নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারিদিকে আজ মীরজাফরদের জয়ধ্বনি!!

হা হা হা পায় যে হাসি!!!

রাইসুল জুহালা

আমি কে, আমি যেমন নিজে জানি না, বাকিরাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানেন না। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের মতে আমি নিতান্তই এক কাল্পনিক চরিত্র, ইতিহাসে আমার অস্তিত্ব নাই! তাদের মতে ঔপন্যাসিক, গল্পকারেরা বিবেক চরিত্র চিত্রায়নে আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি আমার নাম নিয়েও বিভ্রাট আছে। কেউ কেউ আমার নাম গোলাম হোসেন বলেও অভিহিত করেছেন!

রাইসুল জুহালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

[ফিরে দেখা] মুস্তফা মনোয়ার - দুই দেশের দুই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তাঁর নির্ভিক কিন্তু দৃঢ় দু'টি প্রতিবাদ (১৯৭১ এবং ১৯৮৯)

২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:৪৫

পোস্ট উৎসর্গঃ ব্লগার শুকনা মরিচের পুত্র আরদি*







মুস্তফা মনোয়ারের সংক্ষিপ্ত জীবনী



প্রতিবাদ একঃ ১৯৭১ সালের ২৩শে মার্চ। পাকিস্তান দিবস । এই দিনে সারাদেশে পাকিস্তানের পতাকা উড়ানো হতো এবং প্রেসিডেন্ট বা গভর্নর সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ বা অভিবাদন গ্রহণ করতেন। গুরুত্বের দিক থেকে এই দিনটাকে আমাদের বিজয় দিবসের তুলনা করা যায়। তৎকালীন পিটিভি বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক মুস্তফা মনোয়ার পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যমুলক আচরনের প্রতিবাদ হিসেবে এই দিন টেলিভিশনে পতাকা না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন।



প্রতিদিন রাত ১১:৫৫ মিনিটে সব অনুষ্ঠান শেষ করার পর জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে পতাকা প্রদশর্নপূর্বক সেদিনের কার্যক্রম শেষ করা হত। মুস্তফা মনোয়ার সেদিন অন্য সব অনুষ্ঠান শেষ হবার পরও গান ইত্যাদি দিয়ে দীর্ঘ সময় অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকেন শুধুমাত্র এই ২৩শে মার্চকে এড়ানোর জন্য। তৎকালীন পিটিভি কার্যালয় ডিআইটি বিল্ডিং এ পাহারারত সেনাবাহিনীর লোক বার বার এসে দেখে যাচ্ছে, বোঝার চেষ্টা করছে কেন আজ যথাসময়ে শেষ হচ্ছে না। অবশেষে ঘড়ির কাঁটা রাত বারটা পার হলো, ২৪শে মার্চ চলে আসল। রাত ১২:৪৫ এর দিকে যথানিয়মে পতাকা প্রদর্শন করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।



প্রতিবাদ দুইঃ ১৯৮৯ সালের ২৫শে ডিসেম্বর। বাংলাদেশ টেলিভিশন মহা ধুমধামে তাদের রজত জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করে। রাস্ট্রপতি এরশাদ ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় রামপুরাস্থ বিটিভি ভবনে এক জাঁকজমকপূর্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাতদিন ব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। উৎসব উপলক্ষে ভবনের মেইন গেটের পাশেই মুস্তফা মনোয়ারের সরাসরি তত্বাবধায়নে একটি স্থায়ী বড় আকারের ম্যুরাল নির্মান করা হয় বাংলার সংস্কৃতির উপর থিম নিয়ে।



বিশিষ্ট কবি (?!) এরশাদের লেখা দু'টি গান তার গোটা শাসনামল জুড়ে বোধহয় কয়েক হাজার বার বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছে, দেশাত্মবোধক গান 'নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা, নতুন করে আজ শপথ নিলাম' এবং ৮৮ এর বন্যার উপর লেখা 'তোমাদের কাছে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেষ্টা আমার'। ম্যুরাল বানানোর খবর শুনেই এরশাদ প্রথম গানটির দুই লাইন এতে যুক্ত করার নির্দেশ দেন।



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ম্যুরালটি রাস্ট্রপতির হাতে উন্মুক্ত করা হয়। তৎকালীন বাংলাদেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এরশাদের বিষ্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেন যে তার গান এতে সংযুক্ত হয়নি। ক্ষুদ্ধ এরশাদ মুস্তফা মনোয়ারকে তীব্রভাষায় তিরষ্কার করেন। এর কিছু সময় পরেই মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ছাড়াও বিটিভির জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে মুস্তফা মনোয়ারের এখানে আলাদাভাবে লিখিত বানী পাঠ করার কথা ছিল। কিন্তু এরশাদের আচরনে অসন্তুষ্ট হয়ে তিনি মঞ্চে তার সামনে গিয়ে বক্তৃতা দিয়ে অস্বীকৃতি জানান। শেষ পর্যন্ত ঘোষনা আসে - 'অনিবার্য কারন বশত মুস্তফা মনোয়ার বক্তব্য রাখতে পারছেন না। আবদুল্লাহ আল মামুন তার ভাষনটি পাঠ করবেন'।



বিটিভি ভবনের পাশ দিয়ে গেলে সহজেই ম্যুরালটি চোখে পড়বে। আজও এটি মুস্তফা মনোয়ারের প্রতিকী কিন্তু দুঃসাহসী প্রতিবাদের সাক্ষ্য দেয় এবং ঘোষনা করে এরশাদের মত নির্লজ্জ স্বৈরাচার কিছুতেই বাংলার সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না।



তথ্যসুত্রঃ প্রথম ঘটনাটি খুবই বিখ্যাত। ব্লগারদের অনেকেই জানেন, মুক্তিযুদ্ধের অনেক বই এবং লেখায়ও বিষয়টি এসেছে। আমি প্রথম পড়েছিলাম ১৯৮৬ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি বইতে।



দ্বিতীয় ঘটনাটি এরশাদ সংবাদপত্রের উপর প্রভাব ব্যবহার করে প্রায় ধামাচাপা দিয়ে ফেলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাঁর বক্তব্য না রাখার ব্যাপারটি আলোচিত হয়। আস্তে আস্তে মুখে মুখে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এরশাদের পতনের পর বিচিন্তা বা যায়যায়দিন পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট এসেছিল।



=============================================

* কেন জানি না, বিড়ালের সাথে আমি পিচ্চিদের একটা মিল পাই। মোটামুটি ৩-৪ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের শরীরের বিড়ালের মতই তুলতুলে থাকে। এজন্যই হয়ত আমি মিল পাই। ব্লগার শুকনা মরিচের ব্লগ জুড়ে তার ছেলের গল্প। প্রথম বাচ্চাকে নিয়ে মায়েদের যে উচ্ছ্বাস থাকে, বাচ্চার আস্তে আস্তে বড় হওয়া আর প্রতিদিনই তার নতুন কিছু শেখা বা নতুন কোন ঘটনা - এসবই শুকনা মরিচের লেখায় ফুটে উঠে। পুতুল নিয়ে খেলতে সব মেয়েই খুব ভালবাসে আর প্রথম বাচ্চাই বোধহয় তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ পুতুল। ঘটনাচক্রে আরদির কাহিনী আমি প্রথম যে পোস্টে পড়েছিলাম, সেটিও ছিল বিড়াল নিয়ে । যাই হোক। আরদি বাবা, পিচ্চি তোমাকে নিয়ে মায়ের যে উচ্ছ্বাস সেটা হয়ত আর থাকবে না যখন তুমি মোটামুটি বোঝার বয়স হবে। তখন তুমি তোমার মায়ের পোস্টগুলি পড়ে দেখবে অবশ্যই। তোমার বেড়ে ওঠা তার কাছে কত আনন্দের একটা ঘটনা, সেটা তুমি লেখাগুলি পড়লে বুঝতে পারবে। আর সেই লেখাগুলি আমরা যারা পড়েছি, কখনো না দেখেও তোমার জন্য যে ভালবাসা বোধ করেছি, সেই ভালবাসার সবটুকু দোয়া আর শুভকামনা হয়ে তোমার সাথে থাকবে সারাজীবন। ভাল থেকো।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:৫৬

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: ঘটনা দুটো জানতাম না। প্রচণ্ড রকম নীতি বোধ না থাকলে কেউ এমন সাহসিকতা দেখাতে পারে না। এমন মানুষগুলো সব সময়ই নমস্য।

অ .ট . রাইসুল ভাই আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যায় আপনি বাচ্চাদের পছন্দ করেন খুব। কোন এক পোস্টে কি আপনার বাচ্চাদের নিয়ে কিছু লিখবেন?
অপেক্ষায় থাকলাম।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৩০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এমন মানুষগুলো আসলেই নমস্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে খুবই শ্রদ্ধা করি। কোন দলাদলিতে নাই, কোন কলামবাজীতে নাই, জাতির বিবেক সাজার অপচেষ্টায় নাই। চুপচাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। এখনো পাপেট নিয়ে যথেষ্ট কাজ করেন।

আমার নিজের কোন বাচ্চা নাই। এ বিষয়ে কিছু দুঃখজনক ঘটনা আছে। বলব কোন একদিন সেই ঘটনা।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্ব একজন মোস্তফা মনোয়ার। খুব অল্প কিছু প্রকৃত গুনীজনের মাঝে তিনি একজন এবং পরিপূর্ন ভদ্রলোক ও পরিচ্ছন্ন ব্যাক্তি। অন্য কেউ হলে হয়তো এই ২টি ঘটনা পুজিঁ করেই গলাবাজীর চুড়ান্ত করে ছাড়তো!

ঘটনা ২টি জানতাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৩৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে খুবই শ্রদ্ধা করি। কোন দলাদলিতে নাই, কোন কলামবাজীতে নাই, জাতির বিবেক সাজার অপচেষ্টায় নাই। চুপচাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। এখনো পাপেট নিয়ে যথেষ্ট কাজ করেন। বিটিভির পরিচালক হিসেবেও খুবই উঁচুমানের। মনে হচ্ছে আপনার জন্ম ৮৬ সালে বা তার পরে। মুস্তফা মনোয়ারের রক্তকরবী বোধহয় দেখেননি। এটা বিটিভির ক্লাসিক, সর্বকালের সর্বোৎকৃষ্ট প্রযোজনা হিসেবে ধরা হয়।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:০১

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন:
আপনার অনেক লেখাই চমৎকার লাগে।

লিখতে থাকুন, লিখতে থাকুন।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আর কোন লেখাটা চমৎকার লাগল? :D আপনি বোধহয় গান-নাটক নিয়ে আগ্রহী না, তাই না? আমি তো ওগুলি নিয়ে বেশি পড়ে থাকি। তবুও যদি আপনার ভাল লাগে, আমার সৌভাগ্য।

অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:২৭

মিরাজ is বলেছেন: প্রথম ঘটনা জানা ছিলো দ্বিতীয়টা জানা হলো । কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি । মোস্তফা মনোয়ারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিলো, আছে এবং থাকবে । উনি ছোটদের নিয়ে ছবি আঁকার একটা অনুষ্ঠান করতেন বিটিভিতে, নিয়মিত দেখতাম একটা সময়ে ।


শুকনা মরিচ আপু ও তার ছেলের প্রতি শুভকামনা ।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৪১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে জানিয়ে আমারও ভাল লাগল। বড় মানুষদের বড়ত্বের কথা প্রচারেও আনন্দ আছে। ছোটদের প্রচুর অনুষ্ঠান করেছেন উনি। এখনও পাপেট নিয়ে কাজ করেন।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:২৯

আনন্দক্ষন বলেছেন: মোস্তফা মনোয়ারকে ভালো লাগতো , ছোটবালার তার আকি-ঝুকির অনুষ্ঠান দেখে। আর আজ আপনার কল্যানে ঘটনা দুটো থেকে - জন্মালো প্রগার শ্রদ্ধা।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৪২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: মুস্তফা মনোয়ারের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা। অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৫০

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: ওহ, ভাইয়া আমি খুবই দুঃখিত।
আমি আমার কমেন্টের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী

২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৫৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: না না, দুঃখিত হবার কিছু নাই। এখানে অনেকেরই তো বাচ্চা থাকে না। সেটা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মত কেউ হীনমন্যতায় ভোগে না। আমারও কোন হীনমন্যতা নাই এটা নিয়ে। দুঃখ হয়ত আছে।

কোন ব্যাপার না। ক্ষমা চাওয়ার মত কোন বিষয়ই না। :D

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৫৫

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ঘটনা ূইটা জানতাম না ভাইয়া। ছোটবেলায় যখন বাংলাদেশ টেলিভিশন আমাদের এন্টারটেইন করার একমাত্র অবলম্বন ছিল তখন মুস্তফা মনোয়ারের শিশুতোষ অনুষ্ঠান দেখতাম, একটা পাপেট শো ছিল ছবি আঁকা নিয়ে। এখনো মনে পড়ে।

উৎসর্গের পর্বটাও চমৎকার :)

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:২২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এ ধরনের একজন মহাত্মার কথা জানিয়ে আমারও খুব ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৫৯

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: ব্যান্ডের গান আর রিমিক্স এলবাম নিয়ে আপনার পোস্টটাও দারুণ ছিল, কমেন্টে সবাই সবকিছু বলে দিয়েছে তাই আলাদা করে আর বলি নাই :) আমরা আপনাদের পরের প্রজন্মের (১০/১৫ বছরের তফাত কি একটা প্রজন্ম ধরা যায়?), ব্যান্ডের মাতাল সময় আর দুঃসময় দুটোরই সাক্ষী হয়েছি।

এই ব্লগে রাজনীতি-উৎসাহী লোকজন ভরা (আমিও তাই :P ), তাই অন্যরকম আগ্রহ আর অন্যরকম ব্যাকগ্রাইন্ডের লোকজন লিখলে খুব ভাল লাগে, এইগুলোর জন্যই তো ব্লগে আসা!

ভালো থাকবেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৩১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমাকে 'আগের প্রজন্ম' বানিয়ে ফেললেন? :D কাজটা ভাল করলেন? হাহ....জাস্ট পুলিং লেগ। আমি রাজনীতি নিয়ে মাঝারি উৎসাহী, বা হয়ত মাঝারির চেয়েও কম। অনেক দিন দেশের বাইরে যা হয় আর কি, এসবে আর আগ্রহ থাকে না। জীবনে একবারই একটা সেমি-রাজনৈতিক পোস্ট দিয়েছিলাম জিল্লুর রহমানকে নিয়ে। আমার আগ্রহ ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতি এইসব বিষয়ে বেশি। ব্লগে রাজনীতি উৎসাহী লোক হয়ত বেশি, কিন্তু আমার ধরনের লোকও কম নয়। আমার পোস্টগুলিতে তো মোটামুটি লোকে আসে, মন্তব্য করে। আমার লেখার গুনে (?!) নিশ্চয়ই আসে না, লেখার বিষয়বস্তুগুলিতে তারা আগ্রহী।

আপনিও অনেক ভাল থাকবেন।

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:১৯

ঘটলা বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। এরকম লিখতে থাকুন।
পোস্টে প্লাস।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৩১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনারা উৎসাহ দিচ্ছেন যখন, লিখতে তো হবেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:২৮

পাগলমন২০১১ বলেছেন: চমৎকার বিস্লেষন।পোস্টের জন্য +++ নেন।ধন্যবাদ

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৪১

পাগলমন২০১১ বলেছেন: আমার পোস্টে আপনি মিলার লিংক চেয়েছেন দিয়েছি ভাইয়া।দেখে আসেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৫৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:০৪

মশিউর মামা বলেছেন: কোনো এক পোস্টে আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম আপনার সন্তান কয়জন | ১ নং কমেন্টের উত্তর পড়ে আমি আপনাকে করা প্রশ্নের জন্য লজ্জিত | আল্লাহ আপনার জীবনের সব অপুর্ণতাকে পূর্ণতা দিয়ে ভরিয়ে দিন |

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৪৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কোন ব্যাপার না। :) ভাল থাকবেন।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৩

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: প্রথম কমেন্ট টা পড়ে কষ্ট পেলাম সেই সাথে এই মিষ্টি সিলেটের সকালে মনে দাগ কেটে গেলো আপনার এই পোষ্ট ভাইয়া,ভালো থাকবেন,অসম্ভব ভালো লিখেছেন .....

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৪৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কোন ব্যাপার না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাকিন উল আলম ইভান। ভাল থাকবেন সবসময়।

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২২

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

মুস্তফা মনোয়ারের ঘটনা দু'টি আপনার
মাধ্যমে জানলাম।
বেশি কিছু না জানলেও আমার পছন্দের
মানুষ তিঁনি।


আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে জানিয়ে আমার ভাল লাগল। আল্লাহ আপনাকেও ভাল রাখুন।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০৫

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
শ্রদ্ধা জানাই মুস্তফা মনোয়ারকে।
চামচা পরিবেষ্টিত সময়ে এমন প্রতিবাদ আমাদের প্ররনা যোগায়।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:১৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামা।

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:১০

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
আর হ্যা, আরদি কিন্তু পেগনেন :) :)

২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:১৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: পিচ্চিরা এইসব বুদ্ধি কই পায়, কে জানে! :D পিচ্চিদের সাইকোলজি নিয়ে গবেষনা আরো বেশি হওয়া দরকার।

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪৬

ছোটমির্জা বলেছেন:
আরদিকে নিয়ে উৎসর্গনামা প্রায় পোস্টের সমান হয়ে গেছে। :-B :-B (সামনেরটায় কি হয় আল্লাহ মালুম!!)
দুজন সম্পর্কে নতুন জানলাম।

সিসিমপুর দিয়ে মুস্তাফা মনোয়ার এখন বাচ্চাদের কাছে খুব প্রিয় একজন মানুষ।
প্রতিবাদী দেখ্লেই ভাল লাগে।
জীবনে বেঁচে থাকাওতো একধরনের প্রতিবাদ।
তবে পোস্টটি একেবারে প্রতিবেদনের মত হয়ে গেছে। একটু ভিন্ন আংগিকে হলে ভাল লাগত।

কিপ রোলিং ভাই।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৫৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুম....এর আগেও প্রতিবেদন টাইপ একটা পোস্ট লিখেছিলাম রীমা হত্যা মামলা নিয়ে। আজকে কেন যেন আবার ওই স্টাইলে একটা লেখা লিখতে ইচ্ছা হল। সত্যি বলতে, আমার নিজেরও এই স্টাইল খুব একটা ভাল লাগে না। তারপরও চেষ্টা করে দেখলাম পত্রিকার পেশাদার সংবাদকর্মীদের মত লিখতে পারি কিনা!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:১৩

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

তাঁর সম্পর্কে তেমন জানিনা
তবে অনেক কম বুঝেও রক্তকরবী
নাটকটি বি টি ভি তে দেখার সুযোগ
হয়েছিল।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: রক্তকরবী আমিও দেখেছিলাম। অসাধারন একটি প্রযোজনা। আর গোলাম মুস্তফার অভিনয় তো আউট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড।

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

বড় বিলাই বলেছেন: শুধু মুখে বড় বড় কথা না বলে কাজের মাধ্যমেই যে সৎ সাহসের পরিচয় দেয়া যায় এই ঘটনা দুটিই তার প্রমাণ।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: একমত আমি আপনার সাথে। অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:২৭

শুকনা মরিচ বলেছেন: কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিনা । আমি আসলে খুবই সম্মানিত বোধ করছি ।

আমি জানিনা আরদি কোনোদিন বাংলা লিখতে বা পড়তে পারবে কিনা । তবে আমাদের দেখাদেখি শুধু ঘরের মধ্যেই হয়তো তার বাংলা বলা সীমাবদ্ধ থাকবে । তবে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছি - আরদি'র মধ্যে বাংলাকে ধরে রাখার জন্য । ঠিক এই সময় আপনার এই লেখা আমাকে আরও খানিকটা উৎসাহ দিচ্ছে ।

আমি প্রাণপণ চেষ্টা করবো - ও যেন আপনাদের সবার এই ভালোবাসার যোগ্য সম্মান দিতে পারে । ওকে এই লেখা একদিন পড়তেই হবে......।
ওকে জানতে হবে সম্পূর্ণ অচেনা অজানা কতগুলো মানুষ তাকে কতোটা ভালবেসেছে একটা সময় ।

দোয়া করবেন ও যেন আপনার এই লেখার মুস্তাফা মনোয়ার স্যারের মতোই সৎ,বিনয়ী আর নিরহংকার মানুষ হিসাবে বড় হতে পারে ।

আপনাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা । আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনি যদি বিদেশেই স্থায়ী হন এবং দেশে ফেরত আসার কোন স্থির সিদ্ধান্ত না থাকে, তাহলে আসলে বেচারাকে বাংলা শেখানোর চেষ্টা করে কোন লাভ নাই। এটা শুধুই ব্রেইনের উপর চাপ ফেলা এবং শতভাগ ব্যর্থতা নিশ্চিত। দীর্ঘ প্রবাসজীবনে বেশ কয়েকজনকেই দেখেছি বাচ্চাদের বাংলা পড়া-লেখা শেখানোর চেষ্টা করতে। প্র্যাকটিক্যালি গ্রেড ফাইভের মধ্যে স্কুলের ব্যস্ততা এত বেড়ে যায় যে আর বাংলা ধরে রাখা সম্ভব হয় না। বাচ্চারা আস্তে আস্তে ভুলে যায়। এখন পর্যন্ত আমি কাউকে পাই নাই যে বড় হয়েও বাংলাকে ধরে রাখতে পেরেছে। মাঝখান দিয়ে দুরন্ত শৈশবের বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে। আরদির সমস্যা তো আমার আশেপাশে দেখা বাচ্চাদের চেয়ে আরও বেশি কারন তাকে আবার ডাচও একটু-আধটু শিখতে হবে।

আমার, আমাদের সব দোয়া আর শুভকামনা আরদির জন্য, অনেক অনেক বড় হবে নিশ্চয়ই ও।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪০

চিকন আলি বলেছেন: এখন প্রতিবাদ করে না কেনো.............?????

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: তাঁর বয়স এখন ৭৬ বছর। এই বয়সে প্রতিবাদ হিসেবে উনি একটা কাজই করতে পারেন - পত্রিকায় কলামবাজী। তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে এটা উনি করেন না। এই বয়সেও শিশুদের নিয়ে, পাপেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এসি রুমে বসে ২-৪ ঘন্টায় একটা কলাম লেখার চেয়ে তার কাজগুলি অনেক বেশি গুরত্বপূর্ন এবং কঠিন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহাগহোসেন বলেছেন: উনারে ভালা পাই।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও তাকে অনেক ভালা পাই। অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৭

মাইশাআক্তার বলেছেন: আপনি এত সুন্দর করে লিখেন অনেক ভাল লাগে পড়তে, মোস্তফা মনোয়ারকে ভাল লাগে।


ভাল থাকবেন :)

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাইশাআক্তার আপনার কমপ্লিমেন্টের জন্য। শুনে খুব ভাল লাগল (লজ্জায় লাল হবার ইমো)।

২৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৬

জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: মুস্তফা মনোয়ার এর এই বিষয়দুটি আমার অজানা ছিলো।

ভাল লাগলো।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে জানিয়ে আমারও খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৩

শিপু ভাই বলেছেন: পোস্ট পড়ে লগ ইন করতেই হল।

ছোট বেলা থেকেই ওনাকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু আপনার উল্লিখিত ঘটনা দুইটা জানতাম না। জানানোর জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
জনাব মুস্তফা মনোয়ারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আরো বেড়ে গেল।
ওনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে জানাতে পেরে আমি খুব খুশি। বড় মানুষদের কথা প্রচার করাতেও সুখ আছে। আপনার সাথে সাথে আমিও তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩৮

দূর্যোধন বলেছেন: চমৎকার লেখা ,রাইসুল জুহালা।


অনুসারিত তালিকায় যুক্ত করলাম :)

২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্যোধন। এই প্রথম বোধহয় কেউ আমাকে অনুসারিত তালিকায় নিল। :) সম্মানিত বোধ করছি।

২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫০

আমি কবি নই বলেছেন: ... উনাদের মতো কিছু মানুষ এখনো আছে বলেই দেশটা টিকে আছে, ভালো পোষ্ট..

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪০

নীরব দর্শক বলেছেন: একাত্তরের দিনগুলি তে প্রথম ঘটনাটি আমিও পড়েছি।

পেশাগত কারনে তার সাথে দুবার কাজ করতে হয়েছিলো। মানুষ হিসাবেও চমৎকার একটা মানুষ।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার সৌভাগ্য তার মত বড় মাপের মানুষের সাথে কাজ করেছেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্য।

২৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০১

কবির চৌধুরী বলেছেন: মোস্তফা মনোয়ারের মত যদি আরো কজন মানুষ বাংলাদেশে থাকতেন তাহলে দেশটার অবস্থা এই রকম হত না!

মোস্তফা মনোয়ারকে নিয়ে এত সুন্দর একটি পোস্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩০| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৩৩

েরজা , বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট ।
ধন্যবাদ।

এই মানুষটাকে আমার বরাবরই ভাল লাগে ।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৩৯

কাউসার রুশো বলেছেন: প্রথম ঘটনা জানা ছিলো দ্বিতীয়টা জানলাম ।
মোস্তফা মনোয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা ।

ধন্যবাদ আপনাকে :)

৩০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫০

ছোটমির্জা বলেছেন:
প্রতিবেদন লেখার চেষ্টা হলে ঠিকাছে ভাই।

আর---অনেক ধন্যবাদ দূর্যোধন। এই প্রথম বোধহয় কেউ আমাকে অনুসারিত তালিকায় নিল। !:#P !:#P !:#P

১০০০ ভাগ মিছা কথা।
আপনি জানেন্না।
কমে ১০০ জন ব্লগার আপনারে অনুসারিতে রাখছে..(আমোও আছি)

দূর্যোধনকে ধন্যবাদ এটা জানানোর জন্য। আমরা লজ্জিত যে না জানিয়েই এটা করেছি।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: তাই নাকি! খুবই সম্মানিত বোধ করছি ছোটমির্জা?

অফটপিকঃ আপনার ছোটমির্জা কেন? অয়োময় নাটকটা কি আপনি দেখেছেন?

৩৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫৩

মেহেদি২৪ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:১৭

মশিউর মামা বলেছেন: জুহালা ভাই , দু পেয়ে কোনো একটা পোস্টের লিঙ্ক দিছে | আপনে ওই পোস্টের আমার কমেন্ট গুলা পইড়া তার সাথে একমত কিনা শুধু এইটা বইলেন এই পোস্টে |

৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৪৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি ওই পোস্টেই এই বিষয়ে বলেছি। :)

৩৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:১১

নস্টালজিক বলেছেন: দুটো ঘটনাই জানতাম।
মুস্তফা মনোয়ার হলেন সেই সব গুটিকয় সত্যিকারের শিল্পীদের একজন যারা বিনয়, সৃষ্টিশীলতা আর দেশপ্রেম আলোয় উদ্ভাসিত থাকেন অহর্নিশ।
এরশাদের সময়কার ঘটনাটা মনে পড়লো এতদিন পর এসে।
আহারে, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দলনের সেই সব সাহসী দিন, কিছু দালাল বাদে এক হয়ে যাওয়া দেশের মানুষ আর সেই উত্তাল ৯০!
তারপর তথাকথিত গনতন্ত্রের হিজিবিজি লোভে দেশটা হলো ৫ বছরের একটা লোকাল ট্রেন যে ট্রেন এর নিজস্ব কোনো চালক নেই আর সিগনাল দেয় দূরদেশের হায়েনারা!

পোস্টের জন্য অভিনন্দন জুহালা!
খানিক অফটপিক কথা বলে ফেলায় দুঃখিত!

শুভ সকাল!

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৫০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কোন সমস্যা না কবি। আমার পোস্টে আপনি যা খুশি তাইই লিখবেন। ভাষা নিয়ে আপনি যেভাবে খেলতে পারেন সেটা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করে। এত সুন্দর করে নব্বই পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থাকে আর কেউ লিখতে পারত না।

মুস্তফা মনোয়ার একজন প্রকৃত অর্থেই শিল্পী, সাধক এবং কর্মী। লক্ষ্য করুন, সেই ২৩শে মার্চই উনি পাকিস্তানের পতাকা না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই ঘটনার পেছনে তার চিন্তাভাবনা কতটা সুদূরপ্রসারী সেটা ভাববার বিষয়। অর্থাৎ ক্র্যাকডাউনের দু'দিন আগেই তিনি একটা সরকারী অফিস থেকে পাকিস্তানকে হটিয়ে দেন। যেকোন দেশের পতাকা অবমাননাকেই সেই দেশের সবচেয়ে বড় রাস্ট্রদ্রোহিতা ধরা যায়। এই রাস্ট্রদ্রোহিতার সাহস উনি পেয়েছিলেন কারন নিশ্চিত ছিলেন যে পাকিস্তান নামক রাস্ট্র আর এ অঞ্চলে এক্সিস্ট করে না।

নব্বইয়ের দিনগুলি মনে হলে মন খারাপ হয়ে যায়। একাত্তরের কথা আমার মনে নাই। আমি নব্বইকেই দেখেছি। দেখেছি পুরো দেশ এক হয়ে যাওয়া। দেশের এগার কোটি জনগন এই একটা সময়ই দেশপ্রেমিক হয়ে গিয়েছিল। ৪ঠা ডিসেম্বর রাত দশটায় যখন এরশাদ পতনের ঘোষনা এল, সারা ঢাকা শহরকে পথে নেমে আসতে দেখেছি। নিজেও নেমেছিলাম। সারা শরীর থরথর করে কাঁপছিল সেদিন। মনে হচ্ছিল এখন আমরা দেশটাকে ঢেলে সাজাতে পারব। কোথায় কি! সত্যি বলতে, এরশাদের সময়ই বোধহয় সাধারন মানুষ এখনকার চেয়ে অনেক ভাল ছিল। খেয়েপড়ে বেঁচে ছিল, অপরাধ কম ছিল।

ধন্যবাদ কবি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য, ধন্যবাদ সেই মাতাল সময়টা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

৩৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:০৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: দুটো ঘটনার একটাও জানা ছিল না। ব্যক্তিগত ভাবে মোস্তফা মনোয়ার স্যারে ভক্ত আমি। 'মনের কথা' প্রোগ্রামটা অসাধারণ ছিল, বাচ্চাদের জন্য বাংলাদেশে এমন চমৎকার অনুষ্ঠান বোধহয় এটাই প্রথম। রেগুলার দেখতাম অনুষ্ঠানটা, কিভাবে কাগজ ভাঁজ করে একপাশে রং করে ছাপ দিয়ে প্রজাপতি আকা যায়, ঢেড়স বা কামরাঙা চাক চাক করে ফুলের ছাপ দিয়ে ছবি আঁকা যায় কিংবা কাগজ পানি দিয়ে ভিজিয়ে ওয়াটার কালার দিয়ে মেঘাছন্ন বৃষ্টি মূখর আকাশের ছবি আকা যায়.....এসব কি অবলিলায়, যত্ন নিয়ে শেখাতেন তাতে এখনও মুগ্ধ আমি!
ওনার এই প্রোগ্রামটার কি কোন ডাউনলোড এবল লিংক আছে?

৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ডাউনলোড করে কি নিজে দেখতেন না বাচ্চাকে দেখাতেন নাকি দুইটাই? :) আমার কাছে লিঙ্ক নাই। তবে সোহা এই জাতীয় অনুষ্ঠান খুব পছন্দ করত নিশ্চয়ই। আমিও মুস্তফা মনোয়ারের একজন ভক্ত। এই পোস্ট ভক্ত হিসেবে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:২৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: দুজনে মিলে দেখতাম, ঐ প্রোগ্রামটা দেখলে বোঝা যায় "আনন্দের সাথে শেখা" বিষয়টা আসলে কি?

:)

০১ লা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আহা! আই উইশ আমি মা-মেয়েকে সাহায্য করতে পারতাম। :(

৩৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৪২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো খুব। কাজের মানুষকে মনে করলেন বলে। বিটিভির সেই কালের সব কুশীলবরাই এরকম বহু ঘটনা ঘটিয়েছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৫৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.