নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বড় অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙল।
গতরাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল অনেক রাত পর্যন্ত বই পড়বো। অনেক বই জমে আছে, পড়া হচ্ছে না। মুভি দেখে-দেখে সময় অপচয় করছি। যাই হোক, স্বপ্নে দেখলাম- আমি আকাশে উড়ছি। এই স্বপ্নটা আমার খুব প্রিয়। আগেও দেখেছি। দুই হাত উপরের দিকে তুলে দিয়ে আকাশে উড়ছি। অনেকটা সুপারম্যানের মতোন। নিজেকে বেশ হালকা লাগছে। সীমাহীন আনন্দ হচ্ছে। উড়ে উড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছি। কি যে ভালো লাগছে! সকালে ঘুম ভাঙ্গল। সুরভী বলল, থম ধরে বসে আছো কেন? ফ্রিজে কিচ্ছু নাই। বাজারে যাও। আমি মনে মনে বললাম, বাজারে যে যাবো টাকা নাই। আর আমি থম ধরে বসে নাই। গতরাতে যে স্বপ্নটা দেখেছি তার ব্যাখ্যা খুঁজতেছি। আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমাকেই খুজে বের করতে হয়। ব্যাখ্যা হলো- কিছুদিন ধরে যাদু নিয়ে পড়াশোনা করছি। যাদুর মুভি দেখছি। ইউটিউবে যাদু দেখছি ঘন্টার পর ঘন্টা। এই কারনে রাতে স্বপ্ন দেখেছি আকাশে উড়ছি।
গত মাসে বাজার করি নি।
বাজার মানে সারা মাসের বাজার। তেল, ডাল, চিনি, চাল, নুডুলস, দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি অবশ্য মাসের শুরতেই সারা মাসের বাজার একবারে করে ফেলি। এ মাসে বাজার করিনি কারন সুরভী গ্রামে গিয়েছিল। বাজারের লিস্ট আমার হাতে দেয় নি। মনে মনে ভাবলাম যাক এ মাসে অনেক গুলো টাকা বেঁচে যাবে। গত মাসের বেঁচে যাওয়া জিনিস দিয়ে এ মাসটা চলে যাবে হয়তো। সবচেয়ে বড় কথা ফেব্রুয়ারী মাসটা ছোট। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্ম পরিহাস- এ মাসে আমার সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ গেছে। খুচরা জিনিস দুইটা একটা করে দোকান থেকে কিনেছি বেশ কয়েকবার। পাড়ায় দোকানের চেয়ে বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনা অনেক ভালো। দাম কম পাওয়া যায়। সুরভী বাসায় না থাকার কারনে তিন বেলা'ই আমাকে হোটেলে খেতে হয়েছে। বাসায় গেস্ট এসেছিল তাকেও হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে খাইয়েছি।
বাজারে আঙ্গুর বেশ সস্তা যাচ্ছে।
মাত্র দুই শ' টাকা কেজি। চিনির মতো মিষ্টি। বড়ই উঠেছে খুব বেশি। বড় বড় কূল বড়ই। বেশ মিষ্টি। এক কেজি এক শ' টাকা। কমলা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু খুব টক। মতিঝিল, গুলিস্তানসহ অলিতে গলিতে খুব বেচা বিক্রি হচ্ছে এই সমস্ত ফল। ইদানিং ইলিশ মাছ খুব দেখা যাচ্ছে। সাইজও বেশ বড়। ৬০০ টাকায় এক পিছ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার খেতে স্বাদ না। ইলিশ মাছও কি চাষ হয়? সেদিন সন্ধ্যায় দেখি, আমার বাসার কাছে বড় রাস্তার মোড়ে বিশাল সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি করছে। প্রতিটা পিস এক কেজি বা কিছুটা কম হবে। ছয়টা ইলিশ সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে, রাস্তার লাইটের আলোতে মাছ গুলো চকচক করছে। মাছ বিক্রেতা মোবাইল টিপাটিপিতে ব্যস্ত। আমি বললাম, সব গুলো কত? বিক্রেতা মোবাইল টিপতে টিপতেই বলল, ছয়টা ৬ হাজার টাকা। আমি বললাম, কিছু কম রাখো আমি এক হালি নিব। ঠিক এই সময় এক লোক এসে ছয় হাজার টাকা দিয়ে ছয়টা ইলিশ নিয়ে গেল। কিছু মানুষের কত টাকা!
চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে গেল।
কেন ঘটলো? কার দোষ? এসব নিয়ে এখন আর আলোচনা করা ঠিক না। এখন হায় হায় করে কোনো লাভ নেই। তদন্ত কমিটি একটা ফালতু বিষয়। এখন যা করতে হবে তা হলো- আর যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দিতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হলো- যোগ্য পদে, যোগ্য লোক না থাকা। বড় বড় পদে সব অযোগ্য লোক বসে আছে। সরকারি বেসরকারি সব জাগায় একই অবস্থা। এমনকি বাংলা একাডেমিতেও যোগ্য লোক নেই। ফালতু সব লোক বাংলা একাডেমি দখল করে বসে আছে। তারা আবার বলে সাহিত্য কেমন হবে! কে লেখক আর কে লেখক না। আর সত্যিকার অর্থে দেশের যোগ্য লোক বেকার অবস্থায় আছে। নিজে কানা পথ চেনে না, পরকে ডাকে বারংবার এসব দেখি কানার হাটবাজার। এই হইলো অবস্থা। কবি ঠিক বলেছেন- সব কিছু নষ্টদের দখলে চলে গেছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: না তাদের কোনো ভয় ডর নাই।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: ভালোই লিখেছেন৷ ভাল লাগলো।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
জায়েদ হোসাইন লাকী বলেছেন: গত মাসে আমিও বাজার করিনি! বন্ধু
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: বন্ধু!!!!
কোনো দিন পাশাপাশি বসে এক কাপ চা খেলাম না।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বাজারের কি অবস্থা বুঝা হয়ে গেলো! আশা করি, তদন্তকারী দল কিছু একটা বের করে ফেলবে। এরপর, রাজঊক পুরোনো ঢাকার মানুষদের অন্য কোন জায়গায় সরিয়ে দিয়ে ভিতরের মেয়াদউত্তীর্ণ বাড়িগুলো ভেঙ্গে রাস্তা বড় করবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: কিচ্ছু হবে না।
দুই একদিন পরে আবার অন্য কোনো ইস্যু নিয়ে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
নয়া পাঠক বলেছেন: যখন আমার মনটা খুব বেশি বিক্ষিপ্ত বা খারাপ থাকে তখন আমি সাঁইজির গান খুব মন দিয়ে শুনি! আর আকাশে ওড়ার স্বপ্নটা তো আমিও মাঝে মাঝেই দেখি। কিন্তু আমি তো আপনার মত যাদুবিদ্যা বা ইউটিউব দেখি না! যাইহোক ডায়েরীটা ভালই হয়েছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৮
কাউছার চৌধুরী বলেছেন: ভালো লাগলো। এদেশের মানুষ কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে চকবাজারে মৃত্যুই তার প্রমাণ। মন্ত্রনালয় গুলোতেও অযৌগ্য লোক বসে আছে
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু মন্ত্রনালয়ে না। সব জাগাতেই।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯
সাহিনুর বলেছেন: রাজীব ভাইয়া এই প্রথম আপনাকে দেখলাম খুব সাধারণ কিন্তু মায়াবী রূপে। চকবাজার এর ভয়াভয় অগ্নিকান্ডে মৃত আত্মার শান্তি কামনা করি ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
চকবাজারটা ঢাকার কোথায় অবস্হিত?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬
মুক্তা নীল বলেছেন: একা একা ছবি কেন? গত পোস্টেও একা একটি দিয়েছেন তা-ই বললাম।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
এরপর ডাবল ছবি দিব।
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চকবাজারটা কোথায় !!
এযে দেখি কানার হাট বাজার
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার আজকের চিন্তাভাবনা থেকেই কাটছাট করে যেটুকু ব্লগে তুলেছেন সবগুলোই ভালো লাগলো, সুন্দরভাবে ফ্রি স্টাইলে কথা বলার জন্য আরও বেশি ভালো লাগলো। শেষের কথাগুলো একেবারেই বাস্তব।
শুভকামনা আপনার জন্য।
আলসেমি না করে মাসের শুরুর দিকেই মজুদ রাখার মতো প্রয়োজনীয় সাংসারিক বাজার করে ফেলার অনুরোধ রইল।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: হুম, এখন থেকে তাই করবো।
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এবারের পর্বও ভালো লাগল।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
বর্ন ট্রাভেলার সোহান বলেছেন: বাহ ! ভালোই লিখেন। লেখায় একটা টক-মিষ্টি ভাব আছে। তবে শেষের তেঁতো ব্যাপারটা মন খারাপ করে দিলো
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: এ জন্য দুঃখিত।
১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১৫
ল বলেছেন: কানার হাট বাজার --- ভালো লাগলো
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২২
নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: //তারা আবার বলে সাহিত্য কেমন হবে! কে লেখক আর কে লেখক না// একদম সাধু সাধু।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এই ধরনের লোক সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জঘন্য লোকেরা যখন সরকারী কর্মচারী, পুলিশ, এম পি, মন্ত্রী হয় তখন দেশের অবস্থা ভাল থাকার কথা নয়...
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: তারা কারা হবে সরকারী কর্মচারী, পুলিশ, এম পি, মন্ত্রী ? দেশের বেশির ভাগ লোকই তো দুষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আজকের ডায়েরী পড়ে ভালোই মজা পাচ্ছিলাম।কিন্তু শেষ প্যারাটার দিকে নজর দিতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।
আচ্ছা,পৃথিবীতে এতো এতো দুষ্টলোক আছে তাঁদের কি মরার ভয় নেই?আল্লাহর ভয় নেই?