নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনোয়ারা মণি

মনোয়ারা মণি

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার

কামরুন নাহার আমার নাম নয় আমার নাম মনোয়ারা মণি

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ আর রহমান প্রসঙ্গ

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৩৩

সারাদিন কাজের ব্যস্ততার পরে সন্ধ্যায় নেটে আসতেই দেখলাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘উদ্বোধন’ অনুষ্ঠান নিয়ে তুমুল কথা বার্তা। কয়েক মাস আগে দেশ থেকে ফিরে হিন্দি গান প্রসঙ্গে কিছু লিখি লিখি করেও লেখা হয় নাই।

বাংলাদেশের ঘরে, বাইরে, বাসে, ট্রেনে সব খানেই হিন্দি আর ইংরেজি গান, হিন্দি ড্রামা...

শপিং এ গেলে দোকানদার প্রথম কথা আপা, ‘এটা কিন্তু দেশি নয় বিদেশী জিনিস...’ বাংলা হিলিতে বাংলাদেশের তৈরি জিনিস পাওয়া যায় না। আমাদের রক্তে মিশে গেছে বিদেশী জিনিসের প্রতি আকর্ষণ।

রাঘববোয়ালেরা ডিস ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। নিত্য দিনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকে চিকিৎসা কোনো ক্ষেত্রেই দেশি জিনিসের কদর নাই, দেশি জিনিসের প্রতি বিশ্বাস নাই। বিয়ে বা যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য শপিং করতে যাওয়া হচ্ছে বিদেশে। দেশে এবং বিদেশে বাবা মায়েরা বাচ্চাদের বাংলা শেখানোর চেয়ে ইংরেজি শেখাতে বেশি সময় দিচ্ছেন। সার্বিক ভাবে আমরা নিজের দেশের প্রোডাকশনের মান উন্নয়ন অথবা সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাস অর্জনের ক্ষেত্রে সফলতা আনতে পারছি না।

আমরা এ আর রহমানের মতো একজন গুণী মানুষকে বাংলাদেশের অনুষ্ঠানে আনার জন্য প্রতিবাদ মুখোর হয়ে পড়ছি (আমি অনুষ্ঠান দেখি নাই এবং জানিও না এ আর রহমানের গুণ সম্পর্কে কত পারসেন্ট মানুষের ধারণা আছে)। কেউ বলছে সে হিন্দি গান গায় আর কেউ বলছে সে হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছে তাঁর শৈল্পিক সফলতা সম্পর্কে কথা কমই দেখতে পেলাম।

সব কিছুর আগে আমাদের মধ্যে নিজের দেশের প্রোডাকশনের প্রতি সম্মান জানানোর চর্চা করা প্রয়োজন। আমরা ক্রাইম কমাতে চাই অথচ বিদেশ থেকে আসা কুশিক্ষামূলক ছবি যা মানুষকে ক্রাইম শেখাতে সাহায্য করে সেগুলোকে সেন্সর করি না। সমস্যা উপর থেকে দেখে ইন্টারনেট বা ফেসবুকে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হবে না।

নিজেদের সচেতনতা জাগানোর সাথে সাথে সব ক্ষেত্রে নিজেদের মান সম্মত প্রোডাকশন নিশ্চিত করা আবশ্যক। ঢাকায় নয় সিংগাপুর থেকে শপিং করেছি এ ধরণের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। বুঝতে হবে সিংগাপুরের মুস্তাফার দোকানের জিনিসের চেয়ে আমাদের দেশি তৈরি জিনিস অনেক উন্নত মানের।

কেউ আমাদের প্রতি জোড় করে কিছু চাপায় না আমরা নিজেরাই নিজদের অন্যের কাছে এগিয়ে দিই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: এ আর রহমান ভাড়া খাটতে এসেছেন এবং তার তাবৎ মেধা দেখিয়ে গেলেন । ব্যাপারটা টি ২০র আয়োজকদের । তারা অনুষ্ঠান সাজিয়েছেন , কে কখন গাইবেন , কি গাইবেন তার ভেনু ২ মাস আগেই ফাইনাল করা । বাচ্চু কাল একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিচুতা দেখিয়েছেন । প্রত্যেকের তার নিজের মেধা সম্পর্কে ধারনা থাকা উচিৎ । এ আর রহমান আসবেন এ তো আগেই জানা , তো একটা অবরোধ দিয়ে বললে হতো হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া শিল্পীরা বাংলার মাটিতে অনুষ্ঠান করতে পারবে না।

জেমস এই দেশের বদ সিন্ডিকেট দের জ্বালায় মুম্বাই গিয়ে ভারতে ভালো জমিএ ফেলেছেন । ওখানে তো টাকে মুসলিম ট্যাঁগ করে প্রতিবাদ করেনি কেঁউ ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৬

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: আমরা আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করার চিন্তা মাথায় রেখে কত জন শিল্পী তৈরি করছি আমি জানি না।
বিশ্বের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য নিজেকে সব দিক দিয়ে যোগ্য এবং সুন্দর রাখা প্রয়োজন।
কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলা ঠিক নয় তবুও না বলে পারা যায় না হাসলে দাঁত বেরুবে সেই দাঁত সুন্দর হওয়া অথবা নাচলে ভালো লাগবে শরীরের ওজন কমানোর দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার আমাদের দেশের কয়জন শিল্পী এসব দিকে খেয়াল রাখেন বলুন? শুধু জেমস ই নয় পাকিস্তান থেকে আসা আদনান সামি, রাহাত ফতেহ আলী খান প্রমুখ সহ অনেকেই তো ভারতে গিয়ে সফল হচ্ছেন।
আমি মনে করি একজন গুণী মানুষের কোন জাত থাকা উচিৎ নয় তাঁর একমাত্র পরিচয় হওয়া উচিৎ গুণী।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা সুহৃদ শাহ আজিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.