নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমি জীবনের মাঝে বেঁচে থাকা এক অদৃশ্য \'জীবাত্না\'। যে জীবনের মাঝে খুঁজে ফিরি জীবনের প্রাণ। নির্জীব জীবনের চেয়ে প্রাণময় মুত্যুতেই আমার উচ্ছাস!\'

রাজিয়া সুলতানা

জীবন মানেই এক অমীমাংসিত সমীকরণ

রাজিয়া সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব গল্প গল্প নয়; তিন প্রহরের কাব্য - \'এক\'

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮


বৃষ্টির সোদাঁ গন্ধে বুদঁ হয়ে আছে অনিন্দিতা। আকাশের আধাঁরে অপূর্ণ ইচ্ছে গুলো খুঁজে বেড়ায়, যেগুলো লুকিয়ে রেখেছিল মেঘের পরতে পরতে। যত অপূর্ণ ইচ্ছে অনিন্দিতা'র - জমা আছে আকাশের বুকে। একাকী সময় গুলো তে মেঘেদের কাছ থেকে ইচ্ছে গুলো ধার নেয়। ওল্টে পাল্টে দেখে। আবার সযতনে ফেরত দেয়। কারণ, সে জানে সে আকাশ হোক কিংবা মেঘ - তার চেয়ে বিশাল আশ্রয় আর নেই ।



অনিন্দিতা যেদিন কিশোরের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলো সেদিন ছিলো ধুম বৃষ্টি। বর্ষার আকাশে থেমে থেমে গর্জন। অনিন্দিতার মনের ভেতরও কম গর্জন নয়। প্রতিটি প্রহর পলে পলে যার সান্নিধ্যে বেড়ে উঠেছে, সেই মা, মায়ের অষ্টপ্রহর বকুনি সব কিছুকে ছেড়েছুড়ে নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্য ঘর ছেড়েছিলো সে।

অনিন্দিতা প্রেমে পড়েছিলো কিশোরের আওলা ঝাওলা চুলের, বাউণ্ডুলে জীবনের। আর ও অনেক কিছু হয়ত।

প্রেমে পড়ার জন্য কারণ লাগে না।

অনিন্দিতা কিশোরের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলো ঠিকই, কিন্তু সীমানা পেরোতে পারে নি। তার পয়সা অলা বাবার দাপটের সীমানা। রক্ত চক্ষু ভাই এর গর্জনের সীমানা। যাদের দাপট আর গর্জন তাকে মাধ্যমিক এর চৌকাঠ পর্যন্ত যেতে দেয় নি, সেই দাপটই তাকে জীবনের সীমানা পেরোতে দেয় নি শেষ পর্যন্ত। কিশোরের হাত ধরে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া অনিন্দিতার কাছে জীবনের সীমানাই বটে।

পয়সা অলা বাবা আর রক্ত চক্ষু ভাই এর অযাচিত অভিভাবকত্বে অনিন্দিতার পৃথিবী ছিল চার দেয়াল। আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন মাখা দুঃখ গুলো ভাগাভাগি করতে পারতো হয়তো, কিন্তু আকাশের নিচে বাঁধনহারা ছুটোছুটি কিংবা এলোচুলে স্বপ্ন খেলা মেঘের পরতে লুকিয়ে রাখা ইচ্ছে খাতায় ঠাঁই পেতো।

তাই কিশোরের হাত ধরে ঘর ছাড়া যতটা না স্বপ্ন খেলার সাথে মিতালি, তার চেয়ে বেশি ছিলো খাচাঁ ভেঙে বেরিয়ে আসা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি টুকু পর্যন্ত পেরোতে পারে নি যে, তার চিন্তায় জীবনের কঠিন অলি গলি আর কতটুকু ই বা গভীর হবে! সেই বোধ পর্যাপ্ত পরিমাণে গভীরতা পাক আর বা পাক জীবনবোধের ডাকে সাড়া দিয়েছিলো সে।

পথ কিভাবে ফুরোবে জানেনা অনিন্দিতা, তবে এটা জানতো ঐ আওলা ঝাওলা লম্বা চুল কিংবা ঠোঁটের কোণের এক টুকরো হাসি ; ওই দেখে দেখেই জীবন কাটিয়ে দেয়া যাবে। । জীবন আর কতটুক। আর কিছু তার নিজের হোক বা না হোক, আর কিছু থাক বা না থাক, ওই হাসি টুকু তো তার।

শেষ পর্যন্ত অনিন্দিতার নিরুদ্দেশ যাত্রা আর নিরুদ্দেশ থাকে নি। আবার ফিরে আসতে হয়েছিল বন্দি খাচাঁ চার দেয়ালে। এর পরের গল্প খুব সাদামাটা। যেভাবে সংসার পাতে সবাই। । যে গল্প লেখা হয় সমাজ নামক আজগুবি যন্ত্র আর অভিভাবকত্বের দাপুটে কালিতে।

অনিন্দিতা সুখে আছে কিনা জানি না। তবে এটুকু জানি সে এখনও অপেক্ষা করে কোনো এক রাজপুত্রের। যে তাকেঁ স্বপ্ন দেখিয়েছিল মাতাল হাওয়ার। যার কাছে জীবনের অথৈ গহীনে আলো খুজেঁ পেয়েছিলো বাচাঁর, যে খুব সাদামাটা কিছু শব্দের রিনিঝিনিতে বুঝিয়েছিলো জীবনের অর্থ। অনিন্দিতা এখনো অপেক্ষায় থাকে কোনো একদিন পংখীরাজে চড়ে আসবে রাজপুত্তুর। হাতের দু'জোড়া কাকঁন খুলে দিয়ে বলবে চল হারিয়ে যাই.... আকাশভরা জোস্না দেখি, বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে স্বপ্ন খেলা পাতি, মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলি কিংবা পাহাড়ের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ভেঙে ফেলি সীমানা প্রাচীর। বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে গাঙ্গে ঢেউয়ের সাথে আমরাও নেচে ওঠি রিনিঝিনি রিনিঝিনি।

জানি এখনো সে অপেক্ষা করে কোনো এক রাজপুত্রের।।


মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লিখনি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

সুমন কর বলেছেন: অন্য রকম লেখা। ভালো লাগল।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

blackant বলেছেন: অনিন্দিতা ,অনিন্দিতা ,অনিন্দিতা.............
I'm coming soon .........

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: You are coming!!! But where?????

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

blackant বলেছেন: TO catch অনিন্দিতা 's alone hand . I'm looking for A alone hand cause I'M also alone YET.

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: okay! Part "2" will be changed to that dimension. will be started through changing this line "জানি এখনো সে অপেক্ষা করে কোনো এক রাজপুত্রের"।।

But do you know, these are the story of those what already happened, Not to be happened!!

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: জানি এখনো সে অপেক্ষা করে কোনো এক
রাজপুত্রের।।

আমিও অপেক্ষা করি রাজকন্যাটির জন্যে :)
দারুণ লেখা।হৃদয়স্পর্শী...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: সবকিছু নিয়ে আপনার এত অপেক্ষা কেন বলুন তো! আমাদের আশেপাশে সবাই রাজকন্যা। রাজকন্যাদের জীবনগাঁথাই এখানে উঠে আসছে। সামনে তুলে আনার পরিকল্পনা। সাথে থাকবেন। আপনার প্রতীক্ষা আরো বাড়তে পারে। :-)

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: ভাল লাগল।

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: হাহা।ঔইটা আপনার লেখার শেষ কথা ছিল।সহমত :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: হুঁ, জানি। হা হা হা। :)

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

blackant বলেছেন: EXCUSE ME miss SULTANA RAJIA why have YOU changed u'r PROFILE PICTURE? Do you fell risk THAT someone will fall in ur eye's cave?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: নাহ্। এসব ভাবলে ব্লগে আসতাম না। আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো এই ধরণের একটা প্রোফাইল পিকচার দিবো। হাতে ছিলো না। তাই কাজ চালিয়েছি। হাতে এসেছে চেইঞ্জ করেছি।

আচ্ছা বলেন তো, আপনার হঠাৎ এমন মনে হলো কেন?

৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: আলাদা ধরণের লেখা। খুব ভাল লাগল।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার লিখার সাথে প্রথম পরিচিত হলাম ।
আপনার লিখার হাত ভালো ।
চালিয়ে যান অবিরাম ।
শুভ কামনা ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: প্রথম পরিচয়ে প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। :) বলছেন যখন চালিয়ে যাই =p~
তবে ব্লগটি অনেক আগের হলেও সত্যিকার অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে মাসখানেক থেকে।
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ওহ !
আরেকটা কথা !
চমৎকার একটি পেইন্টিং ব্যবহার করেছেন ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: পেইন্টিং টা ইন্টারনেট থেকে নেয়া। জানি না 'সূত্র' উল্লেখ করার দরকার ছিলো কিনা। ধন্যবাদ।

১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১

তুষার কাব্য বলেছেন: বেশ লাগলো গল্প । শুভেচ্ছা ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও শুভেচ্ছা। :)

১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

blackant বলেছেন: পুর্বের ছবিটা আমার কাছে ভাল লেগেছিল তাই । একেক জনের পছন্দ ভিন্ন কিনা !

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: হুমম, তাহলে তো আপনার ধারণা অনুযায়ী রিস্ক মনে করলে দোষের ছিল না! :-) :-)

১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চল হারিয়ে যাই.... আকাশভরা জোস্না দেখি, বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে স্বপ্ন খেলা পাতি, মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলি কিংবা পাহাড়ের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ভেঙে ফেলি সীমানা প্রাচীর। বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে গাঙ্গে ঢেউয়ের সাথে আমরাও নেচে ওঠি রিনিঝিনি রিনিঝিনি।

..........অসাধারণ কথামালা, এমন ভাবে হারিয়ে যেতে কার না মন চায়?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ 'সাদা মনের মানুষ' সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালোলাগা লাইনগুলো কোট করার জন্য। হুম, কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা.....মনে .....মনে!

১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: এটা কি ফুলেল শুভেচ্ছা!

১৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই লিখসেন। +

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রথম + ।

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

রুহুল গনি জ্যোতি বলেছেন: দারুন লিখেছেন। পড়ে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পুরোন লেখা পড়ার জন্য। আপনার মন্তব্যে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বাস্তব জীবনের বীজ বোনা আছে প্রতিটি লাইনে। গদ্যের ঢঙে পদ্যময়তা বেশ ঝকঝকে লাগলো। +++

কিছু খাঁচা আছে যা ভাঙতে রাজপুত্রের অপেক্ষা খাঁচাকে স্থায়ী করে দেয়। শেষমেশ রাজপুত্র নিজেই ভেঙে পড়ে বাস্তবতার কাছে। তাই অনিন্দিতাদের শেকল ভাঙানিয়া হয়ে ওঠা উচিত।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: হুম, বাস্তব জীবনেরই গল্প। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শেষমেশ খাঁচা, শেকল ভাঙ্গা---- ভালোই লাগলো। সত্যিকার অর্থেই অনিন্দিতাদের শেকল ভাঙ্গানিয়া হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.