নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার মত বলে যাই

পিন্টু টামির ( হাজং)

আমি আমার মত

পিন্টু টামির ( হাজং) › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতিবিদদের ভাষা প্রয়োগ জ্ঞান

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন যে কোন দল হোক না কেন তাদের কথা কাজ ইত্যাদির সাথে পুরো দেশ ও জাতির স্বার্থ জড়িত। কাজেই যখন দেশের দায়িত্বশীল স্থানের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন নেতা কথা বলেন, বক্তৃতা দেন তা দেশের সবাই দেখেন বা শুনেন। সেক্ষেত্রে কোন নেতার অশালীন বক্তব্য দেয়া মোটেও কাঙ্খিত নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ যা হারহামেশাই হচ্ছে। রাজনীতিবিদরা দেশের রাজনীতিবিদরা ভাষা জ্ঞানে সম্পৃদ্ধ এ কথা নির্দ্বিধায় নিশ্চিত। তবে অতি স¤প্রতি তাদের ভাষার ব্যবহার নিয়ে যে কারো সংশয় জাগতে পারে। একটি দেশের নেতৃত্ব দেন তারা। দলের কথা বলছিনা সব দলই। পালাক্রমে সবাই ক্ষমতায় আসেন আর যান। কিন্তু তাদের এই আসা যাওয়ার মাঝে তারা এমন কিছু নিয়ে আসেন আর যান আর স্মৃতি করে রেখে যান সেগুলি অধিকাংশই জাতির জন্য কলঙ্কময়। তারা এমন কিছু বলেন আর করেন যা অপসংস্কৃতিরই নামান্তর। স¤প্রতি রাজনীতিবিদরা একে অপরকে বাক্যবানে আহত করার জন্য যেসব শব্দ ব্যবহার করছেন সেগুলি অশালীনই বটে। রাজীনীতির ময়দানে এক দল আরেক দলের গঠন মুলক সমালোচনা করবে এটাই কাম্য। কিন্তু হচ্ছে কী রীতিমত কথায় আক্রমন করা। পাশ্চাত্যে একটা কথা প্রচলিত আছে কোল্ড ওয়ার। যখন একটি দেশ আরেকটি দেশের বিরুদ্ধে নানা ভাবে প্রচার চালিয়ে, বক্তব্য দিয়ে পর¯পর দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে, তখন তাকে বলা হয় কোল্ড ওয়ার। তাই বলে একে বারেই ছাগলের বাচ্চা, কুলাঙ্গার, পিগমি,এসব কী আদোই রাজনীতির ভাষা। উদাহরণ অনেক আছে সেটা গত কয়েক বছরের পত্রিকার আর্কাইভে খুজলে পাওয়া যাবে । কিন্তু অতি সন্নিকটের একটা উদাহরণ দিয়েই বলি, ৩০ তারিখে তারেক জিয়া লন্ডনে একটি বক্তব্যে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ব্যর্থ রাজনীতিবিদ,। এর প্রেক্ষিতে ৩১ মে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে একটি দোয়া মাহফিলে বলেছেন, তারেক জিয়া তো ছাগলের বাচ্চা, পিগমীর বাচ্চা। একই স্থানে ঢাকা মহনাগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, তারেক জিয়া তো কুলাঙ্গার । তিনি একথা আগেও অনেক বার বলেছেন। এ প্রেক্ষিতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহবুব উল আলম হানিফ তারকে কে গণ্ডমূর্খ বলায়, তাকে হতে হয়েছে রাজনীতির হাইব্রিড। এ খেতাব তাকে দিয়েছে ছাত্রদল। এর আগেও অনেকার স্বয়ং বিরোধী দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকেও পরস্পরুকে বলতে দেখা গেছে সাপুরে সাপ নিয়ে খেলা করে ইত্যাদি ইত্যাদি। সরকার অশালীনতা ও অশ্লীলতার দোহাই দিয়ে সিনেমায় সেন্সর দিচ্ছে, মিডিয়ায় কথা বলা বা সংবাদ প্রচারের উপর নীতিমালা তৈরী করছে। রাজনীতিবিদদের এসব কথার নীতি কে করবে। মাঝে মাঝে কিছু কথার জন্য মান হানির মামলা করা হয়। এই কিন্তু অনবরত যে এসব উদ্ভত আর অশালীন শব্দ ব্যবহার করে যাচ্ছেন, যে গুলি পাবিলিক লি প্রচার হচ্ছে মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায়। তারা কী ভাষা সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে না?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.