নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার মত বলে যাই

পিন্টু টামির ( হাজং)

আমি আমার মত

পিন্টু টামির ( হাজং) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বসবাস কক্ষ বিড়ম্বনার স্মৃতি

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

ভর্তি হলাম আসতে হল হলে কারণ ঢাকায় আগে যেখানটায় ছিলাম কলেজের পাঠক চুকে যাওয়ার সাথে সাথে সেখানে বসবাসের সুযোগেরও সমাপ্তি হয়ে গেছে। তাই এখন নতুন ঠিকানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিছানা। অন্তত প্রথম তো ভাবনা এমনই ছিল, এতো কষ্ট করে কত পরিক্ষার পাহাড় পেরিয়ে ভর্তি হয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট তো আমর অধিকার। তাই কী আর হল বাস্তবতা তে এখানে অন্যরকম হয়ে আছে। জোর যার মুল্লক তার হলের কক্ষটাও তার। এখানে কী মানুস আর কী অমানুষ। অমানুষ বলতে এখানে দুশ্চরিত্রের কোন ব্যক্তি বোঝাইনি। এখানে অমানুষ বলতে মানুষ ছাড়া ক্ষমতাধর অন্য যেসব ছোট প্রানী থাকে। প্রানীই বটে যেহেতু প্রান আছে। পুরোনো বা সিনিয়রদের জন্য তো সিট পেলাম না। কক্ষেই ছোট একটি পরিসরে করে নিলাম নিজের বিছানা। তাতে কি আর কাটলো বিড়ম্বনা। আসলো বহুবিধ যন্ত্রণা। এর আগে ধারণা ছিলণা ছোট কিন্তু ভয়ঙ্কর ছাড় পোকার সম্পর্কে। তার মুখোমুখি হলাম যখন গরম আসলো। একে তো গরম, একে বারে ফ্লোরে হিজিবিজি কাপড় চোপর জিনিস পত্রের চাপে বাতাস আর আমার শরীর পর্যন্ত পৌছুইনা। তাই গরমে মশারি টানানো যায়না। ফলে রাত্তিরে চলে ত্রিমাত্রিক অত্যাচার। একদিকে গরম, আরেকদিকে চিরচেনা মশাটি সর্বশেষ সংযোজন ছাড়পোকা। যদিও বা মশারি টানিয়ে মশা নামক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়, কিন্তু ছাড় পোকার হুল থেকে রেহাই পাওয়া কোন উপায় নেই। সে শধু বিছানায় যন্ত্রণা দেয় তা। সে কখন কোথায় আপনার শরীলে হুল ফোটাবে তার কোন পরিস্থিতি নেই। একদিন সকালে গান শুনছি “ তুমি আমার প্রথম সকাল, একাকী বিকেল ক্লান্ত দুপুর বেলা” হঠাৎই কানের মধ্যে কী যেন বিধল। হেড ফোন খুলে দেখি। একজলখ চোখে পড়র কী যেন কালো করে দৃষ্টি কাটল। খুটিয়ে দেখলাম ছাড় পোকা। অনেক চেষ্টা করেও তাকে সেখান থেকে বের করতে পারলাম না। এটাতো গেল রুমের মধ্যে সীমা বদ্ধ। অফিসে বসে কাজ করছ্ িফোনে সংবাদ নিচ্ছি। এমন সময় ঠিক নাভির নিচে কে যেন খোচা দিচ্ছে। ভেবেছিলাম গরমে হয়তো ্এলার্জি জেগেছে। কিন্তু দেখি অনবরত চলছে । তারপর আড়ারে গিয়ে দেখি ছাড়পোকা মশাই আমার সাতে অফিসে যেতেও ছাড় দেয়নি। আমার দৃষ্টি এড়াতে একে কোমরের বেল্টের ফুটোর মধ্যে লুকোচুরি খেলছে। সাথে সাথে কোমর থেকে বেল্ট খুলে দিলাম লেপটে। তাতে কী এরকম কতজনকে লেপটে দিয়েছি। আমার তো তাও কোমর পর্যন্ত এক কলিগের কাছ থেকে যা শুনলাম তা রীতিমত আমাদের হাসির খোরাক হলেও তার জন্য ছিল অত্যন্ত বিড়ম্বনার। কলিগ এক নেতার সিংক নিচ্ছে হাতে বুম ধরে। এমন মুহূর্তে সবচেযে গুরুত্ব পূর্ণ জায়গা কে যেন হাটাচলা করছে। সেই সাথে ছোট ছোট হুল ফোটাচ্ছে। প্রথমে বুঝতে নার পারলেও বেশী বাড়াবাড়িতে বুঝতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু কিছু করার ছিলনা সে মুহুর্তে। এতো গেলো বিড়ম্বনার আকে নাম হল হলের বিড়ার, খাবার ক্যান্টিনে, রুমে যেখানে সেখানে বিড়াল। সেবার হল কী এক বেড়াল বাচ্চা জন্নদিল রুমের সামনে। সারাদিন কাও মাও। কিছুদিন বিরক্ত হওয়ার পর পরিচ্ছন্ন কর্মী বাচ্চাগুলিকে ফেলে দিয়ে আসলেন দূরে কোথাও। তাতে কোন লাভ হল না বরং বিড়ম্বনা আরো বাড়ল। মা বিড়াল সারাদিন দরজার সামনে এসে প্রায় একমাস পুরো আহাজারি করেছে । শত আঘাতেও সে সে আহাজারি প্রায় পুরো মাস কাভার করেছে। এবছার আবারো এবারতো একে বারে রুমের মধ্যে বাচ্চা দিয়েছে। আর সেকি যন্ত্রণা । রাতে দিনে খাটের নিচ্ছে মিউ মিউ। কতবার বের করে দিয়েছি আবার যথাস্থানে পৌছে যায় কিছুক্ষণ পরেই। যন্ত্রণা চলতে থাকবে । তাই এখনকার মত এখানেই শেষ করছি। কে যানে আবার কোনদিন কোন বিড়ম্বনা নিয়ে লিখতে হয়।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

শহুরে কাউয়া বলেছেন: একদিন এই ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতেই হাহাকার করবা। সময় বড় নির্মম। শূভকামনা রইল ভাইয়া।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

পিন্টু টামির ( হাজং) বলেছেন: একদম ঠিক কথা এখনি মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসের বাইরে গেলে টের পাই হারে হারে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.