নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমি জীবনের মাঝে বেঁচে থাকা এক অদৃশ্য \'জীবাত্না\'। যে জীবনের মাঝে খুঁজে ফিরি জীবনের প্রাণ। নির্জীব জীবনের চেয়ে প্রাণময় মুত্যুতেই আমার উচ্ছাস!\'

রাজিয়া সুলতানা

জীবন মানেই এক অমীমাংসিত সমীকরণ

রাজিয়া সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: \'ভালোলাগা\' এক পরজীবী কষ্টের নাম! ## ২য় পর্ব

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪



#(তিন)#


'আমার খুব হাটঁতে ইচ্ছে করছে। অনেক দূর পথ! রাতের আধাঁরের বুনো নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে অসমাপ্ত সময় পর্যন্ত। '
'এত রাতে? আপনি কি পাগল?'
'সত্যি বলছি! হয়ত বা পাগলামী। কিন্তু, সত্যি। মানুষের কি মাঝেমাঝে এমন পাগলামী করতে ইচ্ছে করে না? আপনার কখনো ইচ্ছে করেনি? করে না কখনো?'
'ওগুলো তে জেনারেলাইজড কথা। মানুষের কতকিছু করতে ইচ্ছে করতে পারে! তবে সব ইচ্ছের পেছনে কারণ থাকে। কারণ ছাড়া কোনোকিছু হয়না। পাগলামীর ও কারণ থাকে। কেউ সত্যি সত্যি পাগল বলে পাগলামী করে। কেউ কষ্টে, কেউ আনন্দে, কেউ কোনো কিছু করার না থাকলে দিশেহারা হয়ে। তবে আমি পাগলামী বলে কিছুকে বিশ্বাস করতে রাজী নই। সবকিছুরই উদ্দেশ্য থাকে। আর যেটার পেছনে উদ্দেশ্য থাকে সেটা কি পাগলামী হতে পারে? ' নীরা একটানে বলে যাচ্ছিল কথাগুলো।

সত্যিই সেদিন আমার হাটঁতে ইচ্ছে করছিলো। একাকী নির্জনতায়। নীরার হাতে হাত রেখে। কথাটা কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না। তাই ভণিতা করিনি। বুঝতে পারছিলাম না ঐ মধ্য রাতে একটা মেয়েকে এভাবে কথাটা বলার প্রতিউত্তর কি হতে পারে। যার সাথে হৃদয়ের কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই, কেবল পারিবারিক ঘনিষ্ঠতাই যে সম্পর্কের ভিত্তি। মনের মধ্যে একরকম দ্বিধা নিয়েই শুরু করলাম। তবে শুরুটা ওভাবে ছিলো না। অনেকটা অস্বস্তি নিয়ে শুরু করেছিলাম। ওপাশে ছিলো অবাক হওয়া কণ্ঠ। কিছুটা বিস্ময় এবং ভদ্রতায় জড়ানো অতি ফরমাল কথামালা। অস্বস্তির রেশটা কাটতেই ইচ্ছের কথাটা তুলেছিলাম। এপাশ থেকেই বুঝতে পারছিলাম ওপাশে নীরার বিস্ময়াবনত কন্ঠে অনেকগুলো প্রশ্নবোধক চিহ্ন।

'আজ কি আকাশে চাঁদ উঠেছে? আপনার জানালা দিয়ে কি আকাশ দেখা যায়? আকাশে চাঁদ থাকুক আর না থাকুক, আমি হাঁটবো। আপনাকে সাথে নিয়ে। চলুন না হাঁটি! প্লীজ! অনেক ইচ্ছে করছে।'

সকল দ্বিধা, সংকোচ কাটিয়ে এত রাতে ফোনটা যেহেতু দিয়েই ফেললাম ইচ্ছের কথাটা বলতে দ্বিধা করিনি। এ কেবল ইচ্ছের কথা বলা নয়। ভালোলাগার প্রথম প্রকাশ। জানিনা এমন উদ্ভট কথা দিয়ে কেউ প্রথম ভালোলাগার প্রকাশ ঘটানোর উদ্ভট চিন্তা কখনো করেছে কিনা। আমার মত উদ্ভট মানুষের পক্ষেই তা সম্ভব।

ফোনের ওপাশে স্তব্ধতা।
'হ্যালো! শুনতে পাচ্ছেন?
'হ্যাঁ পাচ্ছি। বলেন।' বেশ খানিকক্ষণ পরে নীরার শান্ত উত্তর।
'আমি কিন্তু বলেছি হাটঁবো।'
'হ্যাঁ, বলেছেন তো। আমারও এভাবে অনেক রাতে নিশুতি নির্জনতায় মাঝে মাঝে হাঁটতে ইচ্ছে করে। এটা হতেই পারে।'
নীরা সাবলীলভাবে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছে। বুঝতে পারছি ও কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছে। কিন্তু এটা বুঝতে না দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে নেয়ার চেষ্টা করছে।

নীরার সাথে এভাবে এত কাছাকাছি টাইপের কথা বলার মত কোনো সম্পর্ক আমাদের মাঝে নেই। তাই সে হয়ত ধরে নিয়েছে কোথাও কোনো গড়বড় আছে। আমি কোনোভাবে ডিস্টার্বড। অথবা অন্য কোনো সমস্যা আছে। হয়ত বোঝার চেষ্টা করছে সেটা কি। আমাদের সম্পর্কের মধ্যে পরষ্পরের প্রতি সম্মানের একটা জায়গা আছে। সেখানটায় সে আঘাত করতে চাচ্ছেনা। তাই এতটা ভদ্র, শান্ত স্বরে কথা বলছে। না হয় নীরা যে ধরণের মেয়ে এই রাতদুপুরে এইসব উদ্ভট কথার জবাবে এতটা শান্ত থাকার কথা নয়। আমার স্থানে অন্য কেউ হলে হয়ত সেটা হতোনা। যা-ই হোক আমাদের সম্পর্কের সম্মানের জায়গাটা আমার জন্য বেশ কাজ দিয়ে দিলো। আমি ও সম্পর্কের মাত্রাটাকে সঠিকভাবেই কাজে লাগালাম।

'তাহলে আমার আর হাঁটা হলোনা আপনার সাথে। আমার ইচ্ছেটা অপূর্ণ রয়ে গেলো। '

'সবসময় সব ইচ্ছে পূরণ হতে হয়না । ইন ফ্যাক্ট, সব ইচ্ছে সবসময় পূরণ হয় ও না। এটাই জীবন। জীবনের স্বাভাবিকতা। আপনি খোঁজ
নিয়ে দেখবেন ইচ্ছে পূরণ না হওয়ার গল্প নেই এমন মানুষ একটিও পাবেন না।'

'হুম! তবে আমার মত দুখী মানুষ কিংবা পোড় খাওয়া মানুষের গল্পগুলো একটু অন্যরকম হয় আর কি! বলতে পারেন 'কষ্টভোলার গল্প'।'

'হাহাহাহাহা! খুব সুন্দর বললেন তো! 'কষ্টভোলার গল্প'!!"

অনেকক্ষণ পর নীরার চিরচেনা হাসি। ওর হাসি'টা আমার জন্য খুব প্রত্যাশিত একটা কিছু। নাহ্, ওর হাসিতে কোনো মাদকতা নেই। হাসলে নীরাকে পরীর মত লাগে এরকম কিছু ও নয়। ঐ হাসিতে অন্যরকম একটা শক্তি আছে। নীরা হাসলে মনে হয় চারপাশের সবকিছু হাসছে। ও যখন হাসে না তখন চারপাশের সবকিছু স্তব্ধ হয়ে থাকে। ও সবকিছুকে হাসাতে পারে।

নীরার সাথে কথা বলছি প্রায় মিনিট বিশেক হয়ে চলল। তার সাথেই কেন হাঁটতে ইচ্ছে করছে, সে-ই কেন এত রাতে হঠাৎ আমার গল্প করার মানুষ হয়ে গেলো এধরণের কোনো প্রশ্নই নীরা করছে না। খুব কৌশলে কথোপকথনের গভীরতাকে সে এড়িয়ে যেতে চাইছে। এটা একদিকে ভালো। কারণ, এর অর্থ হচ্ছে এত রাতে তাকে ফোন দেয়ার উদ্দেশ্য এবং আমার ভেতরের ভালোলাগার অনুভূতিটা সে কিছুটা বুঝতে পেরেছে। তাই মূল প্রসঙ্গ থেকে পালানোর চেষ্টা। ও এতটুকু বুঝলেই হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু এখন আমার চাওয়া নেই।

হঠাৎ বাইরে ঝুমঝুম শব্দ। জানালার পর্দাটা সরিয়ে বাইরে তাকালাম। আচমকা একটা শীতল হাওয়া এসে পুরো শরীর কাঁপিয়ে দিলো। এই শীতের বিকেলে বৃষ্টি! বেশ লাগছে। কিন্তু, এই ভালোলাগাটার চেয়ে এতক্ষণের স্মৃতি রোমন্থন ঢেঁর ভালো ছিলো। ওটা ছিলো আমাদের কাছাকাছি আসার প্রথম কথোপকথন। স্মৃতির পাতায় নীরাকে দেখতে ভালোই লাগছিলো। কতদিন নীরাকে এভাবে অনুভব করা হয়ে উঠে নি!

অনুভব গুলো কি এভাবে বুড়িয়ে যায়! সেদিনের সেই অনুভূতি কেমন প্রখর ছিলো! এমন হালকা কথোপকথনে ও কতটা প্রখর অনুভূতি ছিলো। কতটা ভালোলাগা! কতটা আবিষ্টতা! 'সেদিন' আর 'আজকের' অনুভবের পার্থক্যটা আমার নিজের কাছেই যেখানে এতটা প্রখর হয়ে উঠেছে, নীরার কাছে তো অবশ্যই। যার জীবনবোধ এতটা প্রখর। যে মুখ দেখেই জেনে যায় অনুভবের গভীরতা। যার কাছে স্পর্শহীন অনুভব স্পর্শের চেয়েও মূর্ত হয়ে উঠে কোনো কোনো সময়। তার কাছে তো অবশ্যই.....!

নীরার অভিমানী মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। ওই অভিমানী চোখে আমার বদলে যাওয়া চেহারাটা দেখতে পাচ্ছি স্পষ্ট।।



# (চার) #



গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুর গড়িয়ে বিকেলের গায়ে হেলে পড়েছে। আমরা হাটঁছিলাম ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে। অনতিদূরে শান্ত দেহে বয়ে চলেছে নদী। চারপাশ প্রায় ফাঁকা। মানুষজনের তেমন একটা আনাগোনা নেই। গ্রীষ্মের দাপদাহে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে সকলে হয়ত ভাতনিদ্রায় মগ্ন। ক'দিন ধরে নীরার অনুপস্থিতি আমাকে খুব জালাচ্ছিল। ও জরুরি কাজে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলো। এ কয়দিন ওকে দেখার কোনো সুযোগ ছিল না। নীরাকে ছাড়া অলস সময়গুলো কেমন যেন থমকে ছিলো। আমার এমনিতে খুব ব্যস্ত সময় কাটে। এ ক'দিনও ব্যস্ততার কমতি ছিলো না। কিন্তু নীরাকে ছাড়া ব্যস্ত সময়গুলো ও কেমন যেন অলস হয়ে উঠে।

গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরেই নীরা ফোন দেয়। বুঝতে পেরেছি সেও হয়ত আমাকে অনুভব করেছে আমিহীন সময়গুলোতে। তবে ওর অনুভবের তীব্রতা আমার অস্থিরতাকে নিশ্চয়ই ছেড়ে যায়নি। সেই প্রথম কথোপকথনের পর বেশ অনেকগুলো দিন কেটে গেছে। এখন আমরা অনেকটা কাছাকাছি। মানে হৃদয়ের কাছাকাছি। 'কাছাকাছি' শব্দটা আমার বেলায় যেভাবে জোর দিয়ে বলতে পারি নীরার ক্ষেত্রে পারি না। কারণ, ও কেবল আমার অনুভূতির কথাগুলো জানতে শুরু করেছে মাত্র। যতখানি অনুভব সে জেনেছে, তার কতটুকু বিশ্বাসে নিয়েছে জানিনা। খুব বেশি নয় অবশ্যই। ওর কাছে সবকিছুর পেছনে কারণ লাগে, যুক্তি লাগে, যথাযথ ভিত্তি লাগে। নীরা একসাথে অসম্ভব কঠিন, প্রচন্ড বাস্তববাদী কিন্তু প্রখর জীবনবোধে তাড়িত একটা মেয়ে। তাই আদতে ওর অনেক কাছাকাছি গেলেও কার্যত খুব কাছাকাছি নিজেকে নিতে পেরেছি বলে মনে হয়না। আমরা একই এলাকায় থাকি। মানে একই আবাসিকে। একই গলিতে দুটো বিল্ডিং পেরিয়েই ওর বাসা। দু'জনের অদেখা সময়ের কষ্টগুলোকে ভাগাভাগি করতে সময়ক্ষেপন না করে দুজনে বেরিয়ে পড়লাম। ইট পাথুরে আবহকে মুছে ফেলতে গাড়িতে দু'ঘন্টার রাস্তা পেরোতে হলো।

'আচ্ছা তুমি এমন মন খারাপ করে আছ কেন বল তো! তোমাকে এমন দেখতে ভাল্লাগেনা।'

'নাহ্! আমি একদম ঠিক আছি।'

'মোটে ও না। ওই যে কপালের ভাঁজ দুইটা ... ওটা বলে দিচ্ছে তুমি ভালো নেই। কোনো কারণে তোমার মন খারাপ। তুমি ওই দুইটা রেখার মধ্যে নিজেকে আড়াল করতে চাইছ। নিজেকে লুকোনো কি অত সহজ!'

'তোমার এমন মনে হয় কেন বল তো! মানুষ তো মাঝে মাঝে একটু চুপচাপ থাকতেই পারে, তাই না? চুপচাপ থাকা মানেই কি মন খারাপ?' আমার চুপচাপ থাকা, মন খারাপের মুহুর্ত সব কেমন করে যেন ও ঠিক ঠিক পড়ে নেয়।

'সেটা কখনোই নয়। চুপচাপ অবশ্যই থাকতে পারে। কিন্তু তোমার এই নীরবতার অর্থ আমি বুঝি। এটা আমাকে অন্য কিছু বলে দেয়। তুমি তোমার চারপাশে তাকিয়ে দেখ তোমার চেয়ে কত বেশি রকমের দুঃখে আছে কত মানুষ। কত মানুষ কত অপূর্ণতা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তুমি কত মানুষের চেয়ে ভালো আছ। তবুও ইদানিং তুমি এমন মন খারাপ করে থাকো কেন? জানিনা কিসের এমন কষ্ট তোমার। সব কষ্ট গুলোকে ছুটি দিয়ে দিতে পারোনা? দাওনা ছুটি সব কষ্টগুলোকে! তুড়ি মেরে ঐ আকাশে মেঘের বাড়িতে পাঠিয়ে দাও।' বলে নীরা চিরচেনা রূপে হেসে উঠলো।

নীরার দিকে তাকিয়ে আমি ছোটো করে হাসলাম। ও যেন আমাকে কাউন্সেলিং দিচ্ছে। 'অথচ তুমি কি জানো না তোমার জন্যই এইক'দিন এভাবে অস্থির হয়ে আছি ! তোমার অনুপস্থিতি আমাকে কতটা পীড়া দেয় তা কি তুমি বোঝনা?' মনে মনে বিড়বিড় করলেও নীরাকে বলতে ইচ্ছে হলো না। ও বিশ্বাস করবে না।

আমার মন খারাপের মেঘ আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করলো। সব ক'টি অস্থির দিন পেরিয়ে নীরা আমার পাশে আছে এতেই অব্যক্ত এক ভালোলাগা আমাকে ছেঁয়ে আছে। ও বুঝুক আর না বুঝুক, বিশ্বাস করুক আর না করুক তাতে আমার কি যায় আসে! এই ভালোলাগা তো একান্ত আমার। এই ভালোলাগা নিয়ে কোনো কবি কবিতা লিখবে, এ রকম হাজারো বিকেল প্রতিদিন আমার হবে, কিংবা ও কথা বিশ্বাসে নিয়ে নীরার চোখে দু ফোঁটা অশ্রু টুপটাপ করে ঝরে পড়বে এগুলোর কোনোটাই আমার চাওয়া নয়। নীরার পাশে থাকাটাই তো শুধু চাই।

নীরার পাশে থাকা আমার কাছে এতটা অর্থবহ ছিলো ওইসময়। মন চাইতো ওর পাশাপাশি থাকা সময়গুলো যেন থমকে থাকুক। আমি আরো কিছুক্ষণ ওই ভালোলাগাটুকু অনুভব করি। আমার মত করে।

বোধহয় ওটাকেই প্রেমে পড়া বলে। আমি ওর প্রেমে পড়াটা এভাবেই উপলদ্ধি করছিলাম প্রতিটি প্রহরে, পলে পলে, অসহ্য অস্থিরতায়।


(চলবে)

ছবি : ইন্টারনেট

(গল্প: 'ভালোলাগা' এক পরজীবী কষ্টের নাম! প্রথম পর্বের লিংক: )

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫

জনম দাসী বলেছেন: ভাল লাগা, পুরো টা এখনও শেষ করতে পারিনি, রাতে পড়বো ...

ভালো থাকুন বোন রাজিয়া সব সময়।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত। আপনার মন্তব্যে বুঝতে পেরেছি লিখাটা বেশ বড় হয়ে গেছে। তাই আপনার কাছে ফিরে আসার আগেই শেষ অংশ সরিয়ে নিয়েছি এডিট করে। বড় লেখা পড়ার সময়, সুযোগ, ধৈর্য আসলেই সবার সবসময় হয়ে উঠ না। চলমান যেহেতু পরবর্তী পর্বে নিয়ে আসা যাবে।

মন্তব্য এবং পড়বার আগ্রহের জন্য একরাশ কৃতজ্ঞতা। আপনি ও সবসময় ভালো থাকুন। আপনার লেখাগুলো সুযোগ হলেই পড়ে নেই। ভালো লাগে।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

সাইফুল তুহিন বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে।
শুভ কামনা

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুল তুহিন। পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকুন।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ । ভাল্লাগছে ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

চেষ্টা করছি মনস্তাত্তিক বিষয়টাকেই তুলে আনবার। আমরা তো খালি চোখে অনেক কিছু দেখি। মনের খোঁজ ক'জনে পাই! মনকে পড়তে পাড়াটাই হচ্ছে চলার পথের প্রধান বিষয়।
ভালো থাকুন।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

নেক্সাস বলেছেন: ভাল লেগেছে গল্প। একটু বেশী বড় হয়ে গেছে। আরেকটু চোট চোট করে দিলে ভাল হয়

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস। আপনাদের ভালো লাগায় এগিয়ে যায় গল্পের গল্প! =p~ অর্থাৎ উৎসাহ বোধ করি।

এতটুকুতেই বড় হয়ে গেছে??!! অথচ প্রথম পোষ্টটি ছিলো আরো বড়। জনম দাসী'র মন্তব্যে লেজ কেটে নিলাম। তাহলে তো হত ইয়য়য়য়া বড়। :( :(
এখন থেকে আরো যত্নবান হবো। চেষ্টা করবো ছোট রাখার।
ভালো থাকুন।।।।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালোলাগার শুরুটা সবসময়ই ভালো লাগে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা মম্ময় আপনার মন্তব্যের জন্য।
একরাশ শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন সবসময়। !:#P

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার যেমন করে লিখতে ভাল লাগে আপনার লেখায় সেটা পেয়ে অবাক হয়ে গেলাম। নীরার বিপরীতে ফার্স্ট পারসন হিসেবে যাকে পাচ্ছি তার সাথে নিজের অনেক মিলও আবিস্কার করে ফেললাম।
গল্পের বর্ণনা অনেক ভাল। চালিয়ে যান।

মনের গহীন থেকে উঠে আসা ভালবাসারা এইরকমই হবে খুব সম্ভবত।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: বহুতদিন পর উঁকি দিলো মনে হয় গেম চেঞ্জার ভাইয়া! তাই তো চিন্তা করি গেইম চেঞ্জ হয়না ক্যান!
..........."আমার যেমন করে লিখতে ভাল লাগে আপনার লেখায় সেটা পেয়ে অবাক হয়ে গেলাম।" ......- আপনার ব্যস্ততার ফিরিস্তি শুনতে শুনতে ভাবলাম একটু প্রক্সি দিয়া দেই। ;) ;) ;) এইজন্যই আমার লেখায় সেইটা পাইয়া গেছেন।

ইসস্! বিখ্যাত মানুষের প্রক্সি অখ্যাত মানুষ দিয়া অয়?? একটু ভাব নিলাম আর কি!

ফার্স্ট পারসনের মিল নিয়া খুব আপ্লুত হইয়েন না। কারণ, ফার্সট পারসনের অন্য রূপ নিয়েই হাজির হচ্ছি সামনের পর্বগুলোতে।

একদম ঠিক ধরেছেন ভাইয়া...মনের গহীন থেকে উঠে আসা ভালবাসারা এইরকমই হয়।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে।
শুভ কামনা জানবেন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক। আপনাদের ভালোলাগায় উৎসাহিত বোধ করি।

প্রতিউত্তর দেয়া হয়নাই -এখন লক্ষ্য করলাম। ভালো থাকবেন। আপনার জন্য ও একরাশ শুভ কামনা। !:#P

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জোক অব দ্য সিজন। আমি নাকি বিঃখ্যাত মানুষ। হাঃ হাঃ হাঃ :P

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: বিখ্যাত মানুষরাই এমন হাঃ হাঃ হাঃ করে হাসে ;) ;) ;)

ঠিক কইলাম না ভাইয়্যে!!! B:-/ B:-/ B:-/

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: :|| :|

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৩

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: :P :#)

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: স্মৃতিরোমন্থনের অংশটুকুতে নীরার বিপরীতে চরিত্রটা দুর্বল মনে হচ্ছিল। কারণ জানতে চাইলে বলতে পারবো না। মনে হলো আর কি? তবে নিজেকে ঐ জায়গায় বসিয়ে দেখলাম।। আমি হলে ঐভাবে হাঁটার কথা বলতাম না। আর যদিও মধ্যরাতে হাঁটার কথা বলতাম তবে তার কারণ হতো বিভ্রান্ত করা। আর তাছাড়া শুরুর কথাগুলো একটি বেশি আহ্লাদী আহ্লাদী হয়ে গেছে। ফর এক্সাম্পল মানুষের কি মাঝেমাঝে এমন পাগলামী করতে ইচ্ছে করে না?

গল্পকারের উচিত চরিত্রগুলি এমনভাবে তৈরি করা যাতে পাঠক নিজেকে সেখানে ভেবে শিহরিত হয়। গল্পে নীরার চরিত্রে আপনি সফল।
যেমন
নীরা হাসলে মনে হয় চারপাশের সবকিছু হাসছে। ও যখন হাসে না তখন চারপাশের সবকিছু স্তব্ধ হয়ে থাকে। ও সবকিছুকে হাসাতে পারে।

আমি মনে করি অধিকাংশ পাঠিকাই এমন হাসি হাসতে চাইবে। :) এইটাই আমার কাছে গল্পের স্বার্থকতা। যদিও গল্প লিখি কম বুঝি কম। ভালো থাকবেন।

নেক্সট

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: প্রেমটাই তো হচ্ছে একটা আহ্লাদ, দিশেহারা রাজপুত্র! আহ্লাদ ছাড়া কি প্রেম হয়!!!
বোঝা যাচ্ছে দিশেহারা রাজপুত্র এখনো সেভাবে দিশেহারায়নি। হারালে অত রাতে হাঁটার কথায় দুর্বল মনে হতো না। আগে দিশেহারাইয়া আসেন, দেখবেন মন্তব্য পাল্টে যাবে। পুন:মন্তব্যের জন্য ব্লগটি খোলা রইল। :#) :P

ভালোই তো বোঝেন গল্প। কম বলছেন কেন? আপনার বিশ্লষণাত্নক মন্তব্য সংশোধনের একটা জায়গা করে দিলো। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!!!

আমি তেমন কোনো গল্পকার নই। ভাবনার জায়গাটা একত্র করি মাত্র।

ভালো থাকুন। ও আচ্ছা, বেশ অনেকদিন পর এই ব্লগবাড়িতে পা পড়লো মনে হয়!

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পুনঃমন্তব্যের জন্য ব্লগ খোলা না থাকলে দরজায় নক করা হবে। যতক্ষণ না খোলা হয়।

আপনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সম্পর্কটা খুব গভীর নয় বরং সম্মানের একটা জায়গা আছে দুজনের জন্যেই। তাই অমন মনে হয়েছে আমার। বাস্ তাই বললাম।

দিশে হারানিয়া কাহিনী অন্যদিন হবে। :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: হুঁ, যখনকার কথা ভাবা হচ্ছে তখন জায়গাটা সম্মানের ছিলো (অর্থাৎ স্মৃতি রোমন্থনের সময়টাতে)। প্রেম তো হবে পরে। সময় দেন না ভাই!

শুরুর পর্বটা মিস করেছেন মনে হয়। শুরু তো হয়েছিলো প্রেমের আবহ দিয়ে।
তবে, টানা গল্প এই প্রথম হওয়াতে হয়ত স্পষ্ট করতে পারিনি।

'দিশে হারানিয়া কাহিনী' হবেই হবে! অপেক্ষায় থাকলো সামু'র সকল ব্লগার রা। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.