নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাফছানজানি

ভাগ্যবান সে ব্যক্তি, যে অন্যের পরিণাম দেখে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।

রাফছানজানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় যচ্ছি আমরা! কোথায় যাচ্ছে আমাদের গণতন্ত্র!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

গত দুই মাস ধরে শুধু একটাই চিন্তা করছি যে আসলে আমরা এবং আমাদের দেশ কোথায় যাচ্ছে! একতরফা ভাবে শুধু অন্যায়ের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। আর এই শাস্তি শুধু বিএনপি-জামাতের লোকজনই ভোগ করছে। সারা দেশে যত ধরনের অপরাধ বিশেষ করে মানুষ হত্যার মত যে জঘন্য কাজগুলো সংঘটিত হচ্ছে তার সব দায় বিএনপি ও এর সমর্থক দলগুলকে নিতে হচ্ছে। প্রশাসনকে কবজায় রেখে আ.লীগ যে ফুরফুরে মেজাজে আছে তার বিপরীত পরিস্থিতে আছে সাবেক বিরোধী দল। আর বিএনপি সমর্থিতদের চাইতেও খারাপ অবস্থানে আছে আমাদের মত সাধারন মানুষেরা। আমাদের কথা সরকার থেকে শুরু করে এখনকার তথাকথিত সুশীল সমাজের কর্ণধারেরাও আর ভাবে না। আর তাদের ভাবতেও হয়না কারন তারা শুধু আমাদেরকে দেখানোর জন্য এই দেশকে ভালোবাসে, অনেক জ্ঞনগর্ভ কথা বলে আমাদের মগজগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোলাই করে তারা শুধু আমাদের সমর্থন আদায় করে। বাংলাদেশে তারা যদি এক টাকা রাখে তবে দেশের বাহিরে রাখে দশ টাকা। তাই বাংলাদেশে এখনকার সময়ে এমন কোন রাজনীতিবিদ আর বিশিষ্ট ভিআইপি নাগরিক খুজে পাওয়া যাবে না যাদের পরিবার-পরিজন দেশের ভিতরে বসবাস করছে, আর করলেও তা সংখ্যায় অতি নগণ্য। আমাদের কে এইসব মানুষের কথাগুলাই এখন শুনতে হয় আর মনে মনে মেনে নিতে না পারলেও বাস্তবে মেনে নিতে হয়। কারন আমরা এটা বিশ্বাস করি যে জোর যার মুল্লুক তার। হাদিসে আছে তখনই একটি দেশ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে যায় যখন তার সমাজের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিরা অন্যায় দেখে চুপ করে বসে থাকে। আজ আমাদের মত সাধারন মানুষের মনে শান্তি নাই, কিন্তু আমারাই নাকি একসময় শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলাম। যখন রাস্তা-ঘাটে বের হই তখন একটা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগি যে এই বুঝি ঝলসে যাচ্ছি। তবে সরকার আমাদের কে ঝলসানো থেকে রক্ষা করতে পুলিশ বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যা সত্যই বড় হাস্যকর। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা যায় সত্যি কিন্তু কাঁটার আঘাতে যে ক্ষত তৈরি হয় তা ঠিক করা যায় না। আর এইরকম একটা আধুনিক সমাজে সেইসব পুরাতন চিকিৎসা ব্যবস্থা কেউ মেনে নেয় না। আজ প্রতিটা পত্রিকা, টিভি এবং সব গণমাধ্যম সরকারের বিটিভিতে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্রের কথা বলে সবার মুখে টেপ মেরে রাখা হচ্ছে। আমরা বাস্তব কোন সন্ত্রাসীদের দেখে যত না ভয় পাই তার চেয়ে বেশি ভয় পাই এখন সরকারি বাহিনীর মানুষজন দেখলে। তবে এটা সত্য যে গণতন্ত্র নামক বাতির তেল আজ প্রায় শেষের দিকে, তাকে যদি আমরা নতুন তেল না দিতে পারি তবে খুব শীঘ্রয় তা নিভিয়ে যাবে। কিন্তু এই জ্বালানি সরবরাহ করবে কে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.