নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://mobile.facebook.com/Priyo-kabita-815855395166587

রফিকুল জসিম

রফিকুল জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার গল্প : সেই মেয়েটি

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ভালোবাসা গল্প সেই মেয়েটি
#রফিকুল ইসলাম জসিম
আমার জীবনের ভালোবাসা খুঁজে বের করা খুবই কঠিন ব্যাপার। কারণ ভালোবাসার একজন মানুষটাকে ঠিক করে রাখতে পারেনি । তারপর কিছু মানুষ আছে যাদেরকে আলাদা বলে ভাবি। তার মধ্যে অন্যতম হলো সেই মেয়েটি।
প্রথম থেকে তাকে দেখে আমি ভালোবাসতাম। তাকে যে ভালোবাসি সেই বিষয় কখনো জানাতে দিতাম না। আসল সে জানে কিনা জানি না। হয়তো কখনো মুখে বলি না তাকে ভালোবাসি।
তারপর ও সেই মেয়েটি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকে ভালোবেসে এসেছিলাম । প্রায় মাঝে মাঝে সেই মেয়েটির সঙ্গে দেখা হয় কিন্তুু মেয়েটি সাথে কোন ধরনের কথা বলার সাহস ছিল না।
সেই মেয়েটি যখন স্কুলে চলাফেলার করার সময় আমার চোখ দুটো রাঙিয়ে দেখতাম। প্রায় আমি দূর থেকে দেখতাম এইভাবে মাধ্যমিক স্কুল পেরিয়ে গেলে কলেজ জীবন।
সেই মেয়েটি যখন কলেজ পড়তে শুরু হলো তখন আমার ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছি তার পর ডিগ্রি পড়ছি অন্য এক কলেজে তাই কলেজর তেমন দেখা পড়ার সময়ে তেমন দেখা করার সুযোগ হয় না।
তবে সেই মেয়েটি বাড়ী আমাদের পাড়ার পাশের পাড়া। প্রতিদিন বিকাল
বেলায় আমি তাদের পাড়ার যায়। প্রায়
মাঝে
তাদের পাড়ায় গিয়ে দিনের প্রায় দেখা। সেই মেয়েটি নিশ্চয় আমাকে বুঝতে পারে আমি তাকে খুব ভালোবাসি।
মেয়েটিও প্রায় সময় আমাকে দেখতো । আমি সারাক্ষণ তার পিছনে লেগে থাকতাম একদিন আমাকে ডেকে বললো, এই যে, মি. কতদিন আমার পিছনে ঘুরবে। ১মাস ১বছর ২বছর.? তারপরও তোমার মুখে এক কথাও আসবে না।
আমার একটা স্বভাব। মেয়েটি সামনে কোন কথা মুখ থেকে বের হয়নি। যখন মেয়েটি পাশে থাকে আমার বুকটা কেমন হয়। আমার মনে যখন মেয়েটি আমাকে ফালাতু না যেন ভাবি সেটা জন্য সবসময় ভালো করে থাকি।
এর কিছুদিন পর আমি ঘর থেকে বের হলাম রাস্তায় মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিলো, মেয়েটার সাথে কেউ ছিলো না মেয়েটা একা। আর আমাকে দেখে চমকে গেলো, মনে তার সাহস একটু বেড়ে গেলো, আমাকে ডেকে প্রশ্ন করলো কোথায় যাবো, আমি বললাম কলেজে! সেও বলো আমিও যাব কলেজে
আমরা এক সঙ্গে গেলাম।
কলেজে এই প্রথম মেয়ে মানুষের সাথে যাচ্ছি, আমার প্রায় প্রায় বন্ধুরা আমাদের দিকে চেয়ে দেখতো, আমার বন্ধু একজন আমাকে দেখে বললো, তোর সঙ্গে মেয়েটা কীরে তোর কী প্রেমিকা? - আমি উত্তর দিতে একটু সময় লাগলো, বললাম - না। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি বলে ফেললো, সে আমার স্বামী। আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করলাম।
মেয়েটাকে আমি বললাম এই তুমি কি বলছো, মেয়েটি বললো, সত্যটা বললাম।
আমি বললাম, কিসের সত্য প্রেম পযন্ত আমাদের হলো না আহা স্ত্রী কেমন হলো।
মেয়েটা আবার বললো, তুমি সত্যি আমাকে কি ভালোবাস, হ্যাঁ ভালোবাসি। তাই একদিন তো হবে।
ঐ দিন থেকে মেয়েটিরর সঙ্গে আমার রেলেশন শুরু, একটানা ছয় মাস ভালোবেসে চললাম। মেয়েটার ইন্টার ফাইনাল ইয়ার শেষ হলো। ঢাকা ভার্সিটি চান্স পেলে,
পড়ালেখা জন্য চলেগেলো ঢাকায় চলে গেলো।
অনেক দিন পর প্রায় ৪/৫ বছর পর সেই মেয়েটিকে দেখা! হয়তো ভালো করে প্রথম চিনতে পারলাম না। দুুই একটা কথা হয়েছিলো! কেমন আছো? -ভালো আছি।
বাড়ির সবাই কেমন আছে? - ভালো।
একটুপর আবার মনে কিছু একটা ভাবলাম
কে সেই মেয়েটি? ভালো মন্দ প্রশ্ন করলেন - আমি না চিনে উত্তর দিলাম। মনে হয় কন্ঠটা অনেক দিনের পরিচিতি মানুষ। চোখ তাকিয়ে দেখি মেয়ে চলে যাচ্ছে, মেয়েটি পেছন থেকে দেখতে ঠিক আমার প্রথম ভালোবাসার মানুষ মনে হয়। হয়তো মিস করলাম।
বাড়ীতে এসে শুধু ভাবতাম আসলে মেয়েটা আমার অনেক দিনের সম্পর্ক হাওয়া প্রথম ভালোবাসার মানুষটি তাছাড়া কন্ঠ একই রকম চেহারা দুটো সব মিল আর পিছনে দিক যেভাবে হেঁটে যাচ্ছিলো ঠিক আমার প্রথম ভালোবাসার মানুষ।
তিন মাস পর আমি সেই মেয়েটি পাড়াতে খুঁজ নিলাম! কারও কাছে জানতে পারলাম না। মেয়েটি এক বান্ধবী কাছে জানতে পাললাম আজ থেকে একমাস আগে মেয়েটির বিয়ে হয়েগেছে। বান্ধবীটি জানাল, তোমাকে একবার দেখা করতে চেয়েছিলো কিন্তু তার ভাইয়েরা দেখা করতে দেয়নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.