নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার মত বলে যাই

পিন্টু টামির ( হাজং)

আমি আমার মত

পিন্টু টামির ( হাজং) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক, বিক্রীত নাকি বিকৃত

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কোন কোন সাংবাদিকের রিপোর্ট পড়ে বা দেখে ভাবি কী বিশেষণে বলব তাদের বিক্রীত নাকি বিকৃত। মাঝে মাঝে মনে হয় দু’টোই। সাংবাদিকদের অনেক বিষয়ই আজ বিতর্কিত। যে কারণে আজকাল সাংবাদিকরা অনেকটা পাপেট শো, হালকা। ফলে সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আর ‘‘ অসি আর মসি’’ কথাটির বাস্তবতা নেই। তাদের হত্যা করলেও বিচার হচ্ছে না। ইচ্ছে হলেই প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের গণভবনে প্রবেশ নিষেধ করছে। রাস্তাঘাটে সাংবাদিক পুলিশের চড় থাপ্পর খাচ্ছে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছে। নিজের প্রিয়জন ছাড়া মোটামুটি সবার কাছে অবিশ্বস্তের পাত্র। তবে সবার কাছে অবিশ্বস্ত হলেও একটি বিষয়ে তাদের বিশ্বস্ত বলেই মনে হয়। রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের পরস্পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ছাপানোর ক্ষেত্রে আমার কাছে সাংবাদিকরা এখনো বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত। দেখুন দেশের প্রধান দুই নেত্রী পরস্পরকে বলছে কখনো সাপুড়ে, রক্তচোষা, লেডি হিটলার। আর অমনি ঘাপুছ ঘুপুছ গিলে নিয়ে কিছু কিছু সাংবাদিক উগড়ে দিচ্ছে জনগণের সামনে। রাজনৈতিক নেতারা রাগে ক্ষোভে সামান্য কিছু অডিয়েন্সের সামনে সভা সেমিনারে বলছে। এসব সভায় কিন্তু নিজের দলের লোক আর সাংবাদিক ছাড়া অন্য কেউ তেমন থাকে না। কিন্তু অবিকৃত করে কথাগুলি পুরো জাতির সামনে তুলে ধরছে সাংবাদিকরা। একদিকে এভাবে গণমাধ্যম তাদের ব্যক্তিগত প্রচার মাধ্যমের মত কাজ করছে অন্যদিকে জনগণকে অসুস্থ্য সংস্কৃতিতে প্ররোচিত করছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও এ বিষয়ে বেশ উৎসাহ পেয়েছে বলেই মনে হয়। যে কারণে গণমাধ্যম কর্মীদের ডেকে নিয়ে যা খুশি মন চাইছে বলে পাঠাচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়া এ বিষয়ে একটু এগিয়ে বলেই মনে হয়। ভাষাগত মাধুর্যতা রক্ষায় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার একটু সীমাবদ্ধা থাকার কারণে তারা একটু পিছিয়ে, তবে নেহায়েত কম নয়। আর অতি সম্প্রতি অনলাইন ( আমার ভাষায় ব্যক্তিগত) মাধ্যমের অবস্থা লাগাম ছাড়া। এই মানসিকতা দেখি না যে কেউ একজন রাগের বশে বলেছে সেটি বরং সাংবাদিক (কথিত জাতির বিবেক হিসেবে) এড়িয়ে যাই। কিন্তু না আরো চমকপ্রদভাবে হেড লাইন বানিয়ে অপর পক্ষকে রাগিয়ে তুলতে সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু দুই পক্ষের সমঝোতা হয়, দুই পক্ষের মধ্যে যোগসুত্র তৈরী হয় এমন লেখনী কিন্তু খুব একটা চোখে পড়ে না। অথচ গণমাধ্যম হিসেবে জনগণের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য, জনকল্যানের জন্য, গণমাধ্যমকর্মীদের এ যোগসুত্র তৈরীতে বিরাট ভুমিকা রাখার কথা ছিল। জানি পেশাগত নয় আমি বলব প্রাতিষ্ঠানিক কারণে অনেক তথ্য প্রকাশ করা যায় না, আবার অনেক তথ্য প্রকাশের অযোগ্য হলেও প্রকাশ করতে হয়। আসুন সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমরা সাংবাদিক পেশার মান সমুন্নত রাখি, যেন সাধারণ জনগণ সাংবাদিকদের আর সাংঘাতিক বলে ব্যাঙ্গ না করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.