![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুন্দর হউক এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষ। মানব হউক মানবিক।আমি সাধারণ অর্ধেক শিক্ষিত মানুষ, কিছু নেই আমার পরিচয়। জীবনে চলার পথে শিখি অবস্থা দেখে বুঝি,আমার শখ লেখালেখি করা, তাই করতে চেষ্টা করি।
------------------------------------------------
আলিযা মিত্রার ভাল বন্ধু, একই ক্লাসে পড়ে এবার এস এস সি দেবে। দেখতে শুনতে মন্দ নয় তবে মিত্রার মত এত পাকা নয়, শান্ত স্বভাবের, পড়ালেখায় ভাল। আলিযা অপুকে খুব সম্মান করে দুঃসম্পর্কের আত্মীয় বলে আর বয়সে বড় তাই। আলিযা জানে নমিতার সাথে অপুর ভাইয়ার সম্পর্কে র কথা,তাই ভীষণ চিন্তিত,পরিক্ষার পর মিত্রা ভীষণ বিরক্ত করবে অপু ভাইয়াকে। সব মিলে একটা অদ্ভুদ অন্য রকম পরিস্থিত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা তাকে কুড়েকুড়ে খাচ্ছে।
আজ কয়দিন সুকুন্তলার সাথে অপূর্বের দেখা নেই,অনুপস্থিতি বুঝাচ্ছে কতোটা কাছের কতো আপনজন,কাছে না থাকলে বুঝা যায়।আজ অপূর্ব অনুভব করছে শুকুন্তলার অনুপস্থিতি বুঝতে পারছে কাছে না থাকলে কি হয়! বুঝেছে বন্ধুত্ব আর ভালবাসা করে কয়, বুঝেছে বন্ধু আর প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে তফাৎ।সব আজ অন্যরকম অনুভব।
খুব মনে পড়ছে অলক আর নন্দিনীকে,নন্দিনীর মন খুব খারাপ, অলকের চিন্তায় নন্দিনীর অনেকটা শুকিয়ে গেছে, চেয়ারায় অনেকটা খারাপ হয়ে গেছে। চোখের নিচের কালো দাগ পড়েছে খুব বেশী।অলক এসেছে কিন্তু কথা হয়নি কি যে হয়েছে কিছু বলেনি, যোগাযোগ করলে হয়তো সমস্যার সমাধান করা যেতো।অলকের উপর খুব রাগ হয় কিন্তু কি করা, না বললে তো বন্ধুদের কিছু করার নেই। সব মিলে বন্ধুদের মধ্যে এক অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।
নন্দিনী এখন চিন্তার সাগরে ভাসছে,লেখাপড়ায় মন বসাতে পারছেনা।সামনে ফাইনাল পরীক্ষার পর বিয়ের বিষয়ে মা মামা আর বাবা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ফলাফল যাই হউক বিয়ে কিন্তু নিশ্চিত।শরীর কিছুটা খারাপ বলে কলেজেও যেতে ইচ্ছে করছে না,অনেক দিন ধরে কলেজেও যাচ্ছি না, তাই সকল বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ। সব মিলে একঘরে হয়ে গেছে নিজেই,তাই আজ কলেজে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিলো তাহলে কিছুটা হলেও ভাল লাগবে।তাই নমিতা আর শুকন্তলাকে ফোন দিয়ে কলেজে আসছি বলে জানিয়ে দিল।
মনকে অনেকটা শক্ত করে কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে,মা নন্দিনীকে ডাকল-
জ্বি বলে উত্তর দিলো,
কি জন্য ডেকেছো মা?
কোঁথায় যাচ্ছিস মনে হয়?
কলেজে মা!
নন্দিনীর মা নন্দিনীকে কিছু খেয়ে নিতে বলল-
আচ্ছা খেয়ে নেবো বলে উত্তর দিলো নন্দিন।
নন্দিনী খুব চিন্তিত,অনেক দিন কলেজে যাইনি বলে বন্ধুরা কি ভাবে? নিজের কাছেও খুব অস্বস্তি লাগছে।কেন এই রকম লাগছে নিজেই বুঝতে পারছিনা। অলকের চিন্তায় তার সকল চিন্তা সকল পরিকল্পনা কেন জানি তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে যাচ্ছে। মনের জোর খুব কমে যাচ্ছে, নিজের প্রতি আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না।
চলবে
১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
প্রথমকথা বলেছেন: আসলে সত্যি বলেছেন, অনেক গুলো চরিত্র খেয়াল রাখতে হবে, মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আগামীতে খুব কম চরিত্র নিয়ে লিখবো বন্ধু, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: ভাল লাগছে তাই সাথে আছি, চালিয়ে যান।।
১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
প্রথমকথা বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম, সব সময় পাশে থাকবেন এ আশা করি।
৩| ১২ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
কল্লোল পথিক বলেছেন:
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০১
প্রথমকথা বলেছেন: প্রিয় কবি গল্প পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ,, ভাল লাগা জানবেন ,,,
৪| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৬
আর. এন. রাজু বলেছেন: ভালোই তো, ঘষা মাঝা।
৫| ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৬
কালনী নদী বলেছেন: আপনার ছোটগল্পগুলা পড়তে অসাধারণ তবে চলবে না দিয়ে একেবারে সমাপ্তি দিলে আরো ভালো হত . . . তারপরও চলুক বোন . . . .
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
মানুষ বলেছেন: যতগুলা চরত্র! গোলেমালে একেবারে খিচুরী হয়ে গেল।