নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিক্ষুক সমাচার

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৩



হুট করে ঢাকা শহরে ভিক্ষুক অনেক বেড়ে গেছে।
রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। বাসে উঠলেও ভিক্ষুক। গাড়ি সিগনালে থামলেও ভিক্ষুক এসে হাজির হয়। ফুটপাত দিয়ে চলার সময়ও ভিক্ষুক। রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকানে চা খাওয়ার সময়ও ভিক্ষুক এসে হাজির হয়। ঢাকা শহরের এমন কোনো অলি গলি বাদ নেই যেখানে ভিক্ষুক নেই। একেবারে ইয়াবার মতোন অবস্থা। সমস্ত দেশে যেমন ইয়াবা পাওয়া যায় তেমনি সমস্ত দেশে অসংখ্য ভিক্ষুক। আমার কথা হলো- যে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সে দেশে এত-এত ভিক্ষুক থাকবে কেন? তাহলে কি আমাদের দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে না? এটা মিথ্যে কথা?

কাজের সন্ধানে আমি সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় থাকি।
প্রতিদিন কমপক্ষে একশ' জন ভিক্ষুক আমার কাছে হাত পাতে। আমি নিজে দরিদ্র মানুষ, কয় জনকে দিতে পারি? আজকাল কাউকে দুই টাকা পাঁচ টাকা দেওয়া যায় না। বিবেকে লাগে। কি হয় ২/৫ টাকা দিয়ে? একটা স্টার সিগারেটও পাঁচ টাকা। এক কাপ চা ছয় টাকা। কমপক্ষে একজন ভিক্ষুককে দশ টাকা দিতে হয়। এখন আমি প্রতিদিন ১০০ ভিক্ষুককে দশ টাকা করে দিলে, এক হাজার টাকা লাগবে। আমার পকেটে থাকে ২/৩ শ' টাকা। কেউ চাইলে না দিয়েও পারি না। আর ভিক্ষুক গুলো এমন করুন অবস্থা। তাদের দেখলে খুব মায়া লাগে। তাদের পোশাক-আশাক, চেহারার জরাজীর্ন অবস্থা। আমাদের দেশের মানুষ গুলো এত গরীব কেন?

রাস্তাঘাটে শুধু ভিক্ষুক আর ভিক্ষুক।
কুরআন ও সুন্নাহর বিধানের আলোকে দারিদ্র্য বা ভিক্ষাবৃত্তির অন্যতম প্রধান দায় বর্তায় সম্পদশালীদের উপর। যে মানুষগুলো আমাদের সমাজে ভিক্ষুক নামে পরিচিত একদিক থেকে তারা আমাদেরই দায়িত্বে অবহেলা ও সমাজ-ব্যবস্থার দীনতার জীবন্ত ও বিচরণশীল ছবি। ভিক্ষুক নিয়ে দেশে তেমন কোনো জরিপ হয় না। সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাজ কি? আমার ধারনা রাজধানীতে ভিক্ষুকের সংখ্যা চার লাখেরও বেশি। সমস্ত দেশে ২৫ লাখের উপরে ভিক্ষুক আছে। একসময় ঈদের সময় ভিক্ষুক বেড়ে যেত। যাকাত ফেতরা নিতে গ্রাম থেকে সমস্ত ভিক্ষুক শহরে আসতো। এখন ঈদ লাগে না সারা বছরই প্রচুর ভিক্ষুক। সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরে উচিত ভিক্ষুকদের তালিকা করা। এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভিক্ষুককে রিকশা, ভ্যান, সেলাই মেশিন কিনে দেয়া।

এই সমস্ত ভিক্ষুকদের জন্য রাষ্ট্রের কি কোনো দায়িত্ব নেই?
নিরুপায় মানুষের বেঁচে থাকার শেষ উপায় ভিক্ষা। কেউ শখ করে ভিক্ষা করে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই বাধ্য হয় ভিক্ষা করতে। রাস্তা-ঘাটে চলাচলরত পথিককে ভিক্ষুকরা নানাভাবে হেনস্তা করে। এমনকি গাড়িতে বসে থাকলেও কাচে থাপড়ানো হয়। একবার না করলেও তারা যায় না। অথচ কয়েকদিন আগেও সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশে কোন ভিক্ষুক নেই। আমাদের ঘাটতি বা সংকটটা কোথায়? অনেক সুস্থ সবল যুবা নারী বা পুরুষ-ও কাজ না করে পঙ্গু ও অসুস্থের ভান ধরে কেন সিগন্যালে বাড়াচ্ছেন ভিক্ষার হাত? ভিক্ষুকরা চুরি-ছিনতাইসহ ট্রাফিক সমস্যা সৃষ্টি করে। মূলত দেশে দারিদ্র্যতা বাড়ার কারণে ভিক্ষুক বাড়ছে- এটা বলার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। আর্থ-সামাজিক কাঠামোর ভেতরে এর সমাধানের পথ বের করতে হবে। আমি মনে প্রানে চাই দেশ উন্নয়নের মহাসড়লে চলুক।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাকা যেমন মসজিদের শহর, তেমনি ভিক্ষুকেরও শহর।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: মসজিদের চেয়ে ভিক্ষুক বেশি।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আজকের প্রথম আলোয় এসেছে বিশ্বের অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের অবস্থান বাংলাদেশ সহ আর পাচঁটি দেশে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি জানি আমাদের দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭

গেছো দাদা বলেছেন: সরকারের উচিৎ জন্মনিয়ন্ত্রন ও জনসংখ্যা নীতি তৈরী করে তা কঠোরভাবে লাগু করা। কিন্তু জনগন কি সেটা মানবে?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানতে বাধ্য করতে হবে।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

নাহিদ০৯ বলেছেন: ভিক্ষুক দের ছোট খাটো ব্যবসা দেয়া যেতে পারে। পা নেই, ভিক্ষা করার গাড়িতে করে পান সিগারেট বিক্রি করা এক লোক কে দেখেছিলাম রাজশাহীতে। মানসিক প্রতিবন্ধি একজন পেপার বিক্রি করে। সবাই ২-৩ টাকা করে বেশি দেয় নিজে থেকে। চকোলেট বিক্রি করা এক মা কেও দেখেছিলাম। উনি নিজে থেকেই চকোলেট এর দাম ১ টাকা বেশি করে চেয়ে নিচ্ছেন।

বাইরের সিনেমাগুলোতে দেখি স্ট্রিট সিংগার বা ম্যাজিসিয়ান রা তাদের কেরামতি দেখিয়ে মানুষের কাছে সাহায্য চাইছে।

বাংলাদেশে অবশ্য এরকম ছোট খাটো ব্যবসা কে ডিমোটিভেট করতে হিজড়া রা যথেষ্ট নেগেটিভ ভূমিকা পালন করছে। সেদিন দেখলাম এক যুবক ৫ টি পেনসিল একটি ইরেজার আর একটি শার্পনার বিক্রি করছে বিশ টাকা করে। ২ জন নেড়ে চেড়ে একজন কিনলো মাত্র। তার একটু পরেই ২ জন হিজড়া এসে সবার থেকে এমনি এমনি ১০ টাকা করে নিয়ে গেলো।

দেখে পেনসিল ওয়ালা এর প্রতি এত মায়া লাগলো। তার হয়তো ৪-৫ টাকাই লাভ হতো। কিন্তু কত পরিশ্রম করছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৮

হাবিব বলেছেন: উন্নয়নের মাধ্যমে ভিক্ষুক কমছেনা কেন?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই প্রশ্ন আমাকে করছেন কেন?
সরকারকে করেন।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: দেশের উন্নয়ন হচ্ছে তেমনি ভিক্ষুকদের ও উন্নয়ন হচ্ছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো ভিক্ষুকদের কোনো উন্নয়ন দেখি না।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
সবচেয়ে বড় ভিক্ষুক কোটীপতিরা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজই হলো, ভিক্ষুকদের পক্ষে ভিক্ষা করা ও সেটা প্রশাসনের সবাই মিলে ভাগ করে দেয়া।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের রাষ্ট্রও ভিক্ষুক রাষ্ট্র।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সালে সবাইকে স্কুলে পাঠালে আজকে ভিক্ষুক থাকতো না; শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের জ্ঞানের অভাব ছিলো।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ৭২ সালে দেশের অবস্থা ভালো ছিল না।
যুদ্ধের পর পর ভাঙ্গা রাস্তা কালভাট স্কুল অফিস আদালত ঠিক করতে করতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আর স্কুলে পাঠানো হয়নি।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


৮নং মন্তব্যে টাইপো আছে:

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজই হলো, ভিক্ষুকদের পক্ষে ভিক্ষা করা ও সেটা প্রশাসনের সবাই মিলে ভাগ করে নেয়া

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী। আমি বুঝতে পেরেছি।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

মোগল সম্রাট বলেছেন: ভিক্ষুকদের কাজ দিলেও এরা কাজ করতে চায়না। অনেক সুস্থ্য-সকল ভিক্ষুক রাস্তায়/বাসা-বাড়িতে ভিক্ষা করছে তাদের কাজের কথা বললে তারা অসম্মতি জানায়। আজকাল গ্রামে কাজের লোক/মজুর পাওয়া যায়না অথচ একজন মজুরের ডেইলি বেতন৫০০/৬০০ টাকা। ভিক্ষা করা আসলে এখন ব্যবসার পরিনত হয়েছে। এগুলা দুর করা খুব সহজ হবেনা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: কাজ করতে মানুষকে উৎসাহ দিতে হবে।

১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ঢাকা শহর এখনো ভিক্ষুক মুক্ত হলোনা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষজন কে কাজ দিতে হবে।
কেউ কি শখ করে ভিক্ষা করে?

১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

নজসু বলেছেন:


ঢাকার বুকে ভিক্ষুকদের উপার্জনও তো কম নয়।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: এই উপার্জনে সম্মান নাই।

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

শেখ মফিজ বলেছেন: আমরা ভিক্ষা দেই বলে ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে ।
সহজতম আয় । কোন বিনিযোগ নেই ।
আমার জানামতে এক লোক তার দেশী পরিচয় পেয়ে এক ভিক্ষুককে
দুটি রিক্সা কিনে দিয়ে ছিল ।বলেছিল আর ভিক্ষা না করতে ।
কয়েক মাস পর দেখা গেল, রিক্সা বেচে সে আবার ভিক্ষা করছে ।
ভিক্ষাকরা এখন একটা পেশায় পরিণত হয়েছে ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০১

রাজীব নুর বলেছেন: এক যুগ আগে এক ভিক্ষুককে আমি ১৭ হাজার টাকা দিয়ে একটা ভ্যান কিনে দিয়েছিলাম। সে একমাস পর সেই ভ্যান বিক্রি করে দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.