকুই বা শিহরণ জাগে। এখন কান চলচ্চিত্র উৎসব চলছে। একের পর এক বিখ্যাত অবিনেত্রী অভিনেতারা লাল গালিচায় পায়ের ধুলি ফেলছেন। গণমাধ্যমের অনেক রিপোর্টরই সেখান থেকে রিপোর্ট লিখেছেন। বিখ্যাত ওস্কার জয়ী অভিনেত্রী সোফিয়ান লড়েন সম্পর্কে একজন লিখেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থেকেছেন সোফিায়ান কখন লাল গালিাচায় একে দিবেন পদচিহ্ণ। এরই মধ্যে তার আগে একদিকে উপস্থিত হয়েছেন বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া। এ নিয়ে আবার বলেছেন, ভবিষ্যতে হয়তো ঐশ্বরিয়াকে দেখার সুযোগ হবে কিন্তু সোফিায়ানের দেখা পাওয়া রীতিমত সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই তিনি ঐশ্বরিয়ার দিকে না গিয়ে সোফিায়ানের জন্যই অপেক্ষায় থেকেছেন। এই যে লেখক সাহেব তো সোফিায়নকে অসংখ্য ছবিতে কিংবা ইউটিউবে, নেটে দেখেছেন। তাতে কী তাকে কাছে থেকে দেখার তৃষ্ণা মিটেছে মিটেনি। কাজেই এই যে দিনের পর দিন আমরা ফেইসবুক, টুইটার , লিংকড ইন, ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলি ব্যবহার করছি, এগুলিতে যত বেশী সম্পৃক্ত হচ্ছি ততই বাস্তব জগত থেকে দূরে যাচ্ছি। যেটা রোবটেরই সামিল। দেখা যায় একজন ঘন্টার পর ঘন্টা নেটে থাকছে। অথচ এ সময় টা আগে হয়তো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত, গল্প করতো, সময় কাটাতো। এমনকি গ্রামেও এখন আর আগের মত মেহমান আসেনা। বাড়িতে মেহনমান আসলে আগে কত মজা হত যারা আমরা গ্রামে থেকেছি তা আমরা সবাই জানি। আমি বলতে চাচ্ছি এই বাস্তবতায় একজনের সাথে যোগাযোগ করে যে আনন্দ ও তৃপ্তি আসবে তা ভার্চুয়াল ভাবে কারো সাথে যোগাযোগ করে আসবে না। ফেইসবুকে অনেকের হাজার হাজার বন্ধু কিন্তু কয়জনের সাথে গভীর বন্ধুত্ব। কতজনের সাথে নিয়মিত দেখা হয়, কথা হয়। এটা এভাবে পরিস্কার করে বলা যায় কোন ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা হই হুল্লোর করার সাথে কখনো ফেইসবুকে চ্যাটিং করা একরকম মজার হবে না। তাই বলি যোগাযোগ প্রযুক্তি আমরা অবশ্যই ব্যবহার করব। তাই বলে কী আমরা আমাদের বাহ্যিকতাকে ছেড়ে দিব? দু’টি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে পারলে ভাল হয়না কি। আর তা না পারলে উপরে ছবির মত হয়তোবা এক সময় কল্পনাই করতে হবে যে কম্পিইটার থেকে আপনার সামনে তাজা ফুর বাড়িয়ে দিচ্ছে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.