ভয় নয়, প্রতিবাদই হোক আমাদের শক্তি।

০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯

নিপীড়নের রাজনীতি ও আমাদের প্রতিবাদ
সম্প্রতি কলাবাগান থানার ওসি ও এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে গভীর রাতে একজন শিক্ষাবিদের বাসায় ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে। এই ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ দুটোই বাড়ছে। ড. আব্দুল ওয়াদুদের মতো একজন সম্মানিত শিক্ষাবিদকে যদি এভাবে ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
দুঃখজনকভাবে, এ ঘটনা এখন আর ব্যতিক্রম নয়। পুলিশ প্রশাসনের একটি অংশ আজ রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যারা ভিন্নমত পোষণ করেন, কিংবা সরকারবিরোধী কিছু বলেন তাদেরই বিরুদ্ধে চলছে মামলা, হয়রানি, এমনকি জেল-ক্রসফায়ারের হুমকি। ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিক্ষক, এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক সাবেক ও তৃণমূল কর্মীও এই নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
একটা রাষ্ট্র যখন ভিন্নমতের প্রতি সহিষ্ণুতা হারায়, তখন তা ধ্বংসের দিকে এগোয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিয়ে চাঁদাবাজি চালানো, মত প্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা আর জনগণকে ভয় দেখানো কোনো গণতান্ত্রিক দেশের পরিচয় নয়। এটি নিছক দলতন্ত্র নয়, বরং একটি ভয়ঙ্কর কর্তৃত্ববাদী সংস্কৃতির সূচক।
আমরা মনে করি, এই চক্রের বিরুদ্ধে শুধু বরখাস্ত নয়, প্রয়োজন যথাযথ ও দ্রুত বিচার। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাদের দায়িত্ব, তারা যদি বিপরীতে জনগণের উপরই ভয় সৃষ্টি করেন, তবে তাদের আইন অনুযায়ী জবাবদিহি করতেই হবে। আর যারা এই অপকর্মের পৃষ্ঠপোষক, তাদের মুখোশও উন্মোচিত হওয়া উচিত।

এই পরিস্থিতিতে নীরব থাকা মানেই অন্যায়ের প্রশ্রয় দেওয়া। আমাদের কথা বলতেই হবে। সবার নিরাপত্তা, ন্যায্য বিচার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে।

ভয় নয়, প্রতিবাদই হোক আমাদের শক্তি।

৩ টি +০/-০