নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাহিদা আমৃত্যু পূর্ন হবেনা জেনেও নিজ স্বার্থে মানবতার মুখোশ খুলে ফেলি। ভুলে যাই -মৃত্যুর আয়োজনই জীবন https://innalillahi.com/ pitamata.com/ bddesh.com/ ..

প্রতিদিন বাংলা

প্রতিদিনবাংলা

প্রতিদিন বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বিজিবি দিবস, ইতিহাস ঐতিহ্যের২২৬ বছর।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০১

২২৬ বছর আগে ১৭৯৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রামগড়ে ‘রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন (আরএলবি)’ নামে গোড়াপত্তন হয়েছিল এই বাহিনীর।রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে। কালের বিবর্তনে পরিবর্তন হয় বাহিনীর নাম। পরিবর্তন হয় অস্ত্রশস্ত্রের, পোশাকের। জনবল, শক্তি সামর্থ্যও বৃদ্ধি পায়
দৈনিক পত্রিকা থেকে - ইতিহাস থেকে জানা যায়, সপ্তদশ শতকের শেষ ভাগে পার্বত্য চট্টগ্রামে লুসাই বিদ্রোহ দেখা দিলে এই এলাকা রক্ষার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রামগড়ে মাত্র ৪৮৬ জন সৈন্য নিয়ে ‘রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’ গঠন করে। অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে ছিল ছয় পাউন্ড গোলার চারটি কামান। এছাড়া দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল ও যাতায়াতের জন্য ছিল কয়েকটি যানবাহন। ১৭৯৫ থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে বাহিনীটির কার্যক্রম চলে। ১৮৬১ সালে এর নামকরণ করা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস। সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করে ১৪৫৪ জনে উন্নীত করা হয়। ঐ সময় এই পার্বত্য এলাকায় লুসাই বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করলে ১৮৭১ সালে সৈন্যসংখ্যা আরো বৃদ্ধি করে এই বিদ্রোহ দমন করা হয়।

পরবর্তীকালে ১৮৭৯ সালে এর নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল রির্জাভ বাহিনী, ১৮৯১-তে বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ১৯১২ সালে ঢাকা মিলিটারি পুলিশ, ১৯২০ সালে বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন অব ইস্টার্ন প্রন্টিয়ার রাইফেলস্ রাখা হয়। ১৯৪৭-এ ভারত বিভক্তির পর এই বাহিনীর নামকরণ হয় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) নাম বদল করে বাহিনীটির নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ রাইফেলস্ বা বিডিআর।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনার পর ২০১০-এর ৮ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন ২০১০’ পাশ হওয়ার মাধ্যমে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সর্বশেষ নামকরণ হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। ঐ বছরেরই ২০ ডিসেম্বরকে বিজিবি দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

রামগড়ে বিজিবির জন্মস্মৃতিস্তম্ভ
১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিডিআরের খাগড়াছড়ির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. ওয়ালী উল্লাহ ও রামগড়স্থ ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোসাদ্দেক হোসেনের উদ্যোগে ‘সার্থক এ জন্ম’ নামে সর্বপ্রথম রামগড়ে স্থাপন করা হয় বিজিবির জন্মস্মৃতিস্তম্ভ। বাহিনীটির ২০০ বছর পূর্তিতে এই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়। পরে ২০০৫ সালে তৎকালীন ৩৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে স্থাপন করা হয় এই বাহিনীর দৃষ্টিনন্দন বিশাল জন্মস্মৃতিস্তম্ভ। এর বেদিতে বিজিবির সংক্ষিপ্ত জন্ম ইতিহাস লেখা ছাড়াও পোড়া মাটি দিয়ে তৈরি বাহিনীটির বিবর্তনের আটটি অবয়ব বা টেরাকোটা স্থাপন করা হয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিজিবিদের আরো সুযোগ সুবিধা দেওয়া দরকার।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

জগতারন বলেছেন:
ভালো উপাত্ত !
সবাইকে এ সমন্ধে অবগত করানোর এই ব্লগ লেখককে অভিন্দন জানাই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৮

মেহবুবা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রিয় তালিকায় যুক্ত করতে হচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৫১

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.