নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এক বোকা লোক কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল, তাকে জিজ্ঞেস করা হল, প্রশ্নটা কী ছিল। যে বললো, প্রশ্ন ছিল গরুর পা কয়টি, আর সে উত্তর করেছিল ৫ টি। বাকি প্রতিযোগীরা কেউ উত্তর দিয়েছিল ৬ টি, কেউ ৭ টি, তার টা কাছাকাছি হওয়াতে তাকেই চ্যাম্পিয়ন করা হল। যেমন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, এর থেকে আর ভালো আর কী আশা করেন আপনি?
আমার ধারনা,ওখানে ১৩ জন ছাত্রদের মধ্যে যারা যে প্রশ্ন পারেনি,সেটাই প্রচার করেছে।যারা পেরেছে,তাদেরটা প্রচার করেনি। জিপিএ ৫ এর জন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ দিবেন না। অপারেশন সার্চ লাইটের উত্তরটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। উত্তর যাই হোক বু্দ্ধি খাটাইছে।
সুস্থ নীতিমালা এই ধরনের ভিডিও আলাউ করতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করতে হবে, এটা ঠিক আছে , তাই বলে এভাবে- মানুষের জীবন বিপন্ন করে? শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ, কিন্তু এর দায়ভার তো নিশ্চয়ই তাদের না। যাদের চেহারা দেখালেন তাদেরকে ডেকে দীর্ঘমেয়াদি ওরিয়েন্টেশানের মাধ্যমে ‘জিনিয়াস’ করে তুলুন এবং আগামীতে বিজয় বা স্বাধীনতা দিবসে মাছরাঙাতেই তাদের তুলে ধরুন নতুন রুপে ভিন্ন আঙ্গিকে।
দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার দিন দিন যে কতটা অবনতি হচ্ছে সেটা সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর জন্য অন্তত এমন একটা ভিডিওর দরকার ছিল! আসলে গুছিয়ে কিছু লিখতে পারছি না। গুলিয়ে যাচ্ছে সবকিছু। দুঃখ আর বেদনায় লীন হয়ে যাচ্ছি।
স্মার্টফোন হাতে পেয়ে অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে কিন্তু জ্ঞানী হয়নি। তারা খুব সহজে আপ্লোড, ডাউনলোডের ব্যাপারগুলো বোঝে কিন্ত তাদের কাছে পিথাগোরাসের উপপাদ্য যেমন জটিল ছিল তেমন জটিলই রয়ে গেছে। তাদের কাছ থেকে যদি স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং সমস্ত টেকনলজি থেকে দূরে সরিয়ে আমাজন জঙ্গলে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে মনে হয়না তারা বানরের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্বার পরিচয় দেবে। অনেকের কাছ থেকে স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়াটা যেন কোমায় যাওয়া রোগির শরীর থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার মত। আর্কিমিডিস বা পিথাগোরাসের সময় পৃথিবীটা ছিল অনুন্নত এবং বোকা, মানুষগুলো ছিল বুদ্ধিমান। এখন ইন্টারনেটের যুগে যা বেড়েছে তা হল কালেকশান অব ইনফরমেশান। এভাবে তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে পৃথিবিটা হয়ে গেছে মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান। মানুষগুলো এখন টেকনলোজির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের সাগরে নিমজ্জিত আপাত স্মার্ট অথচ বোকা প্রানী। যখন ডাটা অনেক বেশি তখন প্রসেসর বেশি ইন্টেলিজেন্ট না হলেও চলে। স্মার্টফোন ছাড়া একজন মানুষ যেন এখন অসম্পুর্ন।
একবার এক ছাত্রকে পড়া জিজ্ঞেস করা হলে সে পারলো না। শিক্ষক বললেন. ''গাধা, তোদের বয়সে আমরা এগুলো সব পারতাম!'' ছাত্র উত্তর করলো, ''পারবেনই তো, আপনাদের তো ভালো ভালো শিক্ষকরা পড়াত!''
I am GPA 5 নিয়ে হাসাহাসি করছেন তাদের বলি, আপনি কি ১০০% সঠিক ইংরেজি বলেন? আইনস্টাইন সম্পর্কে একটা কথা প্রচলিত আছে আর সেটা হলো উনি নাকি নিজের ফোন নাম্বার, হোম এড্রেস কিছুই মনে রাখতে পারতেন না! কেন প্রশ্ন করলে তিনি সবসময়ই বলতেন যে জিনিসটা আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলেই সহজে জেনে নেওয়া জানা যায় সেটা মনে রাখার দরকার কি?
আমার ভাগ্নে ঢাকার সবথেকে ভাল একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ পড়ে। কেও যদি তাকে গ্রাভিটি কি, E=mc² কি বোঝায়ঃ তাও সে খুব ভাল করে উত্তর দিতে পারবে। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যদি তাকে বাংলাদেশের কয়টি জেলা/নিউটন কে তা জিজ্ঞেস করেনঃ তাহলে সে হয়ত দিতে নাও পারতে পারে। কারণ সে তখন ভয়ানক নার্ভাস। কারণ উত্তর দেবার চেয়ে আমি জানি না বলা তার জন্য অনেক সহজ।
সৃজনশীল পদ্ধতিটি অত্যন্ত ভালো একটি পদক্ষেপ, কিন্তু সমস্যা হলো সর্বস্থরের শিক্ষকরাই এর যথাযথ ব্যবহার জানে না। সব ধরনের মানুষই এক রকমের মেধা নিয়ে জন্মায়নি, তাই কম মেধা সম্পন্ন ছাত্রের উপর কঠিন পদ্ধতি থাকাটা জুলুমের পর্যায়ে পরে। শুধু ছাত্রদের না, শিক্ষকদেরও এমন কিছু সহজ প্রশ্ন করা উচিত। তখন দেখা যেতো কে কতোটা ভালো শিক্ষক। আমার বিশ্বাস আজ ছাত্রদের যে অবস্থা, শিক্ষকদের সাক্ষাতকার নিলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ দেখা যাবে।
ব্যাংক থেকে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা ঋণখেলাপির নামে খেয়েছে, পুরো অংশটাই আগের 'অসাধারণ' লেখাপড়া করা মানুষ! আর হ্যাঁ, বন্ধুরা কালকে থেকে শুরু হচ্ছে 'জুন ক্লোজিং' - সবাই জানেন তো! ভুয়া ভাউচার দিয়ে শত শত কোটি টাকা হরিলুটের মাস।
আজ নিন্দুকেরা যে যাই বলুক, জায়গা মতো হাত দিতে পারায় মাছরাঙা টেলিভিশনকে তাই আমজনতার উষ্ণ অভিনন্দন। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড নয়। সুশিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।
ভিডিওটিতে মোট ২২টির মত প্রশ্ন করা হয়েছিল-
১। GPA এর পূর্ণরুপ কি?
উত্তরঃ Grade Point Average
২। SSC এর পূর্ণরুপ কি?
উত্তরঃ Secondary School Certificate
৩। আমি জিপিএ পাঁচ পেয়েছি এর ইংরেজিতে কি হবে?
উত্তরঃ I have achieved GPA 5।
৪। শহীদ মিনার কোথায়?
উত্তরঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে (প্রশ্নটা ঠিক হয়নাই-শহীদ মিনার এখন সব স্কুলেই আছে। প্রশ্নটা হবে ‘জাতীয় শহীদ মিনার কোথায়?’)
৫। অপারেশন সার্চ লাইট কী?
উত্তরঃ ১৯৭১সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা।
৬। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস কবে?
উত্তরঃ ১৪ ডিসেম্বর
৭। স্বাধীনতা দিবস কবে?
উত্তরঃ ২৬ মার্চ
৮। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে?
উত্তরঃ ২১শে ফেব্রুয়ারী
৯। স্বাধীণতা দিবস কত তারিখে?
উত্তরঃ ২৬ মার্চ
১০। বিজয় দিবস কত তারিখে?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর
১১। জাতীয় সৃতিসৌধ কোথায়?
উত্তরঃ নবীনগর, সাভার, ঢাকা
১২। রণ-সঙ্গীত কে রচনা করেছেন?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম (চল্ চল্ চল্ উর্ধ গগণে বাজে মাদল)
১৩। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কে?
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪। মাউন্ট এভারেস্ট কোথায়?
উত্তরঃ নেপাল। বিস্তারিত উত্তরঃ সোলুখুম্বু জেলা, সগরমাথা অঞ্চল, নেপাল এবং টিংরি বিভাগ, জিগাজে, তিব্বত স্বয়ংশাসিত অঞ্চল, চীন।
১৫। পিথাগোরাস কে?
উত্তরঃ পিথাগোরাস প্রধাণত গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী (পীথাগোরাস আসলেই ঔপন্যাসিক ছিলেন! তার অনেক গুণের একটি যদিও গণিতবিদ হিসেবেই শুধু আমরা জানি!! এটা মস্ত বড় ভুল, ছেলেটি আন্তাজে বলেও সঠিক বলেছে।)
১৬। নিউটণ কোন তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত?
উত্তরঃ মহাকর্ষ সূত্র ( গাছের উপর থেকে আপেল নিচের দিকে, নিউটনের মাথায়, পড়ার ঘটনা)। এছাড়াও ৩টি সুত্রের জন্য নিউটন বিখ্যাত যার মাঝে ৩য় সুত্র ‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’ খুবই বিখ্যাত।
১৭। আইনস্টাইনের কোন তত্ত্ব কোনটি?
উত্তরঃ আইস্টাইনের বিখ্যাত তত্ত্ব E = mc2. E=Energy (শক্তি), M=Mass (ভর) C= Celeritas (Latin word), which means speedof light (Energy was equal to mass times the speed of light squared)
১৮। বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম কী?
উত্তরঃ আব্দুল হামিদ খান (বাংলাদেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি)
১৯। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তরঃ ১১টি সেক্টরে।
২০। নেপালের রাজধানী কোথায়?
উত্তরঃ কাঠমুন্ডু।
২১। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এটার মানে?
উত্তরঃ একটি কম্পিউটার ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ বা যন্ত্রাংশকে হার্ডওয়্যার বলে। যেমন- মনিটর, কি বোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্পিকার, জয় স্টিক ইত্যাদি।
আর সফটওয়্যার বলতে সব প্রোগ্রামকেই বোঝায়। বস্তুত, একেকটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম কম্পিউটারকে নির্দেশ দেয়, কী করতে হবে, কিভাবে করতে হবে। যেমন-মাইক্রোসফট অফিস, নরটন এন্টি-ভাইরাস, ভিএলসি প্লেয়ার ইত্যাদি।
২২। রবীন্দ্রনাথের একটি গল্পের নাম বল?
উত্তরঃ ছুটি, সমাপ্তি, হৈমন্তি, ইচ্ছাপূরণ (গল্পগুচ্ছের সবইতো গল্প)
সন্ধ্যায় একজন বিসিএস কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলাম, চাঁদের ভৌগলিক অবস্থা কেমন? তিনি বললেন- বরফে ঢাকা। ফের জিজ্ঞেস করলাম- এভারেস্ট আবিষ্কার করেন কে? তিনি বিজ্ঞের হাসি হেসে বললেন, হিলারি ও তেনজিং। আমার অভ্যেস খারাপ, মজা নিতে ছাড়ি না। জিজ্ঞেস করলাম- গাছের প্রাণ আছে কে আবিষ্কার করেন? তিনি তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন- জগদীশচন্দ্র বসু।
হে জ্ঞানী বঙ্গবাসীসকল, উত্তর তিনটিই ভুল।
২| ০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
বিপরীত বাক বলেছেন: একবার এক ছাত্রকে পড়া জিজ্ঞেস করা হলে সে পারলো না। শিক্ষক বললেন. ''গাধা, তোদের বয়সে আমরা এগুলো সব পারতাম!'' ছাত্র উত্তর করলো, ''পারবেনই তো, আপনাদের তো ভালো ভালো শিক্ষকরা পড়াত!''
৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: কিছু আগে এমনই একটা পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেছিলাম। আবার তুলে দেই। এই পোস্ট সম্পর্কেও সেটাই আমার বক্তব্যঃ
মাছরাঙা কি দেখিয়েছে আমি সেটা দেখিনি। অল্প অল্প পড়েছি এদিক সেদিক। আমার মনে হয় দেখানোটা সম্পূর্ণ ঠিক আছে। বাস্তব অবস্থা যখন ভয়াবহ তখন সেটার চিত্রটা এমনভাবেই উঠে আসে। আমি মনে করি তাদের ভুল কিছু হয়ে থাকলে চেহারা কিংবা পরিচয় আড়াল করে কেবল কথাগুলো প্রচার করতে পারতো, সেটাই হতো সবচেয়ে বিবেচকের মত কাজ। তবে প্রচার যখন করেই ফেলেছে তখন কি আর করা। এটা নিয়ে অনেক কথাও হচ্ছে। কিন্তু কথাগুলো জায়গামত পৌছাচ্ছে নাকি বা পৌছালেও কতটা গুরুত্ব দেয়া হবে জানি না।
পাঠ্যপুস্তক একেবারে বদলে দেবার সময় এসেছে। অনেক কঠিন সেসব এবং মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসুচীতে অনেক তিরিক্ত জিনিস আছে যা বুঝবার ক্ষমতা আমার এই বয়সেও নেই। মুখস্ত করে কিংবা ভাসা ভাসা বুঝে ভালো রেজাল্ট সম্ভব, কিন্তু বেসিক ভালো হবে না। আবার সৃজনশীল নামটা সুন্দর, উদ্যোগটাও ভালো। কিনু সেই সৃজনুশীলতা কি আমাদের সর্বস্তরের শিক্ষকদের আছে? আমাদের দেশে সবচেয়ে ভালো যারা তারা তো শিক্ষকতা পেশায় আসেন না। যাদের উপায় নেই, শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন সুবিধার না, তারাই দ্বায়িত্ব নেন জাতির ভবিষ্যতে। কিন্তু এ পেশায় তো আসবার কথা সবচেয়ে প্রতিভাবান, জ্ঞানীদের।
সবমিলিয়ে সমাধান কি আমি জানি না। হয়তো মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়লে মানসম্মত স্কুল কলেজের চাহিদা আরও বাড়বে। ভালো শিক্ষকের চাহিদাও বাড়বে। সুযোগ, সুবিধা, সম্মান সব সহই বাড়বে। এর আগে অন্তত মুড়ী মুড়কির মত জিপিএ ফাইভ দেয়া বন্ধ করা হোক। যারা অনেক ভালো কেবল তারাই পাক। কিংবা ৮০ থেকে ৯০ এ নিয়ে আসা যেতে পারে এ+ এর ধাপটা। আন্তর্জাতিক মানের সাথে আমাদের দেশের ব্যবস্থা মানানসই নই। এমনকি অন্য দেশে ৫ এর সর্বোচ্চ গ্রেডে গ্রেডীং সিস্টেম আছে নাকি আমি তাও জানি না।
শুভকামনা রইলো।
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪৮
মিখু বলেছেন: আপনাদের তো ভালো ভালো শিক্ষকরা পড়াত!'
চরম কথা।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
অসমাপ্ত অধ্যায় বলেছেন: পীথাগোরাস ঔপন্যাসিক ছিলেন তার কোনো তথ্যসুত্র যদি দিতেন