![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল আমাদের দেশে একটা smashing ঘটনা ঘটল। ২৫-৩০ জন মানুষ যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা গেল। এইটা একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিল। ইসলামে মাইকিং করে যাকাত দেওয়ার কোন বিধান নেই। হাদিসে আছে তুমি এমন ভাবে দান কর যাতে তোমার বাম হাতও টের না পায় যে তুমি কিছু দান করেছ। কিন্ত আজকাল কিছু মানুষ লোক দেখানোর জন্য দান কিংবা যাকাত দেওয়া শুরু করেছে। আসলেও কি তারা মন থেকে এইসব দেয় নাকি সন্দেহ আছে। বাজারে যাকাতের জন্য আলাদা শাড়ি-কাপড় পাওয়া যায়। যেগুলো দেখে মনে হয় গরীব মানুষের জন্য এইগুলা বিশেষ ভাবে বানানো। আমাদের প্রিয় নবী কি আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছেন? আপনি যে জিনিসটা খান না বা যে জিনিসটা পড়েন না তা কিভাবে আপনি অন্য আর একজন কে দিতে পারেন? আর জাকাত হিসেবে কাপড় দেওয়ার ত কোন মানেই হয় না। আপনার উপর যদি জাকাত ফরজ হয় তবে আপনি তা সঠিক ভাবে পালন করুন। আপনি এই যাকাতের টাকা সবাই কে কাপড় হিসেবে না দিয়ে একজন হত দারিদ্র কে দান করে দিন। যাতে সে তার দারিদ্রতা কাটিয়ে উঠতে পারে। আর আমার মনে হয় যাকাতের সার্থকতা এখানেই। একজন হত দারিদ্রকে আমরা যদি স্বাবলম্বী করি, পরে সে হয়ত অন্য আরেকজনকে স্বাবলম্বী করে তুলবে। আর এভাবেই দেশ থেকে দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব। কিন্তু এই সব জর্দা ওয়ালারা যখন মানুষ দেখানোর জন্য যাকাতের কাপড় বিলি করে তখন সেটা কে সত্যই ইসলামকে অবমাননাও বলা চলে। যনি গতকাল যাকাত দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি যদি ৬০০ কাপড়ের পিছনে ৩০০০ লিফলেট না বিলি করতেন তবে এমন ঘটনা ঘটত না। আমাদের উচিত এই ধরনের লোকগুলো যখন মাইকিং করে যাকাত দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় তখন তাদের ইসলামের আসল শিক্ষা টা কানের মধ্যে গুজিয়ে দেওয়া।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২২
rezaul827 বলেছেন: একমত
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:২৭
তাজ উদ্দীন বাবুল বলেছেন: কাপড় তাহলে দুই প্রকার:
একটা ভালো কাপড়, আরেকটা যাকাতের কাপড়।
যে শাড়ীটা আমার বউয়ের জন্য কিনে দেই, সেটার দাম ১০ হাজার টাকা
আর যেটা যাকাতের জন্য দেই, সেটার দাম মাত্র ২৫০ টাকা।
আমার বউয়ের শাড়ি টিকে ৫ বছর
আর যাকাতের কাপড় এক ধোয়া দেওয়ার পর আর পড়া যায় না ।
অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফে আছে:
১) "তোমরা কখনই নেকী, কল্যাণ হাছিল করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের প্রিয় বা পছন্দনীয় বস্তু দান করবে এবং তোমরা যা কিছু দান করো সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই পূর্ণ খবর রাখেন। " ( সূরা আলে ইমরান: আয়াত শরীফ ৯২)
২) "তোমাদের কেউই পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।" (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)।
৩) “নিজের জন্যে তোমরা যা পছন্দ করবেনা অন্যের জন্যেও তা পছন্দ করবে না।” (মিশকাত শরীফ)