নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমি জীবনের মাঝে বেঁচে থাকা এক অদৃশ্য \'জীবাত্না\'। যে জীবনের মাঝে খুঁজে ফিরি জীবনের প্রাণ। নির্জীব জীবনের চেয়ে প্রাণময় মুত্যুতেই আমার উচ্ছাস!\'

রাজিয়া সুলতানা

জীবন মানেই এক অমীমাংসিত সমীকরণ

রাজিয়া সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুড়ি, ফ্রক, পুতুলকথন; এবং আমরা একদল পুতুলনাচের উপকরণ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

চুড়ি, ফ্রক, পুতুল, গ্যাসের চুলা. ....আরো কত কিছু যে হতে পারে! নারীরা তো সারাজীবনটাই 'চুড়ি' 'ফ্রক' পড়ে 'পুতুল' খেলে চুলা'য় রান্না করে কাটিয়ে দিয়েছে যুগে যুগে। এর বাইরে তো আর কোনো কিছু নারীদের আওতাভুক্ত নয়। নারীদের হাতে কলম থাকতে নেই। ফ্রক, দোপাট্টা কিংবা বারো হাত প‌্যাচেঁর শাড়ির বাইরে কোনো পোষাক থাকতে নেই। চার দেয়াল আর চুলার বাইরে তার কোনো ভূমিকা নেই!

কেন রে ভাই, পথে ঘাটে জিন্স প্যান্ট আর টি শার্ট পরা মেয়ে কোনোদিন চোখে পড়ে নাই? লাঠি হাতে রাজপথে কিংবা মিছিলে মিটিং এ কোনো অগ্নিমূর্তি নারী রূপ চোখের চৌকাঠ মাড়ায় নাই? কোনো দিন কোনো কালে কোনো চুড়ি পরা নারীর হাতের কলমের খোঁচায় জীবনের চড়াই উৎরাই পাড় হও নাই? কোনো দিন কোনো কালে আকাশপথে আনন্দ ভ্রমণকালে কোনো নারীর হাত পথ দেখিয়ে তোমার জীবনকে সুরক্ষিত করিয়া উড়াইয়া নিয়ে যায় নাই? নারী হাতের ইশারায় নির্দেশনা দিয়েছে , আর সেই নির্দেশনা পালন করতে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে করতে সদ্য পেটে চালান করা খাবার হজম হয়ে পেটের মধ্যে 'কুলহু আল্লাহ' পড়তে শুরু করেছে তেমন ঘটনা কখনো ঘটে নাই তোমাদের জীবনে !!! তবে! তবে কেন এখনও নারীদের ঐ চুড়ি, পুতুল আর চুলায় আবদ্ধ রেখে তাদের ক্ষমতাকে খর্ব করে দেখার প্রয়াস? নারী কি কেবলই পুতুল নাচের উপকরণ! মঞ্চের বাইরে বসে পুতুল নাচ উপভোগ করা তার সাজে না? আর কত উদাহরণ দিতে হবে নারীদের বিচরণকে আর একবার তোমাদের চোখের দেয়ালে ঝুলিয়ে দিয়ে একটা প্রদর্শনী আয়োজন করার জন্য।

যতই উদাহরণ তোমাদের চোখের সামনে এনে হাজির করা হোক না কেন, যতই নারীর সামনে 'নতজানু' হয়ে হুকুম তামিল করতে করতে ইহকাল পার করে দেওয়া হোক না কেন, তবু ও 'নারী' তো 'নারী'! 'মেয়েমানুষ'!! 'উপহাসের সুর' কন্ঠ থেকে ছাড়া পায় না। 'উপহাসের দৃষ্টি' তা-ও পরিবর্তন হয় না। নারী'র প্রতি উপহাস, অবজ্ঞা, তাচ্ছিল্য এবং সুযোগ পেলেই দুই হাতে দশটা আঙ্গুল তুলে নারীর ক্ষমতাকে ছোটো করে তার গন্ডিকে একটা আবদ্ধ স্তরে প্রকাশ করায় একটু ও ছাড়ো না তোমরা।

হ্যাঁ, তোমরা তাঁরা, তোমরা ওরা, তোমরা সবাই। তোমরা 'পুরুষদল'। তোমরা নারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা যুগে যুগে 'পুরুষতান্ত্রিক উত্তরাধিকার'।

'জেন্ডার' প্রশিক্ষণে আমরা শেখাই, আমরা শিখি শৈশবকালেই আমরা 'কন্যা শিশু' এবং 'পুত্র শিশু' দের মানসিকতার গঠনে পার্থক্য তৈরি করে দেই। তাদের খেলনার উপকরণে থাকে বিভাজন, আচরণের বহি:প্রকাশের ধরণ নির্ধারণে থাকে বিভাজন, তাদের বিচরণ ক্ষেত্র নির্ধারণে থাকে বিভাজন, তাদের কেমন দেখাবে কেমন দেখানো উচিত সেই চিন্তার গঠনে তৈরি করি বিভাজন। এভাবে একটা আরোপিত বিভাজন আমরা তৈরি করে দেই বলেই যুগে যুগে সমাজের ভিন্নতায় পরিবেশের ভিন্নতায় 'নারী' এবং 'পুরুষ' এর ভূমিকা এবং দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে ভিন্নতা থাকে। এবং সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবেশের ভিন্নতায় এই বিভাজনের মাত্রা ও একেক রকম হয়। খুব সহজ এই বিভাজনের একটা উদাহরণ প্রায়ই আমরা উচ্চারণ করি ; 'কন্যা শিশুদের' খেলনা হয় পুতুল, হাড়িঁ পাতিল, ইত্যাদি । যেখানে ছেলে শিশুদের হাতে থাকে বিকট শব্দের খেলনা অস্ত্র, বিমান কিংবা ফুটবল। এখন বড়কালেও দেখছি আমরা বের হতে পারছিনা পুতুল, ফ্রক কিংবা চুলা থেকে।

পৌরসভা নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে যা দেখছি সত্যিই মর্মাহত হয়েছি। এ কেমন মানসিকতার প্রকাশ! খুবই অবাক লাগছে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিক্রিয়াও চোখে পড়ছে না এ নিয়ে। এ প্রকাশ এটাই ইঙ্গিত করে কোনো 'জেন্ডার' প্রশিক্ষণই কোনো কাজে আসবেনা এই মানসিকতার পরিবর্তনে।

এটাই সত্য যুগে যুগে নারী নেতৃত্ব, ক্ষমতায়ন, দক্ষতার প্রকাশ কিংবা এগিয়ে চলা পুরুষ মহল কোনো দিন ভালো চোখে দেখেনি এবং আন্তরিক ভাবে গ্রহণ করেনি। নারীদের এগিয়ে চলা কখনো ঐ 'বাঁকা দৃষ্টি' এড়াতে পারে নি। সবশেষে এটাই সত্য। চরম সত্য।।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নারীদের ক্ষমতায়নে বেশি বাঁধা কিন্তু নারীগণই! জানেন একথা?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সত্য কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। লিখেছি একথা কোনো এক অংশে। পড়েছেন নিশ্চয়ই!! নারীদের কথাই আগে আনলেন! পুরুষরা এখানে ও পার পেয়ে গেলো!! এজন্যই তো 'পুরুষ মহল'!!!!

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি বাস্তবিক জীবনে দেখেছি পুরুষের চেয়ে নারীই তাঁর মানসিকতায় অবহেলিত হবার মূলমন্ত্র ঢুকিয়ে দেয়। এমনকি শিক্ষিত, মাস্টার্স পাশ মহিলাও। আপনার দৃষ্টিভঙিতে সমস্যা আছে।
পুরুষকে প্রতিপক্ষ ভাবছেন যেন, এরাই নারীদের দাবিয়ে রাখে। অথচ এটা ভুল। অন্ধের হাতির দেখার মতো ব্যাপার।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: আপনার মন্তব্য বাস্তব এবং আমি অকপটেই স্বীকার করেছি তা। আমার পয়েন্ট টা ছিলো কেবল নারীদের কথা কেন বলছেন, পুরুষদের কথাটাও পাশাপাশি বলতেন। আপনার বক্তব্যের সমর্থন আমার এই লাইনটিতেই আছে ''তোমরা নারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা যুগে যুগে 'পুরুষতান্ত্রিক উত্তরাধিকার'। ''
আমার দৃষ্টিভঙ্গীর সমস্যা থাকতে পারে তা ও অস্বীকার করছি না। পুরুষকে প্রতিপক্ষ ভাবছিনা। আপনি আমার পোষ্টটি লেখার উদ্দেশ্য এবং কারণ নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন!

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি কিন্তু একবারও বলিনি পুরুষদের দ্বারা নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে না। আপনার লেখায় কেবল পুরুষদের ওপর অযাচিত দোষারোপের ব্যাপারটা খন্ডাতে চেয়েছি।
"হ্যাঁ, তোমরা তাঁরা, তোমরা ওরা, তোমরা সবাই। তোমরা 'পুরুষদল'। তোমরা নারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা যুগে যুগে 'পুরুষতান্ত্রিক উত্তরাধিকার'। "
এখানে আপনি একান্তভাবে সব পুরুষকে দায়ী করেছেন। এজন্যই আমি ধরিয়ে দিলাম এই বিষয়টা। একপেশে দৃষ্টি দিলে সেখানে বিতর্ক সৃষ্টি হবেই।

আমি অবজারভ করেছি পুরুষরা নিজেদের আরাম ও প্রভাব ধরে রাখার জন্য নারীদের দাবিয়ে রাখতে চায়। সেক্ষেত্রে ঐ নারী সমাবস্থানে থাকলে প্রতিবাদ/সংশোধনে এগিয়ে আসতে পারত। কিন্তু বাস্তব জীবনে দেখা যায় না। ঐ নারীই আরেক নারীকে বাধ্য করে স্থিমিত থাকতে। সমস্যা উভয়ের দৃষ্টিকোণ ও শিক্ষার ওপর।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: গেম চেঞ্জার ভাই, প্রথমত আমি আপনার নিম্মোক্ত কথার সাথে সহমত পোষণ করছি।
"আমি অবজারভ করেছি পুরুষরা নিজেদের আরাম ও প্রভাব ধরে রাখার জন্য নারীদের দাবিয়ে রাখতে চায়। সেক্ষেত্রে ঐ নারী সমাবস্থানে থাকলে প্রতিবাদ/সংশোধনে এগিয়ে আসতে পারত। কিন্তু বাস্তব জীবনে দেখা যায় না। ঐ নারীই আরেক নারীকে বাধ্য করে স্থিমিত থাকতে। সমস্যা উভয়ের দৃষ্টিকোণ ও শিক্ষার ওপর।" - এবং এটা আমার ও কথা।

দ্বিতীয়ত, আমার একপেশে দৃষ্টি আসলেই ঠিক নয়। কোনো বিষয়ে একপেশে দৃষ্টি ভালো নয়। আমি আমার এই লেখায় কোনো না কোনোভাবে একপেশে দৃষ্টির প্রকাশ ঘটিয়েছি এবং সব পুরুষকে একসাথে দায়ী করেছি। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই উচিত নয়। নারী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি মন থেকে মানতে পারিনি। এটা হয়ত আমার মানসিকতার সমস্যা। কিন্তু, তবুও আমি বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারছিনা। তাই, অনুভূতির তীব্রতা এবং ঐ মানসিকতা ও আচরণের প্রতিবাদ প্রকাশে লাইন গুলো ওভাবে লিখেছি।
আমি নিজেও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি সকল পুরুষ নারীর বিপক্ষে নয় আবার সকল নারী নারীর এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে নয়। আমি আমার চলার পথে অনেক পুরুষের সমর্থন এবং সহযোগিতা পেয়েছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের উৎসাহ এবং সমর্থন নারীদের ও ছাড়িয়ে গেছে। তাই সকল পুরুষকে একপেশে ভাবে দায়ী করার মানসিকতা আমার ও নেই।

সব শেষে আমি বিশ্বাস করি, নারী অধিকার বিষয়ে সংবেদনশীল হতে হলে নারী হবার দরকার নেই। একজন পুরুষ নারী অধিকার বিষয়ে অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক নারীর চেয়ে বেশী সংবেদনশীল হতে পারে। তাই আমি নারীবাদী নই রে ভাই!

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

আলি জুয়েল বলেছেন: নারীদের মেধার বিকাশে পুরুষমহল এবং নারীমহল উভয়েরই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: হুম, দৃষ্টিভঙ্গীর ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন! সহমত!! অনেক ধন্যবাদ আলি জুয়েল ভাই!!!

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: হিংসাত্বক মানসিকতাই হয়তো নারী অগ্রযাত্রার প্রধান অন্তরায়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: হুম, হিংসাত্বক মানসিকতা ও নারী অগ্রযাত্রার অন্তরায়। তবে প্রধান অন্তরায় নয়।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

বিবর্ণ স্বপ্ন বলেছেন: আবারও A-Z পুরুষের সমালোচনা!! আপু যারা নিজ যোগ্যতায় উপরে পৌছাতে চায় তাদের কেউ ধরে রাখতে পারে না। বাংলাদেশে সর্বউচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠীত নারীরাই এর প্রমাণ, আর যার পৌছাতে পারে না তারাই অন্যের কাধে দোষ চাপিয়ে নিজের দুর্বলতাকে আড়াল করতে চায়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হুম, যারা নিজ যোগ্যতায় উপরে পৌছাতে চায় তাদের কেউ ধরে রাখতে পারে না। বিষয়টি উপরে যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্ন নয়, বিষয়টি দৃষ্টিভঙ্গীর প্রশ্ন। এখানে কাউকে উপরে যেতে বাধা দিচ্ছে কেউ এই ধরণের কথা বলিনি একবার ও। বলেছি, উপরে অবস্থান করার পরও করো দৃষ্টিভঙ্গীর নেতিবাচক দিকটির কথা।

আমি নিজেও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি সকল পুরুষ নারীর বিপক্ষে নয় আবার সকল নারী নারীর এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে নয়। আমি আমার চলার পথে অনেক পুরুষের সমর্থন এবং সহযোগিতা পেয়েছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের উৎসাহ এবং সমর্থন নারীদের ও ছাড়িয়ে গেছে। তাই সকল পুরুষকে একপেশে ভাবে দায়ী করার মানসিকতা আমার ও নেই।

সবশেষে, নারী প্রার্থীদের এই প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টা আপনি কিভাবে দেখছেন?

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

সুলতানা রহমান বলেছেন: যতই বলা হোক, যেভাবেইই বলা হোক, নারী তো নারী। তাদের দৌড় কট্টুক সেটা পুরুষ খুব ভালই জানে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ, পুরুষদের এরকমই ধারণা!

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

নেক্সাস বলেছেন: নারীর ক্ষমতায়ন এখন বাস্তবতার টেবিল ছেড়ে রাজনীতির পণ্য হয়ে গেছে। সব লোক দেখানো। নারীর ক্ষমতায়ন করতে হবে কেন? নারী নিজের ক্ষমতা নিজেই অর্জন করবে।

যা করতে হবে তা হল নারীর প্রতি পরিবার,সমাজ, রাষ্ট্র ও নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিভঙির পরিবর্তন। মুখে নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন করে অন্তরে নারী কে অধস্তন ভাবার মানসিকতা যতদিন থাকবে ততদিন নারীর ক্ষমতায়ন সাবলীল গতিতে হবেনা। নির্বাচনের প্রতীকগুলোও ঠিক এি মানসিকতার পরিচয়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: "নারীর ক্ষমতায়ন করে অন্তরে নারী কে অধস্তন ভাবার মানসিকতা যতদিন থাকবে ততদিন নারীর ক্ষমতায়ন সাবলীল গতিতে হবেনা। নির্বাচনের প্রতীকগুলোও ঠিক এি মানসিকতার পরিচয়।"
- জোরালোভাবে একমত কথাগুলোর সাথে।
নির্বাচন প্রতীক নিয়েই আমার আপত্তির জায়গাটা ছিলো। নারীদের অধস্তন ভাবার মানসিকতাকেই এখানে আমি ইঙ্গিত করতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নারীরা এখন ছোট বেলা থেকে লাটিম, মার্বেল, গাড়ি খেললেই পারে। নিষেধ করেছে কে ? তাছাড়া কত দেখেছি বালক বালিকা এক সাথে কুতকুত, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট খেলতে। আর এখনতো ফ্রকের স্থলে জীন্স পরছে।

আসলে এইটা তাদের নিজেদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা। তাদেরতো কেউ বাঁধা দিচ্ছেনা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: বিষয়টা খেলার নয়, মানসিকতার প্রকাশভঙ্গী অথবা দৃষ্টিভঙ্গীর। উপরের মন্তব্যে বক্তব্যটি আরো পরিষ্কার করেছি। বলতে চেয়েছি 'নারীকে অধস্তন ভাবার মানসিকতা যতদিন থাকবে ততদিন নারীর ক্ষমতায়ন সাবলীল গতিতে হবেনা। নির্বাচন প্রতীক নিয়েই আমার আপত্তির জায়গাটা ছিলো। নারীদের অধস্তন ভাবার মানসিকতাকেই এখানে আমি ইঙ্গিত করতে চেয়েছি।'
ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনার মানসিকতায় কোথাও বিরাট সমস্যা আছে। মনের মধ্যে এতো বিদ্বেষ কিংবা বিতৃষ্ণা থাকলে সেটা কখনো মঙ্গলজনক হয়না। আমিও আপনার সুরেই বলবো, নারীর বর্তমান এবং অতীতের নানা সমসার কারন প্রধানত নারীরা নিজেই। প্রধান সৎ এটাই যে জীবনের নানা ক্ষেত্রে নারীর অগ্রযাত্রার প্রধান প্রতিপক্ষ নারী নিজেই। নিজেরা সেমন খুশী চলতে চাইবে, ছেলের বউ আসলে সুর চেঞ্জ হয়। সন্তানের বেলা ছেলে সন্তানের জন্য পাগল হয়। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী নারীদেরই ভাবে প্রধান প্রতিপক্ষ। এটাই মানসিক দৈন্যতা। নারীদের আগে এই মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। নিজেরা নিজেদের সাহায্য না করলে পুরুষেরা নারীদের টেনে তুলে দেবে না। সন্তান ছেলে হোক আর মেয়ে, দুনিয়ার সব জায়গা তাদের গড়ে তলে মায়েরাই, বোধ গড়ে দেয়। সেই সময়টা কি সবাই সমান এই শিক্ষাটা ঠিকমত ঢুকিয়ে দেয়া যাওনা? প্রতিটা সন্তানের উপর বাবার চেয়ে মায়ের প্রভাব অনেক অনেক বেশি হয়। পুরুষের মানসিকতাকেই যদি দায়ী করেন, এই দায় কি নারীজাতির উপরও অনেকটা বর্তায় না? ফ্রক, পুতুল এইসব কোন বাপার না, সারা দুনিয়া ছেলে শিশুর সাথে মেয়ে শিশুর কিছু মৌলিক চরিত্রগত আর শারীরিক পার্থক তো থাকেই, সে কারনে প্রকৃতিগত কারনেই মেয়ে শিশুরা পুতুল কিংবা এ ধরনের কিছু নিয়ে খেলতে ভালোবাসে, পোষাকে ভিন্নতা থাকে শারিরীক বৈশিষ্টের কারনেই। আর এ কারনে একটা মেয়ে শিশু একটা ছেলে শিশুর চেয়ে ছোট হয়ে যায়না, সবাই নিজ নিজ বৈশিষ্টে অনন্য। একে অপরের আজীবন সঙ্গী।

এখন কেউ যদি মনে করে মেয়েরা ছেলে হয়ে যাবে, সেটাও সম্ভব না। শার্ট প্যান্ট পড়তে চাইলে পরবে, শিক্ষিতও হচ্ছে। কিন্তু নিজের আর আসেপাশের পরিবারের দিকে একটূ নজর দিয়ে দেখেন, একটা মেয়ে এমন হতে চাইলে সবচেয়ে আগে বাঁধা দেয় কে? খুব সম্ভবত একজন নারীই, আর সমস্যাটা এখানেই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার অনেকগুলো বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
উপরে একটি মন্তব্যে বলেছি-
"আমার একপেশে দৃষ্টি আসলেই ঠিক নয়। কোনো বিষয়ে একপেশে দৃষ্টি ভালো নয়। আমি আমার এই লেখায় কোনো না কোনোভাবে একপেশে দৃষ্টির প্রকাশ ঘটিয়েছি এবং সব পুরুষকে একসাথে দায়ী করেছি। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই উচিত নয়। নারী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি মন থেকে মানতে পারিনি। এটা হয়ত আমার মানসিকতার সমস্যা। কিন্তু, তবুও আমি বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারছিনা। তাই, অনুভূতির তীব্রতা এবং ঐ মানসিকতা ও আচরণের প্রতিবাদ প্রকাশে লাইন গুলো ওভাবে লিখেছি।
আমি নিজেও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি সকল পুরুষ নারীর বিপক্ষে নয় আবার সকল নারী নারীর এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে নয়। আমি আমার চলার পথে অনেক পুরুষের সমর্থন এবং সহযোগিতা পেয়েছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের উৎসাহ এবং সমর্থন নারীদের ও ছাড়িয়ে গেছে। তাই সকল পুরুষকে একপেশে ভাবে দায়ী করার মানসিকতা আমার ও নেই।

সব শেষে আমি বিশ্বাস করি, নারী অধিকার বিষয়ে সংবেদনশীল হতে হলে নারী হবার দরকার নেই। একজন পুরুষ নারী অধিকার বিষয়ে অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক নারীর চেয়ে বেশী সংবেদনশীল হতে পারে। তাই আমি নারীবাদী নই রে ভাই!"

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: প্রতীক নিয়ে যা হচ্ছে তা একেবারে অসহ্য রকমের বাড়াবাড়ি। কেন? চুড়ি, ফ্রক, পুতুল, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার ফলেই কি একেবারে নারীদের অবমাননা করা হলো? হলে কিভাবে? দেশের মেয়েরা কি এগুলো পড়ে না বা ব্যবহার করে না? বাঙ্গালী মেয়েরা চূড়ি, ফ্রক পড়ে, পুতুল খেলে। এটা আমাদের ঐতিহ্যের সাথে খুব মানানসই। এগুলো প্রতীক বানিয়ে নারীর কি এমন অবমাননা করা হয়েছে আমার বুঝে আছে না।

একবার কি পুরুষদের প্রতীক খেয়াল করেছেন? উটপাখি, গাজর, ঢেড়স, ডালিম, টিউব লাইট, ব্ল্যাকবোর্ড, স্ক্র ড্রাইভার, ফাইল কেবিনেট, ব্রিজ ইত্যাদি এগুলো তাদের প্রতীক। আমরা যদি এখন হুঙ্কার ছেড়ে বলি, 'আরে মিয়া, ঢেরস, স্ক্রু ডাইভার কি কোন প্রতীক হলো? পুরুষরা কিন্তু তা বলছে না।

আমার মতে, কিছু নারী সংগঠন বাড়াবাড়ি করছে। তারা তিলকে তাল বানাচ্ছে। তারা সব কিছুর মধ্যে 'নারীর স্বাধীনতা' খুজে বেড়ায়। অথচ নারীবাদী সংগঠনের লিডারদের অধীনে কাজ করার অভজ্ঞতার আলোকে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি উনারাই সবচেয়ে স্বেচ্ছাচারী। [এই কথায় কস্ট পেলে ক্ষমা করবেন]।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

যান্ত্রিক বলেছেন: যে ঘটনার কারণে ব্লগটি লিখলেন, তাতে গোড়াতেই গলদ।
মহিলা কমিশনার বা সংরক্ষিত মহিলা আসনই তো থাকা উচিত না। সরাসরি সদস্য পদে প্রতিযোগিতা করা উচিত এবং নারী প্রার্থীদের উচিত এ ধরণের পদগুলো থেকে পদত্যাগ করা।

অনেকেই শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া-কে নারী নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবে দেখান কিন্তু বাস্তবতা হলো শেখ মুজিবুর রহমান বা জিয়াউর রহমান ছাড়া তাদের নিজস্ব কোন ভিত্তি নেই।

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপা আপনার অভিযোগগুলোর উত্তর সম্ভবত আমার কিছুক্ষণ আগে দেওয়া পোস্টটিতে পাবেন৷ আপনার সবগুলো অভিযোগের উত্তর দিতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে৷ তাই আমার পোস্টটি পড়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি৷

সমঅধিকার মানে মহিলারা বাচ্চা জন্ম দেয় বলে পুরুষদেরও দিতে হবে এমন নয়৷ আপনার বস আপনাকে হুকুম করে বলে আপনিও সমঅধিকারের বলে আপনার বসকে হুকুম করবেন তা নয়৷ আর নারী পুরুষের ক্ষেত্রে প্রকৃতি প্রদত্ত স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেটা প্রাকৃতিকভাবে তাদের চরিত্রে ফুটে ওঠে৷

নারীকে সন্তানদানের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান এবং সক্ষম পুরুষের উক্ত সময়ে নারীকে সার্বিক সহযোগিতা করার অর্থই হল সমঅধিকার৷ নারী মাতৃত্বকালীন সময়ে ঘরের ভিতর অবস্থান করে বলে পুরুষকেও ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে বাধ্য করা সমঅধিকার নয়৷ পুরুষ যা করবে নারীকেও তাই করতে বাধ্য করাটাও সমঅধিকার নয়৷

আপনি আমার পোস্টটি পড়ে দেখবেন আশাকরি৷

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: প্রবাসী ভাবুক ভাই, আপনার পোস্টটি আমি পড়েছি। আপনার সব কথার প্রতিউত্তর দিতে গেলে আমার ও অনেক সময় লাগবে। উপরে অনেক মন্তব্যে আমার অবস্থানটি পরিস্কার করেছি। তবুও আপনার বক্তব্য থেকে নিয়ে এটুকু না বললেই নয়; "নারী মাতৃত্বকালীন সময়ে ঘরের ভিতর অবস্থান করে বলে পুরুষকেও ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে বাধ্য করা সমঅধিকার নয়৷ পুরুষ যা করবে নারীকেও তাই করতে বাধ্য করাটাও সমঅধিকার নয়৷" - এ কথা আমিও জানি এবং বিশ্বাস করি। আমি বলতে চেয়েছিলাম নারীদের ক্ষমতা কিংবা গন্ডিকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। এটা নারীদের অবমাননা। নির্বাচন প্রতীক নিয়েই আমার আপত্তির জায়গাটা ছিলো। নারীদের অধস্তন ভাবার মানসিকতাকেই এখানে আমি ইঙ্গিত করতে চেয়েছি।'
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৯

ধমনী বলেছেন: গেমচেঞ্জার, শতদ্রু ভাই সুন্দর বলেছেন।

১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আমি তো মনে করি নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করা মানেই নারীদের খাটো মনে করা৷আর যে পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত সেখানে প্রতীকগুলোও নারীদের জন্য সংরক্ষিত হবে এটাই স্বাভাবিক৷ নারীরা বরং প্রতিবাদ করতে পারে আমাদের হেয় করার জন্য আলাদা আসন করা হবে কেন? পুরুষদের জন্য তো আলাদা কোন আসন নাই৷ সবার জন্য সমান পদ থাকাটাই তো সমঅধিকার৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.