নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা- ৪৯

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫০



ভালো মানুষ হইবার সব সম্ভবনা আমার মধ্যে বিরাজমান ছিল, কিন্তু প্রেমের ব্যর্থতার জন্য হইয়া গেলাম অন্ধকার জগতের মানুষ। তাহার পর সমস্ত জীবন ধরিয়া অভিনয় করিয়া চলিতেছি। অনেক পুরুষলোক কষ্ট ভুলিয়া থাকিবার জন্যে- মদের প্রতি আসক্ত হইয়া পড়ে। অথবা অর্থের বিনিময়ে কোনো স্ত্রীলোকের বুকে মাথা গুঁজিয়া দেয় একটু শান্তির জন্যে। তারপর হু হু করিয়া কাঁদিয়া দেয়। তখন স্ত্রীলোকটি জলের স্পর্শ টের পাইয়া তাহার বুকে পুরুষের মাথাখানি আরও জোরে চাপিয়া ধরে মায়াময় হস্তে। যুগের পর যুগ ধরিয়া স্ত্রীলোক পুরুষের দুঃখ-কষ্ট, শোক নিজের বুকের মধ্যে সযন্তে রাখিবার চায়। বোকা পুরুষ তাহা বুঝিতে ব্যর্থ হয় বারংবার।

একদিন শ্রাবনের সন্ধ্যায় ঝুম বৃষ্টিতে- অশ্বথ গাছের তলায় চায়ের দোকানে বসিয়া চা পান করিতে ছিলাম, তখন সেই পরমা রমনীটিকে দেখিতে পাই। আহা কি রুপ তাহার! তাহাকে দেখিবা মাত্র বুকের মধ্যে পূজার বাদ্য বাজিতে লাগিল। সিদ্ধান্ত লইয়া ফেললাম এই রমনীর সহিত- বাকিটা জীবন কাটাইয়া দেব। আপনাদের অবগতির জন্যে জানাইতেছি- আবেগের বসে এই সিদ্ধান্ত লই নাই। চারপাশের নানান কাহিনী দেখিয়া শুনিয়া- আমি চিন্তাশীল উপাধিতে ভূষিতে হইয়াছি সূধী সমাজে। যাহাই হোক, যথা সময়ে এই রমনীর কথায় আবার আসিব। আপনাদের কি আমার কথা বুঝিয়ে লইতে বেগ পাইতে হইতাছে? বেগ লাগলে ক্ষমা করিয়া দিবেন।

প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় বন্ধু নারায়ণ আমার সহিত দেখা করিতে আসিয়া আমার তামাক ঘুট-ঘুট করিয়া টানিয়া শেষ করিয়া দিত। উত্তর পাড়াতে বাড়ি নারায়নের। খবর পাইয়াছি- আমার বুকে ব্যাথা দানকারী রমনীটি উত্তর পাড়াতেই থাকে। আমি জমিদার বাড়ির সন্তান। বাপ-দাদায় পাঁচ শ' বিঘা জমি রাখিয়া গিয়াছেন। বেশ স্বাচ্ছন্দে আছি, বেশ দিন কাটে। দিনের পর দিন যায়- আমার আনন্দের সীমা নাই, সমস্ত দিন সারা গ্রাম ঘুরিয়া বেড়াই। কিন্তুক এখন আর সময় কাটে না। সময়-অসময় ওই রমনীর অভাব বোধ হয়। বিবাহ বন্ধন ছাড়া এই রমনীকে কোনোমতেই চিরস্থায়ী করিয়া রাখা যাবে না, এ আমি বুঝিয়া গিয়াছি। রমনীর কথা ভাবিয়া ভাবিয়া রাত্রি বোধ হয় একটা বাজিয়া গিয়াছে। ফকফকা জোছনা চারিপাশে মিশিয়া গিয়াছে। মানুষের এমনি দুঃসময়ের মাঝে আশা-নিরাশার কূল-কিনারা যখন দেখিতে পায় না, তখন ব্যাথিত মন ভয়ে ভয়ে আশার দিকটাই আকড়াইয়া ধরিতে চাহে। কিছু অর্থ ব্যয় করিয়া রমনীর নামটি জানিতে পারিলাম। এই বুকে সুখের মতো ব্যাথা দানকারী রমনীর নাম নিয়া রবী ঠাকুর একখানা কবিতা লিখিয়াছিলেন- 'কৃষ্ণকলি'। নিজের সর্ব জ্ঞান, ভালোত্ব আর মহত্ব দিয়া কৃষ্ণকলি'র বাপকে একখানা পত্র লিখিলাম। আমি মনে করি, ইহাই বুদ্ধিমানের কাজ হইয়াছে। চিঠিখানা তিনবার পড়িলাম। যদি কোনো বানান ভুল চক্ষে পড়ে। হবু শ্বশুর মহাশয় আবার ব্যারিস্টার কিনা।

সচেতন এবং অভিজ্ঞ লোকদিগের স্বভাব এই যে, তাহারা চক্ষুর নিমিষে কোনো ঘটনার দোষ-গুন সম্বন্ধে নিজের মতামত প্রকাশ করতে চাহেন না। কিন্তু আরেক রকমের লোক আছে, যাহার ঠিক ইহার উল্টা। তাদের ধৈর্য একে বারেই নাই। কোনো বিষয় ভালো করিয়া জানিবার পরিশ্রমটুকু করে না। আপন মনের ভুল বিশ্বাস দিয়া সব কিছু চালাইয়া লইতে চাহে। সে যাকগে, কৃষ্ণকলি'র কথায় আসি- বিধাতা যেন সব রুপ উদার হস্তে আমার কৃষ্ণকলিকে দিয়াছেন। কিন্তুক কৃষ্ণকলির রুপের কোনোরুপ অহংকার প্রকাশ পায় না। ইচ্ছা করে এই রুপে কালি লেপন করিয়া দেই- ইহা অবশ্যই ক্রোধের কথা, মনের কথা নহে। কৃষ্ণকলি আসিয়া দেখিবে কত বড় বাড়ি আমার! বড়ই জ্বলা হইল শুধুই কৃষ্ণকলি'র কথা লিখিতে ইচ্ছা করে। বলিতে ইচ্ছা করে। কৃষ্ণকলি'র কথা ভাবিয়া ভাবিয়া শ্রাবন মাস পার করিলাম। বাড়ির উঠানে বসিয়া কত রাত্রি কাটাইয়া দিলাম। মিথ্যা কহিব না, কৃষ্ণকলির দেখা পাওয়ার আগে- যশোদা নামে এক রমনীর সহিত সময় কাটাইতাম। যশোদা অলংকার পছন্দ করিত খুব। তাহার নাচে খুশি হইয়া টাকা উড়াইয়া দিতাম। আহা! দেবীর প্রতিমূর্তি যেন যশোদা। লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, অপমান, অবহেলা অত্যাচার- কত কিছু যে সহ্য করিয়াছে। আমার কোলে মাথা রাখিয়া কতদিন কাঁদিয়াছে।

কৃষ্ণকলি'র বাপ ব্যারিষ্টার নীলমনি আমার প্রস্তাব এক আকাশ ঘৃণা দিয়া প্রত্যাক্ষান করিলেন। তাহার পর সময়ের সাথে সাথে আমার বুকে অপমানের জ্বলা বাড়িতে লাগিল। এই তীব্র অপমানে নিমিষেই জীবনের সব সুখ, শান্তি বাতাসে মিশিয়া গেল। ইচ্ছা করিল কৃষ্ণকলি'র বাড়ি গিয়া তাহাকে ধর্ষণ করিয়া আসি। (ইহা রাগের কথা- আমার পক্ষে সম্ভব নহে।) কৃষ্ণকলি কে কিভাবে পাইব ইহা ভাবিতে ভাবিতে আমার চুল ও দাড়ি লম্বা হইতে লাগিল এবং জট পাকিয়া গেল এক বছরে।

হঠাত এই সময় আবার অপ্রত্যাশিত এক আঘাত পাইলাম- জানিতে পারিলাম কৃষ্ণকলি'র বিবাহ হইয়া গেছে। ব্যারিষ্টার নীলমনি জোরপূবক কন্যা কৃষ্ণকলিকে শহরে নিয়া বিবাহ দিয়াছেন। এই খবর পাইয়া খানিকক্ষন মাটিতে গড়াগড়ি করিয়া কাঁদিলাম। ইচ্ছা করিল ছুটিয়া যশোদার কাছে যাই- কিন্তু যশোদা মাস তিনেক ধরিয়া নিরুদ্দেশ। এখনও আমার আশা রহিয়াছে- কৃষ্ণকলি আমার কাছে চলিয়া আসিবে। রমনীকূল সত্যিকারের ভালোবাসা বুঝিতে দেরী করে না। কৃষ্ণকলি আমায় ভালোবাসে, তাহা আমি তার চাহনিতে বুঝিতে পারিয়াছে। ব্যারিষ্টারের ভয়ে সে মুখ খুলিতে পারে নাই। আমি কিতাবে পড়িয়াছি- যে যথার্থ ভালোবাসে, সে সহ্য করে থাকে। যশোদাকে ভালোবাসিতাম না- তাই তাহার মুখে ভালোবাসার কথা সহ্য করিতে পারিতাম না।

কবি গুরুর কিতাবে পড়িয়াছি- 'যাহার আশা আছে, সে একরকম করিয়া ভাবে, আর যাহার আশা নাই, সে অন্যরকম ভাবে।' আশা থাকলে ভেবে সুখ আছে, আনন্দ আছে, তৃপ্তি আছে, দুঃখও আছে। কিন্তু আশাহীনের সুখ নাই, দুঃখ নাই অথচ শান্তির ঘুম আছে। যাহা হোক, কাঁদিয়া কাঁদিয়া দুই বছর অতিক্রম করিলাম। একদিন শ্রী শরৎ চন্দ্র চট্রোপাধ্যায় মহাশয় আমার সহিত দেখা করিতে আসিলেন। আমাকে দেখিয়া ব্যাকুল কন্ঠে বলেলেন- তোমাকে দেখিয়া হতভাগা দেবদাসের কথা মনে পড়িল। আমি কহিলাম- দেবদাস কে? শরৎ চন্দ্র তাহার ঝোলা ব্যাগ হইতে একখানা কিতাব বাহির করিয়া আমার হাতে দিলেন। বলিলেন, এটা পড়ো, তাহাতে তোমার মনের উপশম হইবে। কিতাব আমি কোনো কালেও পড়ি না। কিন্তুক কি মনে করিয়া শেষ পাতা হইতে পড়া শুরু করিলাম।

..." যদি কখনও দেবদাসের মত এমন হতভাগ্য,অসংযমী পাপিষ্ঠের সহিত পরিচয় ঘটে, তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও। প্রার্থনা করিও আর যাহাই হোক, যেন তাহার মত এমন করিয়া কাহারও মৃত্যু না ঘটে। মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহকরস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে- যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন কাহারও এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে।"

'দেবদাস' শেষ করিয়া কখন কাঁদিতে কাঁদিতে ঘুমাইয়া পড়িয়া ছিলাম জানি না। ভোরের আলো চোখে পড়তে দেখি, আমি কৃষ্ণকলি'র কোলে মাথা রাখিয়া শুয়ে আছি। কৃষ্ণকলি'র চক্ষু হইতে টপ টপ করিয়া জল গড়াইয়া আমার গালে পড়িতেছে। কৃষ্ণকলি'র মুখ খুলিতেই আমি তাহার মুখ বন্ধ করিয়া দিলাম আমার ওষ্ঠ দিয়া। এইভাবে অনেকক্ষন সময় ব্যয় করিয়া আমি বলিলাম- আমি কিচ্ছু শুনিতে চাই না- কৃষ্ণকলি, তুমি আমার কাছে আসিয়াছো এটাই অলৌকিক সত্য। এই সত্যই আমি চিরটাকাল আঁকড়ে ধরিয়া থাকিব। কোনোদিন আমি তোমার অবহেলা করিব না। কৃষ্ণকলি'র চোখের জল মুছিয়া দিলাম। শক্ত করিয়া বুকের মধ্যে জড়াইয়া ধরিলাম।

এরপর সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলাম। আমাদের ঘর আলো করিয়া- জন্ম নিল মহা মানবের এক শিশু তিলেতিলে।


মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

কাইকর বলেছেন: প্রথম মন্তব্য টা কইরা নিলাম আগে।এহন পড়বো

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: গুড। ভেরি গুড।

২| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: কৃষ্ণকলির চোখের জল মুছিয়া দিলাম।
বাহ চমৎকার প্রকাশ।
বড় প্রেমিক না হলে কীভাবে এমন করে লিখতে পারে?
শুভ কামনা।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো আমার পোষ্টে আসেনই না!!!

৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধুর প্রথম কমেন্ট টা গেলো X((
ভাই তাও কফি দেন, কোল্ড B-)

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
চা কফি খুব ভালো কিছু না।
যত কম হয় ততই ভালো।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

শামচুল হক বলেছেন: পড়ে খুব ভালই লাগল। ধন্যবাদ

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পাই না কেন??

৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: "এক আকাশ" লেখাটা দেখে শিওর হলাম এটা আপনি লিখেছেন।

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা--

কিছু কিছু শব্দ না লিখতে চাইলেও এসে পরে।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

প্রতিভাবান অলস বলেছেন: অসাধারণ লেখনী আপনার । মন ছুয়ে গেলো

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনারা এতো সুন্দর করে লিখেন, লেখাগুলো দেখে আমারও লিখতে ইচ্ছে করে । লেখার প্লটও মাথায় আছে, কিন্তু কিভাবে লিখব সেটা বুঝি না । আই মিন, গল্প লিখতে গেলে প্রথম লাইনটাই মাথায় আসে না । :((

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: লিখতে শুরু করেন।
অটোমেটিক একটার পর একটা চলে আসবে।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই কৃষ্ঞকলিদের জন্য পৃথিবী এত মায়াবী । বেশ ভালো লাগলো। তবে আজ দুটি পোষ্টে ' এক আকাশ ' কথাটি সাতবার পড়লাম।

শুভ কামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা--------

স্যরি । এর পর আরও সর্তক হবো।

৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

হবা পাগলা বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

১০| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রাজীব ভাই আপনার অনেক লেখার চেয়ে এ লেখাটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।। :)

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

১১| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩১

স্ব বর্ন বলেছেন: রাজীব নুর ভাইয়ের লেখা পেলে সবসময়ই যত্ন নিয়ে পড়তে থাকি একটা অন্যরকম প্রান আছে এই লেখার মধ্যে। কৃষ্ণ কলির জয় হোক ।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১৫

অলিভিয়া আভা বলেছেন:
আপনার লেখা আগেও দুএকটা পড়েছি অফ লাইনে।

যুগের পর যুগ ধরিয়া স্ত্রীলোক পুরুষের দুঃখ-কষ্ট, শোক নিজের বুকের মধ্যে সযন্তে রাখিবার চায়। বোকা পুরুষ তাহা বুঝিতে ব্যর্থ হয় বারংবার। চমৎকার ভাব ও ভাষা।

লেখনী বেশ পোক্ত, তবে মাঝেমধ্যে মনে হয়েছে সাধু ও চলিত'তে গুরুচণ্ডালী হয়েছে। যেমন,
তাহাকে দেখিবা মাত্র বুকের মধ্যে পূজার বাদ্য বাজিতে লাগিল। সিদ্ধান্ত লইয়া ফেললাম এই রমনীর সহিত- বাকিটা জীবন কাটাইয়া দেব। এখানে ফেললাম এর স্থলে ফেলিলাম হতে পারে।

ভালো থাকবেন । শুভ রাত্রি

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: এখনও পাকা হতে পারিনি।
দোয়া করবেন।

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিবাহিতা কৃষ্ণকলি কোথা হতে লেখকের ঘরে চলে এলো?

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: কীবোর্ড হাতে থাকলে সব সম্ভব।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: সুন্দর লেখনী ভালো লাগলো, শুভ কামনা রইল,

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.